Friday, October 14, 2016

শি চিনপিংয়ের জন‌্য বঙ্গভবনের নৈশভোজে ঢাকাই কাচ্চি

dtl image
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের জন‌্য বঙ্গভবনের নৈশভোজে চীনা কায়দার সুপক্ক মাংসের পদ যেমন ছিল, তেমনি ছিল ঢাকাই কাচ্চি বিরিয়ানি, শামি কাবাব ও আলু বোখারার চাটনি; আর ডেজার্টে মালাই চপ। 
শুক্রবার রাতে শি চিনপিংয়ের সম্মানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া এই নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেন।সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীনা প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর শুরু হয় নৈশ ভোজ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, হোটেল সোনারগাঁওয়ে রান্না করা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় চীনা প্রেসিডেন্টকে। ওই হোটেলের কর্মীরাই খাবার পরিবেশন করেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে এই নৈশ ভোজে ছিল ১০ পদের খাবার, যার মধ‌্যে একটি পদ ছিল চীনের ঐতিহ‌্যবাহী সিচুয়ান ঘরানার রান্না।পাঁচ কোর্সের ভোজ শুরু হয় পোচড জায়ান্ট কিং প্রন দিয়ে, পরিবেশন করা হয় আম ও আপেল সালসার সঙ্গে।
এরপর টেবিলে আসে ক্রিম অফ মাশরুম স্যুপ। সঙ্গে ছিল হোম মেইড ব্রেড।স্যুপের পর আসে অয়েস্টার সস মেশানো ক্রিপসি সালাদে সাজানো স্মোকড ইল।
মেইন কোর্সে ছিল- পুদিনার সস আর পাপড়ের সঙ্গে চিকেন টিক্কা। কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে আলু বোখারা, দই ও আর শামি কাবাব। আরও ছিল সিচুয়ান কায়দায় রান্না করা গরুর মাংসের সঙ্গে ভাত।ডেজার্টে ছিল- বাংলাদেশি মিষ্টি মালাই চপ, মৌসুমী ফল, চা আর কফি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নৈশভোজে এসেছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকীর স্ত্রী পেপ্পি সিদ্দিক।এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও অংশ নেন ভোজে।
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সফরসঙ্গীরাও নৈশভোজে অংশ নেন। ভোজের আগে শিল্পকলা একাডেমির একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন তারা।নৈশ ভোজ শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের ‘ভিজিটরস বুকে’ সই করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি হামিদ তার পাশে ছিলেন।

No comments:

Post a Comment