Saturday, April 15, 2017

যে ৭ প্রগ্রাম শিখলে চাকরি আপনাকেই খুঁজে নিবে

কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে চাকরির অভাব নেই—এমন ধারণা নিয়ে শুরু করেও স্নাতক শেষে চাকরির বাজারে হতাশ হতে হয় অনেককে। তবে কিছু প্রগ্রাম ভালোভাবে শিখতে পারলে চাকরির অভাব হবে না । 
যে ৭ প্রগ্রাম শিখলে চাকরি আছে

পাইথন
দেশে ও বিশ্ববাজারে পাইথন জানা কর্মীর চাহিদা অনেক। জ্যেষ্ঠ কম্পিউটার প্রগ্রামার আবু আশরাফ মাসনুন জানান, মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট—সব জায়গায়ই পাইথনের ব্যবহার বাড়ছে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রগ্রামারদের চাহিদাও বাড়ছে।
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পাইথন কনফারেন্সের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মূলত ভালো পাইথন ডেভেলপারের খোঁজেই এসেছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি শেষ হওয়া বইমেলায় প্রকাশিত ‘সহজ ভাষায় পাইথন’ বইয়ের লেখক মাকসুদুর রহমান জানান, কোর সিকিউরিটি টুল এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে উচ্চমানের তথ্য নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকায় ইউটিউব, বিটটরেন্ট, গুগল ও নাসার বিভিন্ন প্রকল্পে পাইথন ব্যবহার করা হয়েছে। নিউজক্রিড, টেলিনর, ইন্টারকানেকশনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও পাইথনের দিকে ঝুঁকছে। এসব প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার কর্মী প্রয়োজন; কিন্তু পাইথন জানা এত প্রগ্রামার নেই। তাই পাইথন জানলেই চাকরি রেডি!
প্রগ্রামিংয়ের মৌলিক বিষয় জানা না থাকলে পাইথন শেখা কষ্টসাধ্য। সি বা জাভার মতো কমপক্ষে একটি প্রগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে ধারণা থাকলে ‘পাইথন’ শেখা সহজ হবে। লিনাক্স, ম্যাক ওএসএক্স ও উইন্ডোজ—তিন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমেই পাইথন চলে। https://goo.gl/bgsK2 সাইটে গল্পের ছলে পাইথন শেখা যাবে।
https://goo.gl/p1OcdZ-এ রয়েছে পাইথন নিয়ে ভিডিও লেকচার। https://goo.gl/O7mVr3 ব্লগে ইংরেজিতে পাইথন নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশিকা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে পাইথন প্রগ্রামারদের ফেইসবুক গ্রুপ https://www.facebook.com/groups/pythonbd/
জাভা
সাধারণত একটু বড় মাপের সফটওয়্যারগুলো জাভাতে তৈরি হয়। যেমন—বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র ও গাড়ির জন্য ভেইকল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্যভাণ্ডার জাভা দিয়ে তৈরি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরির প্রতিষ্ঠান ভ্যানটেস ল্যাবসের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী এবং এ বছর বাজারে আসা ‘জাভা প্রগ্রামিং’ বইয়ের  লেখক আ ন ম বজলুর রহমান বলেন, বেশির ভাগ সফটওয়্যারে কিউ, উইন্ডো, চেক বক্স ইত্যাদি সংযুক্ত করতে হয়। কম্পিউটার প্রগ্রামিংয়ের ভাষায় এগুলোকে ‘অবজেক্ট’ বলে।
প্রগ্রামিংয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অবজেক্ট নির্ধারণ। অবজেক্ট নির্ধারণ সঠিক না হলে সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন শতভাগ কার্যকর হবে না। এ কাজে সবচেয়ে কার্যকর প্রগ্রামিং ভাষা ‘জাভা’। মোবাইলে বহুল ব্যবহৃত অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে জাভার বিকল্প নেই। তাই পৃথিবীজুড়েই জাভা প্রগ্রামারের চাহিদা রয়েছে। দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অংশ হিসেবে জাভা শেখানো হলেও তা প্রাথমিক ধারণা মাত্র। জাভা ভালোভাবে শিখতে হলে প্রচুর প্রগ্রাম লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনুশীলনের বিকল্প নেই।
ঘরে বসে অনলাইনেই জাভা শেখা যাবে।
http://java.howtocode.com.bd/-এ পাওয়া যাবে বাংলা ভাষায় লেখা জাভা নিয়ে টিউটরিয়াল। বাংলায় ভিডিও টিউটরিয়াল মিলবে https://goo.gl/lYeukx এবং https://goo.gl/l3r890-এ। নতুনদের জন্য বেশি কাজে আসবে   https://goo.gl/Szxvw7 I https://goo.gl/gzDjwO সাইট দুটি।
বাংলাদেশে জাভা ডেভেলপারদের নিয়ে ফেইসবুক গ্রুপ আছে tps://goo.gl/9CbbOF ঠিকানায়। জাভার নানা বিষয় নিয়ে এই গ্রুপে আলোচনা করা হয়।
সুইফট
অ্যাপলের আইওএস এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সুইফট। এই প্রগ্রাম কোড লেখার সময় তার আউটপুট দেখা যায়। ধ্রুবক ইনফোটেক সার্ভিসেস লিমিটেড প্রতিষ্ঠাতা ও আইওএস ডিভাইসের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং সিস্টেম ডিজাইনে এক্সপার্ট আশিক-উজ-জোহা বলেন, অ্যাপল পণ্যে প্রতিবছরই অপারেটিং সিস্টেমসহ নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত হয়। সুইফট জানা থাকলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো সহজে বোঝা যায়। ফলে আইওএস অ্যাপ বানানোই সহজ হয়। দেশে এ খাতে দক্ষ জনবল কম, কিন্তু চাহিদা অনেক। বিদেশেও সুইফট জানা প্রগ্রামারদের বেশ কদর।
তিনি বলেন, সুইফট শিখতে হলে ‘বেসিক ফাংশনাল প্রগ্রামিং’ এবং ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রগ্রামিং’ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
https://goo.gl/lzkLsr-এ গিয়ে সু্ইফট শেখা যাবে বিনা মূল্যে। ভিডিও দেখে শেখার সুযোগ আছে https://goo.gl/QAyYb4-এ। https://www.appcoda.com-এর টিউটরিয়ালগুলো বেশ কার্যকর।

পিএইচপি
পিএইচপি মূলত ওয়েবসাইট তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়। বেশির ভাগ অপারেটিং সিস্টেমে প্রগ্রামটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।
আরআরএফ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ও ওয়েব ডেভেলপার রাসেল আহমেদ বলেন, পিএইচপি শিখলে যেকোনো সিএমএস যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা বা ম্যাজেন্টোতে সহজেই কাজ করা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার পিএইচপির বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক যেমন লারাভেল, সিম্পনি ইত্যাদি ব্যবহার করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানায়। এসব কাজেও পিএইচপি জানা প্রগ্রামারদের চাহিদা আছে।
ব্লুস্কিমের সিনিয়ার ওয়েব ডেভেলপার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ইউটিউবে https://goo.gl/RX2Tef-এ গিয়ে পিএইচপি শেখা যাবে। https://goo.gl/nPRad8 সাইটে রয়েছে পিএইচপি নিয়ে বাংলা ভাষায় টিউটরিয়াল। ইংরেজি ভাষায় পিএইচপি শিখতে https://goo.gl/LOc2cv এবং https://goo.gl/e3K3zY বেশ সহায়ক।
 জাভা স্ক্রিপ্ট
জাভা স্ক্রিপ্ট নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন মুনিব রহমান। তিনি বলেন, অনেকে জাভার সঙ্গে জাভা স্ক্রিপ্টকে গুলিয়ে ফেলেন। নামে মিল থাকলেও আদতে এই দুই ল্যাংগুয়েজের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। জাভা হলো অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রগ্রামিং ভাষা। আর জাভা স্ক্রিপ্ট শুধু ব্রাউজার তৈরির কাজে লাগে। মূলত ওয়েবনির্ভর অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়।
জাভা স্ক্রিপ্টের সাহায্যে ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দর করে তোলা যায়। বাংলায় এর টিউটরিয়াল রয়েছে https://goo.gl/fUD3Ub ঠিকানায়। পাশাপাশি  https://goo.gl/fXASxF-এও জাভা স্ক্রিপ্ট নিয়ে ধারাবাহিক নির্দেশিকা পাওয়া যাবে।
 সি 
বভিন্ন ডেস্কটপ সফটওয়্যার ও ভিডিও গেইম সি দিয়ে তৈরি। অন্যান্য প্রগ্রামিং ভাষা তৈরিতেও সি ব্যবহার করা হয়। ‘সি’ দিয়ে তৈরি প্রগ্রাম যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে চালানো যায়। এ সুবিধার জন্য সি বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় প্রগ্রামিং ভাষা।
দেশের জনপ্রিয় প্রগ্রামিংবিষয়ক লেখক তামিম শাহরিয়ারের সি নিয়ে লেখা নির্দেশিকা পাওয়া যাবে http://cpbook.subeen.com/-এ। http://goo.gl/ICm4tp-এ গিয়ে বাংলায় ভিডিও টিউটরিয়াল দেখেও প্রগ্রামটি শেখা যাবে। সি নিয়ে মানসম্পন্ন নির্দেশিকা AvGQ http://www.cprogramming.com/ এবং https://goo.gl/Y5gcBg সাইটেও।

ভিজ্যুয়াল বেসিক
গ্রাফিকসের ব্যবহার আছে এমন ইন্টারফেস ও তথ্যভাণ্ডার (ডাটাবেইস) তৈরিতে এই ভাষার ব্যবহার বেশি। পুরনো হলেও এখনো ভাষাটির বেশ কদর আছে।
ভিজ্যুয়াল বেসিক নিয়ে ভিডিও টিউটরিয়াল পাওয়া যাবে https://goo.gl/QFMnYP-এ। https://goo.gl/I88UqH-এও পাওয়া যাবে কিছু কার্যকর নির্দেশিকা।
 কোথায় শিখবেন
বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। বিআইটিএম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে www.bitm.org.bd-এ।
প্রশিক্ষণ নেওয়া যাবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল থেকেও। যোগাযোগ ও বিস্তারিত : www.bcc.gov.bd| তবে প্রগ্রামিং শেখার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম অনলাইন বলে মত দেন অভিজ্ঞরা।

Friday, April 14, 2017

হাতিরঝিলে নান্দনিক ফোয়ারা

রাজধানীর হাতিরঝিলে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ‘গ্রান্ড মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন’ এবং এ্যাম্ফিথিয়েটার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এই ফোয়ারার  উদ্বোধন করেন। তিনি এগুলোকে নগরবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ- ১৪২৪’ এর উপহার বলে উল্লেখ করেন। লেকের পানির ওপর নির্মিত এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং মনোরম মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন হাতির ঝিল প্রকল্পের অধীনে নগরবাসীর বিনোদনে নতুন সংযোজন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বলেও জানান নির্মাতারা। এই এ্যাম্ফিথিয়েটারের আসন সংখ্যা ২ হাজার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (রাজউক) এবং ঢাকা ওয়াসার সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবিহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন (এসডব্লিউও-পশ্চিম) এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেইন উদ্বোধন করে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচ্ছন্ন রাখার এবং যতযত্র এটা সেটা ছুড়ে ফেলে একে অপরিষ্কার- অপরিচ্ছন্ন না করা এবং এর প্রতি যতœবান হবার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, হাতিরঝিলের মনোরম পরিবেশে মহানগরীর বিপুল সংখ্যক মানুষ ও দেশি-বিদেশী পর্যটকরা এই ফাউন্ডেইন পরিদর্শনকালে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাইদ মোহাম্মদ মাসুদ ফাউন্টেইন এবং এ্যাম্ফিথিয়েটারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে কর্মরত। এই জীবনযুদ্ধে হিমসিম খাওয়া মানুষগুলোর তো মাঝে মাঝে একটু চিত্তবিনোদনের প্রয়োজন হয়।
সরকার প্রধান বলেন, জীবন নিয়ে যাদেরকে চিন্তাযুক্ত থাকতে হচ্ছে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে- সেখানে তাদের জীবনটাকে একটু সহজ করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, তাদের গৃহের ব্যবস্থা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় ইতোমধ্যে আমরা ব্যাপক কাজ করেছি। অন্তত এইটুকু বলতে পারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন- আর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তিনি চেয়েছেন আর্থ-সামাজিক উন্নত একটি দেশ গড়ে তুলতে।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করায় আমাদেরর দুর্ভাগ্য তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। এরপর ২১ বছর আমরা বঞ্চিত ছিলাম এবং তাই ক্ষমতায় আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল মানুষের মুখে খাবার যোগানো। তাদের বাসস্থানসহ শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় দফায় দেশ পরিচালনায় এসে আমরা এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার মত অবস্থান করে নিতে পেরেছে। ১৬ কোটি মানুষের আর্থ-সমামাজিক উন্নয়নই হচ্ছে আমাদের অগ্রাধিকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চিত্তবিনোদনের সুযোগটা খুব সীমিত। সেই সিমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আজকে এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং ফাউন্টেইনটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ, এটা বাঙালির। আমরা এই অঞ্চলে বাংলা নববর্ষটা উদযাপন করি। এটা মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের অতীতের পণ্য বিনিময় থেকেই এই নববর্ষের শুরু। পুরনো সব হিসাব শেষ করে নতুন হিসেব লিখে রাখা হত হালখাতায়। এর সঙ্গে আর অন্য কিছু মিলিয়ে ফেললে হবে না। এরসঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই । সম্পর্কটা সংস্কৃতির।
প্রধানমন্ত্রী এই এ্যাম্ফিথিয়েটার এবং ফাউন্টেইনকে জাতির জন্য সমগ্র ঢাকাবাসীর জন্য নববর্ষের শুভেচ্ছা বলে উল্লেখ করে বলেন, এটিসহ সকল স্থাপনার সৌন্দর্য রক্ষাও আমাদের দায়িত্ব। এসব স্থাপনার যত্রযত্র এটা ওটা ছুঁড়ে না ফেলার আহবান জানিয়ে বলেন, এসব স্থাপনা জাতীয় সম্পদ এগুলো রক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমাদেরই দায়িত্ব। এ্যাম্ফিথিয়েটারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ্যাম্ফিথিয়েটার নির্মাণ কৌশল দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে এটি দেখতে পাপড়িসহ ফুলের মতো হবে, বৃত্তাকার কাঠামো এবং ডিজাইন কালারফুল হবে।
পাশাপাশি ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের বর্ণিল ফোয়ারা নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এই কাঠামো এমন পরিবেশ তৈরি করবে যে দর্শকদের মনে হবে মঞ্চটি পানির ওপর ভাসছে। বর্ণিল ঝরনায় সময়-নিয়ন্ত্রিত সাউন্ড ওয়েভ এবং মিউজিক্যাল ট্রাক একটি ত্রিমাত্রিক কাঠামো তৈরি করেছে। হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে সোনারগাঁও হোটেলের দক্ষিণ অংশে বেগুনবাড়ি খাল থেকে এবং এর মধ্যভাগ টঙ্গি ডাইভারশন মোড় হয়ে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত। প্রকল্প এলাকা বর্তমান ২৪৪ দশমিক ৭৪ একর থেকে বাড়িয়ে ৩১১ দশমিক ৭৯ একর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সার্ভিস রোড এবং প্রায় ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাতিরঝিলে দুটি ওয়াটার ট্যাক্সি টার্মিনাল এবং ৪টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।
প্রকল্পের অধীনে ৪টি সেতু, তিনটি ভায়াডাক্ট, ৪টি ওভারপাস ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ফুটপাত, ৯ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, একটি শিশু পার্ক ১৩টি ভিউয়িং ডেক নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
যোগেশ ভারসনের  দুঃসাহসঃ  এত  রাগের কারণ ‌কী?‌
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের প্ররোচনা দিলেন উত্তরপ্রদেশের যুব মোর্চার এক নেতা। আলিগড়ের সেই যুব নেতার নাম যোগেশ ভারসন। অনেকটা জঙ্গি নেতাদের মতোই তিনি ফতোয়া দিলেন, যদি কেউ আমাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মাথা কেটে এনে দিতে পারে, আমি তাকে ১১ লাখ টাকা দেব। 
তার রাগের কারণ ‌কী?‌ তিনি জানিয়েছেন, হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। এর শাস্তি মুখ্যমন্ত্রীকে পেতে হবে।
যুব মোর্চার এই নেতার মন্তব্যের পর ভারতে নিন্দার ঝড় বইছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ জয়া বচ্চনও। সরকারের উদ্দেশে তার প্রশ্ন, আপনারা গরু নিয়ে এত চিন্তিত। এদিকে মহিলার মাথা কেটে আনতে বলা হচ্ছে, তখন নীরব কেন?‌ এত দুঃসাহস সে পেল কোথা থেকে?
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেন, যে এই ধরনের প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছে, তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, অবিলম্বে যোগেশকে গ্রেপ্তার করা উচিত। দিলীপ থেকে যোগেশ, কুকথার স্রোত চলছে বিজেপিতে। জনসমর্থন নেই, গায়ের জোরে রাজনীতি করছে। 
যোগেশ ভারসন
বিজেপিও অবশ্য এই জাতীয় প্ররোচনামূলক মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতা ব্যানার্জির অনেক কাজকর্ম নিয়ে আমাদেরও আপত্তি আছে। কিন্তু এই জাতীয় হিংসাকে আমরা সমর্থন করি না।

গরুর পেটে অদ্ভুত ছিদ্র পথে ঢুকে মানুষের হাত 

(ভিডিও দেখুন)

কখনও কোনও গরুর পেটের মধ্যে উঁকি মেরে দেখেছেন? কখনও ভেবেছেন গরুর পেটের মধ্যে হাত ঢোকানোর কথা? ভাবতেই গা ঘিনঘিন করে উঠছে তো? অথচ সুইৎজারল্যান্ডের গ্রাঙ্গেনিউভের অ্যাগ্রোস্কেপের গবেষকরা নিত্য এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই সমস্তটাই করা হচ্ছে গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সুইৎজারল্যান্ডের পশুবিজ্ঞানীরা গরুদের অজ্ঞান করে তাদের পেটের এক পাশে একটি ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ছিদ্র বা নালীপথ তৈরি করে দিচ্ছেন। এই ছিদ্রের সাহায্যে গরুর অন্ত্রে পরিপাক ক্রিয়া কেমন চলছে, সেই সম্পর্কে ধারণা তৈরির চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
পরীক্ষামূলক ভাবে গরুদের ওট এবং ঘাষের মিশ্রণ খাওয়ানো হচ্ছে। তার পর যখন সেই অর্ধ-পাচিত খাবার খাদ্যনালী বেয়ে রুমেন (অন্ত্রের প্রথমাংশ)-এ পৌঁছাচ্ছে, তখনই গরুর পেটের ছিদ্রের ঢাকনা খুলে সেই অর্ধপাচিত খাবারের কিছুটা অংশ বিজ্ঞানীরা তুলে নিচ্ছেন পরীক্ষার জন্য। কখনও বা গরুর পেটের ঢাকনা খুলে নিছক তাদের পেটের মধ্যেকার পরিপাক ক্রিয়ার হালহকিকত দেখছেন।

বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পরীক্ষার মাধ্যমে গরুদের পক্ষে আরও স্বাস্থ্যকর ডায়েট নির্ধারণ সম্ভব হবে। তারা বলছেন, তারা গরুদের জন্য যে খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন তা মেনে গরুদের খাবার খাওয়ানো হলে গরুর দেহ থেকে মিথেন গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমে যায়। পরিণামে বৃদ্ধি পায় গরুদের কার্যক্ষমতা।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। ১৮৩৩ সাল থেকেই এই জাতীয় পদ্ধতিতে গরুর অন্ত্রে নজর রাখা হয়। যদিও বিষয়টি গবাদি পশুদের পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বলেই মনে করেন বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, এই ভাবে গরুরদের স্বাস্থ্যোন্নতির নামে আদপে তাদেরকে কষ্ট দেওয়াই হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখুন: