Tuesday, February 28, 2017

এই ১৭ - টি সংক্ষিপ্ত শব্দের পুর্ন রুপ জানুন

 

১. SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.


২. JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic Expert Group


৩. HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup Language


৪. Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.


৫. ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider.


৬. PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network Graphics


৭. HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol.


৮. DVD এর পূর্ণরূপ — Digital Versatile Disk.


৯. HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer Protocol Secure.


১০. URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.


১১. IP এর পূর্ণরূপ— Internet Protocol


১২. USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus.


১৩. VIRUS এর পূর্ণরূপ -- Vital Information Resource Under 
       
      Seized.

১৪. IBM এর পূর্ণরূপ — International Business Machines.


১৫. HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard.


১৬. AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency Modulation.


১৭. WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area Network

‘পপসম্রাট’ আজম খানের জন্মদিনে


২৮ ফেব্রুয়ারি 'পপসম্রাট' বা 'পপগুরু' খ্যাত বাংলা সংগীতের সম্রাট আজম খানের জন্মদিন। বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী একটি প্রজন্মকে রীতিমতো কাঁপিয়েছেন তিনি। শুধু বাংলাদেশেই নয় গোটা উপমহাদেশেও আজম খান পেয়েছিলেন অসাধারণ জনপ্রিয়তা। আজম খানকে তাই বলা হয় 'পপসম্রাট'।
১৯৭১ সালের পর আজম খান 'উচ্চারণ' নামে একটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চারণের গান সঙ্গীত জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেখানে আজম খানের সঙ্গে তার বন্ধু নিলু আর মনসুর গিটার বাজিয়েছিলেন, সাদেক বাজিয়েছিলেন ড্রাম আর আজম খান প্রধান ভোকাল হিসেবে গান করেন।
১৯৭২ সালে বিটিভিতে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাদের গান তরুনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই অনুষ্ঠানের 'এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে' ও 'চার কালেমা সাক্ষী দেবে' গান দু'টি সরাসরি প্রচার হলো। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় এ দু'টো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পায় তাদের গান।
১৯৭৪ সালের তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে আরেকটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ (রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গানটি গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন।
আজম খানের পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজের সাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেন তারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার গান 'জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে!' বলা হয়, এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক!
বিশ্বের বেশ ক'টি দেশে কনসার্ট পরিবেশন করেন আজম খান। আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ, ওরে সালেকা, ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত জীবনে সহজ সরল জীবন যাপন করতেন তিনি। আজম খান বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার আলম খানের ছোটভাই। ১৯৭১ সালে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নেন আজম খান। একবছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন ৬১ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের কিছু টিপস


স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা চিন্তা করলে অর্ধেকের বেশি ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোন পরিচালনাও অন্য ফোনের চেয়ে সোজা। তবে যে ফোন ব্যবহার করেন না কেন, ফোনের ব্যাটারি চার্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘায়ু করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করি। ডাউনলোড করি অনেক অ্যাপসও। এসব না করেও শুধু মোবাইলের সেটিংস বদলে দিয়ে সারাদিন, রাতেও স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে । আসুন, জেনে নেই কৌশলগুলো-
---
ফোনের আলো নিয়ন্ত্রন করুন: আমাদের অনেকের স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে আমরা সারাদিন একই ধরণের ব্রাইটনেস দিয়ে থাকি। যেখানে পর্যাপ্ত আলো রয়েছে সেখানে কম ব্রাইটনেসেও কাজ করা যায়। তাই সেখানে ব্রাইটনেস কম রাখাই উত্তম। আবার সূর্যের আলোতে কম ব্রাইটনেসে ডিসপ্লে দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে ব্রাইটনেস বাড়িয়ে নিলে দেখতে সুবিধা হয়। আবার ঘরের ভেতর চলে আসলে ব্রাইটনেস কমিয়ে নিলে ফোনের ডিসপ্লে এবং ব্যাটারি দুটোই ভালো থাকবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশতে মোবাইল ব্রাইটনেস রাখা ভালো।
অ্যামোলিড স্ক্রিনে নজর রাখুন হোয়াইটনেসে: স্মার্টফোনের জনপ্রিয় ডিসপ্লের মধ্যে অ্যামোলিড স্ক্রিন বেশ এগিয়ে আছে। তবে অ্যামোলিড ডিসপ্লে যেহেতু একটি উজ্জ্বল ডিসপ্লে তাই মোবাইলের ওয়ালপেপার পছন্দের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কালো রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করা উত্তম। এতে ব্যাটারি ব্যবহার কম হবে।
বন্ধ করুন অ্যাপস শর্টকাট: গুগল প্লে স্টোর থেকে নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় শর্টকাট আইকন তৈরি হয় হোমস্ক্রিনে। গুগল প্লে অ্যাপের মেনু থেকে সেটিংসে গিয়ে শর্টকাট বন্ধ করে দিতে পারেন।
প্রয়োজনে ‘সাইলেন্ট মুড’ ব্যবহার করুন: ঘুম বা আরামের সময় ফোনকল, মেসেজ বা অ্যালার্ট সিস্টেম সাইলেন্ট করে রাখুন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোড নামের একটি মোড আছে, যা সেট করে রাখলে বিরক্তি আসবে না। সেটিংসে গিয়ে সাউন্ডস সেটিংসে এ ফিচার চালু করতে পারেন অথবা সাইলেন্ট মুড ও ব্যবহার করতে পারেন ভলিউম কি ব্যবহার করে।
ফোনে ব্যবহার করুন স্ক্রিন লক: স্মার্টফোনে টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে থাকায় পকেটে থাকলেও অনেক সময় কল চলে যেতে পারে। বার বার পাওয়ার অন অফ বাটন চেপে ফোন লক করলেও ঐ বাটনের জন্য ক্ষতি। তাই স্ক্রিন লক অপশন ব্যবহার করতে পারেন। ফোনে না থাকলেও গুগল প্লে সেন্টারে এ ধরণের অ্যাপস রয়েছে অনেকগুলো। ডাউনলোড করে ব্যবহার করা শুরু করে দিন।

ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর সহজ উপায়


ইন্টারনেটের পিছনে আপনি যত টাকা খরচ করেছেন সেই অনুপাতে নেটে গতি পাচ্ছেন না? অনেককেই এমন অভিযোগ করতে শোনা যায়৷ এমনকী ওয়াই-ফাই সংযোগে ইন্টারনেট করতে চাইলেও নাকি একই অবস্থা৷ ইন্টারনেট স্পিড নেই৷ তবে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলতে পারে৷ কোনও টাকা খরচ না করেই৷ চলুন আজই আমরা জেনে নিই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর কয়েকটি সহজ উপায়:
---রাউটারের লোকেশন পরিবর্তন: ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি বাড়ানোর সহজ উপায় হল রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন বা অবস্থানের মাঝে সমন্বয় রক্ষা করা৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাউটার বাড়ির ভিতরে আসা ইন্টারনেট তারের খুব কাছাকাছি রাখা হয়৷ যা উচিত নয়৷ পাশাপাশি বেশিরভাগ রাউটারের অ্যান্টেনার অবস্থান ঠিক করে রাখা হয় না৷ ফলে অ্যান্টেনার থেকে সব দিকে সংকেত পাঠানো ও রিসিভ করা সম্ভব হয় না৷ তাই রাউটারকে এমন স্থানে রাখা উচিত যেখান থেকে রাউটার সবদিকে সংকেত পাঠাতে পারে বা সংকেত রিসিভ করতে পারে৷
ওয়্যারলেস রাউটারের সামনে একটি উন্নত অ্যান্টেনা যোগ করা: কখনও কখনও রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করে ইন্টারনেটের গতি উন্নত বাড়ানো সম্ভব হয় না৷ এই ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টেনা পরিবর্তন করা যেতে পারে৷ যদি একটি রাউটারের চারপাশে অনেক দেওয়াল বা অনেক বাধা থাকে তবে সেক্ষেত্রে একটি এক্সটারনাল অ্যান্টেনা রাউটারের সামনে বা সঠিকভাবে ব্যবহার করে রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে৷ রাউটারের কার্যক্ষমতা বাড়লে তবেই বাড়বে ইন্টারনেটের স্পিড৷
একটি ওয়্যারলেস রিপিটার যোগ করা: রাউটারে নেটওয়ার্কের পরিসীমা বাড়াতে একটি ওয়্যারলেস রিপিটারের সাহায্য নিতে পারেন ব্যবহারকারী৷ এই রিপিটার রাউটার ও সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে একটি সেতু হিসাবে কাজ করবে৷ বাজারে এমন অনেক ভালো ভালো রিপিটার পেয়ে যাবেন কম দামে৷
ব্যাকগ্রাউন্ডের ডেটা ডাউনলোড বন্ধ করতে হবে: একটি ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের গতি অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা একাধিক কাজের জন্য স্লো হতে পারে৷ ব্যবহারকারী কম্পিউটার, ট্যাবলেট, বা ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি একাধিক ট্যাব একসঙ্গে চলতে থাকে তবে ইন্টারনেটের গতি কমতে বাধ্য৷ তাই ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বা ট্যাব বন্ধ করলে ইন্টারনেটের স্পিড বাড়বে৷

ফেসবুক পেজ থাকার ১০ সুবিধা


ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়াই দুস্কর। এমনকি অনেকেই এখন দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। একটা ব্যক্তিগত কাজে, অর্থাৎ পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের জন্য। আরেকটি শুধু কাজের জন্য। অর্থাৎ সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য।তবে অনেকেরই বন্ধুসংখ্যা এত বেশি যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে না। সে কারণেই দরকার পড়ে ফেসবুক পেজের। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যেমন ফেসবুক পেজ আছে, তেমনি অনেক ব্যক্তিও ফেসবুকে পেজ খুলছেন এবং পেজের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন বা আপডেট দিচ্ছেন।
---
তারকাদের ক্ষেত্রেই ফেসবুক পেজ ব্যবহারের নজির বেশি দেখা যায়। প্রতিনিয়ত নিজের কাজের আপডেট দেওয়া, কোথাও গেলে সেই ছবিগুলো পোস্ট করা বা সচেতনতা বৃদ্ধির কাজেও ব্যবহার করা হয় ফেসবুক পেজকে।
আর এখন ব্যবসার কাজে ফেসবুক পেজ ছাড়া গতি নেই। কারণ, যেকোনো ধরনের ব্যবসাই হোক, মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম ফেসবুক।
ফেসবুক পেজ থাকার ১০টি সুবিধা- সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিষয়ক ওয়েবসাইট কনভার্ট উইথ কনটেন্ট জানিয়েছে ফেসবুক পেজ থাকার ১০টি সুবিধার কথা।

অগণিত বন্ধু রাখা যাবে: ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজারের বেশি বন্ধু রাখা যায় না। কিন্তু ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে এ রকম কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আর এ সুবিধার কারণেই ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের চেয়ে পেজ রাখাই ভালো। যদি আপনি বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান, তাহলে ফেসবুক পেজের বিকল্প নেই।

ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়বে না: যখন আপনি ফেসবুক পেজ খুলবেন, তখন আপনার মাথায় থাকবে এটা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চয়ই আপনার কাজ নিয়েই বেশি কথা বলবেন এখানে। ফলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। আপনি আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি বাড়িয়ে নিতে পারেন। ফলে সবাই আপনার পোস্ট দেখতে পারবে না। অন্যদিকে আপনার যেসব বিষয় জানানো প্রয়োজন, সেগুলো জানাতে নিজের পেজটি ব্যবহার করুন।
সার্চে সুবিধা পাবেন: ফেসবুকে বা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিলে ফেসবুকের পেজগুলোই আগে আসে এবং এগুলো তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যদি আপনি চান মানুষ আপনাকে বা আপনার প্রতিষ্ঠানকে সহজে খুঁজে পাবে, তাহলে ফেসবুক পেজে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগিং সুবিধা: ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শুধু বন্ধুরাই আপনাকে ট্যাগ করতে পারে। কিন্তু ফেসবুকে পেজ থাকলে যে কেউ ট্যাগ করতে পারবে। এতে আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান অন্যদের কাছে দ্রুত পরিচিতি পাবে। আপনার দেওয়া পোস্টগুলোও শেয়ার হবে দ্রুত।

মনিটরিং সুবিধা: ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মনিটরিং করার সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ, ফেসবুক পেজে রয়েছে অ্যানালিটিক্স। আপনার পোস্টগুলো কাদের কাছে যাচ্ছে, প্রতিদিন কত মানুষ আপনার পেজে আসছে, সেটা জানতে পারবেন। লাইক আর ডিজলাইক কত, তার সব হিসাবই আপনি পাবেন পেজের অ্যানালিটিক্স থেকে।

নিউজফিড মার্কেটিং: বিভিন্ন পেজের আপডেট ফলোয়ারদের নিউজফিডে দেখা যায়। আর যদি কোনো পোস্ট বুস্ট করা হয়, তাহলে সেটা ফলোয়ারদের বাইরে অন্যদের নিউজফিডেও চলে যায়। এ ক্ষেত্রে পরিচিতি বাড়ে। বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারে।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন: বিজ্ঞাপন হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে নানা রকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। অনেক সময় ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকে। এসব প্রতিযোগিতার জন্য সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য পেজগুলোতে নানা রকম সুবিধা রয়েছে, যা ব্যক্তিগত প্রোফাইলের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুবিধা: ফেসবুকে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও এ জন্য অর্থ খরচ করতে হয়। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা প্রমাণিত। রয়েছে বিভিন্ন পোস্ট বুস্ট করার সুবিধা। এতে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে আপনার পোস্টটি। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রোফাইলে ফেসবুকের এই সুবিধা ব্যবহার করার সুযোগ নেই।

অ্যাডমিন রাখার সুবিধা: আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড একটাই। তাই যদি আপনি অন্য কাউকে আপনার প্রোফাইলে ঢুকতে দিতে চান, তাহলে আপনার পাসওয়ার্ড তাকে দিতে হবে। আর পাসওয়ার্ড পেলে আপনার অ্যাকাউন্টের সবকিছুই তার হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক পেজে রয়েছে অ্যাডমিন সুবিধা। আপনি পছন্দের কাউকে অ্যাডমিন বানিয়ে দিতে পারেন। তারা আপনার হয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিতে পারবে। এতে আপনার গোপনীয়তা বজায় থাকবে, কারণ অ্যাডমিনদের ক্ষমতা সীমিত।

চেকইন সুবিধা: নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ফেসবুক পেজ হচ্ছে প্রচারের সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ, পেজ থাকলে বাকিরা সেখানে চেকইন দিতে পারে বা ট্যাগ করতে পারে। এর ফলে অন্যরাও আপনার পেজ সম্পর্কে জানতে পারে।

Monday, February 27, 2017

এবার অস্কার মাতালেন প্রিয়াংকা !

বলিউড তারকা প্রিয়াংকা চোপড়া বলিউড থেকে 

হলিউড সবখানেই ছড়িয়েছেন গ্ল্যামার, সৌন্দর্য আর অভিনয়ের দ্যুুতি। তার 

মায়াবী হাসিতে অনেক আগেই মুগ্ধ হয়েছে হলিউড। এবার তিনি মাতিয়ে 

দিলেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ আয়োজন অস্কারের ৮৯তম আসরের লাল 

গালিচা।মার্কিন টিভি সিরিজ কোয়ান্টিকো ও হলিউডি ছবি ‘বেওয়াচে’র 

সুবাদে আজকাল হলিউড পাড়ায় প্রিয়াংকার আনাগোনাটা অনেক বেশি। এর 

আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের নৈশভোজের আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। 
তবে এবার তাকে দেখা গেল ৮৯তম অস্কার অ্যাওয়ার্ডের লাল গালিচায়। 

বেশ জমকালো ছিলো তার উপস্থিতি। আর চিরচারিত ভারতীয় সংস্কৃতির 

অংশ বজায় রেখে ক্যামেরাম্যানদের সামনে পোজ দিয়েছিলেন দু হাত জোর 

করে প্রণামের ভঙ্গিতে। এ সময় প্রিয়াংকার সঙ্গে ছিলেন ‘বেওয়াচ’ ছবিতে 

তার নায়ক ডোয়াইন জনসন। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় মঞ্চে উপস্থিত 

হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্রিয়াংকা। নিজেও জানালেন ব্যাপার টা তার 

জন্য বেশ সম্মানেরও। 

অতিরিক্ত আকর্ষণীয় হবার অভিযোগে বরখাস্ত!

হাজার বছর আগের চর্যাগীতির এক পদে বলা হয়েছে ‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’। এই পদই যেন ফের সত্য হল এম্মা হাল্সের ক্ষেত্রে।‘অতিরিক্ত আকর্ষণীয়’ হওয়ায় কাজে মনোযোগ রাখতে পারেন না সহকর্মীরা। সে কারণে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এম্মা হাল্স নামের লন্ডনের এই তরুণীকে! হরিণ যেমন নিজের সুস্বাদু মাংসের কারণে শিকারি দ্বারা সংহার হয়। তেমনি সংহারের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় তাকে যেন নিরাপদে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী ওই তরুণী লন্ডনের এক টিভি প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠানের রানার হিসেবে কাজ করতেন। তার দাবি, ইউনিট টিভি-র ৮ ঘণ্টার ফ্রিল্যান্স শিফটে কাজে যোগ দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার অভিযোগ, ‘টু হট’ হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে তার প্রতিষ্ঠান। এম্মাকে এভাবে বরখাস্ত করার ঘটনায় কর্মস্থলে লিঙ্গ-বৈষম্য নিয়ে বিতর্কের অভিযোগও উঠেছে।
এম্মা বলেছেন, ঘটনার দিন কাজে যোগদানের কিছুক্ষণ পরই কোম্পানিতে তার এজেন্ট তাকে মেসেজ দিয়ে জানান যে, কোম্পানিতে তার আর প্রয়োজন নেই। এই মেসেজ পাওয়ার পরই তিনি লাইন ম্যানেজারের কাছে যান। সেখানে লাইন ম্যানেজার তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যদি মডেল হন, তাহলে কেন ক্যাটওয়াক করছেন না।’ এম্মার দাবি, ঘটনার দিন তিনি লিপস্টিক লাগিয়েছিলেন। কিন্তু তা আদৌ অনুপযুক্ত ছিল না।
তিনি যে ট্রাউজার পরে ছিলেন, তাতেও আপত্তির কোনো ব্যাপারই ছিল না। এম্মার আরও অভিযোগ, ম্যানেজার তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর চেয়েছেন এবং তাকে বাইরে কোথাও পান-ভোজনের প্রস্তাবও দিয়েছেন।

এগিয়ে আসুন সমাজ উন্নয়নে

একটি সামাজিক উদ্যোগের গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা ইনসান আলী বাবু। তিনি একজন চেতনার মানুষ। জীবনের ২৫টি বছর কাটিয়েছেন কানাডায়। মা আমেনা খাতুনের শারীরিক অসুস্থতার কথা শুনে ২০০৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সেই বছর ২ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন তার মা। মায়ের মৃত্যুর ২৩ দিন পর বাবা আব্দুর রউফ মিয়াও মারা যান। বাবা-মায়ের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় গ্রামের মানুষকে ডেকে মিলাদ মাহফিল করতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন, রাজনীতি আর সামাজিক কর্তৃত্বের ধূম্রজালে পুরো সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ভিন্নমতাবলম্বনের কারণে একে ডাকলে সে আসে না, তাকে ডাকলে অপরজন মনোক্ষুণ্ন। কী অদ্ভুত ব্যাপার! সমাজের এমন অসহযোগমূলক পরিস্থিতিতে ইনসান আলী সিদ্ধান্ত নেন নতুন কিছু করার। তার মাথায় চিন্তা আসে, যেভাবেই হোক সমাজের মানুষের মাঝে বিদ্যমান এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত থামাতে হবে। অন্ধকারে নিবৃত এই সমাজের মানুষগুলোকে আলোর পথে নিয়ে আসতে হবে।
শুরু হয় সমাজ সংস্কারের নতুন সংগ্রাম। অনেক চেষ্টার পর ২০০৬ সালের ৪ মার্চ বাবা-মায়ের দোয়া মাহফিলটাই সামাজিক উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। ইনসান আলী গ্রামের ঘরে ঘরে, হাট-বাজারে গিয়ে মানুষের সঙ্গে তার নতুন ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বহুদলগত মতাদর্শে বিভক্ত মানুষদের একমত করতে যথেষ্ট কষ্ট হলেও অবশেষে সফলও হন তিনি। শেষতক ‘ভ্যালী ফিল্ড সমিতি’ নামে ২৩ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এভাবেই শুরু হয় একটি সামাজিক উদ্যোগের জয়যাত্রা। শৈলকুপার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের বিত্তিদেবী রাজনগর, ধর্মপাড়া এবং উত্তর মির্জাপুর তিনটি গ্রাম সমিতিভুক্ত হয়। ভ্যালী ফিল্ড সমিতির সদস্য হয়ে তারা অঙ্গীকার পালনে শপথ গ্রহণ করেন—গ্রামে কেউ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, আলোচনা বা বিতর্কে জড়িত হবেন না, অপ্রাপ্ত বয়সে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না, কেউ কাউকে গালাগাল করবেন না, কোনো ধরনের নারী নির্যাতন করবেন না, যাদের অক্ষরজ্ঞান নেই তারা সাক্ষরতা অর্জন করবেন, ৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের স্কুলে পাঠানো বাধ্যতামূলক, গ্রামের সব বাড়িতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন বসাতে হবে, মহিলারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হবেন, সর্বোপরি গ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায়ভিত্তিক প্রকল্প গড়ে তুলে পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করবেন। এভাবে সমিতির সদস্যরা গ্রামের বিভিন্ন সময়ে পারস্পরিক বিরোধে দায়ের করা ১৫-১৬টি মামলা তুলে নেন। এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলনেতারা শপথ নিলেন দলবাজি না করে সামাজিক উন্নয়নে এক হয়ে কাজ করার। সপ্তাহে ১০ টাকা করে সঞ্চয় নিয়ে গঠিত হয় তহবিল। বিনা শর্তে গ্রামের মানুষ ১০ বিঘা জমি সমিতিকে দান করে চাষাবাদের জন্য। সমিতির সদস্যদের ১৫টি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়। আছে নারীদেরও পৃথক দল। সমিতির সদস্যদের সপ্তাহে দুই দিন বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হয়। এই সমিতির সদস্যরা গড়ে তুলেছেন ‘ভ্যালী ফিল্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ড’। সমিতির আয় থেকে শতকরা ১০ ভাগ জমা হচ্ছে এই কল্যাণ তহবিলে। এভাবেই স্বপ্রণোদিত হয়ে চলেছে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম। এরপর আর কোনো উদাহরণের প্রয়োজন হবে না আশা করছি।
এই হলো সামাজিক উদ্যোগ। এ কারণেই সামাজিক উদ্যোগ হলো রাষ্ট্রের উন্নয়নের হাতিয়ার। সামাজিক উদ্যোগের সবচেয়ে বড় প্রতিফলন হচ্ছে—এর মাধ্যমে সমাজের মানুষ নিজেরা নিজেদের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়। সমাজের মধ্য থেকে উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা এবং উন্নয়নে প্রতিপক্ষের বাধাকে মোকাবিলা করা সহজতর হয়। সামাজিক জাগরণের মাধ্যমে মালিকানা বোধ সৃষ্টি হয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের স্বার্থ সংরক্ষিত হয় এবং এই তাড়না জনগণকে সরব করে তোলে। সমাজে নারী ও পুরুষের সমঅধিকার এবং সমসুযোগ সৃষ্টি হয়। উদ্যোক্তাদের সমন্বিত ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ ঘটে। একসময় দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সামাজিক উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখত। তখন সেসব উদ্যোগের মূল্যায়ন করা হতো। কিন্তু সত্তর থেকে আশির দশকে এনজিওগুলোর উন্নয়নধারার সূত্রপাত ঘটায় সামাজিক উদ্যোগকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ফলে সামাজিক উদ্যোগের প্রবাহ ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে। দেশ, সমাজ এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা সত্ত্বেও সামাজিক উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, সামাজিক উদ্যোগই সভ্যতার দিকে পৃথিবীকে এগিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ। সমাজের মানুষের বিভিন্ন উদ্যোগই মানুষকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। সংগঠিত মানুষের বহুমুখী চিন্ত-চর্চা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং কর্মতৎপরতা সমন্বয়ের স্রোতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটায়। এর ফলে সামাজিক রীতি-নীতি, আচার-আচরণ, সর্বোপরি সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সমাজ ক্রমেই সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এই সামগ্রিক সামাজিক অগ্রসরতার নাম হলো উন্নয়ন। সামাজিক উদ্যোগ বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ; যেমন সমাজের মানুষকে সচেতন করে তোলা, মানুষের নেতিবাচক ও সনাতনী ধ্যান-ধারণা দূরীকরণ, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জাগরণ সৃষ্টি, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণ, বহুদল-মত ও চিন্তাশীল মানুষের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির মাধ্যমে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার মানসিকতা সৃষ্টি, নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্য কমিয়ে আনা, স্থানীয়ভাবে সম্পদ সংগ্রহ ও সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও পুঁজি সমন্বয়করণ, সমন্বিত পুঁজি লাভজনক ও উপযোগী খাতে বিনিয়োগকরণ, বিনিয়োগ খাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি। এসব কার্যক্রমে সামাজিক সাংগঠনিক উদ্যোগ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে এনজিওগুলোর সঞ্চয় সংগ্রহ এক ধরনের সামাজিক পুঁজির প্রচেষ্টা। দরিদ্র পরিবারগুলোতে সাপ্তাহিক সামান্য সঞ্চয় গড়ে তুলছে বিশাল পুঁজিভাণ্ডার। অপরদিকে, মানুষের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে সঞ্চয়কামী মানসিকতা। সামাজিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে : রাজা রামমোহন রায়—তৎকালীন হিন্দু সমাজের কুপ্রথা ‘সতীদাহ’র বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর—শিক্ষা বিস্তার ও নারী শিক্ষার বিকাশে সেই সময় ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর—অর্জিত নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়ে কৃষকদের জন্য সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন—মুসলমানদের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সমুদয় সম্পত্তি দান করে একটি ফান্ড গঠন করেন। এ রকম সামাজিক উদ্যোক্তার অভাব নেই বাংলাদেশে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ আলোকিত মানুষ গড়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার পরিচালনা করছেন। আমাদের প্রয়াত জনপ্রিয় লেখক হূমায়ুন আহমেদ নিজ অর্থায়নে স্কুল পরিচালনা করেছেন। এমন উদাহরণ অসংখ্য দেওয়া যাবে।
এবার আসা যাক অন্য কথায়। একটি সমাজে নানা পথ, নানা মত, নানা চিন্তার, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বসবাস করে, যারা কোনো না কোনোভাবে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। এ কারণে সামাজিক উন্নয়নে ব্যক্তির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে একক প্রচেষ্টা অনেক সময় সমাজে তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না। সমাজের ভেতর থেকে সংগঠিত হয়ে সমবেত প্রচেষ্টায় অনেক অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগ, চিন্তা এবং চেষ্টাগুলো সমন্বিত হলেই তা পরিণত হয় সামাজিক উদ্যোগে। আবার ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে সম্মিলিত সামাজিক প্রচেষ্টা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। একে বলা হয় সামাজিক আন্দোলন। যেমন বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা, ঘুষ-দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, অনাচার ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন জোরদার হয়ে থাকে। সমাজবদ্ধ মানুষেরা নিজেদের প্রয়োজনে একত্রিত হয়ে সমাধানের পথ খোঁজে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষমও হয়। দেখা গেছে, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সামাজিক স্বেচ্ছাশ্রম প্রদানকারী মানুষেরাই পালন করতে পেরেছেন উদ্যোগী ভূমিকা। একই সূত্রে সমাজের বিচ্ছিন্নভাবে থাকা ব্যক্তি উদ্যোগ সৃষ্টি করতে পারে বৃহত্তর গণজাগরণ। এই গণজাগরণের স্রোতে উঠে আসে সমাজের ঝিমিয়ে পড়া, হতাশাগ্রস্ত অসহায় মানুষেরা; যেখানে কারো পুঁজি আছে, কিন্তু সাহস নেই; কেউ উদ্যোগী, কিন্তু তার পুঁজিসংকট; কারো অভিজ্ঞতা নেই; কারো আছে বুদ্ধি-বিচক্ষণতার দুর্বলতা। এ রকম বহুবিধ না, হবে না, অসম্ভব ইত্যাকার নেতিবাচক ক্রিয়ার শিকলে বাঁধা সমাজের মানুষ। অথচ এই হ্যাঁ-না এবং পারা-না পারার মানুষগুলো এক হলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট, খুলে যায় সম্ভাবনার দুয়ার।
লেখক: এস এম মুকুল; অর্থনীতি বিশ্লেষক ও উন্নয়ন গবেষক।

এবার বাস ভাড়া বাড়ানোর চেষ্টা-তদবির!

গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যেই পরিবহন মালিকরা চেষ্টা-তদবির শরু করেছেন। এই লক্ষ্যে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। শিগিগিরই সরকারের এই সংক্রান্ত কমিটি বৈঠকে বসতে পারে বলে জানা গেছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকরাও দাবি জানিয়েছেন ভাড়া বাড়ানোর। জানা যায়, রাজধানী ও চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলকারী গ্যাসচালিত বাসের ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করেছেন পরিবহন মালিকরা। এভাবেই এবার শুরু হয়েছে বাস ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা। 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্যাসের দাম বা তেলের দাম বাড়লে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করার প্রয়োজন আছে। আমাদের সরকারের একটি কমিটি আছে। সেখানে পরিবহন মালিক ও সাধারণ ভোক্তাও আছেন। তারা নিজেরা পরামর্শ করে গ্যাসের দাম পর্যালোচনা করে ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করবেন। জানা গেছে, কমিটি বৈঠক করে মন্ত্রীর কাছে ভাড়া নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করবে। সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য সমিতির আবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। অনুলিপি দেয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিউর রহমানকেও।
গত বৃহস্পতিবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। বর্তমানে প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের দাম ৩৫ টাকা। আগামী ১ মার্চ থেকে সমপরিমাণ গ্যাসের দাম হবে ৩৮ টাকা। ১ জুন থেকে হবে ৪০ টাকা। দুই দফায় পরিবহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়তে চলেছে প্রায় ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করে সরকার। ওই বছরের ১ অক্টোবর বাস ভাড়া কিলোমিটারে ১০ পয়সা বাড়ানো হয়। তখন ১৭টি পরিচালনা ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
বর্তমানে বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। মিনিবাসে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা। তবে অধিকাংশ বাস এ ভাড়া মানে না। রাজধানীতে কিলোমিটারে তিন টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায়ের নজির রয়েছে। মূলত সিটিং সার্ভিসের নামে ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য।

Sunday, February 26, 2017

দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের নানা পদক্ষেপ


অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মাঠ প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্স, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম, অডিট কার্যক্রম, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ দাখিল, আয়কর রিটার্ন দাখিল ও বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনকে গতিশীল ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৪৬০৬৯৮ পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি, কাজের গুরুত্ব, জনসেবা, ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করার প্রয়োজনে দেশের সকল জেলায় ১টি করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক করে (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোট ৬৪টি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি) নামে আরও ৪৩টি পদও নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে।জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত রহিম উল্লাহ’র (ফেনী-৩) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইসিটি শাখার জন্য ২৮৮টি পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে সর্বমোট ১৯ হাজার ৭৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যথাক্রমে ২ হাজার ১৭২, ২ হাজার ১৮০, এবং এক হাজার ১৮২ জন কর্মকর্তা নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, অদক্ষতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ (প্রবেশ পর্যায়ে), উচ্চতম প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স (মধ্যম পর্যায়ে) সিনিয়র স্টাফ কোর্স (ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে), আইন ও প্রশাসন কোর্স (প্রবেশ পর্যায়ে), দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বৈদিশিক প্রশিক্ষণ, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং পলিসি গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও জাইকার যৌথ উদ্যোগে একটি প্রকল্পের আওতায় ২০৩০ জন কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দফতরে ২০৩০টি ক্ষুদ্র উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, জনবান্ধব সরকারি সেবা-ব্যবস্থাপনা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আইনসম্মত নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইনের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন লাভ করেছে। সরকারি কর্মচারীদের সৃজনশীল কার্যক্রমকে উৎসায়িত ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনকে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন পদক প্রবর্তন করা হয়েছে।

ঠেঙ্গার চরেই হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ঠিকানা!

অবশেষে বহুল আলোচিত রোহিঙ্গাদের ঠিকানা হচ্ছে নোয়াখালীর সেই ঠেঙ্গার চরে।মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গার চরেই স্থানান্তর করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে সংসদীয় কমিটিও। অস্থায়ী ভিত্তিতে হলেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তরের প্রস্তাব করেছে কমিটি। রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব করা হয়।          
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গার চরে নিতে সরকারের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলা হয়, ঠেঙ্গার চর বসবাসের উপযুক্ত নয় বলে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানায় কমিটি। রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক আচরণের প্রশ্নই ওঠে না। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করছে, তাতে এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন অযৌক্তিক। 
স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
এখন পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছে এবং যারা নতুনভাবে প্রবেশ করেছে তাদের মিয়ানমার কর্তৃক ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যাটির উৎপত্তি যেহেতু মিয়ানমারের, তাই এর সমাধান মিয়ানমারে মাধ্যমেই করার তাগিদ দেওয়া হয়। এজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ সমস্যাটি সমাধানের জন্য বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও সুপারিশ করা হয়।

ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট প্রতিবেদন

ধর্ষণে বিশ্বসেরা যুক্তরাষ্ট্র: ভারত চতুর্থ

ধর্ষণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বসেরা। আর ভারত হচ্ছে চতুর্থতম। চলতি বছর ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট নামে একটি সংবাদমাধ্যম। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে আমেরিকার নাম রয়েছে এক নম্বরে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি ২ মিনিটে ধর্ষণের শিকার হন একজন নারী। এই চিত্র নারীদের জন্য শুধুমাত্র আতঙ্কজনকই নয় ভয়াবহও। ধর্ষণের মতো এমন অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। আর প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন ভারতে। ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষে থাকা বাকি ৫টি দেশ হলো- জার্মানি- ৬, ফ্রান্স ৭, কানাডা- ৮, শ্রীলংকা- ৯। আর ইথিওপিয়া রয়েছে ১০ নম্বর অবস্থানে।
ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় পার্শ্ববতী দেশ ভারতের অবস্থান ৪ নম্বরে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তালিকা অনুসারে ধর্ষণ অপরাধে সুইডেনের অবস্থান ৩ নম্বরে। এছাড়া নারীর প্রতি চরম সহিংসতার এই শীর্ষ তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম রয়েছে ৫ নম্বরে। তথ্য অনুযায়ী, গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৯১ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন। এছাড়া পুরুষ ধর্ষণের শিকার হয় ৯ শতাংশ। সেখানে প্রতি ৬ জন নারীর মধ্যে ৫ জন ধর্ষণের শিকার অথবা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন। আর পুরুষদের বেলায় প্রতি ৩৩ জনে একজন এই ঘটনার শিকার হন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪ শতাংশ কলেজ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা কলেজে যাওয়ার সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অথবা কেউ তাদের ধর্ষণচেষ্টা করেছে। আর ধর্ষণের শিকার ১৬ শতাংশ নারী ঘটনাটি পরিবার বা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এসব ঘটনার বেশিরভাগ ঘটেছে কোনো বাড়িতে বা নির্জন এলাকায় যেখানে তাদের কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারবে না। অন্যদিকে ভারতে ২৪ হাজার ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে মাত্র ২ হাজার ২২টি ঘটনা। এসব ঘটনার কিছু ঘটেছে লোকালয়েই। এসব ঘটনার বেশিরভাগ ঘটিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য বা পাশের বাড়ির লোকেরা। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ধর্ষকদের ৯ শতাংশই ধর্ষিতার নিকট আত্মীয় বা পড়শী।

প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে: 

আপনাদের বেতন বেড়েছে, এখন সেবার মান বাড়ান।প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো: মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, 
---প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার জন্য যেভাবে অর্থ ব্যয় করছেন, তা আমার কাছে দিলে আমি এত খরচ করতে সাহস পেতাম না।
রোববার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মিলনায়তনে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার যেহেতু প্রাথমিক শিক্ষার জন্য অনেক করছেন, তাই শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদেরও সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে। শুধু চকচকে দালান বা অবকাঠামো থাকলেই চলবেনা। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনাদের বেতন বেড়েছে, এখন সেবার মান বাড়ান।
পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। সভায় কয়েকজন প্রধান শিক্ষকও বক্তব্য দেন।

ইভানকা চীনে কেন এত জনপ্রিয়!

সুন্দর চোখ, ঝলমলে মুখ, চোখ ধাঁধানো শারীরিক অবয়ব, সঙ্গে বাণিজ্য জগতে বাবার মতোই বিপুল জনপ্রিয়তা ইভানকা ট্রাম্পকে চীনের বাজারে ক্রমে জনপ্রিয় করে তুলছে। ছোট থেকে বড় একাধিক চীনা বাণিজ্য সংস্থাই শুধু নিজের দ্রব্যের সঙ্গে জুড়ে নিতে চাইছে ইভানকা ট্রাম্পের নাম। ব্যাপারটা এখন এমন যে, ইভানকা থাকলেই যেন ব্যবসা বাড়বে হু হু করে।
'ট্রেডমার্ক'-এর জন্য নানারকম নামে ব্যবহার করতে চাওয়া হচ্ছে ইভানকার নাম। কেউ ‘'ইভানকা ট্রাম্প' মানে তার পুরো নাম ব্যবহার করতে চাইছেন। কেউ শুধু ইভানকা ব্যবহার করছেন। আবার কেউ ইভানকার চীনা উচ্চারণ ইয়াঙ্কা ব্যবহার করতে চাইছেন। কী নেই আবেদনকারী সংস্থার তালিকায়। ডায়েট পিল, খাবার, থেকে শুরু করে প্রসাধনী দ্রব্য, নারীদের নানা রকম জিনিসের জন্য ইভানকার নাম চাওয়া হয়েছে।
তবে হঠাৎ করে এত জনপ্রিয়তা পেলেন কী করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা। এক চীনা শিল্পপতি জানালেন, '২০১৬ সালে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের প্রচারে আসতে শুরু করেছেন ইভানকা, তখন থেকেই তার দিকে নজর ছিল চীনের মানুষের। এরপর ক্রমে চীনের সঙ্গে একটি আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইভানকার। গত বছর চীনের নববর্ষের দিন ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসে সারাদিন উৎসব পালন করেন ইভাঙ্কা। এ ছাড়াও, ইভানকার কথা টিভিতে শুনে চীনের বিশাল অংশের নারীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে ইভানকার নাম থাকলে অনেক সুবিধা হতে পারে।'

ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই এবার জাদুমন্ত্র!

ট্রাম্প ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ম্রিয়মাণ অর্ধচন্দ্রের রাতে জাদুমন্ত্র চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে ডাকিনীরা। আজ ২৬ মার্চ আবার এই মন্ত্র পড়া হবে বলে তারা জানিয়েছে। অপরদিকে জাদুমন্ত্রের প্রভাব থেকে ট্রাম্পকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে আজকে 'প্রার্থনার দিন' ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি সংগঠন ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধিকাংশ বিরোধীরা যখন তাকে হোয়াইট হাউজের বাইরে দেখার জন্য আরো চার বছর অপেক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ডাকিনীরা বেশ আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত থেকে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ডাকিনীবিদ্যার অনুসারীরা জাদুমন্ত্র পড়া শুরু করেছে।
এ-সংক্রান্ত একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছে এবং #magicresistence ব্যবহার করে তারা অনলাইনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। খ্রিষ্টান রক্ষণশীলরা এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং 'ডাইনিরা আধ্যাত্মিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে' বলে অভিযোগ করছে।
নিজেকে 'জাদুর বুদ্ধিজীবী' হিসেবে দাবি করেন এমন একজন লেখক মাইকেল হিউস অনলাইনে এ-সংক্রান্ত একটি মন্ত্র পোস্ট করেছেন এবং বলেছেন যে, বিভিন্ন ডাকিনীবিদ্যার ফোরামে তিনি এ ধরনের অনেক মন্ত্র দেখেছেন।
ওই মন্ত্র পড়ার জন্য একটি কমলা রংয়ের মোমবাতি, ট্রাম্পের একটি ছবি এবং ডাকিনীবিদ্যায় ব্যবহার হয় এমন একটি ট্যারট কার্ড ব্যবহারের কথা বলেছেন তিনি। জাদুবিদ্যার অনুসারীদের বলা হয়েছে, ওই মোমবাতির ওপর একটি পিনের সাহায্যে ট্রাম্পের নাম লিখতে, একটি মন্ত্র পড়তে এবং এরপর ট্রাম্পের ছবিটি পুড়িয়ে ফেলতে।
ডাকিনীরা জাদুবিদ্যার কাজে এ ধরণের ট্যারট কার্ড ব্যবহার করে
ট্রাম্প ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ম্রিয়মাণ অর্ধচন্দ্রের রাতে জাদুমন্ত্র চালিয়ে যাবার ঘোষণায় ডাকিনীরা আজ আবার এই মন্ত্র পড়া হবে বলে জানিয়েছে। এদিকে জাদুমন্ত্রের প্রভাব থেকে ট্রাম্পকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এদিনকে 'প্রার্থনার দিন' ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স। 

Saturday, February 25, 2017

ওজন কমাতে ভিডিও দেখে যা করবেন 

ওজন কমানোর উপায়টিতে বলা হয়—আপনি যার মতো হতে চান তার মতো খাবার খান।কিন্তু খাবার দিয়ে নয়, ওজন কমাতে জার্মান সুপারমার্কেট চেইন ইডেকা একটি দারুণ অনুপ্রেরণাময় ভিডিও তৈরি করেছে। এতে তুলে ধরা হয়েছে একটি বালকের গল্প। আর উঠে এসেছে দেহের ওজন কমানোর জন্য কোন কাজটি সবার আগে করা উচিত। 
ইডেকা এরআগেও দারুণ বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবার তারা যে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে, এটিও সবার নজর কেড়েছে। এতে উঠে এসেছে, একটি বালকের কথা, যার দেহের ওজন ছিল বেশি। সে খাওয়ার টেবিলে বসে অন্যমনস্কভাবে আকাশের একটি পাখি দেখে। পাখির মতো উড়তে চায়। 
পাখির মতো উড়তে চাইলেই তো তা করা যায় না। সেজন্য সে বেলুন, ঘুড়ি কিংবা গ্লাইডারের পাখায় ভর করে উড়তে চায়। কিন্তু তার দেহের ওজন বড় সমস্যা তৈরি করে। সে ওজনও কমাতে চায়। 
সে এরপর দেখতে পায় তার পাখি বন্ধু একটি গাছ থেকে বেরি খাচ্ছে। আর এজন্য সে তার খাবারেও পরিবর্তন করে। এ সময় ওজন কমানোর উপায়টি বলা হয়—আপনি যার মতো হতে চান তার মতো খাবার খান।


কাজে লাগান ব্যবহৃত টি-ব্যাগ


চা অপছন্দ করেন এমন মানুষ খুব কমই আছে। আর ব্যস্ত দিনের মাঝে এক কাপ চা যেন ক্লান্তি মেটায় সারা শরীরের। সময় বাঁচাতে আজকাল আমরা অনেকেই টি-ব্যাগ দিয়ে চা বানিয়ে খাই। আর চা শেষ করে ফেলে দেই ব্যবহৃত টি-ব্যাগটি। কিন্তু আমরা জানিনা এই ব্যবহৃত টি-ব্যাগ অনেক কাজে আসতে পারে। যেমন চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কমাতে‚ চোখের ফোলা কমাতে‚ ছোট-খাটো পোড়া সারাতে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আপনি ব্যাবহার করতে পারেন ব্যবহৃত টি-ব্যাগ।  
বিউটি ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি আরও বহু কাজে আসতে পারে এটি। তাই জেনে রাখা ভাল ব্যবহৃত টি-ব্যাগের নানা ব্যবহার।  
১. মাংস নরম করতে
চা পাতায় ট্যানিন থাকে যা মাংস নরম করে। কালো চা পাতায় কিছুক্ষণ যদি মাংস ম্যারিনেট করে রাখা হয় তা সহজেই সেদ্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও সুন্দর ফ্লেভার ও যোগ করে। চারটি টি ব্যাগ থেকে চা পাতা বের করে নিয়ে তা পানি দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। এরপর মাংস ম্যারিনেট করুন এবং দু ঘন্টা রেখে রান্না করুন।
২. ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করে 
লেফট ওভার খাবার বা শাকসব্জি বহু দিন থাকলে ফ্রিজ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এই গন্ধ দূর করতে কয়েকটা ব্যবহৃত টি -ব্যাগ ফিজে রেখে দিন। দেখবেন নিমেষেই গন্ধ চলে যাবে।
৩. গাছে সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
চায়ের মধ্যে বহু রকমের নিউট্রিয়েন্টস এবং ট্যানিক অ্যাসিড থাকে যা মাটির কোয়ালিটি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও অক্সিডাইজেশনে সাহায্য করে। এর ফলে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।
৪. ওটস আর শষ্য দানায় ফ্লেভার যুক্ত করে
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দুধ দিয়ে ফুটিয়ে ওটস বা শষ্য দানা খেতে ভালোবাসেন। দুধ দিয়ে ফোটানোর সময় একটা ব্যবহৃত টি ব্যাগ দুধে ফেলে দিন। এতে সুন্দর গন্ধ বেরোবে এবং একই সঙ্গে এই নতুন যোগ শরীরের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে।
৫. থালা বাসনের তেলতেলে ভাব দূর করে 
নোংরা বাসন থেকে তেলতেলে ভাব দূর করতে টি ব্যাগের জুড়ি নেই। এর জন্য নোংরা বাসনের সঙ্গে কয়েকটা টি ব্যাগ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এছাড়াও বাসন থেকে সব রকমের গন্ধও চলে যাবে।
৬. বাতাসকে শুদ্ধ করে 
চায়ের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। তাই বাতাস শুদ্ধ রাখতে টি ব্যাগ ব্যবহার করুন। কয়েকটা টি ব্যাগ ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এর মধ্যে আপনার প্রিয় এসেনসিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে বাথরুমে‚ রান্নাঘরে বা যেখানে আপনার ইচ্ছা রাখতে পারেন।
৭. মশা বা পোকা দূর করে 
ব্যবহৃত টি ব্যাগ‚ বিশেষত তা যদি মিন্ট টি হয় তাহলে এটা প্রাকৃতিক রেপেল্যান্টের কাজ করে। মশা‚ আরশোলা‚ পিঁপড়ে‚ মাকড়সা বাড়ি থেকে তাড়াতে ব্যবহৃত টি ব্যাগের সাহায্য নিন।
৮. লেদারের জুতো পরিষ্কার করতে 
দামি লেদারের জুতো পরিষ্কার আর দুর্গন্ধ্য মুক্ত রাখতে টি ব্যাগের সাহায্য নিতে পারেন। একটা ভিজে টি ব্যাগ জুতোর ওপর ভালো করে ঘষতে হবে। এরপর পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে জুতো মুছে নিন। তারপর শু পলিশ লাগান।
৯. আয়না‚ কাচ ও কাঠের জিনিস চকচকে করে 
আয়না থেকে গ্রিজ বা কাঠের ফার্নিচার চকচকে করা সবই নিমেষের মধ্যে হয়ে যায় টি ব্যাগ দিয়ে। একটা ব্যবহৃত ভিজে টি ব্যাগ আয়না বা কাঠের ফার্চিচারের ওপর ঘষুন। দেখবেন নিমেষে চকচকে হয়ে উঠবে।
১০. বাসনকে রাস্ট ফ্রি করে 
অনেক সময় কাঁচি‚ ছুরি বা বাসনে জং ধরে যায়। এই সমস্যা দূর করতে বেশ কয়েকটা ব্যবহৃত টি ব্যাগ একটা বড় পাত্রে জল দিয়ে ফোটান। ফুটন্ত জলে এবার মরচে ধরা সমগ্রী দিয়ে বেশ খানিক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দেখবেন একদম নতুনের মত চক চক করছে।
১১. দাঁতের যত্নে
দাঁতের অসহ্য যন্ত্রণা কিংবা মাড়ির রক্তপাত কমাতে ব্যবহার করতে পারেন টি-ব্যাগ। ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই ডেনটিস্টের কাছে যাবেন। তবে সাময়িক যন্ত্রণা উপশমে সাহায্য করবে ঠাণ্ডা টি-ব্যাগ।
১২. পোকার কামড়ে
পোকার কামড় থেকে হওয়া ক্ষত, র‌্যাশ, চুলকুনি কমাতে সাহায্য করবে টি-ব্যাগ। 
 
১৩. পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে
অনেকের পায়ে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে, যা খুবই অস্বস্তিকর। এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা টি ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে নিন, সেটি ঠান্ডা করে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। দেখবেন পায়ের দুর্গন্ধের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় চাষাবাদে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন

‘মাছে ভাতে বাঙালি’- এ প্রবাদ হাজার বছরের। আর এই মাছ-ভাতের জোগান আসে আমাদের কৃষি থেকেই। দিন যত যাচ্ছে ততটাই ভোগবাদি মানুষের চাহিদা বাড়ছে ক্রমাগত। বাড়ছে দেশের জনসংখ্যা, বাড়ছে খাদ্যচাহিদা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দিন দিন কমছে আবাদি জমি। তবুও আমাদের এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন কৃষক।
---
শুধু তাই নয়, চাহিদার উদ্ধৃত্ত খাদ্য এখন বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এর নেপথ্যে মূলত দেশে চাষাবাদে আদিম প্রথার বদলে এখন ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।এর ফলে কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সেকেলের কাঠের লাঙলের বদলে এখন ব্যবহার হচ্ছে কলের লাঙল ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার প্রভৃতি। প্রযুক্তির ব্যবহারে ফলন বেড়েছে কয়েকগুণ। এ কারণে চাষাবাদে খরচ, শ্রম, সময় সবই কমেছে। আর বাড়ছে ফসল উত্পাদন, বদলাচ্ছে মানুষের ভাগ্যের চাকা, দেখা দিচ্ছে সৌভাগ্যের আলো। কৃষিতে সাম্প্রতিক বিপ্লব, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা বিশ্বখাদ্য সংস্থা (ফাও) এ জন্য বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করেছে।
কৃষিসম্প্র্রসারণ অধিদফতার ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন সাম্প্র্রতিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় সব কৃষকের কৃষিকাজে সেকেলে  যন্ত্রপাতির বদলে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে। শুধু জমি চাষই নয়, জমিতে নিড়ানি, সার দেয়া, কীটনাশক ছিটানো, ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো ও ধান থেকে চালসহ সবই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের মোট আবাদি জমির ৯০ ভাগ চাষ হচ্ছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। যতদূর জানা যায়, চীনে ২০২ থেকে ২২০ খ্রিস্টাব্দে মানুষ প্রথম লাঙল ব্যবহার করে জমি চাষ শুরু করে। কাঠ দিয়ে লাঙল তারাই প্রথম তৈরি করে। লাঙলের ফলা তৈরিতে ব্যবহার করে লৌহদণ্ড। জোয়াল তৈরিতে ব্যবহার করত কাঠ। সেই থেকে কৃষিপ্রযুক্তিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন কৌশল ও যন্¿পাতি, কীটবালাই নাশক, সার, বীজ প্রভৃতি।
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কৃষিতে যে বিপ্লব সাধিত হচ্ছে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা আল্লাহ মালুম। যাক, এ নিয়ে কিশোরগঞ্জের মরমি কবি, সাধক ও গীতিকার ইবনে সালেহ মুনতাসির রচিত ‘কৃষিপ্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক লিরিকটি যথার্থ বলে মনে হয়।
লিরিকটি হচ্ছে: ‘মান্ধাতার আমলের কৃষি চাষাবাদ পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে/গরুর লাঙল জোয়াল টানার দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে/গরুর লাঙল জোয়ালের পরিবর্তে আধুনিক যান্ত্রিক চাষাবাদ পদ্ধতি এসেছে/দোন পদ্ধতিতে কুন উরির পরিবর্তে যান্ত্রিক সেচ পদ্ধতি অনেক আগেই এসেছে/প্রচলিত সাধারণ বীজের পরিবর্তে উফশী হাইব্রিড বীজ ব্যবহার করা হচ্ছে/খাদ্য উত্পাদন বহুগুণে বেড়েছে/খাদ্য উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে/সার কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ফলন অনেক বেড়েছে, সময় কম লাগছে/খাদ্য উত্পাদন মজুদকরণ বাজারজাতকরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে\ গ্রাম আজ আর গ্রাম নেই, শহরে পরিণত হয়েছে/উন্নত যোগযোগ ব্যবস্থায় গ্রামের আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটেছে/আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুত্ গ্রামে গ্রামে পৌঁছেছে/ফ্রিজ, টিভি, ইন্টারনেটসহ আধুনিক সব প্রকার উপকরণ গ্রামে ব্যবহার করছে\ বাংলাদেশ আজ বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে দাঁড়িয়েছে/সম্মান আর মর্যাদার বিবেচনায় বিশেষায়িত হয়েছে/সময়ের পালায় যুগ পরিবর্তনের ঠেলায় ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছে/পোশাক আর কৃষিশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের রোল মডেল\ বাংলাদেশের উন্নয়নের কাহিনী তো সাধারণের অসাধারণ গল্পের কাহিনী/সারাবিশ্বের টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে রোল মডেলের যামিনী/আধুনিক চিন্তা-চেতনায় সক্ষমতায় কর্মসংস্থান পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদরিণী/শাবাশ বাংলাদেশ এগিয়ে যাও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই কামিনী’।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে আশির দশকের শুরুতে কৃষিতে ধীরে ধীরে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত ৯-১০ বছর আগে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষিবিজ্ঞানীরা কৃষিযন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কাজ হাতে নেন। বর্তমানে প্রায় ২৫-৩০ ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি কৃষিকাজে ব্যবহার হচ্ছে। লাগসই প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন সম্ভব।
বর্তমানে দেশে যেসব কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে তার অন্যতম হচ্ছে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার। এ যন্ত্রের মাধ্যমে ফসল কাটা, খোসা থেকে ফসলের দানা আলাদা করার কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট জমি চাষের জন্য পাওয়ার টিলার, বড় জমি চাষে ট্রাক্টর বা হুইল ট্রাক্টর, বীজ বপন, সার প্রয়োগ ও কীটনাশক ছিটানোর জন্য ব্রডকাস্ট সিডার, নির্দিষ্ট অবস্থানে বীজ বপনের জন্য সিড ড্রিল, গভীরভাবে কঠিন স্তরের মাটি কর্ষণের জন্য সাব ব্রয়লার, ধান/বীজ শুকানোর যন্ত্র ‘ড্রায়ার’, ধান, গম, ভুট্টা শুকানোর যন্ত্র ব্যাচ ড্রায়ার, পাওয়ার রিপার মেশিন (শস্য কাটার যন্ত্র), ঝাড়ার যন্ত্র ইউনারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চাষাবাদে ব্যবহার হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাওয়ার টিলার, পাওয়ার রিপার, ঝাড়ার যন্ত্র ইউনার, নিড়ানির যন্ত্র ইউডার, ধান ও গম মাড়াই কল, ভুট্টা মাড়াই কল ইত্যাদি যন্¿পাতি তৈরি হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, রংপুর, যশোর, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেচপাম্প, ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারের খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরির বেশকিছু কারখানা গড়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে। চাষাবাদে কাঠের লাঙলের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। কৃষিকাজের মধ্যে সবচেয়ে শ্রমনির্ভর কাজ হচ্ছে বীজ বা চারা রোপণ, আগাছা দমন ও ফসল কাটা। মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ে বীজ বপন, চারা রোপণ এবং ফসল কেটে ঘরে তুলতে কৃষককে বেশ সংকটে পড়তে হয়। ওই সময়ে কৃষি শ্রমিকের মজুরি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কখনো কখনো দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। ফলে বিলম্বে বীজ রোপণের জন্য ফলন কম হয়, পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, কখনো কখনো বিলম্বে ফসল কাটা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে উত্পাদিত শস্যের একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া আগাম ফসল বিক্রি করতে না পারার কারণে প্রত্যাশিত মূল্য থেকেও কৃষক বঞ্চিত হন।
এসব থেকে রক্ষা পেতেই কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে যেমন সময় কম লাগছে, তেমনি বেশি ফসলও উত্পাদন হচ্ছে। কৃষাণ দিয়ে এক বিঘা জমির ধান কাটাতে খরচ হয় তিন হাজার টাকা। আর ‘রিপার’ দিয়ে ধান কাটতে বিঘা প্রতি খরচ হয় মাত্র ৫০০ টাকা। সময়ও লাগে কম। গরু দিয়ে হালচাষ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ৭০০ টাকা। আর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করতে খরচ হয় প্রতি বিঘায় ৪০০ টাকা। ট্রাক্টর দিয়ে হয় মাত্র ২৫০ টাকা। তাই তারা এসব আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। তবে এসব যন্ত্রপাতির দাম কমানো দরকার।
আমাদের প্রত্যাশা থাকবে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কৃষিতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও উন্নতি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশের তৃণমূলে এই খাতে জড়িত কৃষক, তরুণ উদ্যোক্তাদের এ প্রযুক্তি সম্পর্কে আপডেট ধারণা দেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদফতর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে মাঠ পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার। আর এর তদারকি করতে হবে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংকে। এক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠান কৃষকদের পাশে থেকে প্রযুক্তিগত ধারণা প্রদান, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন এ প্রত্যাশা থাকল।
লেখক: মোতাহার হোসেন