Thursday, September 29, 2016

সীমান্তে পাক সেনার বিপুল সমাবেশ, প্রস্তুত বিএসএফও

Pakistan Army

প্রতীকী ছবি।

রাজস্থান সীমান্তে বিপুল সৈন্য সমাবেশ পাকিস্তানের। জয়সলমেরের খুব কাছে পাক স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনী যৌথ ভাবে বিরাট সমাবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫-২০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের এই সামরিক জমায়েতের খবর পেয়েই রাজস্থান সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি শুরু করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পাকিস্তানের দাবি, এই জমায়েত আসলে স্থলবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া। কিন্তু উরি হামলার পর ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে, তখন সীমান্তে এসে বৃহত্তম মহড়া আয়োজন করাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মরুভূমির মাঝে জয়সলমের সীমান্তের ঠিক ও পারে কী ধরনের সামরিক সমাবেশ করেছে পাকিস্তান?
করাচি থেকে ফাইভ কোর এবং মুলতান থেকে টু স্ট্রাইক কোরকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজস্থান সীমান্তের কাছে। নিয়ে আসা হয়েছে ২০৫ ব্রিগেডকেও। সব মিলিয়ে পাক স্থলবাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার জওয়ান এখন জয়সলমেরের সীমান্তের ও পারে অবস্থান করছে।
পাক বিমানবাহিনীও হাজির হয়েছে এই সামরিক কর্সূচিতে। বিমানবাহিনীর ৩০০ সদস্য এই তথাকথিত মহড়ায় যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধবিমানের ওড়াউড়ির খবরও এসেছে।
এতেই শেষ নয়। বেশ কিছু নতুন সামরিক সরঞ্জাম মরুভূমির মধ্যে পরীক্ষা করতে শুরু করেছে পাকিস্তান। মহড়ায় যোগ দেওয়ার নামে সীমান্তে হাজির করা হচ্ছে বড়সড় ট্যাঙ্ক বাহিনী। ভারী গোলাবর্ষণের উপযুক্ত সরঞ্জাম এবং সাঁজোয়া গাড়িও ঘোরাফেরা করছে রাজস্থান সীমান্তের ঠিক ও পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর জয়সলমেরের কিষণগড় বুল্‌জ এলাকার ঠিক উল্টো দিকে পাক স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনীর এই কর্মসূচি চলছে। ২২ সেপ্টেন্বর থেকে শুরু হয়েছে পাক বাহিনীর এই বৃহত্তম মহড়া। চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। যত বড় সামরিক মহড়াই আয়োজিত হোক, এত দীর্ঘ সময় ধরে মহড়া চলা বেশ বিরল বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।পাক বাহিনীর এই তৎপরতাকে একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। বিএসএফ-কে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্তে দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারতীয় বাহিনী। জয়সলমেরের ও পারে দিনভর কী চলছে, সে দিকে সারা ক্ষণ নাজর রাখছে বিএসএফ।

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর এই বাড়িতে থাকবেন ওবামা!


Home২০০৮ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে প্রথম বার জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে হোয়াইট হাউসই তাঁর ঠিকানা। ২০১২ সালের ভোটে ফের জিতে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তিনি হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা। দেখুন, হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার পর কোথায় থাকবেন বারাক ওবামা? কেমন সেই বাড়ি।

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর 


Bench
ব্যয়বহুল জীবনযাপনে বিশ্বের সব শহরের থেকে এগিয়ে সিঙ্গাপুর। ২০১৬-র ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-এর সমীক্ষায় ব্যয়বহুল শহর হিসাবে আরও একবার নম্বর ওয়ান জায়গা করে নিল সিঙ্গাপুর। এই সমীক্ষা আরও জানাচ্ছে, ব্যয়বহুল জীবনযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের বিভিন্ন শহর অনেক বেশি এগিয়ে। ১৩৩টি দেশের উপর সমীক্ষা চালায় দ্য ইকনমিস্ট এবং ইন্টেলিজেন্স-এর যৌথ সংস্থা ইআইইউ। অন্যান্য শহরের তুলনায় সিঙ্গাপুরে জীবনযাপনের খরচ বেশি কেন? সমীক্ষা বলছে, পরিবহণ ও প্রাত্যহিক জিনিসের দাম অনেক বেশি। নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ২.৭ গুণ বেশি পরিবহণ খরচ সিঙ্গাপুরে। প্রথম দশ শহরের তালিকায় সুইত্জারল্যান্ডের দুটি শহর রয়েছে। তবে একেবারের নীচের দিকে রয়েছে ভারতে বেশ কয়কেটি শহর।  

Tuesday, September 27, 2016


বুলেটের ঝুঁকি নিয়েই সিরিয়ার শিশুদের মুখে হাসি ফোটান ইনি


এ খুব চেনা খেলনাওয়ালার দৃশ্য বটে৷ তবে এ দৃশ্যের প্রেক্ষাপট যখন সিরিয়া, তখনই বদলে যায় দৃশ্যের গুরুত্বও৷ হ্যাঁ, যে সিরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত, যেখানে শৈশব নিতান্ত অভিশাপের মতো, সেখানেই নিতান্ত আনন্দের ফেরিওয়ালা হয়ে আসেন এক ব্যক্তি৷ সিরিয়ার বাচ্চাদের যন্ত্রণাদীর্ণ দিনের কথা নিয়ে কম সহানুভূতির ঢেউ তো ওঠে না! এমনকী ‘পোকেমন গো’ পর্যন্ত নাকি তাদের ব্যথায় ব্যথিত৷ কিন্তু সে ভার লাঘবের ব্যবস্থা কে করেছে? রাজনীতি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গেরোয় আটকে পড়েছে সবকিছু৷ কিন্তু তিনি এ সবের তোয়াক্কা করেননি৷ রামি আধম নামে এই ব্যক্তি যেন কাঁটাতারের ঊর্ধ্বে৷ কেননা তাঁর সম্বল খেলনা, আর পাওনা বাচ্চাদের খুশি৷
albalad_1474888209_725x725আদতে ফিনল্যান্ডের বাসিন্দা তিনি৷ নিজেও পিতা৷ নিজের সন্তানরা যখন হাতে খেলনা পায় তখন তাদের আনন্দ দেখেন তিনি৷ আর সেই মুহূর্তেই মনে পড়ে সিরিয়ার বাচ্চাদের কথা৷ যুদ্ধের অন্ধকারে মাথা গুঁজে আছে যাদের শৈশব৷ আর তাই ঠিক করেছিলেন খেলনা নিয়ে পৌঁছে যাবেন তাদের কাছে৷ সেইমতো ছয়-সাত ঘণ্টা হেঁটেই পৌঁছে যান সিরিয়ায়৷ আর তিনি আসামাত্রই পাড়ায় পাড়ায় রটে যায়, আঙ্কল টয় এসেছে…
কিন্তু সিরিয়ায় এভাবে যাওয়ার বিপদ তো কম নয়! গত পাঁচ বছরে প্রায় বার আঠাশ তিনি সিরিয়ায় গিয়েছেন৷ প্রতিবার বুলেটের ভয় মাথায় নিয়েই গিয়েছেন৷ প্রতিবারই তাঁর তুর্কি ও সিরিয়ার বন্ধুরা তাঁকে পৌঁছতে সাহায্য করেছে৷ কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকেই৷ যে কোনও মুহূর্তে হয়তো খেলনাওয়ালার যাত্রা বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ তবু তিনি কাঁধে তুলে নেন তাঁর ব্যাগ৷ আর ঝুঁকি নিয়েই রওনা দেন সিরিয়ার দিকে৷ কেননা তাঁর সামনে তখন খেলা করতে থাকে আনন্দে ঝলমলে সিরিয়ার বাচ্চার মুখগুলো৷ বহু তত্ত্ব, আলোচনা, সোশ্যাল মিডিয়ার ঢক্কানিনাদ পেরিয়ে সামান্য দুটো খেলনা বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের আনন্দে যে প্রশান্তি তিনি পান তার তুলনা আর কোথাও নেই৷ আর তাই বুলেট এড়িয়েই বারবার ছুটে যান৷
সম্প্রতি নিজের এই যাওয়া-আসার কথা ভিডিওয় বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাঁর এ কাজ যে কেউ চাইলে বন্ধ করে দিতে পারেন৷ কিন্তু তিনি বলছেন, যতদিন পারবেন ততদিন এ কাজ তিনি চালিয়ে দেবেন৷ কেননা হাতে খেলনা পাওয়া কচি কচি মুখের আলোগুলো নিভে যাক তা চান না সিরিয়ার ‘সান্তা ক্লজ’৷

ভারতের সরকারি হাসপাতালে দু’টাকায় সন্তানলাভ!


এমনই ‘আইইউআই ক্লিনিক’-এর সূচনা হতে চলেছে সরকারি হাসপাতালে৷ আজ, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্লিনিকটির উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট টেস্ট টিউব বিশেষজ্ঞ ডা. বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী৷ গাইনি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় খুলছে এই ক্লিনিক৷ এমনটাই জানালেন ন্যাশনালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ডা. আরতি বিশ্বাস৷ জানালেন, “শারীরিক নানা সমস্যার কারণে অনেক মানুষ সন্তান লাভ করতে পারেন না৷ কখনও দেখা যায় পুরুষের বীর্যের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম৷ কখনও স্ত্রীর জরায়ুতে অনুকূল পরিবেশের অভাব৷ অথচ ফ্যালোপিয়ান টিউব ঠিক রয়েছে৷ এই সব ক্ষেত্রে ‘আইইউআই’ করলে ভাল ফল হয়৷”
মঙ্গলবারই একজোড়া দম্পতির উপর প্রয়োগ করা হবে এই পদ্ধতি৷ ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেওয়া হবে ‘লাইভ ডেমোনস্ট্রেশন’৷ সফল হলে ইতিহাস তৈরি হবে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায়৷ কারণ, এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি হাসপাতাল এই অত্যাধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করেনি৷ সেক্ষেত্রে ন্যাশনালই হবে পথিকৃৎ৷ আরতিদেবী জানিয়েছেন, বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী ও তাঁর টিমের সহযোগিততেই এই ক্লিনিক খোলা হয়েছে৷ পরবর্তীকালে এই ক্লিনিককে ‘ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’-এ উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে৷সেক্ষেত্রে টেস্টটিউব বেবিরও জন্ম দেবে সরকারি হাসপাতাল৷
এখানে বহু ‘ভাগ্যহীন’ দম্পতি লাভ করবেন সন্তানসুখ৷ স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ন্যাশনালে আইভিএফ ক্লিনিক খোলারই কথা ছিল৷ কিন্তু জায়গার অভাবে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে স্বাস্থ্য দফতর৷আপাতত:আইইউই ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত হয় 

চিনে মহিলাকে নগ্ন করে হিরের প্রদর্শন


নারীর সম্মান,নিরাপত্তা নিয়ে যখন সারা পৃথিবীতে বিশেষ আলাপ-আলোচনা তথা সচেতনতা প্রসারের প্রয়াস,তখন দেখা গেল উল্টো ছবি৷হিরে বিক্রি করতে এক মহিলাকে নগ্ন করা হল চিনে৷
সম্প্রতি চিনের এক গহনা দোকানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ ধারে-ভারে বেশ নামী এই সংস্থাটি৷ ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, এক সেলসউওম্যান উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন কাউন্টারে৷ তাঁর স্তনবৃন্তে আটকানো আছে হিরের গহনার স্টিকার৷ কাউন্টারে উপস্থিত সকলেই তাঁকে দেখছেন৷ দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ওই মহিলা৷হিরে প্রদর্শনের এই বিকৃত রীতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ নারী শরীরকে বিজ্ঞাপনে পণ্য করে তুলেছে কর্পোরেট দুনিয়া, এ নিয়ে আলাপ আলোচনা সারা দুনিয়ায় কম হয় না৷ কিন্তু চিনে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা প্রায় নজিরবিহীন৷ যে গহনা নারীর ভূষণ, নারীকে নগ্ন করেই সেই গহনা বিক্রির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে৷
জানা যাচ্ছে, এই প্রথমবার নয় এর আগেও এরকম পদ্ধতি অবলম্বন করেছে সংস্থাটি৷ এক আউটলেটের উদ্বোধনের সময় বডি পেন্টিংয়ের অছিলায় নারীকে নগ্ন করা হয়েছিল৷ সেটিও ছিল তাদের প্রচারের অঙ্গ৷ কোনও ইঙ্গিত, ইশারা নয়, সরাসরি নারী শরীরকে মূলধন করেই বিশ্বের প্রচারের আলো কেড়ে নেওয়া সংস্থাটির রেওয়াজ৷ ইতোমধ্যেই সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়েছে বিশ্ববাসী৷ কিন্তু চিনা প্রশাসন এখনও কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়নি৷

চালক ছাড়াই এবার ভাড়ায় মিলবে গাড়ি

আপনার গাড়ি নেই,কিন্তু ইচ্ছে আছে গাড়ি চালিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার৷ একটু একান্তে, কিন্তু উপায় কী? কারণ চালক ছাড়া তো আর গাড়ি ভাড়া পাওয়াই যাবে না৷ আর গাড়ি ভাড়ায় নিলে চালক আপনার হাতে স্টিয়ারিংও ছাড়বেন না৷ অতএব গাড়ি না থাকায় স্বপ্নের অকালমৃত্যু!
এমনটা ভাবলে ভুল করছেন! আপনার কাছে গাড়ি চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেই এবার ভাড়ায় পাবেন গাড়ি৷ মানে চালক ছাড়াই৷ নিজের হাতে স্টিয়ারিং৷ আর গাড়ি চালিয়ে যতদূর খুশি ঘুরে বেড়ান৷ শুধু গুনতে হবে ঘণ্টা পিছু টাকা৷
রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে এবার আনা হচ্ছে রেন্ট আ ক্যাব স্কিম৷ কমার্শিয়াল লাইসেন্স ছাড়াই ভাড়ায় গাড়ি ছোটাতে পারা যাবে এবার৷ অনলাইনে করা যাবে ভাড়ার গাড়ি বুক৷ যে কোনও গাড়ি সংস্থা এই স্কিমের আওতায় গাড়ি ভাড়া খাটাতে পারবেন৷ তবে পরিবহণ দফতরের ছাড়পত্র নিয়েই৷ আপাতত একটি বেসরকারি সংস্থা এই রেন্ট আ ক্যাব গাড়ি নামাতে চলেছে৷ ‘মাই চয়েস ডট কম’ লিখে ইন্টারনেটে সার্চ মারলেই আপনার কাছে অপশন আসবে৷ সেখানেই প্রথমে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের বিবরণ আপলোড করতে হবে৷ দিতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর৷ নথিভুক্ত হওয়ার পর ওই সংস্থার তরফেই যোগাযোগ করা হবে আপনার সঙ্গে৷ নির্দিষ্ট ভাড়ায় মিলবে গাড়ি৷ তবে চালক ছাড়া গাড়ি ভাড়া নেওয়ায় রেটটা একটু কমই হবে৷ অবশ্য কী ধরনের গাড়ি আপনি চান, সেই পছন্দ আপনার উপরই ছেড়ে দিচ্ছে ওই সংস্থা৷
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, প্রচুর পর্যটক আসেন ভারতে৷ যাঁরা বেড়ানোর জন্য বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির থেকে গাড়ি ভাড়া নেন৷ তাতে চালকও থাকেন৷ ফলে নিজে হাতে আর স্টিয়ারিং ধরা হয় না৷ তাঁরা এবার নিজেরাই গাড়ি ছুটিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন৷ তবে তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই থাকতে হবে৷ পরিবহণ দফতরসূত্রে খবর, এতদিন পর্যন্ত চালক ছাড়া গাড়ি ভাড়া পাওয়া যেত না৷ যদিও বা কেউ আইন না মেনে পেতেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে গাড়ি চালানোর সময় কমার্শিয়াল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে হত৷ কিন্তু এবার সাধারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়েই যে কেউ গাড়ি পেতে পারেন৷ সেই কারণেই নতুন এই রেন্ট আ ক্যাব স্কিম৷

Monday, September 26, 2016

ভারত বিরোধিতায় পাকিস্তানের পাশে চিন নেই!


ভারত বিরোধিতায় চিনের পূর্ণ সমর্থন পাকিস্তানের সঙ্গে আছে,এই মর্মে চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রচার চললেও এরকম কোন কথা চিনের তরফে জানানো হয়নি৷
উরি হামলার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর ক্ষেত্রে চিনকে একরকম পাশেই ধরে রেখেছিল পাকিস্তান৷এনএসজি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানকে চিনের ক্রমাগত সমর্থন জোগানোর জেরেই এলিট পরমাণু ক্লাবে প্রবেশ করতে পারেনি ভারত৷ সেই প্রেক্ষিতেই ভারত বিরোধিতায় চিনকে পাশে পাবে এমনটা ধরেই রেখেছিল পাকিস্তান৷ এমনকি চিনের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের মুখে৷কিন্তু কার্যত তা অস্বীকার করে চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মুখপাত্র জানিয়ে দিলেন, যে সমর্থনের কথা বলা হচ্ছে তা চিন বলেনি৷
কাশ্মীর ইস্যুতে চিন পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছিল৷ সে অবস্থানে এখনও অনড় চিন৷ কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব আছে তাতে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েই সওয়াল করবে চিন৷ চিনের মতে, পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সেখানে শান্তি ফিরে আসুক এটাই কাম্য তাদের৷ কিন্তু তার মানে এই নয়, যে কোনও ইস্যুতে পাকিস্তানের ভারত বিরোধিতায় তাদের পাশে দাঁড়াবে চিন৷ বিশেষত উরি হামলার পর ভারত-পাক বিরোধের যে আবহ তৈরি হয়েছে তা থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়াতেই চাইছে চিন৷ 
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের মন্তব্যের বিরোধিতা করল চিন৷ইতোমধ্যেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র প্রমাণ করতে বিল পেশ হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে৷ প্রত্যাশিতভাবেই আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ভরকেন্দ্রগুলি নড়তে শুরু করেছে৷তাই কার্যত সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে খানিকটা দূরত্বই বজায় রাখতে চাইছে চিন৷

অল্টো আনল ধোনি মডেল


aajkaal
ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া তাঁদের ছোট গাড়ি অল্টোর নতুন মডেল বাজারে নিয়ে এল। শনিবার হায়দরাবাদে এক অনুষ্ঠানে অল্টোর নতুন মডেলের উদ্বোধন করলেন ভারতের একদিনের ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, ‘‌এম এস ধোনি:‌ দি আনটোল্ড স্টোরি’‌ সিনেমায় অভিনেতা, অভিনেত্রীরা এবং মারুতি সুজুকির ইন্ডিয়া এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আর এস কলসি। নতুন মডেল আনার ক্ষেত্রে মারুতির অনুপ্রেরণা ধোনি নিজেই। ক্যাপ্টেন কুলের জীবন নিয়ে বলিউড বানিয়েছে সিনেমা ‘‌এম এস ধোনি:‌ দি আনটোল্ড স্টোরি।’‌ ধোনির ভূমিকায় সুশান্ত সিং রাজপুত। সিনেমাটির প্রিমিয়ার হবে ৩০ সেপ্টেম্বর, মহালয়ার দিন। মারুতি অল্টো সিনেমার সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত। এক বিবৃতিতে সংস্থা জানিয়েছে, এই অংশিদারিত্বকে স্মরণীয় করে রাখতেই অল্টো ৮০০ এবং অল্টোকে১০–‌এর বিশেষ মডেল বাজারে আনল মারুতি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শোরুমে মিলবে গাড়িগুলি। বিশেষ এই মডেলে পাওয়া যাবে ধোনির লাকি নাম্বার ‘‌৭’‌–‌সহ স্পোর্টি সিট কাভার, ধোনির সইয়েই ছবি, উন্নত মানের মিউজিক সিস্টেম, রিভার্স পার্কিং সেন্সর ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে আর এস কলসি বললেন, ধোনি আর অল্টো–‌এই দু’‌টিই দেশের সেরা ব্র‌্যান্ডগুলির মধ্যে অন্যতম। অল্টোই একমাত্র গাড়ি যেটি ৩০ লাখের বেশি বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ধোনিকে বলা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী। আর যে ক্যাপ্টেন কুল মাঠে খুব খারাপ পরিস্থিতি থেকেও ম্যাচ বের করে এনেছেন, সিনেমার প্রচারে এসে তাঁকে একটু চাপে থাকতে দেখা গেল। বললেন, আমার কাজ আমি করে দিয়েছি। এবার অভিনেতাদের হাতযশ। প্রচারের সময়ে একটু চিন্তা তো হচ্ছেই!‌
এদিকে, মারুতির মোট রপ্তানি ১৫ লাখ ছাড়াল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থা। ১৯৮৭–‌৮৮ সালে হাঙ্গেরিতে খুব অল্প কিছু গাড়ি রপ্তানি করে শুরু হয়েছিল সংস্থার রপ্তানির পথে যাত্রা। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বেড়েছে। এখন অল্টো, সুইফট, সেলেরিও, ব্যালেনো ইত্যাদি গাড়ির বাজার বিশ্বজুড়ে।‌

Thursday, September 22, 2016

শুধু ফিটনেস ব্যান্ড পরলেই আপনার ওজন কমবে না

DEVI CE-1
শুধুই ফিটনেস ব্যান্ডের ওপর ভরসা রেখে ভাববেন না, আপনি খুব তাড়াতাড়ি হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফিট হয়ে যাবেন। ভাববেন না, যেমন খুশি খাবেন আর ব্যয়াম-ট্যয়াম করে খুব বেশি ঘাম ঝরিয়েও তেমন লাভ নেই, শুধু ফিটনেস ব্যান্ড পরলেই আপনি হুট করে ফিট হয়ে যাবেন।
হবে না। আপনাকে ব্যয়াম-ট্যয়াম করতে হবে। খুব মেপেজুপে খেতে হবে। ক্যালরি আর পরিমাণ মেপে। নিয়মিত ভাবে। খুব যদি নিয়ম করে সকালে দৌড়নো বা ব্যয়াম-ট্যয়াম করতে না-ও পারেন, নানা কাজে সারা দিন ধরে বিস্তর দৌড়-ঝাঁপ করুন। খেয়ে-দেয়ে বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে বাস ধরার আগে রিক্সা বা অটোয় চেপে বড় রাস্তায় না পৌঁছে হেঁটে যান। যাতে খুব ঘাম ঝরে। প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হয়। সেই পরিশ্রমই আপনার হজমশক্তি বাড়াবে। আর ঠিক মতো খাবার হজম হলেই পরের দিন সকালে মলত্যাগে অসুবিধা হবে না। শরীর যে ফিট আছে, তা এ সবেই মালুম হবে।
পিট্‌সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এডুকেশন্স ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্‌থ অ্যান্ড ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির দু’বছর ধরে চালানো একটি গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম-‘‘এফেক্ট অফ ওয়্যারেব্‌ল টেকনোলজি কম্বাইন্ড উইথ আ লাইফস্টাইল ইন্টারভেনশন অন লং-টার্ম ওয়েট লস: দ্য আইডিয়া র‌্যান্ডমাইজ্‌ড ক্লিনিকাল ট্রায়াল’’। গবেষণাপত্রটি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘দ্য জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ।

সেই ফিটনেস ব্যান্ড
বাজারে যে সব ফিটনেস ব্যান্ড পাওয়া যায় আকছার, সেই সব ফিটনেস ব্যান্ড সত্যি-সত্যিই দ্রুত আমাদের শরীরের ওজন কমানোর ব্যাপারে কতটা কার্যকরী হয় বা সেই সব ফিটনেস ব্যান্ড শরীরের ওজন-হ্রাসকে সত্যি-সত্যিই দীর্ঘ মেয়াদি করতে পারে কি না, সেটা খতিয়ে দেখার জন্যই ২৪ মাস ধরে চালানো হয়েছিল ওই সমীক্ষা।
গবেষকরা দেখেছেন, একই সঙ্গে যাঁরা ফিটনেস ব্যান্ড পরেন ও নিয়মিত ব্যয়াম, দৌড়ঝাঁপ করেন, তাঁদের চেয়ে অনেক দ্রুত ও অনেক বেশি কার্যকর ভাবে শরীরের ওজন কমাতে পারেন তাঁরাই, যাঁরা ওজন কমাতে শুধুই ব্যয়াম করেন, দৌড়ঝাঁপ করেন আর ক্যালোরি মেপে খাওয়াদাওয়া করেন। ফিটনেস ব্যান্ড তাঁরা কিন্তু একেবারেই পরেন না। মানে, তাঁরা শরীরের ওজন কমানোর জন্য শুধুই ‘বিহেভিয়্যারাল ওয়েট লস প্রোগ্রাম’-এর মধ্যে দিয়ে যান। আরও সঠিক ভাবে বলতে হলে, গবেষকরা দেখেছেন, যাঁরা কোনও ফিটনেস ব্যান্ড না পরে ওজন কমানোর জন্য শুধুই নিয়মিত শারীরিক কসরৎ, দৌড়ঝাঁপ আর ব্যয়াম, যোগাসন, প্রাণায়াম করেন, ক্যালোরি মেপে খাওয়াদাওয়া করেন, ২৪ মাসে তাঁরা দ্বিগুণ ওজন কমাতে পেরেছেন। প্রায় ১৩ পাউন্ড। আর যাঁরা শুধুই ফিটনেস ব্যান্ড পরে শরীরের ওজন কমাতে চেষ্টা করেছিলেন, দু’বছরে তাঁদের ওজন কমেছে ঠিক ৭.৭ পাউন্ড।

এত খাইখাই করলে ফিটনেস ব্যান্ডে কাজের কাজ কিছুই হবে না!
কারণটা কী? কেন শরীরের ওজন কমানোর ব্যাপারে ফিটনেস ব্যান্ডের চেয়ে ব্যয়াম, দৌড়ঝাঁপ আর শারীরিক কসরৎই বেশি কার্যকরী হয়?
ওই সমীক্ষাই জানিয়েছে, ফিটনেস ব্যান্ডের ব্যবহার আমাদের শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটাকে কম মেহনতের করে তোলে এটা যেমন ঠিক, তেমনই ওজন কমানোর জন্য মেপেজুপে খাওয়াদাওয়া, ব্যয়াম, দৌড়ঝাঁপের মতো যে সব সুনির্দিষ্ট যাপন-পদ্ধতি রয়েছে, ওই ব্যান্ড সেগুলির প্রতি ব্যবহারকারীদের আগ্রহ বাড়ায় না বা তা বাড়াতে সাহায্য করে না। অথচ, শরীরের ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরই হল, মেপেজুপে খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত ব্যয়াম, যোগাসন, দৌড়ঝাঁপ আর শারীরিক পরিশ্রম।

আমার চেয়ে মোটা আর কেউ নেই বিশ্বে!
ওই গবেষণার ক্ষেত্র-সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল কী ভাবে?
গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের ৪৭০ জনের ওপর চালানো হয়েছিল ওই সমীক্ষা। ২৪ মাস ধরে। যাঁদের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাঁদের ৭৭ শতাংশই মহিলা। আর ২৯ শতাংশ অর্থনৈতিক ভাবে তুলনায় পিছিয়ে থাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সমীক্ষার শুরুতে ৪৭০ জনেরই ‘বডি মাস ইনডেক্স’ (বিএমআই) ছিল মোটামুটি একই রকমের। ২৫ থেকে ৩৯-এর মধ্যে। ৬ মাস অন্তর তাঁদের ওজন মাপা হয়েছিল।

ফেলে যাওয়া চুলই ধরিয়ে দেবে ক্রিমিনালকে

hair main
কান ধরে তো টেনে আনা হয়ই। তার পর পরানো হয় হাতকড়া। আর গা ঢাকা দিয়ে থাকলে ডিএনএ ধরে টেনে বের করতে হয় ‘অজ্ঞাতবাসের অন্ধকার’ থেকে। অপরাধীদের, সন্দেহভাজনদেরও।
সেই কান নয়, ঝুটঝামেলা বেশি বলে সেই ডিএনএ-ও নয়। এ বার একেবারে চুল ধরেই টেনে বের করা যাবে গা ঢাকা দিয়ে থাকা ক্রিমিনালদের। সন্দেহভাজনদেরও। ‘চুল দিয়ে যায় চেনা’ অজ্ঞাতবাসে থাকা অপরাধীদের। চুল তো শুধুই মাথায় থাকে না। আমাদের সারা গায়েই রয়েছে চুল। লোম। আর সেটাই ধরিয়ে দেবে ক্রিমিনালদের। এমনটাই বলছেন ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা। তাঁদের একেবারে হালফিলের গবেষণা এমনটাই জানাচ্ছে। গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘প্লস-ওয়ান’-এ।
চুলেই লুকিয়ে আছে অপরাধীর ঠিকানা!
ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, চুলের ভেতর থাকা নানা রকমের প্রোটিনই এক জনের চুলকে অন্য জনের চুলের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা করে দেয়। আর কোনও দু’টি মানুষের চুলে একই ধরনের প্রোটিন একই পরিমাণে থাকে না। দু’টি মানুষের চুলে যেমন প্রোটিনের রকমফের থাকে, তেমনই তাদের পরিমাণেও থাকে তারতম্য। একই ধরনের প্রোটিন কারও চুলে কম থাকে, কারও চুলে থাকে বেশি। আবার তৃতীয় কোনও ব্যাক্তির চুলে থাকা প্রোটিনগুলি বা তাদের পরিমাণের সঙ্গে বাকি দু’জনের চুলে থাকা প্রোটিনের ধরন বা পরিমাণ একেবারেই মেলে না। মেলে না সেই প্রোটিনের গঠন-কাঠামোও (মলিকিউলার স্ট্রাকচার)। ফলে, চুলের ভেতরে থাকা প্রোটিনের রকমফেরই এক জনের থেকে আরেক জনকে আলাদা করে দেয়। আর ডিএনএ পরীক্ষার মতোই প্রায় নিখুঁত হতে পারে অপরাধীদের ‘চুল দিয়ে চেনা’র সেই পদ্ধতি।

এমন জন-জট দেখলে সত্যিই চোখ কপালে উঠবে

china

পড়ুয়াদের হাউসিং কমপ্লেক্স

চিন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। জনসংখ্যা প্রায় ১৩৭ কোটির কাছাকাছি। চিনের এই বিশাল মানবসম্পদ ছড়িয়ে রয়েছে ৩৭ লক্ষ বর্গ মাইল জুড়ে। বিপুল জনসংখ্যার জন্য এখন চিন নানা সমস্যায় পড়ছে নিত্য দিন। ব্যস্ত সময়ে চিনের বেশ কিছু শহরের ছবি অনেকটা আমাদের দেশের মতোই। সামান্য কারণই কয়েক মাইল রাস্তা জুড়ে যানজট। কোনও সেন্ট্রাল পরীক্ষায় পড়ুয়াদের ভিড় দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। যে কোনও কিছুর জন্য লম্বা লাইন চিনাদের জীবনে এখন স্বাভাবিক বিষয়।  ১৯৭০ সালে এক সন্তান পলিসি চালু করে চিন। এই নিয়ম চালু হওয়ার পর ৪০ কোটি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে এক সন্তান পলিসি তাঁদের জনজীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলেনি, নীচের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চিনাদের ব্যস্ত জীবনের কিছু অবাক করা ছবি।

উরিতে তীব্র প্রত্যাঘাত ভারতীয় সেনার, দিনভর সংঘর্ষে হত ১০ জঙ্গি

Indian Army Retaliates

৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল প্রত্যাঘাত 

ফের সন্ত্রাসবাদী হানার চেষ্টা উরিতে। কিন্তু এ বার প্রবল প্রত্যাঘাত ভারতীয় সেনার। মঙ্গলবার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে শুরু হওয়া সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উচ্চ মাত্রায় সামরিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
রবিবার ভোরেই উরিতে সেনা ব্রিগেডের সদর দফতর আক্রান্ত হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে আসা আত্মঘাতী জঙ্গিদের হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয় উরি সেনা ছাউনিতে। সেনার পাল্টা অভিযানে চার আত্মঘাতী জঙ্গি খতমও হয়। কিন্তু সেই ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আজ, মঙ্গলবার, ফের জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হল উরিতে। সেনা সূত্রের খবর, এ দিন যে ভাবে জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছে, তা সাম্প্রতিক অতীতে নজিরবিহীন। অন্তত ১৫ জন সন্ত্রাসবাদীকে এ দিন নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পারে ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু পাল্টা প্রত্যাঘাতের জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুত ছিল ভারতীয় বাহিনী। ফলে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ দিন তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে জঙ্গিদের। উরি সেক্টরের লছিপুরা এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষের খবর এসেছে। ওই এলাকা দিয়েই মূলত অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
লছিপুরায় ভারতীয় বাহিনী তীব্র প্রত্যাঘাত করেছে বলে প্রথম খবর আসে মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে পাঁচ জঙ্গি সেনার গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বড় সাফল্যের কথা জানায় সেনাবাহিনী। লছিপুরায় গুলির লড়াইতে আরও তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আরও ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আসে। সেনাবাহিনীর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ১৫ জন জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছে।
একই দিনে ১৫ জনকে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করানোর চেষ্টাকে বড় ঘটনা হিসেবেই দেখছে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই অনুপ্রবেশের এই মরিয়া চেষ্টা বলে ভারত সরকার মনে করছে। লছিপুরা সহ উরি সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় সেনা চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে। সন্ধ্যা নাগাদ হান্দওয়ারাতেও সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে খবর। সংঘর্ষে এক জওয়ান জখম হয়েছেন।

 জাতিসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত


নিয়ন্ত্রণ রেখার উত্তাপের আঁচ জাতিসংঘেও।
নওয়াজ শরিফের ভাষণের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে তীব্র প্রত্যাঘাত করল ভারত। সন্ত্রাসের বিশ্বখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র পাকিস্তান, বিদেশ থেকে পাওয়া অনুদানের বড় অংশ সন্ত্রাসবাদী গড়ে তোলার কাজে ব্যবহার করে তারা— জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তান সম্পর্কে এমন কথাই বললেন ভারতীয় দূত। পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাকে ‘লম্বা ভাষণ’ বলে কটাক্ষ করে ভারতের দূত ইনাম গম্ভীরের মন্তব্য ‘‘সন্ত্রাস হল মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন।’’ পাকিস্তানকে এ দিন জাতিসংঘে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও আখ্যা দিয়েছে ভারত।
বুধবার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। অবধারিত ভাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছেন শরিফ। কিন্তু উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি। সেনা অভিযানে নিহত হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানিকে নওয়াজ বুধবার ফের ‘স্বাধীনতাকামী নেতা’ আখ্যা দিয়েছিলেন এবং ভারতের পক্ষ থেকে তৎক্ষনাৎ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। নওয়াজের ভাষণ শেষ হতেই ভারতীয় মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইটারে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি যখন ভাষণ দেবেন, তখন পাকিস্তানকে কঠোর সমালোচনা সহ্য করতে হবে। হলও তাই। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের দূত ইনাম গম্ভীব এ দিন বললেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ দিতে, অর্থ জোগাতে এবং সাহায্য করতে পাকিস্তান কোটি কোটি ডলার খরচ করে এবং তার অনেকটাই হল বিদেশ থেকে পাওয়া অনুদানের টাকা। এই জঙ্গিদের পাকিস্তান ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে। ’’গম্ভীর কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘প্রাচীন যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কেন্দ্র তক্ষশীলার ভূমি আজ সন্ত্রাসবাদের বিশ্বখ্যাত শিক্ষা কেন্দ্র। সারা পৃথিবী থেকে সন্ত্রাসবাদের ছাত্ররা সে দিকে আকৃষ্ট হয়। আর সেই শিক্ষাকেন্দ্রের বিষাক্ত পাঠ্যক্রমের ফলটা গোটা পৃথিবীকে ভুগতে হয়।’’জাতিসংঘ যে সব জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে, সেই সব সংগঠনের লোকজন কী ভাবে পাকিস্তানে খোলাখুলি নিজেদের কার্যকলাপ চালায় এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য রাস্তায় নেমে অবাধে কী ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে, সে সব তথ্যও নিজের ভাষণে তুলে ধরেছেন ভারতীয় দূত।পাকিস্তানকে এ দিন ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও উল্লেখ করেছে ভারত।
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত যে মন্তব্য নওয়াজ শরিফ নিজের ভাষণে করেছিলেন, তার জবাব দিয়ে ভারতীয় দূত বলেছেন,‘‘মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন হল সন্ত্রাসবাদ। যখন তা রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন সেটা যুদ্ধাপরাধ।’’ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পাকিস্তানকে এ দিন ‘প্রতারক, ‘দু’মুখো’ এবং ‘মিথ্যাবাদী’ বলেও আখ্যা দিয়েছে ভারত।

Modi-Sharif

Wednesday, September 21, 2016

নিউ ইয়র্কে জোড়া আন্তর্জাতিক সম্মানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

Hasina

নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য 'প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' এবং 'এজেন্ট অফ চেঞ্জ' সম্মান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
জাতিসংঘের শাখা সংগঠন ‘ইউএন ওম্যান’-এর পক্ষ থেকে 'প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন' পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।আবার ‘এজেন্ট অফ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম।নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। 
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন। আজ  ২১ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য রাখেন।

দ্বিগুণ হচ্ছে ঢাকা মহানগরীর আকার


Dhaka

দ্বিগুন হচ্ছে আয়তন।

ঢাকা মহানগরীর আকার বাড়ছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নতুন করে আরও ৩৬টি ইউনিয়ন যুক্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনের আলোচনা চলছে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন আয়তন অনুসারে দ্বিগুণ হয়েছে ঢাকা নগরীর আয়তন। এই সব ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ায় ২ ঢাকা সিটি করপোরেশনের এলাকার আয়তন ১২৯ বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে ২৭০ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে ঢাকা উত্তরের আয়তন বেশি হবে।
বর্তমানে ঢাকা উত্তরে ওয়ার্ড রয়েছে ৫৭টি আর দক্ষিণে ৩৬টি। যুক্ত হওয়া ইউনিয়নগুলোকে ওয়ার্ডে রূপান্তর করে দুই সিটিতেই ১৮টি করে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কম-বেশিও হতে পারে। তবে কোন ইউনিয়ন কোন ওয়ার্ড বা কোন জোনে আসবে তা চূড়ান্ত হবে ওয়ার্ড সংখ্যা চূড়ান্ত হওয়ার পর।
ঢাকা মহানগরীর সীমানা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। এখন চলছে সীমানা নির্ধারণের কাজ।
এ ব্যাপারে ঢাকার জেলা প্রশাসক মহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে অচিরেই হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় থেকে নতুন এলাকার নামগুলো এলেই আমরা মূল কাজ শুরু করে দেব। নামগুলো চূড়ান্ত হলেই গেজেট দিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর খুনীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ

Noor Chowdhury

নুর চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের ফেডারেল কোর্ট। গত সোমবার তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল করে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমানে কানাডায় অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন নূর চৌধুরী। সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনও মূহুর্তে তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে পারে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, কানাডা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই নূর চৌধুরীকে দেশে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র জানান, কানাডায় আইনী লড়াইয়ে নূর চৌধুরী হেরে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনার পর বাংলাদেশের অনুরোধ রেখেছে বন্ধুপ্রতীম দেশটি। এ বার তাঁকে দেশে ফেরত আনার পালা।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের রাতে এই নূর চৌধুরীই গুলি করেছিলেন জাতির পিতাকে। বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে কামালের বন্ধু ছিলেন মেজর নূর। ছেলের বন্ধুই ১৫ অগস্টের রাতের মোহাম্মদী বেগ! নূর আজ হাত মিলিয়েছে খুনি চক্রের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু সিঁড়ির শেষ ধাপে আসতে না আসতেই গর্জে ওঠে নূর-বজলুল হুদার রাইফেল।
সে দিন ভোরের আজানের আগেই গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে বঙ্গবন্ধুর। যা তিনি কখনও কল্পনাও করেননি। গোলাগুলির শব্দে দোতলা বাড়ির উপরতলা থেকে ঘুমঘুম চোখে নীচে নেমে আসেন বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল। মুহূর্তেই স্টেনগানের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি। এর পর এলোপাথারি গুলি চলে কিছু ক্ষণ। দোতলা থেকে নেমে আসার সময়ে সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে হত্যা করে কুলাঙ্গারের দল।
সেই কালো রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে খুনিরা মেতে উঠেছিল হত্যার উল্লাসে। বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধু, ভাই, ভাগ্নে, ভাগ্নের স্ত্রী, কাজের লোক-সহ ২১ জনকে হত্যা করা হয় সেই রাতে।
পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছেলে শেখ রাসেলের বয়স ছিল নয়। বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে তাকে আগেই বন্দি করে খুনিরা। উপরে গুলির শব্দ শুনে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য আকুতি করে ছোট্ট অবুঝ ছেলেটি। কিন্তু তাকেও ছাড়েনি খুনিরা।
সেই দিন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা আর শেখ রেহেনা ছিলেন বিদেশে। আর সে কারণেই বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁরা।

দেশে ফেরার দিনে বঙ্গবন্ধু ভবনে ঢুকতে না দেওয়য় বাড়ীর সামন ক্রন্দনরত শেখ হাসিনা।
১৯৯৬ সালের জুনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মুহূর্তেই খুনী নূর চৌধুরী সপরিবারে কানাডায় পালিয়ে যান। কানাডায় গিয়ে ফেড়ারেল কোর্টে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনে নূর চৌধুরী নিজেকে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। আবেদনে বঙ্গবন্ধু সরকারের কুৎসা আর জিয়াউর রহমানের প্রতি নিজের সমর্থন ও যোগসাজশের কথা উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুদণ্ডবিরোধী কানাডা সরকারও তখন তাঁকে শর্তসাপেক্ষে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়।
এর পর থেকে নানা ভাবেই বঙ্গবন্ধুর অন্য খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিপক্ষে থাকায় নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়নি কানাডা। তবে হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। নানা ভাবে কানাডাকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের এই রায় কার্যকরের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার মন্ট্রিলের হায়াত রিজেন্সি হোটেলে কানাডা সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশ নূর চৌধুরীর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছয়। বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মোহম্মদ শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন এবং এর উপায় খুঁজে বের করবেন।” তিনি আরও বলেন, “এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা।”
এরপর গত সোমবার কানাডার নিম্ন আদালত বাংলাদেশে নূর চৌধুরীর অপকর্মের কথা উল্লেখ করে তাঁর আশ্রয় আবেদনটি বাতিল করে দেয়। এর পর খুনী নূর চৌধুরী উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালতের বিচারপতি জেমস রাসেল তার আপিল বাতিল করে কানাডা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়ে বলেন, “দেশে স্বচ্ছতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি ও বিচার হয়েছে। আসামি সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও নূর চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী যথেষ্ট আইনী লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে দেশে সুবিচার মিলবে না, নূর চৌধুরীর এমন দাবি সঠিক নয়।”
ফেডারেল আদালত আরও বলেছে, ১৫ অগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার মুহূর্তেই সেনা চেকপোস্ট পেরিয়ে নূর চৌধুরীর অবারিত যাতায়াত সন্দেহ বলে মনে করা হয়। বিচারপতি নূর চৌধুরীকে কানাডায় থাকার অযোগ্য উল্লেখ করে বলেন, ওই রাতে নিরীহ জনগণ, নারী-শিশুর ওপর যে পরিকল্পিত সুসংগটিত হামলা হয়েছে সে ষড়যন্ত্রে নূর চৌধুরীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনা সন্দেহের ঊর্ধ্বে।
১৫ অগস্টের কালো রাতে বাঙালি হারিয়েছিল তাদের প্রিয় নেতাকে, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের নায়ককে। ষড়যন্ত্র, মিথ্যা আর অপপ্রচারে তাঁর আর বাঙালি জাতির সব অর্জনকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলেছে গত ৩৪ বছর ধরে। কিন্তু দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সর্বোচ্চ আদালতের রায় শেষ পর্যন্ত সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।
যে বাংলাদেশে আইন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল, যে দেশ এক সময় সেই ঘাতকদের বিদেশের দুতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছিল। সেই বাংলাদেশ আজ অন্য এক ইতিহাস রচনা করছে। এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ দেশে জাতির জনকের ঘাতকদের বিচার শেষে রায় কার্যকর হয়েছে, এখন পলাতকদেরও ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এ যেন সত্য আর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার এক নতুন ইতিহাস তৈরির অনন্য কাল।

সিরিয়ায় কনভয়ে হামলা, জাতিসংঘের ত্রাণবন্ধের সিদ্ধান্ত

truck

ত্রাণবাহী ট্রাকে হামলা

যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গিয়েছিল রবিবার মাঝ রাতেই। কনভয়ে হামলার জেরে সিরিয়ায় এ বার ত্রাণ পাঠানোও আপাতত বন্ধ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সূত্রের খবর, আলেপ্পো প্রদেশের উরুম-আল-কুবরা শহরে গত কাল রাতের একটি বিমান হামলায় উড়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্তত ১৮টি ত্রাণবোঝাই ট্রাক। ত্রাণকর্মী ও চালক মিলিয়ে নিহত ১২। সব মিলিয়ে ৩১টি ট্রাক ছিল কনভয়ে। অল্পবিস্তর ক্ষতি হয়েছে প্রায় সব ক’টিরই। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর, সোমবার রাতে ওই কনভয়টি সবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর কাছাকাছি এসে পৌঁছয়। ট্রাক খালি করে এলাকার প্রায় ৭৮ হাজার মানুষের জন্য বস্তা-বস্তা গম, শুকনো খাবার, শীতের পোশাক আর ওষুধপত্র তখন ঢোকানো হচ্ছিল গুদামঘরে। হঠাৎই তাল কাটল বিমান হানায়।
সিরিয়া, নাকি রাশিয়া— হামলার নেপথ্যে কারা? আজ দিনভর তা স্পষ্ট না হলেও বিষয়টি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সংশ্লিষ্ট ত্রাণ বিষয়ক প্রধান স্টিফেন ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘এই হামলা যদি ইচ্ছাকৃত হয়, নিশ্চিত ভাবেই তা যুদ্ধাপরাধের সামিল।’’ অভিযোগের আঙুল উঠছে মার্কিন সেনার দিকেও। কারণ গত শনিবার, (যুদ্ধবিরতি চলাকালীন) তাদেরই বিমান হামলায় দেইর আল জৌর শহরে অন্তত ৬২ জন সিরীয় সেনার মৃত্যু হয়। সেই হামলা ‘অনিচ্ছাকৃত’ বলে আমেরিকা দুঃখপ্রকাশ করলেও বরফ গলেনি। বরং তার জের মিটতে না মিটতেই ভেস্তে গিয়েছে যুদ্ধবিরতি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সোমবার থেকেই আলেপ্পো ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। গত পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৩ লক্ষের। সপ্তাহখানেকের যুদ্ধবিরতি মিটতেই তাই ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশ। যুদ্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে এখনও যাঁরা ত্রাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা বলছেন— ‘‘কিছু একটা করুন। যুদ্ধের মানে না জেনেও না খেয়ে মরতে বসেছে বাচ্চাগুলো। গত দু’দিন ধরে ভাল করে সূর্য ওঠার আগেই যুদ্ধবিমান উড়ছে আকাশে। এর থেকে বুঝি রেহাই নেই নিরীহ নাগরিকদের।’’
সাম্প্রতিক এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি না টিকলে যে দেশটাকে বাঁচানো যাবে না, মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি তা আগেই বলেছিলেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভয়ে হামলার পরে ফের সেই আশঙ্কার কথাই
জানিয়েছে ওয়াশিংটন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘সিরিয়ার এখন যা পরিস্থিতি, তাতে রাশিয়ার ভূমিকাটাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরা যে ঠিক কাদের পাশে দাঁড়াতে চায় সেটাই তো স্পষ্ট নয়।’’ পাল্টা তোপ দেগেছে রাশিয়াও। তাদের অভিযোগ, সিরিয়ার যুদ্ধবিরতিকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিল মার্কিন বাহিনীই।        

পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র ঘোষণা করতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল


Nawaz Sharif

পর্বতপ্রমাণ চাপের মুখে শরিফ।পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ঘোষণা করার জন্য বিল পেশ হল মার্কিন কংগ্রেসে। দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কারখানা হিসেবে কাজ করছে এবং আমেরিকা ও তার মিত্ররাই পাক সন্ত্রাসে আক্রান্ত হচ্ছে বলে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ মনে করছেন। তার প্রেক্ষিতেই পেশ হয়েছে এই বিল। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক, দু’দলের মধ্যেই এই বিলের প্রতি সমর্থন রয়েছে।

পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার জন্য বিল পেশ হল মার্কিন কংগ্রেসে। দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কারখানা হিসেবে কাজ করছে এবং আমেরিকা ও তার মিত্ররাই পাক সন্ত্রাসে আক্রান্ত হচ্ছে বলে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ মনে করছেন। তার প্রেক্ষিতেই পেশ হয়েছে এই বিল। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক, দু’দলের মধ্যেই এই বিলের প্রতি সমর্থন রয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিলটি পেশ হয়েছে। কংগ্রেসের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত সাবকমিটির চেয়ারম্যান তথা রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান টেড পো নিজে বিলটি পেশ করেছেন। বিলের অন্যতম সমর্থক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান তথা সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত সাবকমিটির প্রভাবশালী সদস্যা ডানা রোরাবাশার। ‘পাকিস্তান স্টেট স্পনসর অব টেররিজম ডেজিগনেশন আইন’ নামে ওই বিল পেশ করার পর টেড পো বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানকে সাহায্য করা বন্ধ করতে হবে কারণ তারা বেইমানি করছে এবং পাকিস্তান আসলে যে ধরনের রাষ্ট্র, তাদের সেই তকমাই দিতে হবে— সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র।’’ পো আরও বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান সহযোগী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য তো নয়ই, তা ছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান আমেরিকার শত্রুদের সাহায্য করে আসছে এবং প্ররোচনা দিচ্ছে।’’ মার্কিন কংগ্রেসের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত সাবকমিটির চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে দহরম মহরম, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে পাকিস্তান কোন পক্ষে তা বুঝে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তান মোটেই আমেরিকার পক্ষে নয়।’’ মার্কিন কংগ্রেসে এই বিল পেশ হওয়ায় ওবামা প্রশাসনের উপর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার জন্য চাপ আরও বাড়ল। সন্ত্রাসবাদকে পাকিস্তান সরাসরি সমর্থন দিচ্ছে বলে যে অভিযোগ বিলের প্রস্তাবক ও সমর্থকরা তুলছেন, ওবামা প্রশাসনকে এ বার সে প্রশ্নে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসের কারখানা, সে ইঙ্গিত ওবামা ক্যাবিনেটের একাধিক পদাধিকারী তো বটেই, খোদ ওবামার থেকেও একাধিক বার পাওয়া গিয়েছে। ফলে পাকিস্তান সন্ত্রাসে সমর্থন জোগাচ্ছে না, এ কথা মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। স্পষ্টতই মার্কিন কংগ্রেসে পেশ হওয়া এই পাকিস্তান বিরোধী বিল ঘোর চাপে ফেলতে চলেছে ইসলামাবাদকে।
মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে পাকিস্তান বিরোধী মতামত ক্রমশই জোরদার হচ্ছে। অন্য একটি বিবৃতিতে আর এক কংগ্রেসম্যান পিট অলসন উরি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ঘাঁটিতে যে জঙ্গি হামলায় ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, আমি তার কঠোর নিন্দা করছি। শান্তির লক্ষ্যে ভারত আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী সহযোগী এবং মিত্র।’’ অলসন আরও বলেছেন, এই হামলার চক্রীদের বিচারের কাঠগড়ায় টেনে আনার জন্য সব রকম উদ্যোগকে সর্বাত্মক সমর্থন জানানো হবে।

কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাশিয়াকে দুষছে আমেরিকা


Truck

ত্রাণবাহী ট্রাকে হামলা। ছবি: রয়টার্স।

সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভয়ে হামলার পিছনে রাশিয়ারই হাত দেখছে আমেরিকা। সোমবার আলেপ্পোর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে বিমান হামলার মুখে পড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৮টি ট্রাক। সেই হামলার ঠিক আগে আলেপ্পোর আকাশে দু’টি রুশ সুখোই বিমান দেখা গিয়েছিল বলে আজ দাবি করেছেন দুই মার্কিন সেনা কর্তা। সরকারি ভাবে কিছু না জানালেও, পেন্টাগনেরও তেমনটাই ইঙ্গিত। মস্কো যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এমনকী প্রথমে বিষয়টিকে ‘নিছক দুর্ঘটনা’ বলে হামলার তত্ত্বও মানতে চায়নি তারা। পরে অবশ্য রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক আলাদা বিবৃতি দিয়ে জানায়, হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরাই।
প্রমাণ কী? মস্কোর দাবি, হামলার আগে ও পরের সবটাই ধরা পড়েছে তাদের ড্রোন-ক্যামেরায়। তাতে নাকি অনেক ক্ষণ কনভয়ের পিছু নিতে দেখা গিয়েছে আইএস জঙ্গিদের। যে সম্ভাবনা আজ বানচাল করেছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস। তাঁর কথায়, ‘‘মার্কিন সেনা জোট, রাশিয়া কিংবা সিরীয় সেনা— হামলা যে কেউ করে থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের বিমান আলেপ্পোর আকাশে ওড়ে না। ওখানে জঙ্গিদের অস্তিত্বই নেই। তাই সিরীয় সেনা আর রাশিয়াকেই জবাব দিতে হবে।’’
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরির সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ কর্তারা। অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে মস্কো। তবে সূত্রের খবর, কনভয়টি আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে ঢোকার পর কোনও ড্রোন-ফুটেজ মেলেনি।
জুতসই প্রমাণ না থাকায় রাশিয়াও দোষারোপের পথে। শনিবার সিরিয়ার দেইর আল জৌর শহরে মার্কিন বিমান হামলায় ৬২ জন সিরীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার থেকে নজর ঘোরাতেই ওয়াশিংটন কনভয়ে হামলার পিছনে রাশিয়াকে দুষছে বলে মত তাদের।
হামলার পিছনে যে-ই থাক, ‘কাপুরুষোচিত এই যুদ্ধাপরাধের’ জেরে সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানো বন্ধই রাখতে চাইছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যুদ্ধবিরতি বানচালের পরে সিরিয়া তাই অাধাঁরে।  কাল রাতেও আলেপ্পোর কাছে খান তুমান গ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিমান হামলার খবর মিলেছে। মারা গিয়েছেন চার স্বাস্থ্যকর্মী। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, হামলায় ভবনের তিনটি তলাই ধুলোয় মিশে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে বহু। সিরিয়ায় গত এক বছরে শুধু স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ১৩৫টি হামলা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও সব চেয়ে বিপজ্জনক দেশ এখন সিরিয়া।
আমেরিকা সিরিয়া থেকে যুদ্ধবিরতি ওঠার কথা মানতে নারাজ। একই অবস্থান রাশিয়ার। শুক্রবার ফের সব পক্ষের আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন জন কেরি।