Monday, June 28, 2021

Know about this Hero before you talk. This Hero does not have a record of corruption, only contributions to the people & Nation.

May be an image of 3 people

ড. জাফরুল্লাহ সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
★ চট্টগ্রামের ছেলে জাফরুল্লাহর বাবার শিক্ষক ছিলেন স্বয়ং বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন।
★ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করার পর ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ছাত্র থাকা অবস্থাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করেছিলেন সংবাদ সম্মেলন।
★ ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম. বি. বি. এস শেষ করার পর ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে FRCS প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না হতেই দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন।
★পাকিস্থানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইডপার্কে যে কয়জন বাঙ্গালী পাসপোর্ট ছিড়ে আগুন ধরিয়ে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়েছিল তাদের একজন ড. জাফরুল্লাহ।
★মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছ থেকে ১০ লাখ পাউন্ড চাঁদা যোগাড় করেছিলেন। তিনি কাজটি করেছিলেন ড. জাফরুল্লাহর পরামর্শে।
★ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম " একাত্তরের দিনগুলি" বইয়ের ১৬১ ও ১৬২ পৃষ্ঠায় ড. জাফরুল্লাহ ও ডা. মোবিনের পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে লিখেন।
★আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ড. জাফরুল্লাহ ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের সহযোগিতায় আগরতলার বিশ্রামঘরের মেলাঘরে গড়ে তুলেছিলেন ৪৮০ শয্যা বিশিষ্ট প্রথম ফিল্ড হসপিটাল " বাংলাদেশ হসপিটাল"
★হসপিটালটিতে পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় ড. জাফরুল্লাহ নিজে নারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দেন।
★দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ড. জাফরুল্লাহ গ্রামে গিয়ে শুরু করেন স্বাস্থ্যযুদ্ধ। ফিল্ড হাসপাতালটিকেই কুমিল্লাতে স্বাধীন দেশের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ঢাকার ইস্কাটনে হাসপাতালটি পুনঃস্থাপিত হয়। কিন্তু গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু রুপে গড়ে তোলার জন্যে " চলো গ্রামে যাই" স্লোগান নিয়ে হাসপাতালটিকে ঢাকার অদূরে সাভারে " গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র" নামে স্থানান্তর করা হয়।
★ হাসপাতালটিকে " গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র" নামে নামকরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাভারে হাসপাতালটির জন্য ৩১ একর জমিও বরাদ্দ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
★ সম্পূর্ণ অলাভজনক এই এই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ড. জাফরুল্লাহ ১৯৭৭ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখায় স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
★ড. জাফরুল্লাহ বাকশালে যোগ দিতে বঙ্গবন্ধুর অনুরোধ যেমন উপেক্ষা করেছিলেন, তেমনি জিয়াউর রহমানের দেয়া মন্ত্রীত্বের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৪ পৃষ্ঠার একটি চিঠির মাধ্যমে। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এরশাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবও!
★ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পর তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষুধ নীতি। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতে যেটাকে বিবেচনা করা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে। তাঁর প্রচেষ্টায় আমদানি ওষুধের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২৫-এ। বর্তমানে ৯০ শতাংশ ওষুধই দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ একটি ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনে এই মানুষটির অবদান বিশাল।
★ড. জাফরুল্লাহ স্বাস্থ্যনীতির সাথে জড়িত থাকায় বি. এম. এর স্বার্থে আঘাত লাগে। তাই বি. এম. এ ১৯৯২ সালে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে। বিনা বিচারে ড. জাফরুল্লাহর ফাঁসি চেয়ে পোস্টারও সাঁটায় তারা।
আমরা ড. জাফরউল্লাহকে না চিনলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকই চিনেছে এই লোকটাকে। বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় "ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো" ঘোষণা করে ড. জাফরুল্লাহকে।
মুক্তিযুদ্ধ করেও, গণমানুষের জন্য কাজ করেও ড. জাফরুল্লাহরা হন বিতর্কিত। কারন, উনারা চাটুকারিতা করতে জানেন না, দালালী করতে জানেন না, জানেন না তেল দিতে!
নষ্ট রাজনীতির বিভাজনে থাকা তরুণ প্রজন্মের প্রতি অনুরোধ, এই মানুষটাকে যদি সম্মানিত করতে নাও পারি, অন্ততপক্ষে যেন ছোট না করি।

Wednesday, June 9, 2021

 

যে কারণে খাবেন দারুচিনি ও মেথি চা

যে কারণে খাবেন দারুচিনি ও মেথি চা

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো। সেক্ষেত্রে ভেষজ উপাদানগুলো অধিক কার্যকরী। এই পানীয় নিয়মিত পান করলে শরীরের পরিবর্তন নিজেই লক্ষ্য করবেন।

দারুচিনি চা
মেটাবলিজম বাড়াতে দারুণ কার্যকরি এই মসলা। এতে একইসঙ্গে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলী রয়েছে। দারুচিনি চা দারুণ ডিটক্স হিসেবেও কাজ করে। এ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ঘুমানোর অন্তত আধাঘণ্টা আগে পান করুন এই চা।

মেথি চা
মেথি পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ ও হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য এ চা বেশ উপকারী। নিয়মিত মেথি চা পান করলে কিডনিতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহে সহায়তা করে। যা কিডনির পাথরের মতো সমস্যা দূর করতে কার্যকর।

অ্যাসিডিটি বা হজমের যাবতীয় সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মেথি চা। এছাড়াও মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চা খেতে পারলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।

মেথি চা তৈরী করতে প্রথমে ১ চামচ মেথি গুঁড়ো নিন। দেড় কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে ওই গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এর সঙ্গে ১ চামচ মধু মেশাতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে চা পাতা বা তুলসি পাতাও মেশাতে পারেন। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে সামান্য ঠান্ডা করে পান করুন।