Saturday, February 24, 2018

কার কত টাকা আছে 

সরকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তিদের মুখোশ উন্মোচন করতে চায়। অর্থ পাচারের ঘটনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৮২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ফাঁস হয়েছে। সম্পদশালীদের অঢেল টাকার পাহাড় যে বিদেশে রয়েছে তা পুরোপুরি জানতে তদন্তও চলছে। আশা করা যায়, তদন্ত সংস্থাও সময় হলে গোমড় ফাঁস করে দেবে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত এখন অনেকটাই তদন্ত সংস্থার হাতে। বিদেশে কে কত টাকা পাচার করেছেন, কীভাবে করেছেন, কোন খাতকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছেন ও কার মাধ্যমে করেছেন সব জানার চেষ্টা চলছে। এতে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা ভূমিকা রাখছে। কার কত টাকা আছে সে তথ্য জানতে সংস্থাটির পক্ষে কাজ করছেন একটি বিশেষ টিম। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়ে এ টিম সক্রিয় হয়েছে। 
আর্থিক জগতের কেলেঙ্কারি প্রকাশ করে একের পর এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস। তদন্ত সংস্থার একটি সূত্র জানায়, প্যারাডাইস পেপারসে সম্প্রতি নতুন করে যে ২০ জনের নাম এসেছে তাদের ব্যাপারে আদ্যোপান্ত জানার চেষ্টা চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে এদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনতে চিঠি পাঠানো হবে। প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগের তালিকায় প্যারাডাইস পেপারসে আরো যে ১০ জনের নাম ফাঁস হয়েছে তাদেরও একইভাবে চিঠি দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই তালিকা গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশ হয়েছিল। বহুল আলোচিত প্যারাডাইস পেপারসে এবারের দ্বিতীয় তালিকায় নাম আসে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ ২০ জনের। প্রত্যেকে ইউরোপের মাল্টায় অর্থ পাচার করেছেন বলে তালিকায় তথ্য উল্লেখ করা হয়। দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা অবশ্য বলেন, কারো কারো নামের সঙ্গে ঠিকানার মিল নেই। কেউ আবার বিদেশে থাকেন। আবার ঠিকানা মিললেও কারো কারো নামের ক্ষেত্রে গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, দুই দফায় প্যারাডাইস পেপারস ৩০ জনের নাম প্রকাশ করে। এর আগে পানামা পেপারসে নাম আসে ৫২ জনের। এদের মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কয়েকজন চিঠি পেয়ে সময় নিয়েছেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পানামা পেপারসে অর্থ পাচারে ৫২ বাংলাদেশি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়। অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে আরো তথ্য উপাত্ত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ও এনবিআরের সিআইসির টিমও কাজ করছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পানামা পেপারস ও অফশোর কোম্পানি মিলিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৮২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ হয়। কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা পাচারে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত বলে তথ্যে উল্লেখ করা হয়। আগের পানামা পেপারসে দুই কিস্তিতে ৫২ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ হয়েছিল। এ তালিকায় ৩৪ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য, ২৩ অ্যাকাউন্টধারীর বাড়ির ঠিকানা, চারজনের দুটি করে অ্যাকাউন্ট এবং দুটি যৌথ অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমে প্রকাশিত তালিকাটি ‘পানামা পেপারস’ নামে পরিচিতি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) এই তালিকা ঘেঁটে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্র্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে। আর পরের দুই কিস্তিতে আইসিআইজে প্যরাডাইস পেপারসে আরো ৩০ জনের তালিকা প্রকাশ করে।
প্রকাশিত তালিকা নিয়ে দুদকের তদন্ত অব্যাহত আছে। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে তদন্ত টিমে আছেন উপপরিচালক আখতার হামিদ ভূঁইয়া ও সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান। তারা কয়েক দফা প্রকাশিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন।
বহুল আলোচিত পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনায় যাদের নাম আসে তারা হলেন- কাজী জাফরুল্লাহ, নিলুফার জাফর, আজিজ খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, আয়েশা আজিজ, জাফর উমেদ খান, ফয়সাল করিম খান, হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মইনুল আহসান (শামীম), আহমেদ ইসমাইল হোসেন, আখতার মাহমুদ, এ এম এম খান, আজমল মইন, দিলিপ কুমার মোদি, সৈয়দ সিরাজুল হক, আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক, তারিক একরামুল হক, সোহেল হাসান, এফএম জুবাইদুল হক, সালমা হক, মাহতাবুদ্দিন চৌধুরী, উম্মেহ চৌধুরী, ইফতেখারুল আলম, এএসএম মহিউদ্দিন আহমেদ, আসমা মোনেম, শরিফ জাহির, মেহবুব চৌধুরী, কফিল এইচ এস মুয়ীদ, জাইন ওমর, আফজালুর রহমান, মোতাজ্জারুল ইসলাম, মল্লিক সুধীর, ইউসুফ রায়হান রেজা, ইসরাক আহমেদ, নভেরা চৌধুরী, বিলকিস ফাতিমা, ফরহাদ গনি মোহাম্মদ, আবুল বাশার, নিজাম এম সেলিম, মোহাম্মদ মোকসেদুল ইসলাম, সরকার জীবন কুমার ও সেলিমুজ্জামান উল্লেখযোগ্য। তালিকায় ব্যক্তি ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নাম আছে।
অপরদিকে প্যারাডাইস পেপারসে প্রথম তালিকায় নাম আসে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আউয়াল নাসরিন ফাতেমা, আউয়াল তাবিথ মো. আউয়াল তাফসির মোহাম্মদ, চৌধুরী-ফয়সাল, মিন্টু-আবদুল আউয়াল, মোগল-ফরিদা ওয়াই, উল্লাহ-শহিদ, তাজওয়ার মো. আউয়ালের অভিভাবক হিসেবে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমাদ-সামির, আউয়াল-তাজওয়ার মোহাম্মদ। এ তালিকায় নাম আসা প্রতিষ্ঠানটি হলো ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-বাংলাদেশ লিমিটেড। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকায় নাম এসেছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের, ফজলে এলাহী চৌধুরী, কেএইচ আসাদুল ইসলাম, জুলফিকার আহমেদ, তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মালেক, শাহনাজ হুদা রাজ্জাক, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ এ আউয়াল, এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, তাজুল ইসলাম, আমানুল্লাহ চাগলা, মোহাম্মাদ আতিকুজ্জামান, মোহাম্মদ রেজাউল হক, মোহাম্মদ কামাল ভূঁইয়া, তুহিন সুমন, মাহতাবা রহমান, ফারুক পালওয়ান ও মাহমুদ হোসাইন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশে আছেন। কারো নামের সঙ্গে ঠিকানার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পৃক্ততায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ঘটনাটিকে ‘প্রকট দুর্নীতি-সহায়ক পরিস্থিতির দৃষ্টান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সংস্থাটির পক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা দুদক আরো কঠোর হবে বলে আশা করছি।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানে দুকের চৌকস টিম কাজ করছে। আগে পানামা পেপারসের তদন্তকালে চারজনের কাছে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ওই চারজনের মধ্যে দু’জনের দাবি হলো, তারা বিদেশে উপার্জন করা অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। আরেকজন বলেছেন ইউরোপের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা অর্থ ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অফশোর কোম্পানিতে লগ্নি করেছেন।
অপরজন বলেছেন, তার উপার্জিত অর্থের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই। ফাঁস হওয়া নথির তথ্য অনুযায়ী, তালিকায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ঠিকাদারও আছেন। তিনি জানান, প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া কার কত টাকা বিদেশে আছে সেই তালিকা তৈরির কাজও চলছে। কাজটি সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন হলেও অনুসন্ধান এবং তদন্তে পরিপূর্ণতার জন্য তা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এবং এনবিআরের সিআইসির টিম অনুসন্ধানে সহায়তা করছে।

Monday, February 19, 2018

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যানসার ঝুঁকি 

অতিরিক্ত মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবার গ্রহণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে বলে জানিয়েছেন ফরাসি গবেষকরা। কেক,চিকেন নাগেট ও বড় পরিসরে উৎপাদিত রুটিকে ‘অতিরিক্ত প্রকিয়াজাতকৃত’ খাবারের মধ্যে রেখেছেন গবেষকরা।
এক লাখ পাঁচ হাজার লোকের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে যত বেশি এই ধরনের খাবার গ্রহণ করা হয়, ক্যানসারের ঝুঁকি ততই বেড়ে যায়। এই গবেষণা নিয়ে অনেকে বিতর্কিত মত পোষণ করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণই সর্বোৎকৃষ্ট।
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে, বড় পরিসরে উৎপাদিত প্যাকেটজাত রুটি, মিষ্টি বা মসলাযুক্ত স্ন্যাকস, চকোলেট বার ও মিষ্টি, সোডা ও কোমল পানীয়, মিটবল, পোলট্রি ও ফিশ নাগেট, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও স্যুপ, ফ্রোজেন ও রেডি খাবার, চিনি, তেল ও চর্বি দিয়ে তৈরি খাবার।
গবেষণায় বলেছে, খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ধূমপান বন্ধ করার পর ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ হলো অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ায়।
ইউনিভার্সিতে সোরবোন পারী সিতের একটি গবেষণা দল গড়ে পাঁচ বছর ধরে এই গবেষণা চালায়। জরিপের অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীই ছিল মধ্যবয়সী নারী। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় উঠে আসে, খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের হার ১০% বাড়লে, ক্যানসারের ঝুঁকি ১২% বেড়ে যায়।
গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী কয়েক দশকে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তারা জানান, এই বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো বড় আকারের জরিপ ও গবেষণা চালানো প্রয়োজন। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ক্যানসারের মধ্যে নিশ্চিত কোনো সম্পর্ক এই গবেষণায় ওঠে আসেনি। এই গবেষণা থেকে বলা যায় না যে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যানসারের একটি কারণ।
ক্যানসার রিসার্চ ইউকের প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর লিন্ডা বল্ড বলেন, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণকারীদের ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে আর ওজন বৃদ্ধির কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাদ্যাভ্যাস ও ওজনের পারস্পরিক সম্পর্ক আলাদাভাবে বিচার করা কঠিন।
মিসেস বল্ড বলেন ‘এই গবেষণা আমাদের জন্য একটি সতর্কতাবার্তা দেয়, তবে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খেলে স্বল্প পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়।’ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার বিষয়ে ভিন্ন মত ও সমালোচনা প্রকাশ করেছেন।

ডিমের সাদা অংশ উচ্চ রক্তচাপ কমায় 

সকালের নাস্তায় অনেকে ডিম ছাড়া ভাবতেই পারেন না। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ডিম ওমলেট, রান্না, সিদ্ধ, পোচ- সবভাবেই খাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরো ডিম খাওয়ার চেয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশে ক্যালরি ও চর্বি কম থাকে। এই সাদা অংশ উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
ডিম থেকে কুসুম সরানো হলে তাতে কোনো কোলেস্টেরল থাকে না। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তারা নির্দ্বিধায় ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে হৃদরোগ কিংবা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার ঝুঁকি কম থাকে।
গোটা ডিম প্রোটিনে ভরপুর থাকে। কিন্তু ডিমের সাদা অংশে খুব কম পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে উচ্চ প্রোটিনসম্পন্ন খাবার আমাদের মাংসপেশি গঠনে সহায়তা করে। এমনিতেও ডিমে খুব বেশি ক্যালরি থাকে না। আর কুসুম না থাকলে তাতে ক্যালরির পরিমাণ আরো কমে যায়। তাই ওজন কমাতে চাইলে গোটা ডিমের বদলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
ডিমে থাকা পটাশিয়াম রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ডিমের সাদা অংশে পেপটাইড নামে একটি উপাদান তাকে যা, উচ্চ রত্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
ডিমের সাদা অংশে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, বি-১২ এবং ডি থাকে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন বি-২ বার্ধক্যজনিত নানা ধরনের ক্ষয়রোধ, চোখের ছানি পড়া এবং মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যথা রোধ করে।