Wednesday, August 31, 2016

মাদারের সন্ত হওয়ার সম্মানে জাতিসংঘে প্রদর্শনী



 
 



 
mother

ভ্যাটিকান তাঁকে ‘সন্ত’ ঘোষণা করায় প্রয়াত মাদার টেরেসার সম্মানে একটি প্রদর্শনী হবে জাতিসংঘের সদর দফতরে। সেপ্টেম্বরের ৬ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত চার দিনের ওই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হবে মাদারের জীবন ও তাঁর কাজকর্ম।
ওই প্রদর্শনীর আয়োজক জাতিসংঘের ‘দ্য পার্মানেন্ট অবজারভার মিশন অফ দ্য হোলি সি’ এবং একটি অলাভজনক আইনি সংস্থা ‘এডিএফ ইন্টারন্যাশনাল’। আয়োজকদের তরফে মঙ্গলবার এই খবর দেওয়া হয়েছে। মাদারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘সন্ত’ ঘোষণা করবেন পোপ ফ্রান্সিস, ৪ সেপ্টেম্বর।

পরস্পরের জন্য সেনা ঘাঁটি খুলে দিল ভারত-আমেরিকা, চিন্তায় বেজিং


 
 

 
Indo-US Pact


বড়সড় সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হল ভারত ও আমেরিকা। দুই বৃহৎ গণতন্ত্র পরস্পরের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এই চুক্তিতেই সোমবার সিলমোহর দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টার। শুধুমাত্র স্বীকৃত সামরিক সহযোগী বা সামরিক মিত্র দেশের সঙ্গেই এই চুক্তি করে আমেরিকা। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এই চুক্তিকে তাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে এক বিরাট মাইলফলক হিসেবে দেখছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন।
সামরিক সহযোগীদের সঙ্গে আমেরিকা যে সব চুক্তি করে থাকে, এই চুক্তি সেগুলির মধ্যে একেবারে প্রাথমিক। অর্থাৎ এই চুক্তি হওয়ার পরই আমেরিকার সঙ্গে অন্যান্য সামরিক চুক্তির দরজা খোলে। তবে সোমবার যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি হয়েছে, তা ভারত এবং আমেরিকা দু’পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিন যে ভাবে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভারত বিরোধী বৃত্ত গড়ে তুলতে সক্রিয়, তাতে পাল্টা সামরিক জোট ভারতেরও প্রয়োজন। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বেজিং। নয়াদিল্লিও কূটনৈতিক ভাবে তার মোকাবিলা করছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদদের মতে, চিন যে ভাবে সামরিক ভাবে ভারতকে ঘেরার চেষ্টা করছে, তাতে শক্তিশালী সামরিক জোট ভারতেরও প্রয়োজন। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সেই সমঝোতা অনেক দিন ধরেই দানা বাঁধছিল। কিন্তু এ বার সেই সমঝোতা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে গেল।
পেন্টাগনে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অভিবাদন মার্কিন বাহিনীর। সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। ছবি এএফপি।
চিনা আগ্রাসন আমেরিকার কাছেও এখন মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনা নৌসেনা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সচেষ্ট। আমেরিকা তা যে কোনও মূল্যে রুখতে চায়। দক্ষিণ চিন সাগরের ৯০ শতাংশ এলাকাকে নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে জোর ধাক্কা খেয়েছে চিন। তবু বেজিং হাল ছাড়তে নারাজ। এশিয়া-প্যাসিফিকে চিনা নৌসেনার আধিপত্য খর্ব করার জন্য মার্কিন নৌসেনা নিজেই যথেষ্ট। সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে রয়েছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের চোখে চোখ রেখে কথা বলার সামর্থ ভারতীয় নৌসেনা ছাড়া আর কারও নেই। গোটা বিশ্বই সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তাই ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া আমেরিকার পক্ষে অত্যন্ত জরুরি ছিল। ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করার সুযোগ পেলে এবং ভারতীয় নৌসেনার সহযোগিতা পেলে মার্কিন নৌসেনা এই অঞ্চলেও এতটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে, যে পিপল’স লিবারেশন আর্মি নেভি কোনও ভাবেই এই যৌথ শক্তির সঙ্গে যুঝতে পারবে না। বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই।
নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন এই সামরিক চুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত। এই চুক্তি হলে ভারতের দীর্ঘ অনুসৃত স্বতন্ত্র সামরিক নীতি ক্ষুণ্ণ হবে বলে কোনও কোনও শিবির মনে করছিল। সে বিষয়ে যাতে কোনও সংশয় না থাকে, তা কিন্তু নয়াদিল্লি নিশ্চিত করেছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, মার্কিন সেনাকে সর্বক্ষণ ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে থাকতে দিতে হবে বা ভারতে এসে আমেরিকা সেনা ঘাঁটি তৈরি করবে, বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু প্রয়োজন মতো আমেরিকা এবং ভারত পরস্পরের সামরিক ঘাঁটিগুলি ব্যবহার করতে পারবে। 

দুই বোন একই সঙ্গে বোয়িং চালিয়ে নজির  গড়লেন বিশ্বে

 


 

pilots

পাইলট দুই বোন। মরিয়ম মাসুদ (বাঁ দিকে) ও ইরম মাসুদ।

দুই বোন একই সঙ্গে চালালেন একটি বোয়িং-৭৭৭ বিমান। এই প্রথম। দু’জনেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে (পিআইএ) বিমান চালিয়েছেন বহু দিন। আলাদা আলাদা ভাবে। দুই বোন একই সঙ্গে একই বিমানের পাইলট হলেন এই প্রথম। বিশ্বে নজিরও গড়লেন।
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র ড্যানিয়েল গিলানি জানিয়েছেন, দুই বোনের নাম মরিয়ম মাসুদ ও ইরম মাসুদ। পিআইএ-র দক্ষ পাইলট হিসেবে তাঁরা বোয়িং-৭৭৭-এর মতো বড় বিমান চালাচ্ছেন বহু দিন ধরেই। দু’জনেই বিমানের ফার্স্ট অফিসার। তবে দু’জনে এই প্রথম একই সঙ্গে চালালেন বোয়িং-৭৭৭ বিমান। বিশ্বের কোনও দেশে দুই বোন একই সঙ্গে বিমান চালিয়েছেন, এমন নজির রয়েছে বলে আমাদের অন্তত জানা নেই।

Tuesday, August 30, 2016

চোর কাহিনী

গরীব মানুষের ঈমান নেই,এদের বুক পিঠ কিছুই পাওয়া যায় না।
এধরণের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদকারী আমি আজ উপলব্ধি করতে
পারছি, উক্তিগুলো তিক্ত অভজ্ঞতারই অভিব্যক্তি।মানুষের কল্যাণে
চেষ্টা করেও আনন্দ পাই।এধরণের চেষ্টা যদি গরীব মানুষের
পিছনে লাগাতে পারি সেজন্যে বারতি আত্মতৃপ্তির অনুভূতি পেয়ে
খুব উপভোগ্য মনে হয়।

দিন দশেক আগের ঘটনা বলছি,সকালের নাস্তার টেবিলে বসেই আমি
বাসার অনতি দূরে অহেতুক জটলা ও জনসমাগমের হেতু বোঝার জন্য
কৌতুহল বসত: সেদিকে মনযোগ দিয়েছি।জানতে পারলাম এক চোর
ধরা পড়েছে, সমাজকর্তারা সেই চোরকে বেদম পেটাচ্ছে।চোরের বয়স
১৮-২০বৎসরের মত।একপর্যায়ে এই চোরের হাটু ও পায়ের গীরার
মধ্যবর্তী স্থল ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্তে আমি দ্বিমত পোষন করি।চোরকে
পুলিশে দেওয়ার প্রস্তাব করলে কন্ঠভোটে সেটা নাকচ হয়ে যায়।এবান
আমি পাল্টা প্রস্তাব দিলাম যে,চোর যেহেতু নেশাগ্রস্থ এবং কম বয়সী
তাকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিৎ।আমি এই চোরকে এলাকায়
না রাখার জন্য তাকে মাদকাশক্ত সংশোধনাগারে পাঠানোর দায়িত্ব
নিলাম।চোর এলাকা ছাড়া হবে কেবল এই সর্তেই পেটোয়া গ্রুপের
লোকেরা রাজি হয়ে তাকে আমার হাতে ছেড়ে দিলেন।আমি সেদিন
প্রচূর সময় ব্যয় করে সরকারি খরচে এক নামকরা মাদকাশক্ত
সংশোধনাগারে তার আশ্রয় ঠিক করে দিলাম।পরে চোরের বাবা-মা
নিজেরাই তাদের ছেলেকে সেখানে পৌঁছে দেয়।কয়েকদিন তাদের মূখে
আমার খুব প্রশংসা শুনলাম।আমারও বেশ ভাল লাগলো এধরণের একটি
কাজ করার জন্য।আজ হঠাৎ একটা ফোন এলো।অপর প্রান্ত থেকে ক্ষুব্ধ
প্রতিক্রিয়া শুনছি,দশ দিনের মাথায় সেই চোরের অবিভাবক বেড়িয়েছে।
নিজেকে তার বাব-মায়েরও অবিভাবক দাবি করে অনতিবিলম্বে এই
চোরকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে।এরপর আমি
চোরের বাবার সন্ধাণ করে ডেকে নিয়ে ফোনের প্রসঙ্গ তুলতেই দেখলাম,
লোকটি ভিন্ন সুরে কথা বলছে।তার অভিযোগ,আমি তাদেরকে সিদ্ধান্ত
নেয়ার জন্য যথেষ্ঠ সময় দেইনি।সেখানে তাদের ছেলের সাথে দেখা করা
যাচ্ছে না।এর থেকে জেলে রাখলেও তারা ছেলেকে দেখে আসতে পারতো।
এখন সে তার ছেলেকে অনতিবিলম্বে নিরাময়কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দিতে বলছে।

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।সেই চোরকে মাদকাশক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রাখার
দিনটিকে মূহুর্তেই স্মরণ করলাম।এই কেন্দ্রের পরিচালকের প্রশ্নের জবাবে
সেদিন আমি চোরের সত্যিকারের পরিচয় দিয়েছিলাম।উত্তরে মন্তব্যের সুরে
তিনি বলেছিলেন,আপনি কার জন্যে এসব করছেন?এধরণের গরীব মানুষের

বুক নেই পীঠও নেই।এরাই একদিন আপনাকে দোষারোপ করতে ছাড়বে না।
আদর

আদরে গদগদ স্কুলের ম্যাডাম বাবুর গাল টিপে,এইত আজ বাবুর
পড়া হয়েছে!সোনা বাবুটা,লক্ষ্নী বাবু।
বাবু---এভাবে বলবেন না ম্যাডাম,ভুলে আম্মু ডেকে ফেলতে পারি।



Monday, August 29, 2016

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দামি?
পত্রিকায় চোখ বুলিয়েই পেয়েছি বলে আতকে উঠলো হানিফ।
সহকর্মীরা উৎসুক হয়ে জানতে চায়,কী পেয়েছেন?
হানিফঃ সমাধান……
রফিকঃ কীসের সমাধান?
হানিফঃ বহুদিন ধরে শুনে আসছি,বাঁশের চেয়ে কঞ্চি মোটা… কথাটা
কিছুতেই মেলাতে পারিনি,সবে সমাধান পেয়েছি যে,মোটা নয় দামি।
খবর হ’লো,গত বছর ওয়াসার কর্মচারীগন মূল বেতন পেয়েছে ২৭কোটি
টাকা,আর একই সময়ের ওভারটাইম নিয়েছে ৫৬কোটি টাকা!!


১৪৫ বসন্ত পার, এখন শুধু মুক্তি চান তিনি

   
mbah gotho

এমবাহ গথো

মৃত্যুর পর তাঁকে যেখানে কবর দেওয়া হবে, সেই জায়গাটা নিজেই কিনে রেখেছেন তিনি। সেই চব্বিশ বছর আগে। ১৯৯২ সালে। কিন্তু আজও সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছেন ইন্দোনেশিয়া তথা পৃথিবীর প্রবীণতম নাগরিক এমবাহ গথো। বয়স? ১৪৫ বছর। জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই, সুখ-দুঃখের সাক্ষী এই বৃদ্ধ এ বার জীবন থেকেই ছুটি চাইছেন। স্পষ্টই বলছেন, ‘‘এখন আমি যেটা চাই সেটা হলো মৃত্যু। আর কিচ্ছু না। মৃত্যুর জন্য পুরোপুরি তৈরি আমি।’’ একটি ব্রিটিশ দৈনিক সম্প্রতি গথোকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ ছেপেছে। তাতেই বিশ্বের ‘প্রবীণতম’ মানুষ নিজের শেষ ইচ্ছের কথা বলে রেখেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার মধ্য জাভার স্রাগেন এলাকার বাসিন্দা গথোর জন্ম ১৮৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গথোর পরিচয় পত্রে জন্মের যে সাল-তারিখ দেওয়া রয়েছে সেটি খাঁটি। অর্থাৎ গথোর আসল বয়স ১৪৫ বছর।
তা হলে তিনিই কি এখন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ? গিনেসের মতো রেকর্ড সংস্থা এখনও এ নিয়ে মুখ খোলেনি। কারণ নিজেদের মতো করে তথ্য যাচাই করে তবেই গথোকে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষের আখ্যা দিতে পারে তারা। এত দিন পর্যন্ত ১২২ বছরের ফরাসি নাগরিক জঁ ক্যালমন্তকেই বিশ্বের প্রবীণতমা নাগরিক বলে ধরা হতো। ১৯৯৭ সালে মারা যান তিনি। তার পর ১২২ বছরের বেশি কেউ বেঁচে ছিলেন, এমন তথ্য কোনও সংস্থার রেকর্ডেই নেই।
তবে রেকর্ডের মতো বিষয় নিয়ে এখন আর মাথা ঘামাতে চান না গথো। শুধু চান পৃথিবীকে বিদায় জানাতে। নিজের সন্তানদের কবর যেখানে, তার পাশেরই কোনও কবরে নিশ্চিন্তে চিরনিদ্রায় থাকতে। গথোর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ ভাই-বোন ছিল তাঁর। তবে তাঁদের কেউই এখন আর বেঁচে নেই। ছিলেন চার স্ত্রী এবং প্রচুর সন্তানও। একে একে সবাই তাঁকে ছেড়ে গিয়েছেন।
গথো এখন থাকেন নাতির পরিবারের সঙ্গে। পরিবারের এক জন জানালেন, গথোর দৃষ্টিশক্তি এখন এতটাই ক্ষীণ যে বেশ কয়েক বছর হলো আর টিভি দেখতে পারেন না বৃদ্ধ। রেডিওতে নানা অনুষ্ঠান শুনে সময় কাটে। শেষ তিন মাস বিছানা ছেড়ে ওঠা-হাঁটাও বন্ধ। চামচে করে খাইয়ে দেন বাড়ির কেউ। স্নানটুকুও করিয়ে দিতে হয় এখন। তবে কিছু বছর আগে পর্যন্তও নিয়মিত ধূমপান করতেন বৃদ্ধ। ছিল টানটান শরীরে হাঁটাচলার অভ্যাসও।
১৪৫ বছর ধরে গোটা পৃথিবী নিজের চোখের সামনে বদলে যেতে দেখেছেন গথো। দেখেছেন দু’দু’টো বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু এখন জীবনের কোনও পরিবর্তনই আর টানে না তাঁকে। এতগুলো বছর বেঁচেছিলেন কোন জাদুমন্ত্রে? ‘‘ধৈর্য। জীবনের রসদ একমাত্র ওটাই ছিল,’’ তৎক্ষণাৎ জবাব দিলেন ১৪৫-এর বৃদ্ধ।

এক ঘুষিতে ২ বছরের শিশুকে মেরে ফেললেন মায়ের প্রেমিক!

child

মৃত সেই শিশু।

কেনাকাটা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত। আর তার জেরেই প্রেমিকার ২ বছরের ছেলেকে এক ঘুষিতে মেরে ফেললেন প্রেমিক!
নিউ জার্সির ঘটনা।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের ঝামেলা দেখে কাঁদতে শুরু করেছিল ২ বছরের জ্যামিল বাস্কারভিল জুনিয়র। সেটা সহ্য করতে পারেননি অভিযুক্ত জ্যাকারি ত্রিকোচে। ছোট্ট শিশুটিকে মাথার উপর হাত তুলতে বলেন তিনি। তার পরই আচমকা সজোরে পেটে ঘুষি মারেন। জ্যামিল ছিটকে দেওয়ালে গিয়ে পড়ে। তার মাথায় আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারায় সে।
শিশুটির এই অবস্থা দেখে ৯১১-য় ফোন করে তার মা। শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের কাছে ওই মহিলা তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। উল্টে তিনি বলেছেন, তার ছেলে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর প্রেমিকই তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে চিকিত্সকেরা পরীক্ষা করার পর জানিয়ে দেন, শিশুটির পেটে খুব জোরে আঘাত করা হয়েছে। যার জেরে তার লিভার ফেটে গিয়ে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলার প্রেমিককে। 

হতাশা নয়

হতাশা,উদ্বিগ্নতা ও দুশ্চিন্তায়
মোটা ব্যক্তি হয় হ্যাংলা-পাতলা ও শীর্ণ,
যুবকের চুল পাকে আর
অকালে বৃদ্ধ হয় মনে।
ভক্ষণে কারো ক্ষত হয় না তবে
হতাশা,উদ্বিগ্নতা ও দুশ্চিন্তায়
আপনি ক্ষতাক্রান্ত হবেন,
উচ্চরক্তচাপে হার্টের ক্ষতি বাড়ে
ড়ায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধে।
আর অতীত ও ভবিষ্যৎ নয়,আজকের
এই দিনকে উপভোগ করুন,
দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন গড়ুন।
বিদেশি বিনিয়োগের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ
---------------------------------------------------
গুলশন হামলার পাণ্ডাদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান চলছেই। সেই সঙ্গে নাশকতা পরবর্তী বাণিজ্যিক ক্ষত মেরামতেও একই রকম মনোযোগ দিয়ে চলতে চাইছে হাসিনা সরকার।বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মাসিউর রহমান। আজ তিনি বলেন, ‘‘গুলশন কাণ্ডের ফলে কোনও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা আমরা দেখছি না। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’তাঁর দাবি, ১ জুলাইয়ের নাশকতার পরে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে গেল গেল রব পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের শহর এবং গ্রামে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। মাসিউরের কথায়, ‘‘হোলি আর্টিজান বেকারি আক্রান্ত হওয়ার পর যে সব দেশ আমাদের বড় বড় প্রকল্পে সাহায্য এবং বিনিয়োগ করছিল, তারা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই যে, কোনও বিনিয়োগকারী দেশ তাদের প্রকল্প গুটিয়ে নিয়েছে বা বরাদ্দ কাটছাঁট করছে।’’তবে গুলশন নাশকতার পরে আতঙ্কের জেরে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিদেশিরা। কোথাও প্রকাশ্যে, কোথাও গোপনে। যেমন নারায়ণগঞ্জের কাছে সিদ্ধিগঞ্জে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে ৩৩৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্পেনীয় সংস্থার ৫ ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ ছেড়েছেন। জাপানের সংস্থা জাইকা বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। ৬ জন ইতালীয় হত্যার ঘটনাটিও বড় সহজ ভাবে নেয়নি রোম। ওই ৬ জনই ইতালীয় পোশাক কারখানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা যে সর্বশক্তি দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নেমেছে তা মাসিউরের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীর আস্থাও ফিরে আসছে।
৫২ বছর পর গৃহযুদ্ধে বিরতি, গণভোটে শান্তি খুঁজছে কলম্বিয়
টানা ৫২ বছরের যুদ্ধে অগত্যা পূর্ণচ্ছেদের ইঙ্গিত কলম্বিয়ায়। স্থানীয় সময় সোমবার মাঝরাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার কথা ঘোষণা করল দেশের বামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘দ্য রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া (ফার্ক)। সরকারের তরফে যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ এসেছিল দিন চারেক আগেই। এ বার তাতে সায় দিলেন ফার্ক নেতা টিমোলিওন হিমেনেজ।তাঁর ঘোষণা, ‘‘পারস্পরিক প্রতিহিংসা আর বিদ্বেষ এখন অতীত। যুদ্ধে নিহত সন্তানের লাশ আর বইতে হবে না কাউকেই।
’’ দু’পক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার কথা ২০ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ২ অক্টোবরের গণভোটে স্থির হবে দেশের ভবিষ্যৎ। আপাতত তাই শুধুই ‘শান্তি-মহড়া’।শান্তি ফেরানোর এই পর্ব শুরু হয়েছিল ২০১২-য়। কিউবার রাজধানী হাভানায় চার বছর ধরে চলে ধারাবাহিক শান্তি-বৈঠক। বিস্তর আলোচনার পরে সেই হাভানা থেকেই অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল ফার্ক। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের নেতা টিমোলেন বলেন, ‘‘আমি আমার দলের প্রতিটি সদস্যকে এখন থেকেই কলম্বিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সব ধরনের হামলা বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছি।’’ তিনি জানান, সরকারি তরফে যুদ্ধবিরতির আশ্বাস পেয়েই এই সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে ফার্কের গেরিলা যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত হাজার। সূত্রের খবর, নেতার নির্দেশ মোতাবেক এরই মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছেন। গত বুধবারই হাভানা থেকে যৌথ ভাবে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করা হয়। এ বার হামলা বন্ধের নির্দেশ এল বিদ্রোহীদের তরফে।প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়্যাল স্যান্টোসও যেন এই ঘোষণার অপেক্ষাতেই ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ফার্কের উপর হামলা বন্ধের ডিক্রি জারি করেন তিনি। যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সোমবার মাঝরাত থেকে। বিদ্রোহীদের থেকে তাতে ইতিবাচক সাড়া পেয়েই তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘ঐতিহাসিক দিন আজ। অবশেষে দ্বন্দ্ব মিটল দু’পক্ষের।’’সত্যিই কি মিটল? আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলের একাংশ এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন। কলম্বিয়ার লা শাবাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দেশের প্রথম সারির নিরাপত্তা বিশ্লেষক কার্লোস আলফোনসো ভেলাজকুয়েজের দাবি, ‘‘যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আবার একটা পরীক্ষাও বটে।’’তাই দু’পক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি সই ও তার পরের অধ্যায় ঘিরে সংশয় থাকছেই। থাকারই কথা। যুদ্ধটা যে ৫২ বছরের!১৯৬৪ সালে কলম্বিয়া সরকারে দ্বিচারিতা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্র তুলে নেয় সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র সংগঠন। প্রাথমিক পর্বে মূলত ছোট কৃষক এবং শ্রমজীবীরাই তিল-তিল করে গড়ে তোলে দেশের সব চেয়ে বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ফার্ক। ২০০২-এ তাদের যোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় বিশ হাজারে। যার মধ্যে একটা বড় অংশ আসে শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেও। ফার্ক জন্ম নেওয়ার আগেও টানা ১০ বছর গৃহযুদ্ধের আঁচ পোয়াতে হয়েছে কলম্বিয়াকে। যদিও কলম্বিয়া সরকারের দাবি, পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফার্ক-ই তাদের সব চেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে।
এই দীর্ঘ সময় ধরে দু’পক্ষই অনড় ছিল। ২০০৮-এ দেওয়ালে পিঠ ঠেকতে শুরু করে ফার্কের। কূটনীতিকদের দাবি, এর পর থেকেই সমঝোতার কথা ভাবতে শুরু করে বিদ্রোহীরা। হাভানায় শুরু হয় শান্তি প্রক্রিয়া। তত দিনে অবশ্য বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘমেয়াদী এই যুদ্ধের জেরে মারা গিয়েছেন আড়াই লক্ষেরও বেশি। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ৭০ লক্ষ। ৫২ বছরের যুদ্ধ শেষের আশায় এ বার তাঁরাও ফিরতে চাইছেন আগের ঠিকানায়। বাঁচতে চাইছেন শান্তিতে।
বোল্ট ও গোমাংস

গোমাংস বিতর্কে এ বার নাম জড়াল জামাইকার অ্যাথলিট উসেইন বোল্টেরও! বিজেপি সাংসদ তথা দলিত নেতা উদিত রাজ সোমবার একটি বিতর্কিত টুইট করেন। লেখেন, ‘‘জামাইকার উসেইন বোল্ট গরিব ছিলেন। কিন্তু ওঁর প্রশিক্ষক ওঁকে দিনে দু’বার গরুর মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর তাই অলিম্পিক্সে বোল্ট ন’টি সোনা জিতেছেন।’’ এর পরেই টুইটারে কেউ কেউ লেখেন, উদিত নাকি সরাসরি গোমাংস খাওয়ার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন। নিজের বক্তব্য থেকে ঘুরে যান উদিত। জানান, তিনি মোটেও গোমাংস খাওয়ার জন্য কাউকে উস্কানি দিচ্ছেন না। এর ব্যাখ্যায় পরে বেশ কয়েকটি টুইটও করেন তিনি। উদিত লেখেন, ‘‘আমি জামাইকার উদাহরণ দিয়েছি কারণ অনুন্নত পরিকাঠামো আর দারিদ্র সত্ত্বেও বোল্ট ন’টি সোনার পদক জিতেছেন। আমাদের দেশের খেলোয়াড়রাও বোল্টকে দেখে সাফল্যের রাস্তা খুঁজতে পারেন।’’
হাসিনার সঙ্গে কেরির বৈঠক

সন্ত্রাসের বিরোধিতায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে চায় আমেরিকা। সোমবার ঢাকায় ঝটিকা সফরে এসে এমনটাই বার্তা দিয়ে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন কেরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে ভবিষ্যতে পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি। পারস্পরিক সম্পর্কের আরও কয়েকটি বিষয় নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে দু’দেশের। বৈঠকের ফাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ঘুরে দেখেন কেরি। শ্রদ্ধা জানাতে যান তাঁর বাড়িতেও। সব মিলিয়ে মাত্র ৯ ঘণ্টা ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তাঁর এই সফর ঘিরে আশাবাদী ঢাকার কূটনীতিক মহল।

ইয়েমেনে গাড়ি বোমায় হত ৬০ আহত ২৯


গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ইয়েমেনের আদেন শহরে প্রাণ হারালেন অন্তত ৬০ জন। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার ভোরে দক্ষিণ আদেনের একটি সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে হামলাকারী। শিবিরটি মূলত সরকারপন্থী সেনাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার হত। সেটির দরজা বন্ধ থাকলেও একটি লরি ঢোকার জন্য দরজা খোলা মাত্র ভিতরে ঢুকে পড়ে গাড়িটি। মৃত্যু হয় ৬০ জনের। আহত ২৯। নিজেদের প্রচারপুস্তিকায় এ দিনই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।

ব্রাসেলসে হামলা

---------------------------------------------
ব্রাসেলসের জাতীয় ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, সোমবার গাড়ি নিয়ে পাঁচিল ভেঙে ঢুকে পড়ে তারা। আগুন লাগিয়ে দেয় ভিতরে। পুড়ে যায় পরীক্ষাগারের একটা দিক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ি। সূত্রের খবর, ব্রাসেলস ইনস্টিটিউট অব ক্রিমিনোলজি নামে ওই পরীক্ষাগারে সন্ত্রাসবাদী হামলা সংক্রান্ত নানা প্রমাণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলত। সেই প্রমাণগুলি নষ্ট করার জন্যই আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।

Saturday, August 27, 2016

ভারতে চামড়ার জোগানে টান, সমস্যার মুখে শিল্প


 
 


 

pic

গো-হত্যা ঘিরে রাজনীতির মাসুল গুনছে দেশের চর্মশিল্প।কাঁচা চামড়ার জোগানের টানে সমস্যার পাঁকে ট্যানারি। কাজ হারানোর মুখে প্রায় দু’লক্ষ শ্রমিক। আবার ভিন্‌ দেশ থেকে নগদে কাঁচামাল কিনতে বাধ্য হওয়ায়, টান পড়ছে মূলধনে। ফলে উৎপাদন ছাঁটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। কমছে রফতানিও। এই জোড়া সঙ্কটে জেরবার হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও।
চর্ম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গো-হত্যা নিয়ে বিতর্ক। বিভিন্ন রাজ্যে তা বন্ধ করার ফরমান। আর সব থেকে বেশি করে রাজনৈতিক পরিসরে এ নিয়ে ক্রমাগত জলঘোলা হতে থাকা। মূলত এই ত্র্যহস্পর্শেরই বলি দেশের ১,১০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা) চর্মশিল্প। পরিস্থিতি এমনই যে, কাঁচা চামড়ার অভাবে খাবি খাচ্ছে দেশের প্রায় দেড় হাজার ট্যানারি। রুজি-রুটি হারাচ্ছেন সেখানে কাঁচা থেকে তৈরি চামড়া প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত বহু শ্রমিক।
সমস্যার শিকড় কোথায়, তা এ রাজ্যের উদাহরণ থেকেই স্পষ্ট। কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে চর্মশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচা চামড়ার মাত্র ২০% স্থানীয়। বাকি ৮০% আসত অন্য রাজ্য থেকে। তার মধ্যে আবার ২৫ শতাংশের জোগান দিত একা মহারাষ্ট্রই। কিন্তু গো-হত্যা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই জোগান কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ চামড়া ব্যবসায়ীদের। তাঁদের কথায়, অনেক রাজ্য থেকে কাঁচা চামড়া আসা ৪০-৫০% কমে গিয়েছে। কোথাও থেকে আসা একেবারে বন্ধ। এই অবস্থায় জোড়া সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
প্রথমত, কাঁচা চামড়া কেনার পরে বিভিন্ন ধাপে তার প্রক্রিয়াকরণ করা হয় ট্যানারিতে। তৈরি হয় চামড়ার চাদর। তার থেকে ব্যাগ-জুতো-বেল্টের মতো বিভিন্ন চর্মপণ্য তৈরি করে সংস্থাগুলি। এখন ভিন্‌ রাজ্য থেকে কাঁচামালের জোগানে টান পড়ায় বিদেশ থেকে তা আমদানিতে বাধ্য হচ্ছে তারা। কিন্তু সমস্যা হল, বিদেশ থেকে সরাসরি প্রক্রিয়া করা চামড়াই কিনতে হয়। ফলে ট্যানারির কাজ কার্যত থাকছে না। আমদানি বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক, দু’পক্ষই সমস্যায়। বানতলার চর্ম ব্যবসায়ী ও কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের সদস্য জিয়া নাফিসের অভিযোগ, এই কারণে দেশে প্রায় দু’লক্ষ কর্মী রুজি-রুটি হারানোর মুখে।
দ্বিতীয়ত, এই কারণে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। কলকাতা লেদার ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্তা ইমরান আহমেদ খান জানান, আমদানি বেড়ে যাওয়ায় নগদ টাকায় টান পড়ছে। কারণ, ভিন্‌ রাজ্য থেকে কাঁচা চামড়া কেনার টাকা মেটাতে সময় পাওয়া যেত। কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানির টাকা মেটানোর পরে তবে সেই কাঁচামাল হাতে আসে। ফলে বাধ্য হয়ে উৎপাদন কমাচ্ছেন অনেকে।
আর এই ছবি শুধু এ রাজ্যের নয়। সারা দেশেরই। গো-হত্যা নিয়ে রাজনীতির আকচাআকচিতে সঙ্কটে ১,৫০০ ট্যানারি। অথচ চর্মশিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১০ লক্ষ মানুষের রুজি-রোজগার। রাজনীতি আর সরকারি ফরমান নিয়ে বিভ্রান্তি চর্মশিল্পকে কতখানি অসুবিধায় ফেলেছে, তা স্পষ্ট জুনেজার কথাতেই। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গো-হত্যা অনেক জায়গায় নিষিদ্ধ। কিন্তু অন্য রাজ্য থেকে মোষ এমনকী ছাগলের চামড়া নিয়ে আসতেও বাধা দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। মোটা অঙ্কের তোলা চাইছে। চাহিদা না-মিটলে মারধরও করা হচ্ছে।’’
দেশে কাঁচা চামড়ার জোগান কী ভাবে কমেছে, তা স্পষ্ট তৈরি চামড়া আমদানির বাড়বাড়ন্তের পরিসংখ্যানে। ২০১৪-’১৫ সালে ৩৫০ কোটি টাকার তৈরি চামড়া আমদানি করেছিল ভারত। ২০১৫-’১৬ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৬০০ কোটি। বৃদ্ধি প্রায় ৭০%। গত এক বছরে ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড ও আফ্রিকায় চামড়ার রফতানি বেড়েছে প্রায় ১৫%।
একে ইউরোপ-সহ বিশ্ব বাজারে চাহিদায় ভাটা। তার উপর কাঁচা চামড়ার সমস্যা প্রতিযোগিতায় আরও পিছনে ঠেলছে ভারতকে। ২০১৪-’১৫ সালে চামড়ার জিনিসের মোট রফতানি ছিল ৬৪৯ কোটি ডলারের বেশি। ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে তা নেমে এসেছে ৫৮৬ কোটি ডলারে।কমে গিয়েছে প্রায় ১০%।
ভারতে সারোগেসি নিয়ণ্ত্রণে বিল
টাকার বিনিময়ে আর মাতৃজঠোর ভাড়া নেওয়া যাবে না। নিঃসন্তান দম্পতি প্রয়োজনে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে থেকে সারোগেট মা নির্ধারণ করতে পারেন। তবে কোনও মতেই তাতে টাকার লেনদেন করা চলবে না। আর এই আইন অমান্য করলেই এক জনকে সর্বাধিক ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে। সারোগেসির আড়ালে বেআইনি ব্যবসা রুখতে সারোগেসি নিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করতে চলেছে কেন্দ্র। তার আগে বুধবার সারোগেসি বিলের এই খসড়া সামনে আনল কেন্দ্রীয় সরকার। অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে তা পেশ করা হবে।
এই বিল অনুযায়ী, কেউ সারোগেট মা হতেই পারেন। তবে, তাতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আনা হচ্ছে। যেমন, তাতে কোনও রকম আর্থিক লেনদেন থাকলে চলবে না। শুধুমাত্র তাঁর যাবতীয় চিকিৎসার খরচটাই বহন করতে পারবেন এক জন। তার উপর যিনি সন্তানের জন্য সারোগেসির সাহায্য নিতে চাইছেন, তাঁকে ন্যূনতম ৫ বছর দাম্পত্যজীবন অতিবাহিত করতে হবে। উপরন্তু তাঁকে বন্ধ্যাত্বের যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হবে। এর পর নিজের আত্মীয়ের মধ্যে কাউকে সারোগেট মা হিসাবে নির্বাচন করতে পারেন। তবে কোনও বিদেশি সারোগেট মা হতে পারবেন না। এমনকী, সেই বিদেশি আত্মীয় হলেও তাঁর সেই অধিকার থাকবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে শিশুর নাগরিকত্ব, ভিসা ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়ে থাকে। তবে এই আত্মীয় শব্দটিকে স্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। বিল অনুমোদনের পরই তা জানা যাবে।
শুধু তাই নয়, সারোগেসিতে স্বচ্ছতা আনতে এবং একে কেন্দ্র করে দেশে মাথাচাড়া দিতে থাকা বেআইনি ব্যবসার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন একটি বোর্ডও গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন করে কোনও সারোগেসি ক্লিনিকের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

জরিপঃসেপারেশনে এগিয়ে হিন্দুরা, মুসলিমরা ডিভোর্সে


divorce
স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ভারতীয় মেয়েদের স্টেটাস ঠিক কী হয়? তাঁরা কী আইনি পথে হাঁটেন নাকি সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন থেকেই কাটিয়ে দেন বাকি জীবনটা? কতজন দ্বিতীয় বার বিয়ের করার সিদ্ধান্ত নেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখা গিয়েছে আইনি বিচ্ছেদ ও সামাজিক বিচ্ছেদ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থান অনেকটাই প্রভাব ফেলে। ২০১১ সালে প্রকাশিত জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী, আইনি ও সামাজিক বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের মধ্যে। সবচেয়ে কম জৈনদের মধ্যে। হিন্দু ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হিন্দুরা সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বেশির ভাগ সময়ই আইনি বিচ্ছেদের সাহায্য নেন না। অপরদিকে মুসলিমরা বিবাহবন্ধন থেকে বেরিয়ে আসার পর আইনি বিচ্ছেদের মাধ্যমে নিষ্পত্তি ঘটাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। অন্য দিকে, স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে বিধবা বা বিপত্নীক হয়ে জীবন কাটানোর তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছেন বৌদ্ধরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে খ্রিস্টান এবং হিন্দুরা। শিখ ও মুসলিমদের এই প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম।
হিন্দুদের মধ্যে ডিভোর্স আইনত বৈধ হলেও অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক কারণে অনেক মহিলা আলাদা থাকার পরও ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন না। সেই কারণেই এ দেশে প্রতি হাজার জন বিবাহিত হিন্দু মহিলার মধ্যে আলাদা থাকার মহিলার সংখ্যা যেখানে ৫.৫, সেখানে ডিভোর্স করেন মাত্র ১.৮ জন। বিচ্ছিন্ন থাকাদের মধ্যে স্বামী পরিত্যক্তারাও রয়েছেন। অবশ্য মুসলিমদের ক্ষেত্রে আইনি বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া অনেকটাই শিথিল। স্বামীর দেওয়া মৌখিক ‘তিন তালাক’-কেই আইনত বৈধ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ফলে ভারতের প্রতি হাজার জন মুসলিম মহিলার মধ্যে ৫ জন ডিভোর্সি। শিখ, জৈনদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ঘোরাফেরা করছে দুই থেকে তিনের মধ্যে। তবে ডিভোর্সি মহিলার সংখ্যায় মুসলিমদের কাছাকাছি রয়েছেন খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা।বৈধব্যের হিসেব করতে গিয়ে বরাবরাই দেখা গিয়েছে ভারতের সব ধর্মের মধ্যেই বিপত্নীকদের থেকে বিধবাদের সংখ্যা বেশি। গড় আয়ুর নিরিখে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আয়ু বেশি হওয়াকেই এর কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধর্মের ভিত্তিতে হিসেব করলে দেখা যায় ভারতে মুসলিমদের গড় আয়ু অন্যান্য ধর্মের তুলনায় বেশ কম।ফলে মুসলিম বিধবার সংখ্যাও তুলনামূলক ভাবে কম। প্রতি হাজার জন বিবাহিত মহিলার মধ্যে ৭৩ জন বিধবা। হিন্দু ও শিখদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৮৮। খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে ৯৭ ও বৌদ্ধদের মধ্য প্রতি ১০০০ জন বিবাহিত মহিলার ১০০ জন বিধবা।
এই রিপোর্টের সঙ্গেই প্রতি গোষ্ঠীর অবিবাহিতদেরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের জনগণনায়। দেখা যায় বিবাহযোগ্য পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে (২১ বছরের উর্ধ্বে পুরুষ ও ১৮ বছরের উর্ধ্বে মহিলা) অবিবাহিতদের সংখ্যা হিন্দুদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম। হিন্দুদের মধ্যে ১৬ শতাংশ পুরুষ ও ১০ শতাংশ মহিলা অবিবাহিত। যা থেকে হিন্দুদের মধ্যে অল্পবয়সে বিয়ের প্রবণতাও সামনে চলে আসে। অনেক ক্ষেত্রেই যা আইনত বিয়ের বয়সের আগেই সম্পন্ন হয়। অবিবাহিতদের মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই ধর্মের ২১ শতাংশ পুরুষ ও ১৮ শতাংশ মহিলা অবিবাহিতা। তবে সব ধর্মের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে অবিবাহিত মহিলাদের তুলনায় অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা বেশি। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, মহিলাদের উপর বিয়ে করে সংসারী হওয়ার সামাজিক এবং পারিবারিক চাপ অনেক বেশি হওয়াই এর কারণ।

হার্ট থেকে ত্বক সবটাই সুস্থ রাখবে কালো আঙুর!


 
 

 

grapes
ইতিহাস বলছে ৬-৮ হাজার বছর আগে ইউরোপে প্রথম শুরু হয় এই কালো আঙুরের চাষ। আমাদের দেশে সবুজ আঙুরের চেয়ে কালো আঙুরের জনপ্রিয়তা তুলনামূলক কম হলেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই আঙুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। শুধু হার্ট বা ত্বকই নয়, দৃষ্টিশক্তি থেকে শুরু করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এমনই বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় কালো আঙুর।তাই বেশি করে কালো আঙুর খান।

আইফোন ৭ হতে চলেছে সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ?


iphone7
এগিয়ে আসছে আইফোন ৭ লঞ্চের দিন। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে আইফোন জ্বর। মিসিং হেডফোন জ্যাক, ডবল ক্যামেরা লেন্স, আর কী কী থাকছে আইফোন ৭-এ? এ বার শোনা যাচ্ছে আইফোন ৭ হতে চলেছে সম্পূর্ণ ওয়াটার প্রুফ।
এই সপ্তাহের শুরুতেই অ্যাপেল ঘোষণা করেছে নতুন আইফোন জলের তলায়ও ছবি তুলতে পারবে। পেটেন্টও পেয়ে গিয়েছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ ও নোট৭ ওয়াটারপ্রুফ ঘোষণা করার পরই অ্যাপল এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়। তবে পেটেন্ট পাওয়ার পরই অ্যাপল মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এই ফিচার ব্যবহার করবে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে হে়ডফোন জ্যাক রিমুভ করার পর আশা করা যেতেই পারে এ বার আইফোন ওয়াটারপ্রুফ করার কথা ভাবছে অ্যাপল। হেডফোন জ্যাক পয়েন্ট থেকেই ওয়াটার ড্যামেজের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

কেন প্রাণের আশা উস্কে দিল ভিন গ্রহ প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি


 
 

 
PLANET-4

পৃথিবীর নতুন ‘বন্ধু’ এই ভিন গ্রহ ‘প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি’?

পয়লা নম্বর স্টপেজটা পেয়ে গেলাম আমরা! হাতের নাগালেই!
ভিন গ্রহে প্রাণ খোঁজার মহাকাশযাত্রায় ‘নাম্বার ওয়ান স্টপেজ’ হতে চলেছে প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি। সদ্য আবিষ্কৃত এই ভিন গ্রহটিকে নিয়ে বড় আশায় বুক বাঁধছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের জোরালো বিশ্বাস, প্রাণের হদিশ মেলার সম্ভাবনা যথেষ্টই আমাদের ঠিক ‘পাশের বাড়ির প্রতিবেশী’ আলফা সেনটাওরি সৌরজগতের এই পাথুরে গ্রহের। অনেকটাই আমাদের পৃথিবীর মতো এই ভিন গ্রহটি। তার সৌরমণ্ডলে যাকে ঘিরে পাক মারছে প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি গ্রহটি, সেই তারা বা নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটাওরির বেশ কাছেই রয়েছে এই ভিন গ্রহ। তবে এতটা কাছে থাকলেও, যাকে ঘিরে এই ভিন গ্রহের প্রদক্ষিণ, সেই নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটাওরি আমাদের সূর্যের মতো অতটা গনগনে আঁচে ফুটছে না। বরং সেই ‘সূর্য’টা অনেকটাই যেন নিভু নিভু আঁচের উনুন। আমাদের সূর্যের মতো সেই ‘উনুনে’র চেহারাটাও নয় খুব বড় মাপের। অনেকটাই বামন সে চেহারায়। অনেকটাই শান্তশিষ্ট নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটাওরি। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘রেড ডোয়ার্ফ স্টার’ বা লাল বামন নক্ষত্র। ফলে, তার চার পাশে পাক মারতে গিয়ে সদ্য আবিষ্কৃত ভিন গ্রহটির গা জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। জল থাকলে তা প্রচণ্ড তাপে উড়ে যাওয়ার শঙ্কাটাও কম নয়া গ্রহ প্রক্সিমা সেনটাোরি-বি-তে। জল যেহেতু জীবনের অন্য নাম, তাই সে ক্ষেত্রে এই ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোথাও প্রাণ খোঁজার যাত্রাপথে আমাদের পয়লা নম্বর স্টপেজটা হতে চলেছে প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি। আর মহাকাশের এ মুলুকে সে মুলুকে প্রাণ খুঁজতে ছোটার সফরে প্রথমেই এই ভিন গ্রহে থামতে হবে একটাই কারণে। তা হল, ভিন গ্রহ প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি রয়েছে আমাদের সবচেয়ে কাছে। লক্ষ-কোটি নয়, আমাদের সৌরমণ্ডল থেকে মাত্র ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে। যার মানে, সর্বাধুনিক মহাকাশযানের গতিবেগ যা, তাতে আজ যাত্রা শুরু করলে তা প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি ভিন গ্রহে পৌঁছবে ৭০ হাজার বছর পর। তবে আগামী দিনে মহাকাশযান চলবে লেজার রশ্মির তেজে। ফলে তা হয়ে যাবে অনেক দ্রুত গতির। তাই হাতে-কলমে প্রাণ খোঁজার অভিযান শুরু করতে প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি গ্রহে পৌঁছনোটাই হবে সহজতম কাজ।

তার নক্ষত্রের সামনে সেই ‘প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি’।
মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটউট ফর ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক দেবেন্দ্র ওঝা বলছেন, ‘‘আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে প্রথম ভিন গ্রহের আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে ২০ বছর আগে। ’৯৬ সালে। তার পর কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভিন গ্রহের হদিশ পেয়েছে। কিন্তু কোনও সৌরমণ্ডলে কোনও নক্ষত্রের ‘হ্যাবিটেবল জোন’ (জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে ‘গোল্ডিলক্‌স জোন’)-এ থাকা কোনও ভিন গ্রহের হদিশ মিলল এই প্রথম যা আমাদের সৌরমণ্ডলের এত কাছে রয়েছে। তাই প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি আমাদের সবচেয়ে কাছে থাকা কোনও ভিন গ্রহ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরমাণু অস্ত্রবাহী জাহাজ মিলল সমুদ্রের তলায়, দেখুন ভিডিও

warship-1

সমুদ্রের অতলে সেই জাহাজ।

পরমাণু অস্ত্রবাহী বিমান বয়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধজাহাজের খোঁজ মিলল প্রশান্ত মহাসাগরের অতলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ওই যুদ্ধজাহাজটি বহু দিন আগে তলিয়ে গিয়েছিল সমুদ্রে। প্রশান্ত মহাসাগরের আধ মাইল গভীরে ওই যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস ইন্ডিপেন্ডেন্স’-এর ভাঙাচোরা অংশগুলির খোঁজ পেল সমুদ্রবিজ্ঞানী রবার্ট বাল্লার্ডের নেতৃত্বে একটি অভিযাত্রী দল। পরীক্ষামূলক ভাবে পরমাণু অস্ত্রবাহী বিমান ওড়াতে গিয়েই ওই মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি সমুদ্রের অতলে তলিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযাত্রীরা জানিয়েছেন।