Wednesday, May 31, 2017





গুগল এ্যাডসেন্স সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি এ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম। এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে উপার্জনের জন্য I

Tuesday, May 30, 2017

ঘুষ নেবার সময় শিক্ষা পরিদর্শককে 

ফাঁদ পেতে ধরেছে দুদক

ঘুষের দুই লাখ টাকাসহ সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর পল্টনের পলওয়েল মার্কেট এলাকা থেকে ‘ফাঁদ পেতে’ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের অনুকূলে রিপোর্ট দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান। কমিশন আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ বিষয়ে ‘ফাঁদ মামলা’ পরিচালনার অনুমোদন করে।
মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষের টাকার প্রথম কিস্তি বাবদ ২ লাখ টাকা নিতে রাজধানীর পলওয়েল মার্কেটের সামনে যায় মোস্তাফিজুর রহমান। ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি বিশেষ টিম মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে ধরে ফেলে। তাৎক্ষণিকভাবে তার দেহ তল্লাশি করে আরও ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক নূর-ই-আলম বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য মোস্তাফিজুর রহমান বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২৯তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।

মেয়েদের কাছে ভালো ছেলেরা অপছন্দের কেন? 

ভালো ছেলেদের আত্মসম্মান বেশি। তারা নিজে থেকে কারোও সঙ্গে আলাপ করাটা অসম্মানের বলে মনে করে। কেউ আলাপ করতে আসলেও আগ্রহ দেখান না। আর আলাপ শুরু না হলে প্রেম শুরু হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। ভালো ছেলেদের 'বোকা' মনে করে মেয়েরা। তাদের মতে, ভালো ছেলেরা একটু একঘেয়ে ও বিরক্তিকর হয়। তাই এমন কথা প্রচলিত আছে যে, প্রেম করার ক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো ছেলেদের এড়িয়ে চলে। কিন্তু কেন? এর অসংখ্য উত্তর পাওয়া যাবে। প্রবাদ আছে- 'অতিরিক্ত ভালো ভালো নয়। কথাটা বাস্তবে কতটুকু সত্য সে আলোচনায় না গিয়েও এটুকু বলা যায়, অতিরিক্ত ভালোমানুষী কখনো সখনো বিপদও ডেকে আনে। মাঝে মাঝে স্বার্থ সিদ্ধিতে কৌশলী হতে হয়, ছলছাতুরী জানতে হয়। কিন্তু ভালো ছেলেরা এসবকে প্রতারণা বলে ভেবে দূরে থাকেন। ফলে কাউকে মুগ্ধ করা তাদের জন্য বেশ কঠিন।
ভালো ছেলেরা খুব কমই সংসারের বাইরে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রেম করার ক্ষেত্রে এসব ছেলেদের মেয়েরা এড়িয়ে চলে। কারণ সম্পর্কের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। সমাজে তথাকথিত ভালো বলে যাদের অভিহিত করা হয়, তারা সাধারণত পড়াশুনা, ক্যারিয়ার, পরিবার নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। ফলে প্রেম করা তাদের হয়ে উঠে না। মেয়েদের পছন্দ-অপছন্দের তালিকায় আসা তো পরের ব্যাপার।  
ভালো ছেলেরা সব বিষয়েই বেশি সিরিয়াস আর আধিপত্যশীল। প্রেমের বেলায়ও তার ব্যতিক্রম নয়। শুরু থেকেই প্রেমিকার ওপর প্রভাব খাটানো শুরু করে। তাই অন্যের অভিজ্ঞতা থেকেও মেয়েরা এসব ছেলেদের অপছন্দ করে।  
কদাচিৎ সম্পর্ক তৈরি করতে পারে বলে সম্পর্কের প্রতি এসব ছেলেদের বেশি আবেগ কাজ করে। তুচ্ছ কারণেও তাদের প্রচুর অভিমান-ক্ষোভ। যাতে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।  
'আপ ভালো তো জগত ভালো' নীতিতে বিশ্বাস করে বলে ভালো ছেলেরা বেশি ঠকে। ফলে মেয়েদের সঙ্গে কোনো কারণ ছাড়াই তারা দূরত্ব তৈরি করে চলে। আর এর কারণেই মেয়েরা ভালো ছেলেদের অহঙ্কারী মনে করে।   

ঈদে কেনাকাটা

ঈদ পোশাকে নতুনত্ব এসেছে

এবার ঈদের সময় গরম থাকবে। বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে উজ্জ্বল রং। তাঁত, সুতি, অ্যান্ডি সুতি, অ্যান্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, পিওর সিল্ক, আদ্দি ভয়েল ও জয় সিল্কের কাপড়ের পোশাক বেশি এসেছে। পাওয়া যাচ্ছে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক সব পোশাক।
সাদা-কালো : এবারের ঈদে প্রতিষ্ঠানটি ডটের ওপর নতুন স্লোগান বা থিম নিয়ে কাজ করেছে। প্রতিটি পোশাকে চেকের মধ্যে সাদা-কালো ডিজাইন করা হয়েছে। ঈদে সাদা-কালোর পোশাকে নতুন আয়োজন হিসেবে রয়েছে হাতের কাজ। সাদা-কালোর ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হাতের কাজ মোটিফ দিয়ে ঈদ উপলক্ষে নানারকম ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, ফতুয়া, থ্রিপিস, আনস্ট্রিজ থ্রিপিস, ওড়না, ব্লাউজ, পায়জামা ও কুর্তা। পোশাকে হাতের কাজের প্রাধান্যের পাশাপাশি স্ক্রিন এবং ব্লক প্রিন্টে কাজ করেও হাতের কাজ মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। হাউস অনামেন্স-এর মধ্যে রয়েছে বেড শিট, মেট, ওয়ালম্যাট, টেবিলম্যাট ও বেড কভার। এ ছাড়াও রয়েছে বাবা-ছেলে, মা-মেয়ে একই রকম যুগল পোশাক। গিফটের জন্য বই ও আকর্ষণীয় মগ রয়েছে। সাদা-কালোয় শাড়ির দাম পড়বে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা, থ্রিপিস ১ হাজার ৫৫০ থেকে ৬ হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ৮৮০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে, আনস্টিচ থ্রিপিস ১ হাজার ৭৫০ থেকে ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া সাদা-কালোর নতুন আয়োজন মাতৃত্বকালীন পোশাক। এর মধ্যে রয়েছে সালোয়ার, ম্যাক্সি, টপস এবং বিশেষ ধরনের জুতা। মাতৃত্বকালীন এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৮৫০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনেক রং থাকলেও আমাদের মাত্র দুটি রং। বিষয়টি চিন্তা করেই আমরা ডিজাইন ও দাম নির্ধারণ করেছি। দেশি পোশাক হওয়ায় মানুষের কাছে পছন্দও বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার আমাদের কালেকশনও বেশি। বিক্রিও বেশি হবে বলে আশা করছি। 
দেশাল : দেশি তাঁতের ওপর লোকজ ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে দেশালের ঈদ কালেকশন সাজানো হয়েছে বলে জানান শোরুম ম্যানেজার রেহানা আক্তার। নানা ডিজাইনের টপস, লেহেঙ্গা, ঢুল সালোয়ার, টুপিস, টাঙ্গাইলের শাড়ি, পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিস, ছেলেদের ফতুয়া, বাচ্চাদের ফ্রক, ফতুয়া, শর্টশার্ট, বড়দের শর্টশার্ট নিয়ে সকলের জন্য নানা পোশাকের সব আয়োজন রয়েছে। মেয়েদের ফতুয়া (টপস) নিয়ে নতুন সাজে সেজেছে ‘দেশাল’। ঈদ সামনে রেখে দেশীয় পোশাক কালেকশনে রয়েছে রেহানা আক্তার। তিনি বলেন, ‘নতুনত্বকে প্রাধান্য দেওয়াই আমাদের কাজ। তাই এ ঈদে দেশালের পোশাকে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় দামও তত বাড়েনি বলেও জানান তিনি। ঈদে নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিস, ছেলেদের ফতুয়া, বাচ্চাদের ফ্রক, ফতুয়া, বাচ্চাদের টুপিস, শর্টশার্ট, বড়দের শর্টশার্ট সবই পাওয়া যাচ্ছে। বরাবরের মতো এবারও পাখি, প্রজাপতি, হাতি-ঘোরার স্ক্রিনপ্রিন্টের সব মোটিভ ফুটে উঠেছে পোশাকে। থ্রিপিস ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, থ্রিপিস ছোটদের ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা। ফতুয়া ৪৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, টুপিস (বাচ্চাদের) ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা, টপস ৬৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, ছেলেদের পাঞ্জাবি ৮৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এ ছাড়া মেয়েদের টপস ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাচ্চাদের সালোয়ার-কামিজ ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে কেনা যাবে।

Monday, May 29, 2017

ওয়ান্ডার চাইল্ডের কাণ্ড-কারখানার ভাইরাল ভিডিও: জন্মের পরই হাঁটছে এই শিশু!

শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই ঠিক কী কী করতে পারে? এমন প্রশ্ন করলে প্রায় সকলের থেকে একই ধরনের উত্তর আসা করা যায়। সদ্যোজাতর চোখও ফোটে না। কান্না ছাড়া আর কী-ই বা সম্ভব। এ যাবৎকাল সদ্যোজাতর এমন স্বভাবেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষের চোখ। কিন্তু এবার যা ঘটল, তাকে চিকিৎসকরা ‘মিরাকল’ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছেন না।
ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই নাকি হাঁটতে পারছে এই শিশু। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও তো সেই প্রমাণই দিচ্ছে। হাসপাতালের বিছানায় প্রসবের ঠিক পরই ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে নার্সের হাতে ভর দিয়ে দিব্যি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে সে।
এ সত্য যেন বিজ্ঞানের সব তথ্যকে এক্কেবারে গুলিয়ে দিয়েছে। সদ্যোজাতের হাড় অত্যন্ত নরম হওয়ায় তার ঘাড় সোজা হতেও কয়েক মাস সময় লাগে। হাত, পায়ের হাড়ও নরম হওয়ায় চলা ফেরার প্রশ্নই ওঠে না। আড়াই-তিন বছরের আগে সাধারণত শিশুরা একেবারেই হাঁটতে পারে না। আর সেখানে জন্মের পরমুহূর্তেই এমন কাণ্ড তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। ভিডিও কোথাকার, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ওয়ান্ডার চাইল্ডের কাণ্ড-কারখানা আপাতত ভাইরাল হয়ে গেছে৷
টিভির পর্দায় অনেক সময় সদ্যোজাতদের নিয়ে মজার বিজ্ঞাপন তৈরি হয়। দেখানো হয়, শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েই কখনো চিকিৎসকের স্মার্টফোন ঘাঁটছে, আবার কখনো কথা বলতে শুরু করে দিচ্ছে।
সেসব বিষয় কাল্পনিক হলেও দর্শকরা ভালোই উপভোগ করেন। কিন্তু এমন বাস্তব কি অতীতে কারো চোখে পড়েছে? নেটিজেনদের অনেকেই মজা করে লিখেছেন, ৪জি-র জমানায় জন্মের পর এভাবেই দ্রুত বড় হয়ে যাচ্ছে শিশু। অনেকে আবার সদ্যোজাতকে ‘স্পেশাল’ মনে করে ঈশ্বরের চমৎকার বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
দেখুন ভিডিওটি :


জেনে নিন কত নম্বর সংকেতে কি হয় 

১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত : এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পার। (একটি লাল পতাকা)
২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত : সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত : এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন (দুইটি লাল পতাকা)।
৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত : এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫ নম্বর বিপদ সংকেত : এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।
৬ নম্বর বিপদ সংকেত : এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।
৭নং বিপদ সংকেত : এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (তিনটি লাল পতাকা)
৮ নং মহাবিপদ সংকেত : এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত : এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত : এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত : এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েগিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

Sunday, May 28, 2017

পবিত্র রমজানের শুরুতেও রাস্তায় চিরচেনা অচলাবস্থা!

রাজধানীতে তীব্র যানজট

পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতেই তীব্র যানজটে রাজধানী ঢাকার প্রতিটি রাস্তা প্রায় সারাদিনই অচল হয়ে আছে। অবশ্য এটি কোন ব্যতিক্রম নয়। বছরের প্রতিটি দিনের মতোই আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এবং পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনেও অসহনীয় যানজটের সেই একই চিত্র দেখো গেছে সকাল থেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানজট। একপর্যায়ে যানজটে কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। দীর্ঘ সময়ের এই যানজটে পড়ে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোজাদার রাজধানীবাসীকে। ফলে এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে কারো ২ থেকে ৩ ঘণ্টাও লেগেছে। একদিকে প্রচ- গরম তার ওপর তীব্র ট্র্যাফিক জ্যামে হাঁপিয়ে তুলছে রোজাদারদের।
আজ সকাল থেকে রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুরের আগারগাঁও, প্রগতি সরণি, বনানী, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল ও পুড়ান ঢাকার নবাবপুর, এয়ারপোর্ট ও উত্তরায় তীব্র যানজটের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রমজানের প্রথম দিনের এ যানজট মহাসড়ক থেকে অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত গেলো কয়েকদিন ধরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে মহাসড়কের অনেক পথ বন্ধ করে দেয়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন মগবাজার ফ্লাইওভারের কারণে বেশ কয়েকটি পথ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্র্যাফিক বিভাগ জানায়, ফুটপাতে ইফতারের দোকান বসতে না দেয়া, ফুটপাত হতে হকার উচ্ছেদ, অবৈধ পার্কিং রোধ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, মলম পার্টির উপদ্রব রোধে এবার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে রমজানজুড়ে। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে ট্র্যাফিক পুলিশের সহায়তায় থাকবে কমিউনিটি পুলিশ। মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মার্কেট ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক যানজট সহনীয় পর্যায় রাখতে ট্র্যাফিকের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মহাখালী বাস টার্মিনাল ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায় যানজট নিরসনে ঈদের আগে এবং ঈদ পরবর্তী আরো এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে ট্র্যাফিক পুলিশ।
ডিএমপি সূত্র জানায়, রমজানে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৫৮৯টি মামলা ও ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। দিনভর অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা আদায় করে ঢাকা মহানগরীর ট্র্যাফিক বিভাগ। এসময় ৪৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৬৯টি গাড়ি জব্দ করা হয়। ট্র্যাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, হাইড্রোলিক হর্ন, হুটার বেকন লাইট, উল্টোপথে চলাচল ও কালোগ্লাস ব্যবহার করার কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে।
যানজট প্রসঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, প্রথম রমজানে এমন তীব্র ট্র্যাফিক জ্যাম ভাবতে অবাক লাগে। একদিকে গাড়ি স্বল্পতা তার ওপর গাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা খুবই কষ্টকর। তারপরও মিরপুর থেকে ২ ঘণ্টায় মতিঝিলে অফিস আসতে পেরেছি। দিলকুশায় এক কর্মকর্তা জানান, বেলা সাড়ে ৯টার দিকে বিমানবন্দর থেকে মহাখালী-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল আসতে তার ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। দীর্ঘ যানজটে পড়ে ক্ষুব্ধ অনেক যাত্রীই বাস থেকে নেমে হেঁটে কর্মস্থল বা বাসায় গেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে নগরজুড়ে যানজটের কারণে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, বনানী থেকে বাংলামটর এসেছেন অন্তত ২ ঘণ্টায়। এরপর হাঁটতে শুরু করেন তিনি। ব্যস্ত সড়কের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতেও রিকশাযাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসময় আটকে থাকা অনেক যাত্রীকে ঘুমাতেও দেখা গেছে। যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নারী, শিশু ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। 

সবচেয়ে দীর্ঘ ও ছোট রোজা যে দেশে

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার ৩০টি দেশে এরইমধ্যে পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। এছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বেশ ক’টি দেশের মুসলমানরাও সেহেরি করে রোজা রাখছেন। রমজানকে ঘিরে কর্মঘণ্টা কমানো ছাড়াও দিনে রেস্তোরা বন্ধ রাখছে মুসলিম-অধ্যুষিত দেশগুলো।
রোববার থেকে রমজান শুরু বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বেশ ক’টি দেশে।
সাম্প্রতিক সময়ে রমজান মাস ধীরে ধীরে গ্রীষ্মকালের দিকে সরে আসছে। যার কারণে দিন বড় হয়ে যাচ্ছে এবং বেড়ে যাচ্ছে গরম। এর কারণে দীর্ঘ সময় রোজা পালন করতে হয় মুসলমানদের।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে কখনোই রোজা খুব বেশি বড় বা খুব বেশি ছোট হয় না। এ বছর বাংলাদেশিদের গড়ে ১৫ ঘণ্টার মতো না খেয়ে থাকতে হবে।
তবে গালফ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্বের কোন দেশের রোজাদারদের কত ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তালিকা অনুসারে, সবচে’ বড় রোজা উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর এলাকার দ্বীপ দেশ গ্রিনল্যান্ড এবং সবচে’ ছোট রোজা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় হবে।
গ্রিনল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার রোজাদারদের দৈনিক গড়ে ২১ ঘণ্টা ২ মিনিট ও  ১১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট রোজা রাখতে হবে।
এছাড়া এশিয়ায় সবচে’ বড় রোজা কাজাখিস্তান(১৮ ঘণ্টা ১২ মিনিট) ও ছোট রোজা ককোস দ্বীপে(১২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট) হবে।
ইউরোপে সবচে’ বড় রোজা আইসল্যান্ড(২১ ঘণ্টা) ছোট রোজা গ্রিসে(১৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিট)।
আফ্রিকায় সবচে’ বড় রোজা নাইজেরিয়া(১৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট) ও সবচে’ ছোট রোজা জিম্বাবুয়ে(১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট)
ওশেনিয়ায় সবচে’ বড় রোজা নিউজিল্যান্ডে(১১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট) ও সবচে’ ছোট রোজা অস্ট্রেলিয়ায়(১১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট) হবে।
এ দেশগুলোর প্রধান প্রধান শহরে ফজর ও মাগরিবের নামাজের মধ্যকার সময় ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়েছে।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় প্রতিদিন কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় এবার রমজান মাসের শেষে অনেক দেশে দিন আরো বড় হবে, আবার অনেক দেশে ছোট হবে।

কলার খোসায় তৈরি হচ্ছে জিন্স প্যান্ট!

কলা পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু এই কলাই যে শুধু খাওয়া নয়, পরার কাজেও ব্যবহৃত হবে, একথা কে বা ভাবতে পেরেছিল! কিন্তু সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটল। তেমন অদ্ভুত এক ঘটনা হলো কলার খোসা দিয়ে জিন্সের প্যান্ট তৈরি।
জানা গেল কলার খোসা দিয়ে জিন্সের প্যান্ট তৈরির কথা। আর এ অসম্ভব কাজটিই করেছেন ভারতের তাঁতিরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবর, ভারতের চেন্নাইয়ের একটি গ্রাম আনাকাপুথুর। আর এই গ্রামের তাঁতিরা কলার খোসা দিয়ে জিন্সের প্যান্ট তৈরি করেছেন। সুতা আর কলার খোসা দিয়ে তৈরি এই জিন্স গরমে বেশি ঘাম টেনে শুষে নিচ্ছে।
এই জিনসের বোতাম কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে জানেন? না প্লাস্টিক বা ধাতব বোতাম নয়, তা তৈরি হয়েছে নারকোলের মালা দিয়ে। এর কারণ, তাঁতিরা চাইছেন, সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব জিনস বানাতে।
বর্তমানে সারা বিশ্বেই যেন পরিবেশবান্ধব জিনিসের জয়জয়কার। আর এ অবস্থায় এমন জিনিস যে সবার প্রশংসা পাবে, এ কথা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।

প্রযুক্তি

ইভিএম: বিএনপির আতঙ্ক কেন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে, দিন দিন তা স্পষ্ট হচ্ছে। শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে মুখে যত কথাই বলুক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যে যাচ্ছে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি যে ভুল করেছিল সে ভুলের পুনরাবৃত্তি যে তারা আর করতে চায় না, তা অধিকতর স্পষ্ট হয়েছে তাদের ভিশন ২০৩০ ঘোষণার মাধ্যমেই।মাহবুবুল আলম
২২ মে ২০১৭ নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিনার কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার জন্য লিখিতভাবে চিঠি দেয় বিএনপি। সিইসি কেএম নূরুল হুদার কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ-সংক্রান্ত চিঠি তুলে দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এই প্রথম তারা ইভিএম নিয়ে লিখিতভাবে কমিশনে আপত্তি জানাল। এর আগেও বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণায় বিএনপি আপত্তি জানিয়ে বলেছিল, শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপি করার জন্যই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা বলছে। একই কথা আবারও বলেছে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সিইসিকে বলেছি আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হোক, বিএনপি তা চায় না। দলের মহাসচিবের চিঠি দেওয়ার পর সিইসিকে তারা বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে ইভিএম পরিত্যাগ করছে, সেখানে বাংলাদেশে এ ধরনের ভোটিং মেশিনের ব্যবহার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গত ১১ মে সিইসি কেএম নূরুল হুদা এক অনুষ্ঠানে জানান, রাজনৈতিক দল ও সরকার চাইলে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা সম্ভব।
ইভিএমের বিষয়টি বাংলাদেশে একবারে প্রথম নয়। এর আগে ২০০৭ সালে ঢাকার অফিসার্স ক্লাবের কার্যকরী সংসদের নির্বাচনে এ পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার করা হয়। এরপর আবার সফলভাবে একই ক্লাবের ২০০৯ সালের নির্বাচনে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ছোট নির্বাচনে সফলতার পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে এ প্রকল্প জমা দেন উদ্ভাবক, বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস এম লুৎফুল কবির। তখন ছবি সংবলিত ভোটার তালিকার কাজ চলার কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরীক্ষমূলক কার্যক্রমকে সামনে রেখে ১৩০ ইভিএম তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ১০০টি ইভিএম চট্টগ্রামে আনা হয়। তবে ১৪টি ভোটকেন্দ্রের ৭৯টি বুথে ৭৯টি ও প্রতি কেন্দ্রের জন্য একটি অতিরিক্ত হিসেবে মোট ৯৩টি ইভিএম স্থাপন করা হয়। সে বছর ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা আসে। সেখানে মোট ২৫ হাজার ২৩৮ জন ভোটার ইভিএমে ভোট প্রদান করেন। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার নতুন এই পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগায়। দ্রুত ভোটগ্রহণ ও ফল ঘোষণায় ইবিএম পদ্ধতির সফল কার্যকারিতার প্রমাণ মেলে। এ নির্বাচনে ভোট গণনার ক্ষেত্রে অন্য ওয়ার্ডগুলোতে যেখানে তিন থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে, এ ক্ষেত্রে জামাল খান ওয়ার্ডে ঘণ্টার মধ্যেই ফল ঘোষণা সম্ভব হয়েছে।
আমাদের দেশের জন্য নতুন হলেও ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি প্রথম চালু হয় যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬০ সালে। এবং ৪ বছরের মধ্যেই ৭টি রাজ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতি নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। আইনগতভাবে আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল কানাডা, ফ্রান্স, জাপান, কাজাখস্তান, পেরু, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভেনিজুয়েলায় চালু রয়েছে ইভিএম প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি। যেসব দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালু হয়েছে সেব দেশ দুই ধরনের ই-ভোটিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। একটি হচ্ছে রিমোট ই-ভোটিং এবং অপরটি হচ্ছে পোলিং পেস ই-ভোটিং। রিমোট ই-ভোটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে, সেই দেশগুলো হচ্ছেÑ অস্ট্রিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অপরদিকে পোলিং পেস ই-ভোটিং ব্যবহার করে সেই দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তবে এ কথাও সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতবারের ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতির ওপর সেখানকার বেশিরভাগ ভোটারের আস্থা বিঘিœত হয়েছে। হ্যাকিং নিয়ে কারচুপির প্রশ্নে যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শেষ পরিনতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এ মুহূর্তে বলা খুবই কঠিন।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত প্রথম পরীক্ষামূলক ই-ভোটিং সিস্টেম চালু করে ১৯৮২ সালে। কিন্তু ইন্ডিয়ান সুপ্রিমকোর্ট এই পদ্ধতিকে আইনের দোহাই দিয়ে বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে আইনের সংশোধনী এনে ২০০৩ সালে ভারতীয় লোকসভার নির্বাচন ই-ভোটিং পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। আর এই পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য ৩৫টি প্রদেশে প্রায় ৭,০০,০০০ পোলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যবহার করা হয় ইভিএম।
আমেরিকায় ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ মিলিয়নের ওপর স্বীকৃত ভোটার পোলিং পেস ই-ভোটিং পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করেন। ৫৫ মিলিয়ন ভোটর অপটিক্যাল স্কেন সিস্টেম ব্যবহার করেন। এবং ৩২ মিলিয়ন ভোটার পাঞ্চ কার্ড ব্যবহার করে ভোট প্রদান করেন। তাছাড়া ২০০৭ সালে উবঢ়ধৎঃসবহঃ ড়ভ উবভবহংব ২০০৮ সালে চৎবংরফবহঃরধষ বষবপঃরড়হ ২০১০ সালে সাধারণ নির্বাচন ই-ভোটিং পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। ২০০৭ সালে স্কটল্যান্ডে স্কটিশ সংসদ নির্বাচন এবং স্কটিশ কাউন্সিল ইলেকশন ই-ভোটিং পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। জার্মানিতে ২০০২ সালে ১০,০০,০০০ ভোটার ইভিএম মেশিন ব্যবহার ভোট প্রদান করেন। অস্ট্রেলিয়ায় ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল নির্বাচনে স্বাধীনভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করে ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করার জন্য অন্ধ কিংবা যাদের দৃষ্টিশক্তি কম তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
একটি নির্বাচন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে থাকে ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট। এই ইউনিটের সম্মুখভাগে থাকে ডিজিটাল ডিসপ্লে। অন্যদিকে ব্যালট নামক একটি সুইচ। এই সুইচটি চেপে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারকে ভোট দিতে বুথে পাঠান। এই সুইচটি চাপলে বুথের মধ্যে থাকা ইভিএমের অপর অংশ ব্যালট ইউনিটটি একটি ভোট দেওয়ার জন্য কার্যকর হয়। ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার অকার্যকর হয়ে যায় ব্যালট ইউনিটটি। যতক্ষণ না আবার কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যালট সুইচ চাপা হচ্ছে। ভোট দান শেষে ভোটার বেরিয়ে গেলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আবার ব্যালট সুইচ চেপে ব্যালট ইউনিটটি কার্যকর করেন।
কন্ট্রোল ইউনিটে আরো কিছু সুইচ আছে। ভোট শুরু করার জন্য স্টার্ট সুইচটি চাপতে হয়। মেশিনে আগে থেকে কোনো ভোট জমা থাকলে স্টার্ট সুইচ চাপলেও মেশিন চালু হবে না। পরীক্ষামূলক কোনো ভোট নেওয়া হলে কেবল তা মুছে ফেলার পরই আসল ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করা যাবে। স্টার্ট সুইচ চেপে ভোটগ্রহণ একবার শুরু হলে আর ভোট মোছার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। পরীক্ষামূলক ভোট মোছার জন্য যে সুইচটি রয়েছে তা স্টার্ট সুইচ চাপার পর অকার্যকর হয়ে যাবে। স্টার্ট সুইচের পাশেই আছে ক্লোজ সুইচ। এই সুইচটি চাপলেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। কেন্দ্রে কোনো ধরনের হামলা বা আঘাত এলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ক্লোজ সুইচটি চেপে দিতে পারেন। পুরো মেশিনের প্রোগ্রাম পরিবর্তন না করা হলে এরপর শুধু ফল দেখা ছাড়া এটি আর কোনো কাজে লাগবে না। প্রোগ্রাম পরিবর্তন কঠিন প্রযুক্তিক এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই এই নিয়ে অহেতুক সংশয় সৃষ্টি না করে আধুনিক ভোটদান পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করাটাই হবে সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত।
পরিশেষে বলতে চাই, যদি সত্যি সত্যি আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়, তবে ইভিএম চালু করার আগে সাধারণ জনগণকে এই পদ্ধতিতে ভোট প্রদান সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ যেন ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে। ইভিএম সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করার জন্য সব সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। তবেই সব বিভ্রান্তির অবসান হয়ে ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমরাও উদাহরণ হতে পারব। লেখক: মাহবুবুল আলম

এ.পি.জে আবদুল কালামের 'The wings of fire" 
থেকে নেওয়া কিছু বিখ্যাত উক্তি:
১)# আমি কখনো সন্দেহ করিনি যে আমাদের মসজিদের প্রার্থনা যেখানে পৌঁছায়, সেই একই গন্তব্যে পৌঁছায় মন্দিরের প্রার্থনাও।
২)# একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশী শিখতে পারে ।
৩)# আমি আবিষ্কার করলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেশী বিক্রি হয়ে যায় সিগারেট ও বিড়ি। অবাক হয়ে ভাবতাম, গরিব মানুষেরা তাদের কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ এভাবে ধোঁয়া গিলে উড়িয়ে দেয় কেন।
৪) # আমি ভাবি, কেন কিছু মানুষ মনে করে বিজ্ঞান মানুষকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় খোদার কাছ থেকে ? আমি এটাকে যেভাবে দেখি তাহলো, বিজ্ঞানের পথ সর্বদা হৃদয়ের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। আমার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান হচ্ছে আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি ও আত্ম-উপলব্ধির পথ।
৫)# যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী হল সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোন কাজে আসেনা।
৬) # আমি জানতাম সামনের দিনগুলো আরও সংকটময় হবে। প্রশ্ন ছিল যার উত্তর দিতে হবে এবং কর্মপরিকল্পনা যা প্রস্তুত করতে হবে।
৭) # বিজয়ী হওয়ার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বিজয়ী হওয়ার দরকার নেই মনে করা। তুমি যখন স্বাভাবিক আর সন্দেহমুক্ত থাকবে, তখনই তুমি ভালো ফলাফল করতে পারবে।
৮) # আমরা শুধু সাফল্যের উপরেই গড়ি না, আমরা ব্যর্থতার উপরেও গড়ি।
৯) # একজন উদ্যমী ও একজন বিভ্রান্ত মানুষের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, তাদের অভিজ্ঞতাকে তাদের মন যেভাবে ব্যবহার করে তার মধ্যে পার্থক্য।
১০) # দ্রুত কিন্তু কৃত্রিম আনন্দের পেছনে না ছুটে বরং নিখাদ সাফল্য অর্জনের জন্য আরও বেশি নিবেদিত প্রাণ হও।
১১) # আমি এ কথা বলব না যে আমার জীবন অন্য কারো জন্য রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু আমার নিয়তি যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে গরিব শিশুরা হয়তো বা একটু সান্ত্বনা পেতে পারে।
১২) # প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা ব্যক্তিগতভাবে।
১৩) # আমরা প্রত্যেকেই ভেতরে ঐশ্বরিক আগুন নিয়ে জন্মাই। আমাদের চেষ্টা করা উচিত এই আগুনে ডানা যুক্ত করার এবং এর মঙ্গলময়তার আলোয় জগত পূর্ণ করা।

Friday, May 26, 2017

ভাসমান হাসপাতাল!

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার শ্রীমন্ত নদীর পূর্বতীরে ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার শরীফের ঘাটে নোঙর করেছে ইমপ্যাক্ট ‘জীবনতরী’ নামে ভাসমান হাসপাতাল। প্রতিদিন শত শত মানুষ ছুটছে বিশেষায়িত নৌযান জীবনতরীর দিকে। ভাসমান হাসপাতালের কারণে হাতের নাগালে উন্নত চিকিৎসাসেবা পেয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী। শুধু মির্জাগঞ্জ নয় বরিশালের স্বরুপকাঠি উপজেলা থেকে রোগীরা ছুটে আসছেন এখানে। আর সামর্থ্যহীনদের পাশাপাশি বিত্তবানরাও উন্নত চিকিৎসাসেবার প্রত্যাশায় ছুটে আসছেন। আধুনিক মানের চিকিৎসা সেব শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে মা ও মেয়ে ছদ্দনাম হাছিনা (১৯) দুজনে এসেছেন মাজার শরীফ জিয়ারত করতে। এ সময়ে মেয়ের কানের মধ্যে একটি বড় আকারে আরশোলা (তেলাপোকা) ঢুকে পড়ে। মেয়ের মা বলেন, প্রথমে আমার মেয়ে বলে কানের ভিতরে পিপঁড়া ঢুকেছে। যন্ত্র শুরু হতে থাকে আস্তে আস্তে। মাজার ঘাটে জীবনতরী হাসপতাল দেখে টিকিট কেটে উঠে পড়েন। অতি সহজে বিজ্ঞ চিকিৎসক মেয়ের কান থেকে তেলাপোকাটি বের করে আনেন।
প্রথম দিনে প্রায় দুই শতাধিক রোগী সেবা দিয়েছে জীবনতরী। অন্যান্য কর্মকাণ্ডের পর চিকিৎসাসেবা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে চিকিসাসেবা। চোক, কান, নাক, ঠোঁট কাটা, প্রতিবন্ধী ও গলাসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা ও দরিদ্র রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে ওষধ বিতরণ করা হচ্ছে। ৪০ টাকার বিনিময়ে বহিবির্ভাগে রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেয়া হচ্ছে। অপারেশনে অংশ নিচ্ছেন দেশের ও বাইরে থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও।
জীবনতরীর ফাইনান্স ও এডমিনিস্টারিভ অফিসার এসকে গোলাম ইয়াজদানি বলেন, ব্রিটিশ নাগরিক স্যার উইলসন প্রতিষ্ঠিত ইউকে ইমপ্যাক্টের অর্থায়নে পরিচালিত ইমপ্যাক্ট ‘জীবনতরী’ নামের ভাসমান হাসপাতালটি আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের সজ্জিত। ৪০মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের তিনতলা নৌযানটি ১৯৯৯ সাল থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মনসুর আহমদ চৌধুরী ও ডা. রেজাউল হক হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেন। হাসপাতালটি নদীতে ভেসে ভেসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ এবং সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
১৫ শয্যার হাসপাতালটিতে সার্বক্ষণিক তিনজন চিকিৎসক, দুজন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, পাঁচজন নার্সসহ ৩৬জন স্টাফ রয়েছেন। হাসপাতালে রয়েছে লিফট, একটি এ্যাম্বুল্যান্স ও দুটি স্প্রিডবোট। এতে রোগীদের আনা-নেয়ার কাজ করা হয়ে থাকে। প্রথমদিনে এখানে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। 

এই গরমে ইফতার-সেহেরিতে কী খাবেন

রোজায় প্রতিদিনের খাবারের মেন্যুতে আসে ভিন্নতা। অনেকেই মনে করেন রোজায় ১৪/১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। তাই ইফতার ও সেহরিতে বেশি বেশি খাওয়া ভালো। তাই রোজায় রকমারি খাবারের আয়োজন বেড়ে যায়, যা অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য উপযোগী নয়। তবে দৈনিক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেই এসময় খাদ্য নির্বাচন করা দরকার। রোজা পালনের জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট নির্বাচন, শারীরিক সুস্থতা, মানসিক শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছা ও আনুগত্য। আর চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু নিয়ম নীতি ও পরামর্শ অনুসরণ করলে, কষ্ট ছাড়া সহজেই রোজা পালন করা যায়।
 
রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সহজেই তার স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারেন, যদি ঠিক ডায়েট অনুসরণ করা হয়। কখনোই শুধু পানি খেয়ে রোজা রাখবেন না। অতিভোজন থেকেও বিরত থাকুন। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে ধীরে খাবেন, যা আপনার হজমে সহায়ক হবে। ইফতার ও সেহরি সময়ের মধ্যে অন্তত পক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করুন। গ্লাস গুনে পানি খেতে অসুবিধা হলে, সমপরিমাণ পানি বোতলে ভরে রাখুন এবং ইফতার থেকে সেহরির সময়ের মধ্যে তার পুরোটা পান করুন। এনার্জি ড্রিংক, কার্বনেটেড ড্রিংক এবং সোডা জাতীয় পানীয় বর্জন করুন। এগুলো এসিডিটি বাড়িয়ে দেয়।
 
ইফতারে যা খাবেন: একজন রোজাদার ইফতারে কি খাবেন তা নির্ভর করবে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের উপর। পারতপক্ষে দোকানের তৈরি ইফতারি না খাওয়াই ভালো। সুস্থ, স্বাস্থ্যবান রোজাদারের জন্য ইফতারিতে খেজুর বা খুরমা, ঘরের তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, কচি শসা, পেঁয়াজু, বুট, ফরমালিন অথবা ক্যালসিয়াম কার্বাইড-মুক্ত মৌসুমি ফল থাকা ভালো। ফলমূলে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং সহজে তা হজম হয়। রুচি অনুযায়ী বাসার রান্না করা নুডুলসও খেতে পারেন। তেহারি, হালিম না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে বদহজম হতে পারে। রুচি পরিবর্তনের জন্য জিলাপি খেতে পারেন। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন রমজানে পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এশা ও তারাবির নামাজের পর অভ্যাস অনুযায়ী পরিমাণ মতো ভাত, মাছ অথবা মুরগির মাংস, ডাল ও সবজি খাবেন।
 
কী খাবেন সেহেরিতে: রমজানে স্বাভাবিক নিয়ম পরিবর্তন করে সুবেহ সাদিকের আগে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে হয়। সকালের নাস্তার পরিবর্তে খুব ভোরে সারাদিনের উপবাসের সময় চলার মতো খাওয়ার প্রয়োজন হয়। শরীরটাকে সুস্থ রাখার জন্য সেহরি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে, সেহরির খাবার মুখরোচক, সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া প্রয়োজন। অধিক তেল, অধিক ঝাল, অধিক চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া একদম উচিত নয়। ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খাবেন। অনেকেই মনে করেন, যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে, তাই সেহেরির সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেশি খাবার খেতে হবে। তা মোটেই ঠিক নয়, কারণ চার পাঁচ ঘণ্টা পার হলেই খাদ্যগুলো পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে গিয়ে হজম হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো বরং মাত্রাতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।
 
পিপাসা নিবারণ হয়, সেই পরিমাণ পানি নিজের অভ্যাস অনুযায়ী পান করতে হবে। দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানি শূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন। অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদদের অভিমত, রোজাদারদের শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো। কার্বোনেটেড ও সুগার ড্রিংক, চা ও কফি পান করলে শরীর থেকে অধিক পানি বের হয়ে যায়। তাই কার্বোনেটেড, বেভারেজ ও সুগার ড্রিংক বা নানা ধরনের শরবত পরিহার করা উচিত। রোজাদারদের প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল আহার করা উচিত।
 
প্রয়োজনীয় টিপস: ইফতারে বেশি ক্যালরি সমৃদ্ধ এবং সহজে ও তাড়াতাড়ি হজম হয় এমন খাদ্য গ্রহণ করুন। সেহরিতেও সহজ পাচ্য খাবার খান। ভাজা পোড়া ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাদ্য বুক জ্বালাপোড়া এবং বদহজমের সমস্যা তৈরি করে। তাই এগুলো বর্জন করুন। রান্নার সময় খাবারে ডালডার পরিবর্তে সয়াবিন তেল ব্যবহার করুন, তবে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত লবণ ও লবণাক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। কারণ এসব রোজার সময় পানির পিপাসা বৃদ্ধি করে। যাদের চা, কফি, সিগারেট, মদ প্রভৃতি বাজে আসক্তি আছে, তারা এগুলো কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন। কারণ হঠাত্ এগুলো ছেড়ে দিলে মাথা ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ঘুমানোর আগে ও সেহেরির পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে ভুলবেন না। রোজা রাখা অবস্থায় সকালে ব্যায়াম না করে ইফতারের পর ব্যায়াম করা উচিত। খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুতে ভুলবেন না। এই সময়ে হাঁচি, কাশির মতো ছোঁয়াচে রোগ বেশি দেখা যায়, তাই যারা এতে আক্রান্ত, তাদের কাছ থেকে সাবধান থাকা উচিত। দিনে গরমের সময়ে ঠান্ডা ও ছায়া-যুক্ত স্থানে থাকা উচিত। সম্ভব হলে শারীরিক পরিশ্রম কম করুন। দৈনিক কাজ-কর্ম এমনভাবে ঠিক করুন, যেন বেশ ভালো ভাবে ঘুমানো যায়।

গল্প নয় সত্যি

কিমের বিলাসী জীবন!

যে মানুষটি মহাশক্তিধর আমেরিকাকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেন না; কিংবা পান থেকে চুন খসলে কামানের গোলায় বিশ্বস্ত সৈনিককে উড়িয়ে দিতে দ্বিধা করেন না, তিনি পিয়ানোয় বসে টুংটাং সুর তুলতে পারেন বলে বিশ্বাস হয়? কিন্তু খেয়ালি কিম সুর তোলেন ঘরে রাখা দামি দামি পিয়ানোয়। সিনেমা দেখেন নিজের ব্যক্তিগত প্রেক্ষাগৃহে বসে। বিদেশি সিগারেটে এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দেন ৪৪ ডলার। চুমুক দেন আরও দামি হুইস্কিতে। রসেবশে এলাহি এক জীবন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের।
বিদেশি মদ 
দেশি, সহজলভ্য মদে কোনো কালেই রুচি ছিল না কিম জং উনের। এলিট বন্ধুবান্ধব ও নিজের জন্য বছরে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শুধু মদই আমদানি করেন। পছন্দ করেন হুইস্কি এবং কগন্যাক। কিন্তু যে কোনো ব্র্যান্ডের নয়। হেনেসির মতো ব্র্যান্ডের হুইস্কির অনুরাগী, যার একটা বোতলের দামই পড়ে ২,১৪৫ ডলার।
ফরেন ফুড
ডায়েট নিয়ে কোনোরকম কার্পণ্য নেই কিমের। সেরা সেরা জিনিস ছাড়া মুখেই তোলেন না। পর্ক খেতে ইচ্ছে হলে তা আনানো হয় ডেনমার্ক থেকে। ইরান থেকে আসে ক্যাভিয়ার। বিফ খেলে জাপানের। এমন আরও কত...! নিজের খাওয়ার পিছনে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেন, তার প্রকৃত অঙ্কটা অজানাই। তবে, সেটা যে মাসে কয়েক মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়, এ নিয়ে সন্দেহ নেই।
ফ্রেঞ্চ ডিজাইনার সিগারেট
হ্যাঁ, যিনি শুধু খাওয়ার পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন, তার যে ধূমপানেও বিশেষ পছন্দ থাকবে, তাতে আর আশ্চর্যের কী! ফ্রেঞ্চ ডিজাইনার সিগারেট ছাড়া কিম জংয়ের এক মুহূর্ত চলে না। ইভেস সেন্ট লরেন্টের যে সিগারেটে তিনি সুখটান দেন, তার এক প্যাকেটের দাম ৪৪ মার্কিন ডলার।
পিয়ানো প্রীতি
কিমের সবতেই বাড়াবাড়ি, অল্পে মন ভরে না। লোকের বাড়িতে একটা পিয়ানো থাকে, কিমের পিয়ানোর কালেকশান শুনলে, চোখ কপালে উঠবে। তিন ডজনের কম নয়। এক একটার খরচই ৬৪,৪৫১ ডলার।
কিমের প্রাসাদ
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম কখন যে কোথায় থাকেন, কেউ জানেন না! জানবেনই বা কী করে! একটা-দুটো নয়, ১৭টি প্রাসাদ রয়েছে কিমের। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো এক একদিন এক এক প্রাসাদে রাত কাটান এই বিলাসী মানুষটি। নিজের জন্য একটি দ্বীপও রয়েছে তার।  সেখানে সবার প্রবেশাধিকার নেই।
থিম পার্ক
খামখেয়ালি এই শাসকের ভিতরে শিশুসুলভ ব্যাপারস্যাপারও কাজ করে। যে কারণে বিনোদন পার্কও বানিয়েছেন। জলকেলির জন্য রয়েছে আবার ওয়াটার পার্কও।
ব্যক্তিগত লাক্সারি সিনেমা
দুনিয়ার আর কারও ব্যক্তিগত সিনেমা হল আছে কি না, জানা নেই। কিন্তু কিমের আছে। যেখানে এক হাজার আসন রয়েছে।
ডিভিডির বিপুল সংগ্রহ
উত্তর কোরিয়ায় অন্য দেশের ফিল্মের ডিভিডি আনানো নিষিদ্ধ। কিন্তু কিমের নিজস্ব ডিভিডি কালেকশন শুনলে মাথা ঘুরে যাবে। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে ২০ হাজার সিনেমার ভিডিয়ো। যার একটা বড় অংশই পশ্চিমি। র‌্যাম্বো, ফ্রাইডে দ্য থার্টিন্থ... কী নেই সংগ্রহে!
সেলিব্রেটি বন্ধু অ্যাপায়ন
আমেরিকার সঙ্গে সাপেনেউলে সম্পর্ক হলেও আমেরিকার প্রাক্তন বাস্কেটবল প্লেয়ার ডেনিস রডম্যানের সঙ্গে দারুণ সখ্য কিম জং উনের। কিমের আমন্ত্রণে মাঝেমধ্যেই উত্তর কোরিয়ায় চলে আসেন ডেনিস। বিদেশি সেলব বন্ধুর তালিকায় আরও অনেকই রয়েছেন। অতিথিদের জন্য খানাপিনায় কোনো ত্রুটি রাখেন না উত্তর কোরিয়ার শাসক। বিদেশি পানীয় থেকে ফরেন ফুড, কিছুই বাদ যায় না।
নৌকা বাইচ
জল বিলাসে বাইচ নৌকাও রয়েছে কিমের, যা অন্যদের থেকে অবশ্যই আলাদ। কল্পনাই করা যায় না, ২০০ ফুটের বড়সড় বিলাসী বাইচ। বন্ধু ডেনিস যার তুলনা করেছেন, 'ক্রস বিটুইন আ ফেরি অ্যান্ড ডিজনি বোট। ' রাজকীয় এই নৌকা বানাতে খরচ হয়েছে ৮০ লক্ষ ডলার।
দামি হাতঘড়ি
জনসমক্ষে এলে কিমের হাতে ঘড়ি নেই, এমনটা সচরাচর ঘটে না। দামি দামি ঘড়ির কালেকশন রয়েছে উত্তর কোরিয়ার এক নায়কের। সবমিলিয়ে শুধু ব্যক্তিগত হাতঘড়ির পিছনেই খরচ করেছেন ৮২ লক্ষ ডলারের বেশি।
স্ত্রীর জন্য কিমের উপহার
নিজে যেমন নামীদামি জিনিস ব্যবহার করেন, স্ত্রীকেও সেভাবেই রেখেছেন। ২০০৯-এ রি সোল-জুনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে উপহারে উপহারে স্ত্রীকে ভরিয়ে দিয়েছেন। কেমন গিফট দেন, একটা উদাহরণ দিলেই আভাস মিলবে। সম্প্রতি ক্রিস্টিয়ান ডিওরের একটি হ্যান্ডব্যাগ রি'কে উপহার দিয়েছেন, যার দাম ১,৪৫৭ মার্কিন ডলার। যেখানে উত্তর কোরিয়ায় মানুষের গড় বার্ষিক রোজগার ১,৮০০ মার্কিন ডলার, সেখানে স্ত্রীর এই হ্যান্ডব্যাগ কতটা দামি, আশাকরি বুঝতে পারছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ

'সরকারের নির্দেশে নয়,

প্রধান বিচারপতির' সিদ্ধান্তে ভাস্কর্য সরানো হয়েছে

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, 'সরকারের নির্দেশে নয়, প্রধান বিচারপতি সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।' জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহর মুক্তির দাবিতে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি এ ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্ত নিজে নিয়েছেন। তিনি (প্রধান বিচারপতি) সরকারের নির্দেশে এটা করেন নাই। তিনি আরো বলেন, 'সকলের সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রধান বিচারপতি এই ভাস্কর্যটি অপসারণ করেছেন।'
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়।

অনিদ্রা একটি ভয়ঙ্কর রোগ

নিয়মিত অনিদ্রা একটি ভয়ঙ্কর রোগ। যেমন- প্রায়ই দেখা যায়, আপনার দু’চোখের পাতা কিছুতেই এক করতে পারছেন না! এই সমস্ত কিছুর জন্য সবসময় আপনার কাজের চাপকে দায়ী করবেন না। স্ট্রেসফুল লাইফ আপনার অনিদ্রার একটি অন্যতম কারণ হলেও দূষণই কিন্তু প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনিদ্রায়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এমনই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অনিদ্রায় ভুক্তভুগী এমন ১৮৬৩ জনের উপর সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যেসমস্ত ব্যক্তিরা অতিরিক্ত বায়ূদূষণ সম্পন্ন এলাকায় বাস করেন তাদের অনিদ্রার অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এই সমস্ত ব্যক্তিদের বয়স ছিল ষাটের আশেপাশে। 
ওয়াশিংটনের এক গবেষক বলেন, বায়ূদূষণ শুধুমাত্র হার্ট কিংবা ফুসফুসের ক্ষতি করেনা। এটি বহুমাত্রায় ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটায়। গাড়ি এবং কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ফলেই মূলত বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং পিএম২.৫-র মাত্রা বেড়ে চলেছে। আর এরফলেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন।
নির্দিষ্ট একটি সমীক্ষাও করা হয়েছে এই বিষয়ে। নির্দিষ্ট চারভাগে ভাগ করে এই সমস্ত ব্যক্তিদের ঘুমের পরিমাণ সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বায়ূদূষণের মাত্রা যত বৃদ্ধি পেয়েছে ঘুমের পরিমাণ তত কমেছে। তাই, সুস্থ থাকতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে এখন থেকেই জীবনযাত্রা শুরু করা উচিত।

গরমের ফ্যাশন:হালকা সুতিতেই আরাম

জৈষ্ঠ্যের এই কাঠফাটা রোদ, লো হাওয়া, তীব্র গরমেও ফ্যাশনের যেন শেষ নেই এই দেশে। আমা-কাঁঠাল পাকা গ্রীষ্মে এখন চলছে পিচ গলা জ্যেষ্ঠ এর পরই আসছে তাল পাকা ভাদ্র। গরমে নিত্যদিনের ফ্যাশন করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়। কোন কাপড়ে পাওয়া যায় একটু আরাম। সহজ উত্তর- হালকা সুতি। গরম আর সুতি- এই দুটি শব্দের সম্পর্ক সম্ভবত আমাদের চেয়ে ভালো বোঝে না কেউ। এই সময় যেন সুতির ওপর বিশ্ব ফ্যাশনের প্যাস্টেল শেডগুলো বা হালকা রংগুলো মানানসই হয়ে ওঠে।
সাধারণ রঙের একটু হালকা বা ফিকে, কোমল রঙগুলোকেই ডাকা হয় প্যাস্টেল শেড বলে। ফিকে হলুদ, উজ্জ্বল হলুদ, ঘিয়া, হালকা সোনালি, কখনো বাসন্তী, জলপাই সবুজ, পেস্ট, বেবি পিংক, বাঙ্গি, আকাশি নীল, বেবি ব্লু, সমুদ্রের নীল, লাইট চকলেট এবং ঘুরেফিরে সাদা। গরমে নরম বুননে এই ফ্যাকাশে রংগুলোই এত স্নিগ্ধ এবং কোমল হয়ে ওঠে যে গরমের ফ্যাশন হিসেবে প্যাস্টেল শেড পেয়ে গেছে বিশ্বজোড়া স্বীকৃতি।
আমাদের দেশে অবশ্য অনেক আগে থেকেই এই রংগুলো ছিল। আমরা ডাকতাম হালকা রং বা অফ কালার বলে। চিরচেনা ব্লক, বাটিক, টাইডাই কিংবা শিবুরির কাজ এই রংগুলোকে ঘিরেই তো শুরু হয়েছিল এককালে। এখনো টাইডাইয়ের কাপড়ে এই রংগুলো মুখ্য।
বিবিআনার প্রধান ডিজাইনার লিপি খন্দকার বললেন, রংগুলো দেখতে চোখে আরাম লাগে, কাপড়টাও কোমল হওয়া উচিত। সুতির আঁটসাঁট জামার চল উঠে গেছে অনেক আগেই। এখন সুতির ঢিলেঢালা প্যাটার্নই জনপ্রিয়। কামিজ জনপ্রিয়, ঝালর দেওয়া স্কার্টও মন্দ লাগে না। তাতে হালকা সুতির কাজ থাকছে, ব্লক থাকছে, স্ক্রিন প্রিন্ট থাকছে। ভারী কাজ না থাকাই ভালো। ওতে গরমের হাঁসফাঁস ভাব আরও বেড়ে যায়।
একটু ফ্রক ও ম্যাক্সি ধাঁচের কামিজে ফ্রিলের কাজ অনেক বেড়েছে এখন- জানালেন নিপুণের প্রধান ডিজাইনার ফয়সাল মাহমুদ। বললেন, তাতে পার্সিয়ান ধাঁচের মোটিফ থাকছে, গয়না, ফুল, লতাপাতার মোটিফ থাকছে। নরসিংদী ও টাঙ্গাইলের তাঁতেও এই রং ভালো ফুটছে। দাওয়াতের জন্য জয় সিল্ক, অ্যান্ডি, লিলেন ও কিছু পেশোয়ারি বুনন তো আছেই। সুতির কাপড়ের ওপর বিভিন্ন ধরনের লেসের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।
গরমে সুতির শাড়ির কথা বললে এক পাড়ের কিংবা একাধিক লাইন টানা রঙিন পাড়ের কথা অবধারিতভাবেই চলে আসে। অনলাইনে দেখা গেল, প্রায় সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডই গরমের জন্য এমন কাজের শাড়ি রেখেছে সম্ভারে। দেশালের মতো ব্র্যান্ড প্যাস্টেলের জমিনে কন্ট্রাস্ট করেছে গাঢ় রঙে। পাড়টা চিকনই থাকছে। কিছু শাড়ির জমিনে রয়ে গেছে স্ক্রিন প্রিন্টের পরশ। জলপাই সবুজে কালো পাড়, নীলের সঙ্গে হলুদ, খয়েরিতে সবুজ, কখনো হলুদের সঙ্গে গোলাপি।
ডিজাইনার ইসরাত জাহান বলেন, দেশালে আমরা মূলত রঙের খেলা খেলি পোশাকে। এই বছর গরমের পোশাকে থাকছে হালকা রংগুলোর কাজ। কেননা গরমে চড়া রং দেখলে চোখে আরাম লাগে না। আবার একদম সাদাও বেমানান। তাই নরম গোলাপি বা কচি কলাপাতার মতো রঙে সাদার কাজ দিয়ে পোশাকে মিষ্টতা নিয়ে আসা হয়েছে। দেশাল শুরু থেকেই চেষ্টা করেছে সবচেয়ে কম রঙে, কম কাজে শাড়ি ফুটিয়ে তুলতে। যেখানে রংটাই প্রাধান্য পেয়েছে, কাজ নয়।
হালকা রং, তাই এর সঙ্গে রঙিন গয়না ভারি চমৎকার দেখায়। গলায় অনেকগুলো লহর তোলা রঙিন পুঁতির মালা, হাতে একটা ব্রেসলেট বা চুলে গোঁজা দুটা কুড়িয়ে পাওয়া ফুল। শাড়ির সঙ্গে কাজল আর কপালে রঙিন একটা টিপ, ব্যস। বিরক্তিকর ঘাম গরমের সময় তো, মন হালকা রাখতে প্যাস্টেলের কোমল শেডগুলো পরখ করে দেখতে পারেন এবার। গরমের ফ্যাশনকে আলাদা করার আরেকটা বড় কারণ- রং আর কাপড়ের নরমে মনটা যদি একটু ফুরফুরে হয়। 

Monday, May 22, 2017

বিশ্বের অধিক ঘনবসতিপূর্ণ শহর 
আমাদের ঢাকা !
বিশ্বের অধিক ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা!
লোকজন বসবাসের জন্য দিনে দিনে শহরগুলোতেই বেশি জড়ো হচ্ছে।
আর নগরায়নের এই গতি খুব দ্রুত কমবে বলেও মনে হচ্ছে না। সাধারণত
মানুষ যেসক কারণে নগরে স্থায়ী বসতি গড়ছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান 
কারণটি হলো নগরগুলোই কর্মস্থলের কেন্দ্র।
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন নগরে বসবাস করছেন। আর জাতিসংঘের
 প্রত্যাশা ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৬৬% মানুষ নগরে বাস করবেন। আর
 নগরবাসীর সংখ্যা বাড়ার এই ঘটনা মূলত এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেই
৯০% ঘটবে। জেনে হয়তো চমকে যাবেন যে, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৪ হাজার
৫০০ জন বাসিন্দা নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে 
ঘনবসতির শহর। জাতিসংঘের হিসেবে মতে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির 
১০ শহরের ছয়টি এশিয়াতে, তিনটি আফ্রিাকাতে আর একটি দক্ষিণ আমেরিকাতে।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির শহরগুলো হলো-
ঢাকা, বাংলাদেশ, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৪,৫০০ মানুষের বাস
মুম্বাই, ভারত, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩১,৭০০ মানুষের বাস
মেডেলিন, কলাম্বিয়া, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৯,৭০০ মানুষের বাস
ম্যানিলা, ফিলিপাইন, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৪, ৮০০ মানুষের বাস
ক্যাসাব্লাঙ্কা, মরোক্কো, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৪,২০০ মানুষের বাস
লাগোস, নাইজেরিয়া, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৩,৩০০ মানুষের বাস
কোটা, ভারত, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১২,১০০ মানুষের বাস
সিঙ্গাপুর, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০,২০০ মানুষের বাস
জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯,৬০০ মানুষের বাস
লোকজন নগরমুখী হচ্ছে কেন? উত্তরটা হলো, নগরমুখী হওয়ার প্রধান 
কারণ হচ্ছে উন্নত কর্মসংস্থান। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় 
মানুষ বেড়ে চলার প্রধান কারণ হলো দেশটির অন্যান্য স্থানে কাজের মজুরি
কম। সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।