হুইল চেয়ারে বসেছেন খাদিজা
ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পনের দিনের বেশি সময় ধরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজাকে বৃহস্পতিবার কিছুক্ষণের জন্য হুইল চেয়ারে ঘোরানোও হয়েছে।
খাদিজার দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে জানিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিকাল কেয়ার বিভাগের পরামর্শক মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের নার্সরা তাকে হুইল চেয়ারে করে ঘুরিয়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খাদিজার গলায় যে যন্ত্র ও নল স্থাপন করা হয়েছিল তা বুধবার খুলে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সে স্বাভাবিকভাবেই নিঃশ্বাস নিতে পারছে।গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় খাদিজাকে, যাতে খুলি ভেদ করে তার মস্তিষ্কও জখম হয়।হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার হয়। তখন থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন খাদিজা। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়। এরপর আঘাতে মাসল চেইন কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয় ১৭ অক্টোবর।তবে খাদিজার সেরে উঠা নিয়ে এখনও উৎকণ্ঠা কাটেনি স্বজনদের। তারা চাইছেন খাদিজাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে। খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ওকে দেখে বেশ অস্থির লাগছিল, মনে হচ্ছিল ও যেন যন্ত্রণায় আছে। ওকে আমরা দেশের বাইরে নিতে চাচ্ছি। কিন্তু সরকার যেহেতু বলেছে ওর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা নেবে, তাই আমরা তাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
উৎকণ্ঠার কিছু নেই জানিয়ে ডা. নাজিমকে বলেন, খাদিজার আত্মীয়রা তাকে দেখে আবেগের চোখ দিয়ে, তাই তাদের মনে হচ্ছে সে যন্ত্রণায় আছে।
No comments:
Post a Comment