Sunday, February 28, 2021

 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় আদা

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় আদা

আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়াও কাঁচা আদায় রয়েছে দারুণ সব উপকারিতা। আসুন আদার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

হজমের সমস্যা রোধে: রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতে আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে।  

বমি রোধে: অনেক সময় আমাদের দেহে অস্থিরতা কাজ করে, তখন কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। বমি বমিভাব বা বমি হয়ে যায়। এমন সময় আপনি যদি আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করেন। তাহলে তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন। 
ক্ষতস্থান পূরণ করতে: দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে। পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর। 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী। প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।

আদা ক্যান্সাররোধী: আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা। সুতরাং ক্যান্সার এর অনেক ভাল প্রতিরোধক।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতায়: আদা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।

পেটের রোগ নিরাময়ে: আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Saturday, February 27, 2021

 

''সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জালটা সূক্ষ্মভাবে বোনা হয়েছিলো''

মিলি সুলতানা 

)

''সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জালটা সূক্ষ্মভাবে বোনা হয়েছিলো''
সামিয়া রহমান

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জালটা অতি মেধাবী কারিগরদের সমন্বয়ে সূক্ষ্মভাবে বোনা হয়েছিলো। শিকাগো ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে আনা প্লেজারিজমের অভিযোগের ভিত্তিতে সামিয়ার বিরুদ্ধে যে শাস্তি ঘোষিত হল, তাঁকে পদাবনতির মতো অসম্মানজনক পরিণতির মুখে ঠেলে দেয়া হল, সেই চিঠিটাই ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। সামিয়া রহমান রহমান শিকাগো ইউনিভার্সিটির সাথে যোগাযোগ করার পর থলের বিড়াল বেরিয়ে এলো। শিকাগো জার্নালের এডিটর ক্রেইগ ওয়াকার সামিয়াকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, অ্যালেক্স মার্টিন বলে তাদের ইউনিভার্সিটিতে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই। পুরো চিঠিটাই ভুয়া, অ্যালেক্স মার্টিন নামটাও ভুয়া। একটা মিথ্যা চিঠি দিয়ে সামিয়াকে ফাঁসানো হয়েছে।

সামিয়া রহমানের নিন্দুকের সংখ্যা শুধু এখানেই শেষ নয়। সামিয়ার নিন্দুকের এই টাইটানিক বহরটি অনেক আগে থেকেই তাদের মিশনে নেমে গিয়েছে। সামিয়া রহমান কেন অনেকের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন, তার কিছু কারণ  উদঘাটন করেছি, (১) সামিয়া রহমান অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে গোল্ড মেডেল পাওয়া ব্যক্তি। (২) সামিয়া অত্যন্ত স্মার্ট সুদর্শনা। তার আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গির ধারে কাছে কেউ যেতে পারেনি। (৩) সামিয়া খুব ফ্যাশনেবল। তার ফ্যাশনে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক দুর্লভ কম্বিনেশন। যা দেখলে অনেকের কলিজায় আগুন জ্বলে। তারা শত চেষ্টা করেও সামিয়ার মত ফ্যাশন সচেতন হতে পারবে না। (৪) ফ্যাশন সচেতন সামিয়ার হেয়ার স্টাইল তাদের অনেকের কাছে আজব মনে হয়। (৫) ইংরেজিতে সামিয়ার আছে দুর্দান্ত দক্ষতা। ক্লাসে তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের সুনিপুণ স্টাইলে পড়ান বলে পুরো ডিপার্টমেন্টের সকল ছাত্রছাত্রীদের কাছে সামিয়া একজন আইকন। ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষক সামিয়ার প্রতুৎপন্নমতিতার জন্য তার ভক্ত হয়ে গেছে। এটাও সামিয়াকে হিংসার আরেকটা কারণ। 

জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে সামিয়াই সবার শীর্ষে থাকবেন। তাই অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই তো "মুখুজ্জে বাড়ির মুখুজ্জেরা" সামিয়ার ঠ্যাঙ টেনে ধরে হলেও তাকে নিচে নামিয়ে আনার বিশেষ মেয়াদি কোর্সটিও কমপ্লিট করেছে। তবে সত্যের জয় হবেই। মিথ্যার রাজত্ব অস্থায়ী। সোশাল মিডিয়াতে সামিয়া রহমান পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কবলে পড়েছেন। আজকাল আর অবাক হই না নিজেদেরকে নীতিবাদী বলে দাবি করা ব্যক্তিদের মুখে অনৈতিক কথা শুনে। আসলে এরা গরু পার্টির গোবলয় থেকে আমদানি করা কালচারের ধারক ও বাহক। এই ব্যাপারটি নিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

কী পাবে কী হারাবে বাংলাদেশ 

এলডিসি থেকে বের হলে 

রুকনুজ্জামান অঞ্জন  


এটি এখন জানা তথ্য যে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হচ্ছে বাংলাদেশের। শুক্রবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)-এর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। এর ফলে পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় কাটানোর পর ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এটি একটি অনন্য অর্জন। সাধারণ মানুষের কৌতূহল অন্য জায়গায়। তারা জানতে চাইছে-এর ফলে কী পাবে বাংলাদেশ? আর কীই-বা হারাবে? সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে গেলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সারা বিশ্বে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের লাভ বা ক্ষতি কতটুকু হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত হিসাব নেই সরকারের কাছে।

সরকারের সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি বার্ষিক ১১ শতাংশ হারে কমতে পারে। এতে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হতে পারে। তবে এটি অনুমাননির্ভর হিসাব।

কী পাবে বাংলাদেশ : সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতার পর তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে চিহ্নিত একটি রাষ্ট্র ৫০ বছরের মধ্যে সেই অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নশীলে উত্তরণ ঘটছে-বহির্বিশ্বে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন। এর ফলে বাংলাদেশের মর্যদা বৃদ্ধি পাবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বিনিয়োগ বাড়ার কারণে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। ফলে মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়বে। আয় বাড়ার কারণে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। এর ফলে বিভিন্ন খাতে সরকারের বিনিয়োগ বাড়বে। আবার এলডিসি থাকার কারণে বহির্বিশ্বে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে বাণিজ্যিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত ও সুদের হার বেশি পড়ে। উন্নয়নশীলে উত্তরণের কারণে রিস্ক ফ্যাক্টর কমে যাবে। এতে করে বাণিজ্যিক ঋণের সুদের হার কমবে। বেসরকারি খাতে অর্থায়ন সুবিধা বাড়বে। এটিও বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। আবার সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানব সম্পদ সূচকে আরও উন্নয়ন ঘটবে। নতুন বিনিয়োগের লক্ষ্যে সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন হবে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমদানি-রপ্তানি নীতিসহ সরকারের কর নীতিতে পরিবর্তন আসবে। এতে করে বহির্বাণিজ্যে সক্ষমতা বাড়বে বাংলাদেশের। আবার কারখানা ও শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। পণ্য রপ্তানিতে দরকষাকষির সুযোগ বাড়বে বাংলাদেশের।

কী হারাবে বাংলাদেশ : ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে ভারত ও চীন ছাড়াও উন্নত দেশগুলোতে যে বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে, সেটি আর পাওয়া যাবে না; তিন বছর পর অর্থাৎ ২০২৯ সালের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা হারাবে; এলডিসি হিসেবে মেধাস্বত্ব, পেটেন্ট, তথ্য প্রযুক্তি ও সেবা খাতে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীলে উত্তরণের পর বিনামূল্যে এসব প্রযুক্তি বা সেবা মিলবে না; ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ পেটেন্ট লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ উৎপাদন করতে পারে। ২০৩৩ সালের পর এই সুবিধা আর পাওয়া যাবে না; স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের অনুদান ও সহজশর্তে ঋণ সহায়তা পাচ্ছে। বিশেষ করে জলবায়ু তহবিল থেকে বিশেষ বরাদ্দ রয়েছে। ২০২৬ সালের পর এসব অনুদান বা সহায়তা মিলবে না; স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিশেষ সহায়তা পাওয়া যায়। এসব সহায়তা আর ২০২৬ সালের পর পাওয়া যাবে না; এনজিওগুলোও বর্তমানে যেসব খাতে অনুদান পাচ্ছে তা আর পাবে না; এমন কি বর্তমানে যে রেয়াতি সুদে অর্থাৎ সহজ শর্তে বিশ্বব্যাংক, এডিবি থেকে ঋণ মিলছে সেটিও আর মিলবে না। তাদের ঋণের সুদের হার বেড়ে যাবে; এ ছাড়া এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। রপ্তানি খাতে দিচ্ছে নানা ধরনের প্রণোদনা সুবিধা। এমন কী রেমিট্যান্স আয়েও নগদ সহায়তা দিচ্ছে। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে এসব ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আসবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা নির্ভর অর্থনীতির দিকে যেতে হবে। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জনের জন্য আমাদের প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে অবকাঠামোসহ ব্যবসায় পরিবেশ সক্ষমতা, বন্দর সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। যাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা না পেলেও পণ্যের দাম ঠিক রেখে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা যায়।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে যেমন নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হবে তেমনি নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। বলা হচ্ছে, রপ্তানি খাতে বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক দিয়েই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছি। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার এখন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে উত্তরণের পর শুল্ক সুবিধা না পেলেই দেশের রপ্তানি ঝুঁকিতে পড়বে এমন ভাবার কারণ নেই। সিপিডির এই গবেষক বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। উদ্যোক্তারা পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের পাশাপাশি কারখানা ও শ্রমিকের দক্ষতা বাড়াতে বিনিয়োগ করবেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন বাজারে নতুন পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করবেন। চ্যালেঞ্জের বিপরীতে এটি এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।

Tuesday, February 23, 2021

 হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ১৮ বছরে পদার্পন উপলক্ষে বিশেষ প্রামাণ্য অনুষ্ঠান

বীজ থেকে ফসলের গল্প। কুড়ি থেকে ফুলের গল্প। কৃষি অর্থনীতির সবচেয়ে নিবিড় চিত্র। কৃষিকেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থায় এক যাদুকরি পরিবর্তনের অনন্য নিয়ামক যে কার্যক্রম।

একজন উন্নয়ন সাংবাদিকের চার দশকের পথচলার সঙ্গে গণমাধ্যমের নতুন বিপ্লবের দেড় যুগ।
Like and follow Facebook: https://bit.ly/2PLleD8
Subscribe YouTube: http://bit.ly/2wIBg7r
Follow Twitter: https://bit.ly/2r0ZpoU
Follow Instagram: https://bit.ly/2qdPv2S
Follow Linkedin: https://bit.ly/33aq7tk


জনপ্রিয় ১৫০ টি অনুবাদ আশাকরি কাজে লাগবে।                                                                                                                           ১, অভাবে সভাব নষ্ট- Necessity knows no law

২, অতি চালাকের গলায় দড়ি- Too much cunning overreaches itself.
৩, অতি লোভে তাতি নষ্ট- To kill the goose that lays golden eggs./ All covet, all lost.
৪, অতি ভক্তি চোরের লক্ষন- Too much courtesy, full of craft.
৫, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট- Too many cooks spoil the broth.
৬, অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু- A friend in need is a friend indeed.
৭, অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী- A little learning is a dangerous thing.
৮, অপচয়ে অভাব ঘটে-Waste not, want not.
৯, অন্ধকারে ঢিল মারা-Beat about the bush.
১০, অন্ধের কিবা রাত্রি কিবা দিন-Day and night are alike to a blind man.
১১, অপ্রিয় সত্য কথা বলতে নেই- Do not speak an unpleasant truth.
১২, অরণ্যে রোদন/ বৃথা চেষ্টা- Crying in the wilderness.
১৩, অর্থই অন অনর্থের মূল-Money is the root cause of all unhappiness.
১৪, অহংকার পতনের মূল-Pride geoth before destruction.
১৫, অহিংসা পরম ধর্ম-Love is the best virtue.
১৬, অসারের গর্জন তর্জন সার/খালি কলসি বাজে বেশি-An empty vessel sounds much.
১৭, আকাশ কুশুম কল্পনা-Build castles in the air.
১৮, আগাছার বাড় বেশি-All weeds grow apace.
১৯, আগে ঘর, তবে তো পর-Charity begins at home.
২০, আঠারোমাসে বছর-Tardiness.
২১';নিজের গায়ে নিজেই কুড়াল মারা-To dig one’s own grave.
২২,নিজের ভাল পাগলেও বোঝে- Even a fool knows his business.
২৩,নিজে বাঁচলে বাপের নাম/ চাচা আপন প্রাণ বাচা-Self preservation is the first law of nature.
২৪, আগুন নিয়ে খেলা-To play with fire.
২৫, আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর-The cobbler must stick to his last.
২৬, আয় বুঝে ব্যয় কর-Cut your coat according to yor cloth.
২৭, আল্লাহ তাদেরই সাহায্য করেন যে নিজেদের সাহায্য করে- Allah helps those who helps help themselves.
২৮, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়-Where there is a will, there is a way
২৯, ইটট মারলে পাটকেলট খেতে হয়-Tit for tat.
৩০,আল্লাহ্ যা করেন সবই মঙ্গলের জন্য-It is all for the best./ What Allah wills is for good.
৩১, উলু বনে মুক্তা ছড়ানো- To cast pearls before swine.
৩২, উত্তম মাধ্যম দেওয়া(মারপিট করা)- To beat black and blue.
৩৩, উচুগাছেই বেশি ঝড় লাগে-High winds blow on high hills.
৩৪, উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়-The child is father to the man
৩৫, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে- One doth the scath and another hathhh the scorn.
৩৬, উড়ে এসে জুড়ে বসা-To be quick to occupy.
৩৭, এক ক্ষুরে মাথা মোড়ান-To be tarred with the same brush.
৩৮, এক ঢিলে দুই পাখি মারা-To kill two birds with one stone.
৩৯, এই তো কলির সন্ধ্যা- It is just the beginning of the trouble.
৪০, এক হাতে তালি বাজে না-I takes two to make a quarrel.
৪১, এক মিথ্যা ঢাকতে অন্য মিথ্যার অশ্রয় নিতে হয়- One lie leads to another.
৪২, একাই একশ- A host in himself.
৪৩, একূল অকূল দুকূল গেল- To fallen between two stools.
৪৪, এক মাঘে শীত যায় না- One swallow does not make a summer.
৪৫, এক মুখে দূরকম কথা-To blow hot and cold in the same braeth.
৪৬, কই মাছের প্রাণ বড় শক্ত- A cat has nine lives.
৪৭, কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না-No pains no gains.
৪৮, কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না-Black will take no other hue.
৪৯, কাচা বাশে ঘুণে ধরা-To be spoiled in early youth.
৫০, কাটা দিয়ে কাটা তোলা-To swallow the bait.
৫১, কাকে কান নিয়েছে শুনে কাকের পিছনে ছোটা- To swallow the bait.
৫২, কাকের মাংস কাকে খায় না-No raven will not pluck another’s eye.
৫৩, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা-To add insult to injury./ To add fuel to fire.
৫৪, কান টানলে মাথা আসে-Give the one, the other will follow.
৫৫, কানা ছেলের নাম পদ্ম লোচন-Appearances are deceptive.
৫৬, কিল খেয়ে কিল চুরি করা-To pocket an insult.
৫৭, কুকুরের পেটে ঘি সহ্য হয়না- Habit is the second nature.
৫৮, কেচো খুরতে সাপ-From the frying pan to the fire.
৫৯, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়- Let us wait to see the conclusion.
৬০, খাল কেটে কুমির আনা- To bring on calamity by one’s own imprudence.
৬১, অসারের গর্জন তর্জন সার/খালি কলস বাজে বেশি -Empty vessels sound much.
৬২, খিদে থাকলে নুন দিয়ে খাওয়া যায়।–Hunger is the best sauce.
৬৩, গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া-To leave one in the lurch.
৬৪, গামে মানে না আপনি মোড়ল- A fool to others to himself a sage.
৬৫, ঘর পোড়া গরু সিদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়-A burnt child dreads the fire.
৬৬, ঘরের শত্রু বিভীষন- Fifth columnist.
৬৭, ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া-To make a fruitless effort.
৬৮, ঘোড়া দেখে খোড়া খোড়া হওয়া- To be unwilling to work when there is somebody to help.
৬৯, ঘোমটার ভেতর খেমটার নাচ-Coquetry under the guise of modesty.
৭০, চাদেও কলঙ্ক আছে-There is no unmixed goods.
৭১, চাচা আপন জান বাচা-Ever y man is for himself.
৭২, চেনা বামুনের পৈতা লাগে না-Good value for ready money.
৭৩, চকচক করলেই সোনা হয় না-All the glitters is not gold.
৭৪, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই-All thieves are cousins.
৭৫, ছেড়ে দে মা কেদে বাচি-Don’t nag me, and leave me in peace.
৭৬, ছেলের হাতের মোয়া-Child’s play thing.
৭৭, জহুরীরাই জহর চেনে-Diamond cut diamond.
৭৮, জোর যার মুল্লুক তার-Might is right.
৭৯, গরু মেরে জুতা দান-To rob Peter, to pay paul.
৮০, ঝিকে মেরে বৌকে শেখান-To whip the cat of the mistress who doesn’t spin.
৮১. ঝোপ বুঝে কোপ মারা- Make hay while the sun shines.
৮২. টাকায় কি না হয়-Money makes everything.
৮৩. ঠেলার নাম বাবাজি -Nothing likes force.
৮৪. তেল মাথায় তেল দেওয়া- To carry coal to new castle.
৮৫. দশের লাঠি একের বোঝা-Many a little makes a mickle.
৮৬. দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষা-To cherish a serpent in one's bosom.
৮৭. দুষ্ট গরু অপেক্ষা শূন্য গোয়াল ভাল-Better an empty house than a bad tenant.
৮৮.দেখতে নারী তার চলন বাকা- Faults are thick whele loves is thin.
৮৯. ধান বানতে শীবের গীত-A rigmorale
৯০. ধরমের কল বাতাসে নড়ে-Virtue proclaims itself.
৯১, ধরি মাছ না ছুয়ে পানি- To make sure of something without risking anything.
৯২, নুন আন পানতা ফুরায়-After meal comes mustard.
৯৩, নানা মুনির নানা মত-Many men, many minds.
৯৪, নাকে তেল ঘুমান-To be careless about what happens.
৯৫, নিজের বলই শ্রেষ্ঠ বল-Self-help is the best help.
৯৬, পাকা ধানে মই দেওয়া-To do a great injury.
৯৭, পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়-A mad man and an animal have no difference.
৯৮, পাপের ধন প্রায়শিত্তে যায়-Ill got, ill spent.
৯৯, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে-All that is old is not bad.
১০০, পেটে খেলে পিঠে সয়-Pain is forgotten where gain follows.
১০১, পরের মন্দ করতে গেলে নিজের মন্দ আগে হয়-Harm watch, warm catch.
১০২, বসতে পেলে শুতে চায়-Give him an inch and he will take an ell.
১০৩, বার মাসে তের পার্বন-A succession of festivities the all year round.
১০৪, বিধাতার লিখন না যায় খণ্ডন-Inevitabl
e are the decrees of God.
১০৫, বিয়ে করতে কড়ি, ঘর বাধতে দড়ি-Be sure before you marry of a house, where in tarry.
১০৬, ভাই ভাই ঠাই ঠাই- Brothers will part.
১০৭, ভিক্ষার চাল কাড়া আর আকাড়া- Beggars must not be chosen.
১০৮, ভাগ্যর লেখা খণ্ডায় কে-Fate cannot be resisted.
১০৯, ভাজ্ঞা মন জোড়া লাগে না-Lost credit is like broken glass.
১১০, ভাবিয়া করিও কাজ-Look before you leap.
১১১, মশা মারতে কামান দাগা-To take a hammer to spread a paster.
১১২, মরা হাতি লাখ টাকা-The very ruins of greatness are great.
১১৩, মা রক্ষ্ণী চঞ্চলা-Riches have wings.
১১৪, মাছের তেলে মাছ ভাজা-To gain without spending.
১১৫, মৌ্নতা সম্মতির লক্ষণ-Silence gives consent./Silence is half consent.
১১৬, মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজেনা- Fine words butter no parsnips.
১১৭, মূর্খই মূর্খের কদর করে-Fools paradises fools.
১১৮, যতক্ষন শ্বাস, ততক্ষণ আশ-While there is life there is hope.
১১৯, যার জ্বালা সেই জানে-The wearer best knows where the show pinches.
১২০, যার বিয়া তার খব র নাই পাড়াপড়শির ঘুম নাই- Though he is careless to make his mark, others are moving mountains for him.
121. যে রক্ষক সেই ভক্ষক- I am makers are law breakers.
122. যেমনি বাপ তেমনি ব্যাটা- Like father like son.
123. যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়- Dangers often comes where danger is feared.
124. যেম্ন কুকুর তেম্ন মুগুর- As is the evil, so is the remedy.
125. আপনি ভাল তো সব ভাল-To the good the world appears to be good.
126. ব্যননা বনে খাটাস রাজা-A dog is a lion in his lane.
127. রাখে আল্লাহ মারে কে- What good wills no frost can kill.
128. রতনে রতন চেনে মানিকে মানিক- Diamonds cuts diamond.
129. শাকদিয়ে মাছ ঢাকা- Hide in a superficial way.
130. সাবধানের মার নাই- Safe bind, safe find.
131. সস্তার তিন অবস্থা-Penny wise poun foolish.
132. সব ভাল যার শেষ ভাল তার-All’s well that that ends well.
133. সময় একবার বয়ে গেলে আর ফেরত আসে না- Time once lost cannot be regained.
134. সবুরে মেওয়া ফেলে- Patience has its reward.
135. হয় এসপার নয় ওসপার-To be desperate.
135. হাটের মাঝে হাড়ি ভাঙা-To wash one’s dirty line in public.
136.হাতি ঘোড়া গেল তল মশা বলে কত জল-Fools rush in in where anger fear to tread./ He would bend the bow of Ulysses.
137. কর্তর ইচ্ছায় কর্ম-Master’s will is law.
138. যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ- A drawing man catches at a straw.
139. যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা-Faults are thick where love is thin.
140. যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা-Faults are thick where love is thin.
141. তুমি কোথায় থাক?-Where do you put up?
142. এ বিষয়ে মতভেদ আছে--Opinions differ on this subject.
143. এ বাড়ীটি ভাড়া দেয়া হবে--The house is to let.
144. আমার বড় ক্ষুধা পেয়েছে--I feel very hungry.
145. আমার ঠান্ডা লেগেছে-- I have caught a cold.
146. নিজের চরকায় তেল দাও--Oil your own machine.
147. অনভ্যাসের ফোঁটা কপাল চড়চড় করে-- Every shoe fits not foot
148. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঈশ্বরভক্তির একটি দাপ-- Cleanliness is next of godliness
149. রক্তের টান বড় টান-- Blood is thicker than water.
150. নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল-- Something is better than nothing.

 

বিয়ে করুন আইন জেনে 

বিয়ে করুন আইন জেনে
রহমান শেলী

দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৯৩ থেকে ৪৯৮ ধারা পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

৪৯৪ ধারা: স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় পুনরায় বিয়ে করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উক্ত ধারা মোতাবেক, স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকাবস্থায় পুনরায় বিয়ে করলে, তা সম্পূর্ণ বাতিল বলে গণ্য হবে। এবং এই অপরাধ প্রমাণিত হলে, প্রতারণাকারী স্বামী বা স্ত্রী ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

ব্যতিক্রম: যদি স্বামী বা স্ত্রী ৭ বছর পর্যন্ত নিরুদ্দেশ থাকেন এবং জীবিত আছে মর্মে কোন তথ্য না পাওয়া যায়, এমন পরিস্থিতিতে পুনরায় বিয়ে করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। এছাড়া কোন স্বামী বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের অনুমতি নিয়ে বিশেষ কোন কারণ দেখিয়ে বিশেষ কোন পরিস্থিতিতে সালিসি পরিষদের কাছে আবেদন করলে সালিসি পরিষদ তা যাচাই সাপেক্ষে, পরবর্তী বিয়ের অনুমতি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে পুনরায় বিয়ে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।

(সালিসি পরিষদ বিষয়ে নিম্নে বলা হলো।)

৪৯৫ ধারা: তবে, আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে, প্রতারণার মাধ্যমে যদি পুনরায় বিয়ে করে তবে যাকে প্রতারণা করে বিয়ে করা হল-তিনি অভিযোগ করলে তা ৪৯৫ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।

৪৯৪ ও ৪৯৭ ধারা: আবার কেউ জেনে শুনে, অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করলে উক্ত বিয়ে দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা মোতাবেক সম্পূর্ণ বাতিল বিয়ে। এক্ষেত্রে, তা দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা মোতাবেক ব্যভিচার হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরাধ প্রমাণ হলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে।

ডিভোর্স কার্যকর সময়: উল্লেখ্য যে, সাধারণত ডিভোর্স কার্যকর হতে ৩ মাস সময় লাগে। তাই শুধু ডিভোর্স দিলেই হবে না। ডিভোর্স কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় বিয়ে করার সুযোগ নেই।

সালিসি পরিষদ: সালিসি পরিষদের লিখিত অনুমতি নিয়েই কেবল দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে। সালিসি পরিষদে যদি বর্তমান স্ত্রী অনুমতি প্রদান না করেন, তাহলে কোনোভাবেই দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে না। 

তবে, সালিসি পরিষদকেও নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনা করে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি প্রদান করতে হবে। যেমন: ১. বর্তমান স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব, ২. শারীরিক মারাত্মক দুর্বলতা, ৩. দাম্পত্যজীবন সম্পর্কিত শারীরিক অযোগ্যতা, ৪. মানসিকভাবে অসুস্থতা ইত্যাদি। 

কোনো কারণে যদি স্ত্রী পৃথক থাকতে চান বা আলাদা বসবাস করেন সে ক্ষেত্রেও স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। তবে কোনো কারণে যদি স্ত্রী ঘরে আর না ফেরেন এবং দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অনুমতিও প্রদান না করেন, তাহলে আইনসম্মতভাবে তালাক কার্যকর করার পরই পুনরায় বিয়ে করতে হবে।

মুসলিম পারিবারিক আইন: যে ব্যক্তি সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করেন, তিনি ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬ (৫) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে দোষী ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত বিনা শ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। এ জন্য প্রথম স্ত্রীকে স্বামীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে হবে। আবার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যদি আগের বিয়ের কথা গোপন করেন তাহলেও দণ্ডবিধি অনুযায়ী কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

বউ ২ খান হলে

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলেও প্রথম স্ত্রী সম্পূর্ণ মোহরানার টাকা দাবি করতে পারেন। স্বামী সম্পূর্ণ মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে আইনত বাধ্য। বর্তমান স্ত্রীকে কাবিননামায় তালাকের ক্ষমতা দেওয়া হলে সরাসরি নতুবা আদালতে মামলা করে বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারেন। দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে প্রথম স্ত্রী আলাদা বসবাস করেও ভরণপোষণ পাবেন। কোনোভাবেই স্বামীর ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না। আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেললে দ্বিতীয় স্ত্রীকেও তার মোহরানাসহ যাবতীয় আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। উভয় পক্ষের সন্তানসন্ততিকেও প্রাপ্য ভরণপোষণ দিতে হবে। সব সন্তানই ভবিষ্যতে সমানভাবে উত্তরাধিকারীর সব অধিকার লাভ করবে। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে দ্বিতীয় বিয়েটি অবৈধ হয়ে যাবে না। কিন্তু স্বামীকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

লেখক: কথা সাহিত্যিক ও পুলিশ সুপার।

 

মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার শর্তে নিজ বাড়িতে সাজা ভোগের আদেশ

মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার শর্তে নিজ বাড়িতে সাজা ভোগের আদেশ

পারভিন নামের এক আসামির সাতটি শর্ত মেনে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। শর্তের মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা ১০টি বই পড়া অন্তর্ভুক্ত। পারভীন দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি।  

২২ ফেব্রুয়ারি সাতটি শর্তে বাড়িতে সাজা ভোগের আদেশ দিয়েছেন যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস। সাজাপ্রাপ্ত পারভিন যশোর শহরের আশ্রম রোডের গাড়োয়ানপট্টির মৃত ওহাব মুন্সির মেয়ে।

আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের কৌঁসুলি (এপিপি) আইয়ুব খান বাবুল। আদালতের দেওয়া শর্তের মধ্যে রয়েছে, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি, নীলিমা ইব্রাহিমের আমি বীরঙ্গনা বলছি, মালেকা বেগমের মুক্তিযদ্ধে নারী, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আনিসুল হকের মা, জহির রায়হানের আরেক ফাগুন ও একুশের গল্প, সেলিনা হোসেনের নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি ও যাপিত জীবন, শওকত ওসমানের আর্তনাদ ও সৈয়দ শামসুল হকের আরও একজন বইটি পড়তে হবে।

একইসঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থেকে কোন প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়ানো যাবে না। সর্বত্র শান্তি বজায় রাখবেন এবং সবার সঙ্গে সদাচারণ করবেন। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কখনো তলব করলে শাস্তি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যথাস্থানে হাজির হবেন। কোন প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা বা চলাফেরা করতে পারবেন না।

আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বাসস্থান ও জীবনধারণের উপায় সম্পর্কে জানাবেন। এই সময়ে প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। আদেশের কোন শর্ত ভঙ্গ করলে, যে কোনো সময় আদালত কৃর্তক প্রবেশন বাতিল হবে এবং কারাগারে অন্তরীণ থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১৫ জুন আসামি পারভিনকে আটক ও তার কাছ থেকে ২০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৫ বছরের মধ্যে হাজিরা বন্ধ করেননি পারভিন। এই মামলা ছাড়া তার নামে আর কোনো মামলা নেই। আসামির সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিচারক।

 

‘ঘুমের চাইতে নামাজ উত্তম’

‘ঘুমের চাইতে নামাজ উত্তম’

নামাজ ফরজ ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন সব মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। এ নামাজ পরকালের মুক্তি লাভের অন্যতম মাধ্যম।

কারণ পরকালে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব সুন্দরভাবে দিতে পারবে, তার পরবর্তী হিসাব সহজ হয়ে যাবে। আবার নামাজ দুনিয়ায় সব ধরনের অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।

শুধু তাই নয়, নামাজের মাধ্যমে নামাজি ব্যক্তি অনেক শারীরিক উপকার লাভ করে।

যার কিছু তুলে ধরা হল-
দাঁড়ানো: মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়; তখন সব চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

রুকু: নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করে এবং রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে কোমর ও হাটু ব্যাথা উপশম হয়।

সিজদা: নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আবার সিজদা থেকে ওঠে যখন দুই সিজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁ টু সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।

ওঠা-বসা: নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তিকে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে স্থির দাঁড়ানো, আবার সিজদায় যাওয়া, সিজদা থেকে ওঠে স্থিরভাবে বসা, আবার সিজদা দিয়ে দাঁড়ানো বা বসা। এসবই মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এতে মানুষের শারীরিক বহুবিদ উপকার সাধিত হয়।

মানসিকতার পরিবর্তন: নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে। গোনাহ, ভয়, নীচুতা, হতাশা, অস্থিরতা, পেরেশানি ইত্যাদি দূরভীত হয়। ফলে বিশুদ্ধ মন নিয়ে সব কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।

দেহের কাঠামোগত উন্নতি: নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়। মানুষ যখন নামাজে নড়াচড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।

পরিচ্ছন্ন রাখে: নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। ওজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় যা দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে মানুষ সুরক্ষিত থাকে।

চেহারার লাবণ্যতা বৃদ্ধি: নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই মানুষের মুখমণ্ডল ম্যাসেস হয়ে থাকে। যাতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায়। 

বিশেষ করে…নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস,  চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। 

হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত,নামাজ মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের মধ্যে নামাজের মতো এমন সামগ্রিক ইবাদত আর নেই। নামাজির জন্য এটা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, এটি একান্তই সামগ্রিক ব্যায়াম। যার প্রভাব মানুষের সব অঙ্গগুলোতে পড়ে এবং মানুষের প্রতিটি অঙ্গ নড়াচড়ার ফলে শক্তি সৃষ্টি হয় এবং সুস্বাস্থ্য অটুট থাকে।
পরিশেষে...নামাজের উপকারিতায় আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’
শুধু তাই নয়, নামাজ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের অনন্য হাতিয়ার।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।

নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিনl

Saturday, February 20, 2021

 

হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ 
মানবতার জন্য বিনামূল্যে একটি বই

আমি এই বইয়ে যা নিশ্চিত করছি তা হ'ল একটি ভবিষ্যদ্বাণী যা খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে, কারণ আমি গ্রহের সমাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত; আমি এটা জানি. আমি ভীত নই, কিন্তু সাবধান করছি, কারণ আমি এই অসহায় মানব সভ্যতা নিয়ে চিন্তিত। এই ঘটনা গুলো ঘটতে বেশি দিন সময় লাগবে না এবং অলীক বিষয়ে অপচয় করার কোনও সময় নেইএখানে ক্লিক করুন

বিশ্বের প্রতিটি কোণে আমরা শেষ সময়গুলি সম্পর্কিত ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিবরণগুলি পেতে পারি, এগুলি সমস্তই একে অপরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

এই পূর্বাভাসগুলির বেশিরভাগই আমাদের পৃথিবীতে বিরাট বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে যেমন একটি আসন্ন মেরু স্থানান্তর, ফলস্বরূপ বরফের আবরণ গলে যাওয়া এবং শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং সুনামির কারণে বিশাল ভূমি অদৃশ্য হয়ে যাওয়া।

এখানে অগণিত ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যার মধ্যে কিছু মিল রয়েছে: তারা বিশেষভাবে একটি বিশাল গ্রহের বিষয়ে কথা বলে যা পর্যায়ক্রমে আমাদের কাছে আসে। পূর্বে সেই গ্রহটি আমাদের সৌরজগতে পৌঁছে এমন মহাবিপর্যয় ছড়িয়ে দিয়ে ছিল যা লেমুরিয়া এবং আটলান্টিসের সভ্যতাগুলিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। এখন, এটি আমাদের বর্তমান সভ্যতার অবসান ঘটাতে আসতে পারে এবং এভাবেই একটি নতুন যুগের জন্ম দেবে।

এটি বিভিন্ন প্রথা, ভবিষ্যদ্বাণী ও পবিত্র বইগুলিতে যেমন বিভিন্ন নামে স্বীকৃত যেমন: বাল, কোল্ড প্ল্যানেট, রেড প্ল্যানেট, ওয়ার্মউড, আজেঞ্জো, হারকোলুবাস, বার্নার্ড প্রথম এবং আরও অনেক কিছু। এই জাতীয় গ্রহ ইতিমধ্যে টেলিস্কোপগুলিতে দৃশ্যমান হবে এবং এর আকার বৃহস্পতির চেয়ে ছয়গুণ বেশি হবে।

জীবনের আগমন এবং চলার পথে, সমস্ত কিছুই তার শুরু বা শেষের দিকে ফিরে আসে। সুতরাং, আমাদের পূর্বের সময়ে হারকোলুবাস এর সাথে সংঘর্ষে আটলান্টিয়ান সভ্যতার অবসান ঘটিয়েছিল। এই ঘটনাগুলি বিভিন্ন ধর্ম এবং সংস্কৃতিতে ‘সর্বজনীন বন্যার মাধ্যমে যথাযথভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

অনেকে এ জাতীয় মহাজাগতিক ঘটনা সম্পর্কে কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে একজন ভি.এম. রাবোলু, যিনি জাগ্রত চেতনার শক্তি ব্যবহার করে সেই গ্রহের পদ্ধতির অনুসন্ধান করেছিলেন, যা তাকে সেই মহাজাগতিক গ্রহ নিয়ে গবেষণা করতে সক্ষম করেছিল। অ্যালসিওন অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বব্যাপী বিনামূল্যে পাঠানো ‘হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ’ শিরোনামে তাঁর রচনায় তিনি লিখেছেন:

‘যখন হারকোলুবাস পৃথিবীর নিকটে এসে সূর্যের সাথে একই রেখায় আসবে, তখন মারাত্মক মহামারীটি পুরো গ্রহে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে। এটি কোন ধরণের অসুস্থতা বা কীভাবে এর নিরাময় করবেন তা ডাক্তার বা অফিসিয়াল বিজ্ঞান উভয়ই জানতে পারবেন না। তারা মহামারীর মুখে শক্তিহীন হয়ে পড়বে।’

‘ট্র্যাজেডি এবং অন্ধকারের মুহূর্তটি আসবে: কাঁপুনি, ভূমিকম্প এবং জলোচ্ছ্বাস এর ঢেউ। মানুষ মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে উঠবে, কারণ তারা খেতে বা ঘুমাতে পারবে না। বিপদের মুখোমুখি উন্মাদ হয়ে তারা খাড়া পাথরের চূড়া থেকে নিজেদের ফেলে দেবে ।’

ভি.এম. রাবোলু

রহস্যবাদে কলম্বিয়ার মহান গবেষক ভি. এম. রাবোলু সেই হুমকি সম্পর্কে মানবতাকে সতর্ক করার জন্য তার আওয়াজ তোলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বাস্তবে, এটি আমাদের সভ্যতা এবং আমাদের সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে পারে। তাঁর বইয়ে, তিনি আমাদের মানসিক অপূর্ণতাকে পরিহার করার পদ্ধতি এবং আসন্ন বিপর্যয় থেকে বাঁচার একমাত্র বিদ্যমান সূত্র হিসাবে সচেতন এস্ট্রাল প্রোজেকশন এর কৌশল শিখিয়েছেন।

ভি.এম.রাবোলু এই বলে তাঁর কাজ শেষ করেছেন:

‘প্রিয় পাঠক: আমি খুব স্পষ্টভাবে কথা বলছি যাতে আপনি গুরুত্বের সাথে কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন। যে কাজ করছে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে। এটি আপনার তত্ত্ব তৈরি বা আলোচনা করার জন্য নয়, তবে এই বইটিতে আমি যে সত্য শিক্ষা দিচ্ছি তা অনুভব করার জন্য। আমরা এর বেশি আর কিছুই করতে পারি না। ’

অ্যালসিওন অ্যাসোসিয়েশন

‘হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ’ বইটির প্রচার ও বিতরণে অলাভজনক সংস্থা এজেন্ট-সহযোগী হিসাবে নিযুক্ত হয়।

প্রকাশক: অ্যাঞ্জেল প্রটস (Ángel Prats)
লেখক: জোয়াকান আমের্তেগুই ভালবুয়েন (ভি.এম. রাবোলু) Joaquín Amórtegui Valbuena (V.M. Rabolú)

অ্যালসিওন অ্যাসোসিয়েশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মধ্যে জাতীয় অ্যাসোসিয়েশনের রেজিস্ট্রিকৃত, গ্রূপ ১, বিভাগ ১ এর সাথে, জাতীয় নম্বর ৫৮৮৬৯৮ এর সাথে নিবন্ধিত এবং এর সদর দফতর বার্গোস শহরের (স্পেন) এর প্যাসিও দে লস পিসোনসে nº ৬– esc. ২ – ৬º C এ অবস্থিত।

লেখক সম্পর্কে

V.M. Rabolu (1926 – 2000)
ভি.এম. রাবোলু (১৯২৬- ২০০০)

ভি.এম. রাবোলু (১৯২৬- ২০০০) টোলিমা (কলম্বিয়া) শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি সত্যিকারের জ্ঞান পেলেন এবং অনেক বছর ধরে গুপ্ত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তিনি অসাধারণ জাগ্রত চেতনার শক্তি গড়ে তোলেন যা শেষ পর্যন্ত তাকে আধ্যাত্মিক গাইডে রূপান্তরিত করে যার মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেন।

অদূর ভবিষ্যত যা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে এই বিষয়ে সচেতন হয়ে, তিনি মানবতাকে আধ্যাত্মিক পুনঃ জাগরণ অর্জনের সূত্র শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন। সুতরাং, ৭০ এর দশক থেকে এবং সর্বদা নিরপেক্ষ ও উদারভাবে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে বক্তব্য, কোর্স এবং কংগ্রেসের মাধ্যমে প্রকাশ্যে সত্য জ্ঞান শেখানোর এক অক্লান্ত কাজ শুরু করেছিলেন।

১৯৯৮ সালে তিনি লিখেছিলেন “হারকোলুবাস বা লাল গ্রহ”। তাঁর প্রত্যক্ষ ও সচেতন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভি.এম. রাবোলু অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের গ্রহে সংঘটিত হবে এমন ভয়াবহ ঘটনা বর্ণনা করেন এবং একটি গভীর রূপান্তর অর্জনের জন্য মানুষ যে পথটি অনুসরণ করতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন। আজকাল, তাঁর রচনায় থাকা বিবৃতিগুলি এমন এক বিশাল সংখ্যক পাঠক দ্বারা স্বীকৃত যারা ৮০ টিরও বেশি দেশ তাঁর শিক্ষা থেকে উপকৃত হয়েছে।

‘আমি মানুষকে ভয় দেখাতে চাই না; আমি একজন মানুষ এবং কী আসবে এবং কী ঘটবে সেই সম্পর্কে আমি সতর্ক করছি’।’

ভি.এম. রাবোলু

ভি.এম. রাবোলু জাগ্রত সচেতনতার দুর্লভ লোকদের মধ্যে রাবোলু অন্যতম ছিলেন। তাঁর শিক্ষাগুলি এই সময়ে অপরিহার্য, যখন বস্তুবাদ এবং মূল্যবোধের অভাব এমন একটি সমাজের স্বতন্ত্র লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা আরও বেশি হারিয়ে যাচ্ছে।

Friday, February 19, 2021

 আগেই বাড়ছে দাম

রমজান সামনে রেখে অভিনব কারসাজি 

দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫০ টাকা, বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন, মিডিয়ার প্রচার এড়াতে ভিন্ন পন্থায় অসাধু ব্যবসায়ীরা


রমজান সামনে রেখে অভিনব কারসাজি

পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগেই অভিনব কারসাজিতে নেমেছে কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাদের কারসাজিতে রমজান শুরু হওয়ার প্রায় মাস দু-এক আগেই অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার কারসাজি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কারসাজি রোধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাজার কারসাজি রোধে চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।’ চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেম্বারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কারসাজি যাতে না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে শীর্র্ষ ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘এতদিন কোনো উৎসবকে টার্গেট করেই কারসাজি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াত চিহ্নিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এবার তারা একটু ভিন্ন কৌশলে পণ্যের দামের কারসাজি করছে। ওই কৌশলের অংশ হিসেবে রমজান শুরু দুই মাস আগে থেকেই বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫০ টাকা।’ আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রমজান কিংবা কোনো উৎসবের আগে আগে প্রশাসনের তৎপরতা থাকে বেশি। দাম বাড়লেও গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়। তাই নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে রমজান শুরু হওয়ার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, এবারও রমজানকে সামনে রেখে পণ্যের কারসাজিতে অভিনব কৌশলে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রামের কমপক্ষে ১০ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এরই মধ্যে কারসাজি করে ভোজ্য তেল, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, রসুন, চিনি এবং খেজুরসহ রমজানের অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেলের মণপ্রতি দাম বেড়েছে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। পাম তেলের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। ছোলার দাম বেড়েছে ৪৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। চিনির দাম বেড়েছে মণপ্রতি ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। হঠাৎ দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। রপ্তানিকারক দেশগুলোতে উৎপাদন কমে গেছে। বিশ্ব বাণিজ্যের অবস্থাও খুব একটা ভালো না। তাই গত কয়েক মাস ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ওঠা-নামা করছে।

 ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগকে প্রতিরোধ করবে হলুদ 

ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগকে প্রতিরোধ করবে হলুদ

হলুদ শরীরের জন্য কতটা উপকারি তা আলাদা করে বলার অবকাশ রাখে না। কিন্তু জানেন কি, ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে হলুদ। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষক কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হলুদের মধ্যে কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হলুদের  কারকিউমিন কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এছাড়া কাঁটা গাছ থেকে পাওয়ার সিলিমেরিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে মনে করছেন  গবেষকরা।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস ইউনিভার্সিটির দুই গবেষক হলুদের এই দুই উপাদানের কার্যকারিতা আবিষ্কার করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে এই দুই উপাদান একসঙ্গে  কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর। কাঁটাগাছের এই নির্যাস সাধারণত পেটের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই দুই উপাদানের মিশ্রণ  কোলন ক্যান্সারের কোষের মৃত্যু ঘটায়। 

যদি উদ্ভিজ্জ উপাদানের সহায়তায়  কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে ক্যান্সারের ফলে শরীরে আনুষাঙ্গিক যা ক্ষতি হয়, তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।   
 

 সমালোচনা করা সহজ, সমালোচিত হওয়া কঠিন  

সমালোচনা করা সহজ, সমালোচিত হওয়া কঠিন

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

কোনটা বেশি শক্তিশালী? সমালোচনা করা নাকি সমালোচিত হওয়া। এটা নিয়ে অনেক যুক্তি তর্ক, মত-মতবিরোধ, ঠান্ডা লড়াই থাকতে পারে। তবে সমালোচনা করা সহজ, সমালোচিত হওয়া কঠিন। এই গভীর তত্ত্বের মর্মটা  উপলব্ধি করতে গিয়ে কোনো একটা জায়গায় থামতে হয়। কারণ জীবন জমাট বাধা বরফের মতো কঠিন এক অদেখা দহনের প্রতীক, যা মানুষের বুকে তিলে তিলে ক্ষত তৈরি করে মানুষকে বুঝিয়ে দেয় সে মানুষের দ্বারা কতটা সমালোচিত।

সমালোচনার দুষ্ট চক্রে নিগৃহীত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত হয়তো এভাবেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষটা   সমালোচিত হতে হতে একদিন বিশ্বময় আলোচিত হয়ে উঠে। আলোচিত হতে হতে একদিন আলোকিত হয়ে উঠে। কেননা যে মানুষ যত কোনঠাসা সে মানুষের ভিতরের পুঞ্জীভূত ঘুমন্তশক্তি তত আপন শক্তিতে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা বেশি। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতি চিনে, জানে ও বুঝে সেই নেতিবাচক শক্তিতে ভর করা বিবেকহীন সমালোচকদের। তাদেরও প্রকৃতি সীমা লঙ্ঘনের সময় দেয়  টুকরো টুকরো অস্থিরতার ট্রাজেডির উপাখ্যান লিখে।
   
এমন করেই প্রকৃতি অস্থিরতায় জ্বলতে জ্বলতে কোনো একটা সময়ে সহনশীলতার আবরণ থেকে বের হয়ে এসে চিৎকার করে বলে উঠে তোমাদের ঘৃণা করতেও ঘৃণা হয় আমার। কারণ সব সমালোচনা, সমালোচনা হয়ে উঠেনা | যে সমালোচনায় স্বার্থ থাকে, ঈর্ষা থাকে, ঘৃণা থাকে, যুক্তিহীন ক্ষোভ থাকে, তা কখনো সমালোচনা হয়ে উঠেনা | বরং তা হয়ে উঠে দীপ্যমান সূর্যের আলোক রশ্মিকে টেনে ধরার মতো অসহিষ্ণুতা। নিজে না পারার অক্ষমতা থেকে হতাশা আর মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়া মানুষের তৈলচিত্র যেন তা। 

তবে সূর্যের আলোকে থামিয়ে দিয়ে তার গতি রোধ করবে এমন সাহস কি সমালোচকদের আছে। সূর্যের আলো মানে সমালোচিত মানুষ। যে পুড়ছে প্রতিদিন সমালোচকদের অর্থহীন কথায়, যুক্তিহীন মনস্তত্বে। এপিজে আব্দুল কালাম আজাদ পুড়ে পুড়ে জীবন গড়া একটা মানুষ। মায়ের হাতের পোড়া রুটি খেয়ে বাবার কাছে যিনি শিখেছেন সমালোচনা নয়, উদারতা আর মহত্ব দিয়ে  জীবনবোধ তৈরী করতে হয়। তিনি ভেবেছেন তাই একটু অন্যভাবে।  বলতেও পেরেছেন মন খুলে এভাবে  "তুমি যদি সূর্যের মতো আলো ছড়াতে চাও, তাহলে আগে সূর্যের মতো পুড়তে শেখো"।  

সমালোচনা করতে যোগ্যতা লাগেনা, সমালোচিত হতে যোগ্যতা লাগে। সেটি ভালো হোক কিংবা খারাপ। নিন্দুক কি তবে সমালোচক? যদি তাই হয়, তবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বদান্যতা ও শুভশক্তির উৎস এখানেই যে,  তিনি এদের পরম বন্ধু বলেছেন | যেমনটি তার কবিতার ছত্রে ছত্রে একটা বাষ্পরুদ্ধ বিস্ময় চমকিত হয়ে বলেছে,  "নিন্দকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আঁলো। সবাই মোরে ছাড়তে পারে, বন্ধু যারা আছে, নিন্দুক সে ছায়ার মত থাকবে পাছে পাছে। বিশ্বজনে নিঃস্ব করে পবিত্রতা আনে, সাধক জনে নিস্তারিতে তার মত কে জানে? বিনামূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার, বিশ্বমাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর? নিন্দুকে সে বেঁচে থাকুক বিশ্ব হিতের তরে; আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে।" 

কবিকেও এমনটা ভাবতে হয়েছে। কারণ নেতিবাচক চিন্তা দ্বারা পুষ্ট মানুষ অগঠনমূলক সমালোচনাকে তাদের অস্ত্র বলে মনে করে। তখন ঠিক এটা সমালোচনা না হয়ে নিন্দুক চরিত্র ধারণ করে। যুক্তি, বিজ্ঞান, দর্শন, অকাট্য সত্য কোনকিছুতে তারা তোয়াক্কা করেনা। বিশ্বাসঘাতকতার মুখ আর মুখোশ তাদের অমানুষ বানায়। ভাবনাটা এমন তারাই ঠিক আর সব বেঠিক। তারপরও কবি অন্ধকারের ভিতর থেকে আলো খুঁজেছেন। কারণ তিনি যে উদার, তিনি যে মহান। তিনি বিশ্বাস করেন, অন্ধকার আছে বলেই পৃথিবীতে আলোর অস্তিত্ব আছে।

একটা লেখায় পেলাম- "সমালোচনা করতে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়না, যে কেউ সমালোচনা করতে পারে। সমাজের সবচেয়ে অযোগ্য মানুষ গুলোরই প্রধান হাতিয়ার হলো অপরের ভালো-মন্দ সবকিছুতে নির্বিচারে সমালোচনা করা। অপরদিকে সমালোচিত হতে হলেও যোগ্যতার প্রয়োজন আছে।কেউ যখন তার যোগ্যতা দিয়ে নতুন বা উদ্ভাবনী কিছু করবে তখন ই একদল অযোগ্য লোকের আতে ঘা হয়ে লাগে এবং সমালোচনা শুরু করে।" 

কথাটা মিথ্যে নয়, অমোঘ সত্য। যারা  সমালোচনা করার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করছে বলে আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন, তারা পরোক্ষভাবে সমালোচিতদের পরম উপকার সাধন হয়তো করে ফেলছে। কিন্তু সেটা বোঝার মতো মাথাটা তাদের যে জায়গাটাতে থাকা দরকার ছিল সেখানে হয়তো নেই। আজকের সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক সমালোচনার দৈন্যদশা চলছে। 

গঠনমূলক সমালোচনার জায়গায় অগঠনমূলক সমালোচনার ধজ্জাধারীদের বাড়টাও বেড়েছে অনেক। তবে সেটা যত বেড়েছে সমালোচিত মানুষদের ইতিবাচক জেদটাও তত বেড়েছে। ফলে দিন দিন ইলোজিক্যাল সমালোচনাকারীরা পিছিয়ে পড়ছে আর দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সমালোচিতদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। সমালোচনা মানুষকে সাময়িক সুবিধা দেয় হয়তো তবে তা মানুষের ব্যাক্তিত্বও ধ্বংস করে দেয়। শক্ত মেরুদণ্ডে পচন ধরায়। ইতিহাস তাই বলছে। 

সমালোচিতরা থেমে থাকেনা। এক একটা অবরুদ্ধ নগরের কংক্রিটের দরজা ভেঙে এগিয়ে যায় তাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে। আর সমালোচনাকারীরা আটকে যায় নিজেদের বানানো অবরুদ্ধ নগরে। পৃথিবী সমালোচনাকারীদের কখনো মনে রাখেনা। তবে সমালোচিতরা সময়ের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে ইতিহাস হয়ে যায়।