Friday, March 31, 2017

যৌবন অটুট রাখতে যেসব খাবার খাবেন!

নিজের বয়স ধরে রাখতে কে না চায়। কিন্তু বয়স একটি প্রাকৃতিক বিষয়, সময়ের সাথে সাথে বয়স বৃদ্ধি পাবে- এটাই স্বাভাবিক। শরীরের আভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ রেখে যৌবন ধরে রাখতে পারে শুধু সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার।আসুন জেনে নেই,এমনই কিছু খাবারের তালিকা যা আপনার যৌবনকে অটুট রাখতে পারে। 
১. পালংশাক
শাক অনেকে পছন্দ করেন না। কিন্তু যদি বয়স ধরে রাখতে চান, তবে পালংশাক খাদ্য তালিকায় রাখুন। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ই রয়েছ যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। এটি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে এবং রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কলেস্টরল হ্রাস করতে সাহায্য করে। রান্না বা সালাদ যেকোনোভাবে খেতে পারেন পালংশাক।
২. গাজর
এই সবজিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ত্বকের জন্যও গাজর অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন এ কোষ গঠনে সাহায্য করে তাই ত্বক সুন্দর রাখে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার রোধেও সাহায্য করে গাজর।
৩. ডার্ক চকলেট
কোকো প্রোটিন ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি উৎসও যা চুলের গুনগত মান ভালো করে। এছাড়া এটি শরীরের বাড়তি চর্বি পুড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৪. মিষ্টিআলু
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের অন্যতম উৎস মিষ্টিআলু। তাছাড়া ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে মিষ্টিআলু। এতে রয়েছে গ্লুটাথায়ন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হজম শক্তি বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। আলঝাইমার, লিভারের সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। এছাড়া মিষ্টি আলুতে ভিটামিন সি’র পরিমাণও প্রচুর। যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
৫. ব্লুবেরি
উচ্চ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ব্লুবেরি শরীরে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ত্বকের ফোলা ভাব কমায়।
৬. গ্রিন টি বা সবুজ চা
তারুণ্য ধরে রাখতে অনেক জনপ্রিয় একটি পানীয় হচ্ছে সবুজ চা। সবুজ চায়ে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভাজহীন ত্বক এবং আভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৭. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল প্রতিদিনকার রান্নায় ব্যবহার করুন। এছাড়া এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল নিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে যেকোন দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
৮. কাঠবাদাম
মাংস পেশী গঠন, মস্তিষ্কের গঠন এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কাঠ বাদামের জুরি নেই। তাছাড়া হাড় শক্ত করতেও কাঠবাদাম উপকারী। কাঠবাদামে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে আরও আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা সূর্যের রশ্মি কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে ভিটামিন ই।
৯. ব্রকলি
ব্রকলি বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকে ধীরে করে থাকে। এতে সালফারোফেন এবং ইনডোল রয়েছে যা স্ট্রেসের সাথে লড়াই করে ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে দেয়।  ব্রকলিতে থাকা ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্রকলিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন কে১ যা হাড় মজবুত করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে তিন বা চারবার ব্রকলি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
১০. টমেটো
টমেটো ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বকে প্রোটিনের সরবারহ বজায় রাখে। এছাড়া এতে লিকোফেইন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটোর জুস পান করতে পারেন।
১১. হলুদ
কারমামিন নামের পলিফেনল যৌগের কারণে এই মসলার রং হয় হলুদ। যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া টিউমার হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে আনে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া,লসঅ্যাঞ্জেলেসের এক গবেষণায় জানা যায়, মস্তিষ্ক সুস্থ রেখে আলঝাইমার রোগের ঝুঁকিও কমায় হলুদ।

শেখ হাসিনার সম্মানে নৈশভোজে থাকছেন না মমতা!

দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে সেই ভোজের সময় তৃণমূলের কোনো এমপি থাকতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এ খবর জানা গেছে।যদিও সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ৮ এপ্রিল এই নৈশভোজ হবে। ওই ভোজে মমতা ব্যানার্জি আমন্ত্রিত হয়েছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
 
প্রসঙ্গত, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে মমতা ব্যানার্জি তার প্রতিবাদের কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ রক্ষা করে তবেই বাংলাদেশকে পানি দেবেন। তাই ভারত সরকার সরাসরি এই ভোজের আয়োজন না করে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির উদ্যোগে আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। আশা ছিল মমতা ব্যানার্জি আসবেন। যদিও নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত ভারত সরকারের একটি মহলের আশা শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলালেও বদলাতে পারে।
 
উল্লেখ্য,৭ এপ্রিল ৪ দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নৈশভোজে থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনে করা হচ্ছে তার সঙ্গে মুখোমুখী হওয়া এড়াতেই ওই নৈশভোজে যেতে নারাজ মমতা। এই ভোজে মমতা ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে। সিকিমের সঙ্গেও তিস্তার পানির যোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা নিয়ে আলোচনাটি অগ্রাধিকারে রয়েছে।

Thursday, March 30, 2017

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা পুরুষ এবার অপারেশন টেবিলে 

বিশ্বের মোটা নারীর পর এবার পালা বিশ্বের মোটা পুরুষের। ওজন ঝরিয়ে রোগা হতে চলেছেন বিশ্বের মোটা পুরুষ জুয়ান পেদ্রো ফ্র্যাঙ্কো। মেক্সিকোর বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী ফ্র্যাঙ্কোই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ। মেক্সিকোরই একটি বিশেষ ওয়েট লস ক্লিনিকে শিগগিরই বোরিয়াট্রিক সার্জারি হবে ফ্র্যাঙ্কোর।
মুম্বাইয়ের হাসপাতালে অপারেশনের আগে বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারী ইমান আহমেদের ওজন ছিল ৫০১ কেজি। আর ওয়েট লস ট্রেনিং শুরুর আগে জুয়ান পেদ্রো ফ্র্যাঙ্কোর ওজন ছিল ৫৯৫ কেজি। এই বিপুল পরিমাণ ওজনের কারণে তার বোরিয়াট্রিক সার্জারি করা সম্ভব নয় বলে এর আগে একবার জানিয়ে দিয়েছিলেন ডাক্তাররা।
তাতে হাল না ছেড়ে সার্জারির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন তিনি। ডাক্তারদের পরামর্শ মতো তিন মাস কড়া ডায়েটে থেকে ১৭৫ কেজি ওজন কমান ফ্র্যাঙ্ক।
৯ মে সার্জারি হবে পেদ্রো ফ্র্যাঙ্কোর। অতিরিক্ত মোটার কারণে ডায়াবাটিস, হার্ট প্রবলেম ও অন্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন ফ্র্যাঙ্কো। গত ৬ বছর ধরে বিছানা থেকে নামতে পারেননি তিনি। সার্জারির কারণে অন্য জটিলতাও তার মধ্যে দেখা দিতে পারে। তবে আপাতত সবকিছু সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

আমাদের ঢাকা এখন ব্যয়বহুল শহর!

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ঢাকা। ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দ্বিবার্ষিক জরিপে এ চিত্র পাওয়া গেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক ইকোনোমিস্ট গ্রুপের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিট (ইআইইউ) সম্প্রতি কস্ট অব লিভিং সার্ভে ২০১৭ প্রকাশ করে। বিশ্বের ১৩৩টি শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে পরিচালিত ওই জরিপে ঢাকার অবস্থান ৬২তম। অর্থাৎ জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যমমানের শহর ঢাকা।
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের শহর হিসেবে ঢাকার পরে আছে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো, বিশ্বে অবস্থান ১০৮তম। আর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর স্থান তালিকার ১১৬ নম্বরে।
১৬০ ধরনের পণ্য ও সেবার দামের ভিত্তিতে তুলনা করে এই তালিকা তৈরি করেছে ইআইইউ। এগুলোর মধ্যে খাবার ও পানীয়, পোশাক, বাড়ি ভাড়া, গৃহস্থালি পণ্য, প্রসাধনসামগ্রী, পরিবহন ব্যয়, স্কুল খরচ, ইউটিলিটি বিল, বিনোদন ব্যয় রয়েছে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই ও পাকিস্তানের করাচির চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল ঢাকা। তালিকায় সবচেয়ে কম ব্যয়ের ১০ শহরের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের এই শহরগুলোর অবস্থান।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর সিটির নাম। তালিকায় বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরগুলোর ছয়টির মধ্যে পাঁচটিই এশিয়ার। সিঙ্গাপুরের পরে রয়েছে হংকং (দ্বিতীয়), টোকিও (চতুর্থ), ওসাকা (পঞ্চম) ও সিউল (ষষ্ঠ)।
ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ইউরোপীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। উত্তর আমেরিকার শহরগুলোর মধ্যে নিউইয়র্ক সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের ১০টি শহরের মধ্যে আছে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে কম ব্যয়ের শহর কাজাখস্তানের আলামাতি।

বাংলাদেশের কিশোরী শারমিনকে মেলানিয়া ট্রাম্প পুরস্কার দেবেন (ভিডিও)

অসাধারণ সাহসিকতা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য প্রতি বছর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নারীদের দেয়া হয় ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ (আইডব্লিউওসি) অ্যাওয়ার্ড।
এবার এ পুরস্কার দেবেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন।
আর পুরস্কারপ্রাপ্ত সেই অনন্য নারীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের কিশোরী শারমিন আক্তার। সাহসিকতার সঙ্গে মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের বাল্য বিবাহ বন্ধ করে শারমিন। চালিয়ে যাচ্ছে নিজের পড়াশুনাও।
শারমিন জানায়, মাত্র ১৫ বছর বয়সে মা তাকে বিয়ে দিতে চান মধ্যবয়সী এক লোকের সঙ্গে। বিয়ে না করতে চাইলে তাকে ঘরে বন্দী রাখা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের বিয়ে বন্ধ করে শারমিন।
ভবিষ্যতে আইনজীবী হবার স্বপ্ন দেখেন ঝালকাঠির রাজাপুর পাইলট গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী শারমিন। সে সঙ্গে বন্ধ করতে চায় বাল্যবিবাহ। 
আসছে ১ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান কার্যালয় ফগি বটমে শারমিনসহ ১২ জন নারীর হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি।
২০০৭ সাল থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইন্টারন্যাশনাল উইম্যান অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত শান্তি, বিচার, মানবাধিকার, জেন্ডার এবং নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখায় বিশ্বব্যাপী শতাধিক নারীকে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
ভিডিও দেখুন:
পিডিএসও/রিহাব

Wednesday, March 29, 2017


চীনের আবিস্কৃত সুপারকম্পিউটার


চীন সর্বকালের সেরা কম্পিউটার নির্মাণ করেছে। এই সুপারকম্পিউটার এমন সেরা যে বর্তমানে ব্যবহৃত কম্পিউটারের তুলনায় 10x ক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুততর,যা বর্তমান বিশ্বের দ্রুততর কম্পিউটারের তুলনায়ও দ্রুততর। এই সুপার কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে এক ট্রিলিয়ন মিলিয়ন গণনা করণে Sunway TaihuLight সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে প্রচলিত দ্রুততম পরিমাপকেও টপকানো সম্ভব করেছে। এছাড়াও চীন-এ তৈরি করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তর গতির সঠিকতা এবং পরিসীমার চাহিদাপূর্ণ "ম প্রোটোটাইপে" বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জের কিছু সমাধান। এ খবর চীন জাতীয় সুপারকম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক কর্তৃক চীন দৈনিকে উদ্ধৃত হয়েছে। এই সুপারকম্পিউটারের সক্ষমতার উদাহরণস্বরূপ জাতীয় স্তরে দূষণের মাত্রা বিশ্লেষণ সম্ভব ও আরো বিস্তারিতভাবে ভূমিকম্প এবং মহামারীর প্রাদুর্ভাব নির্ণয়েও এটি খুব ভাল কাজ করবে।

তিস্তা চুক্তি আবারও পেছালো?


তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে যা আছে তাতে বলা হয়েছে, ৫২ শতাংশ পাবে ভারত। বাকি ৪৮ শতাংশ বাংলাদেশের। মমতা এই বণ্টনে তুষ্ট নন। তিনি বাংলাদেশকে ২৫ শতাংশের বেশি পানি দিতে নারাজ। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনে ৩৬ শতাংশ বাংলাদেশ, ৩৯ শতাংশ ভারত এবং ২৫ শতাংশ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
দিল্লি বলছে, সবকিছুই প্রস্তুত; বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির প্রশ্নে যতটুকু জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালীন চুক্তিটি হচ্ছে না। তবে আশ্বাস দিতে কার্পণ্য করেনি ভারত। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং সে সময়েই এ চুক্তি সম্পন্ন হবে। আরো জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই স্বাক্ষর হবে চুক্তিটি। চলতি বছরের মে অথবা আগামী বছর, নরেন্দ্র মোদি ও মমতার বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে, ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনাও ঝুলে রইল।
এবার প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সমঝোতা স্মারকসহ ৪১টি চুক্তি সই হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পাবে তা  জানা না গেলেও এটুকু জানা গেছে যে, তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়টি পিছিয়ে গেল। পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বহুল আলোচিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। তবে ভারত এই চুক্তির ব্যাপারে আন্তরিক। এবার না হলেও পরবর্তী সময়ে এই চুক্তি সম্পাদিত হবে। তা'হলে আমরা কেবল চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি। আশায় দিন গুনতে পারি—কখন বৃষ্টি হবে?
ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির খসড়ার কাজ ‘শেষ হইয়াও হইল না’ অবস্থায় আছে। খসড়ার কিছু অংশ নিয়ে মমতার আপত্তি ছিল। সেখানে কিছু সংশোধনী এনে তা তিস্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। মমতা চাইছেন,চুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোরও কোনো আপত্তি না থাক।

Tuesday, March 28, 2017

শুরু হচ্ছে ফ্যাশন ফেস্টিভ্যাল

পহেলা বৈশাখ এবং বাংলা নতুন বছর সামনে রেখে দেশীয় ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফইএবি) এর আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা প্লাজায় আগামী ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে নতুন নকশা ও ঢঙের দেশীয় পোশাকের সম্ভার নিয়ে চার দিনের এক বর্ণাঢ্য ফ্যাশন ফেস্টিভ্যাল।
নতুন বছরে ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য রকমারি নতুন আয়োজন নিয়ে টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, কে ক্রাফট, শৈল্পিক ক্রাফট, মিয়া বিবি, এবি ফ্যাশন মেকার, এম ক্রাফট, রঙ বাংলাদেশ, অঞ্জনস, সাদাকালো, কুমুদিনী, বাংলার মেলা, দেশাল, কাপড় ই বাংলা, সৃষ্টি,  নন্দন কুটির, নিপুণ ক্রাফট, অরণ্য ক্রাফট, নিত্য উপহার, শিবনী, মেঘ, ফোর ডাইমেনশনস সহ ফ্যাশন ভুবনের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো এতে অংশ নিচ্ছে।
উদ্বোধনের পর উৎসব প্রাঙ্গনে থাকবে দেশের শীর্ষ কোরিওগ্রাফার আজরা’র পরিকল্পনায় উজ্জ্বল একঝাঁক মডেলের অংশগ্রহণে নজরকাড়া ফ্যাশন শো।
এবারই প্রথম ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফইএবি) উদ্যোগ নিয়েছে ফ্যাশন সাংবাদিকতার পথিকৃত ও প্রাণপুরুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাপ্তাহিক বিচিত্রা সম্পাদক শাহাদাত চৌধুরী’র নামে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদানের। ফ্যাশন জগতের কৃতী ব্যক্তিদের অবদান স্বরূপ উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার, এই দুই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

তাসকিনের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক

দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ পরিত্যক্ত
শুরুতে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তখনও আশা ছিল বৃষ্টির পর ম্যাচ মাঠে গড়াতে পারে; কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে বৃষ্টির তোড় বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৯টায় বৃষ্টির কারণে খেলা বাতিল ঘোষণাই করেছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট।
​এক ম্যাচ হাতে রেখে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেতে বাংলাদেশে করতে হবে ৩১২ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছেন। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে অ্যাসেলা গুনারত্নের ক্যাচ ধরলেন সৌম্য সরকার। পঞ্চম বলে সুরাঙ্গা লাকমালের ক্যাচটা ঝাঁপিয়ে ধরলেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ বলে হ্যাটট্রিকের দারুণ সুযোগ।
ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামলেন নুয়ান প্রদীপ। হ্যাটট্রিক কী হবে? এমনই যখন অপেক্ষার পালা, তখনই লঙ্কান এই বোলারকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেললেন তাসকিন আহমেদ। সে সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে দিলেন ৩১১ রানে।
বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন তাসকিন।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩১১। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ হওয়ারে একবল আগেই লঙ্কানদের অলআউট করে টাইগাররা। হ্যাটট্রিকসহ তাসকিন একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২০০৯ সালে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দেশে একাধিক সিরিজ জিতলেও বিদেশে মাটিতে সাত বছর ধরে সিরিজ জয় অধরা হয়ে আছে।

Monday, March 27, 2017

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখুন ও অনলাইনে সাচ্ছন্দে উপার্জন করুনঃ
একজন ওয়েব ডিজাইনার বিভিন্ন আইডিয়া থেকে ওয়েবসাইটের জন্য টেম্পলেট ডিজাইন করেন। আর ওয়েব ডেভেলপার কিভাবে ওয়েবসাইটটি কাজ করবে তা নির্ধারণ করেন। অর্থাৎ,ওয়েব ডেভেলপার সাধারণত ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। একজন ভাল ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে ৬-১২ মাস সময় লাগতে পারে।একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট জেকুয়েরি এর পাশাপাশি পিএইচপি, মাইএসকিউএল জানতে হবে। এছাড়া, আপনাকে সিএমএস সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনি কোন কাজ শিখতে চান, সেই কাজ শেখার জন্য ইন্টারনেট এ প্রচুর রিসোর্স পাবেন। যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে আপনি ইন্টারনেট থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর রিসোর্স সংগ্রহ করতে পারেন। যদি আপনি নিজে নিজে শিখতে না পারেন, তাহলে আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আপনি যদি প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান, তাহলে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
.
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত কিছু তথ্যঃ
যারা ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখবেন তাঁদের মনে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে। তাই আমার এই অংশে প্রশ্নোত্তর এ সাজিয়েছি। এতে, যারা ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখবেন আশা করি তাঁরা সহজেই তাঁদের কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়ে যাবেন। জেনে নেয়া যাক ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে যা শিখতে হবেঃ--


এইচটিএমএল, সিএসএস, বেসিক ফটোশপ, সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক, জাভাস্ক্রিপ্ট, জেকুয়েরি। ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শিখে অনলাইনে আয় করা যাবে। ওয়েব ডিজাইনের উপর ইন্টারনেট এ প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে।
ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য ইন্টারনেট এ ভাল রিসোর্স রয়েছে। তবে, নিজে নিজে শেখা মুটামুটি সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন। হাতে-কলমে শেখার জন্য ভাল একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং নিতে পারেন। আপনি ঢাকার বাইরে থাকলে ফেসবুকের এই লিংকে গিয়ে https://web.facebook.com/pg/softtechitinstitute আপনি অনলাইন এ প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে প্রথমে এইচটিএমএল শিখতে হবে। এইচটিএমএল শিখতে কেমন সময় লাগবে এটা আপনার উপর নির্ভর করে। তবে, ভালভাবে পরিশ্রম করলে আর এইচটিএমএল শেখার ভাল রিসোর্স হলে ৭ দিনেই শেখা সম্ভব।এরপর সিএসএস শিখুন। এইচটিএমএল এবং সিএসএস দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার চেষ্টা করুন। বেসিক ফটোশপ জানা থাকলে পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্ট করা শিখুন। জাভাস্ক্রিপ্ট শেখার পর জেকুয়েরি শিখুন। জেকুয়েরি প্লাগিন ব্যবহার করতে শিখুন। 

অপারেশন টুয়াইলাইট:নারীসহ ৪ লাশ উদ্ধার 



আতিয়া মহলের ভিতর থেকে নারীসহ ৪ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার পর থেকে সেখানে আর গুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা আতিয়া মহলের জঙ্গি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কব্জায় নিতে সক্ষম হয়েছেন। বিকেল ৫টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে।


আতিয়া মহলে হতাহতের ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার কিছু জানা সম্ভব না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ভেতরে মরদেহ থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগীরই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্তের ঘোষণা দেবে কর্তৃপক্ষ।    

তবে সোমবারের মধ্যেই অভিযান শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় সেনা সূত্রে। দুপুরে আতিয়া মহলের দেয়াল ভেঙে প্রবেশ করেন সেনা কমান্ডোরা। এ সময় শোনা যায় ব্যাপক বিস্ফোরণ ও গুলির আওয়াজ। বিস্ফোরণের পরপরই আতিয়া মহল থেকে কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল আতিয়া মহলের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার সকাল ‘অপারেশন টোয়ালাইট’ শিরোনামে জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের সদস্যরা।

টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে 


বাজার থেকে ডলার কিনলে স্বাভাবিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ বাড়ে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে ডলার কেনার প্রবণতা কমে যাওয়ায় রিজার্ভ আগের মতো বাড়ছে না। গত নভেম্বর থেকে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল হয়ে আছে।গত দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। আগের মাসের একই দিন শেষে যা ৩২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল।
ডলারের বিপরীতে বিশ্বের অনেক দেশের মুদ্রামান কমলেও দীর্ঘদিন ধরে টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখন ধীরে ধীরে টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। এতে রফতানিকারকরা সুবিধা পাবেন। যদিও এ ধরনের প্রবণতা আমদানি ব্যয় বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ তৈরি করার সম্ভবনা রয়েছে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দেশে মার্কিন ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এর বিপরীতে দুর্বল হয়েছে টাকার মান। বর্তমান মুদ্রাবাজারে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছিল ৭৯ টাকা ৩৯ পয়সা দরে। তবে প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু বেড়ে গত বৃহস্পতিবার দর ওঠে ৭৯ টাকা ৬৩ পয়সায়। আগের মাসের ঠিক একই দিন প্রতি ডলার বিক্রি হয় ৭৯ টাকা ৩০ পয়সায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসীরা ৮১১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৬৬ কোটি ডলার কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও রেমিট্যান্স কমেছিল ৩৯ কোটি ডলার। একই সময়ে রফতানি আয় হয়েছে দুই হাজার ২৮৪ কোটি ডলার। আগের বছরের চেয়ে যা মাত্র ৭১ কোটি ডলার বেশি। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে আমদানি বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, রফতানি বেড়েছে ৩ শতাংশ। এ সময় রেমিট্যান্স কমেছে ১৭ শতাংশ। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে তার চেয়ে বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নেওয়া প্রচুর বিদেশি ঋণ পরিশোধে ডলারের বাজারে কিছুটা চাপ তৈরি হওয়ায় দাম বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছিল ৭৯ টাকা ৩৯ পয়সা দরে। তবে প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু বেড়ে গত বৃহস্পতিবার দর ওঠে ৭৯ টাকা ৬৩ পয়সায়। আগের মাসের ঠিক একই দিন প্রতি ডলার বিক্রি হয় ৭৯ টাকা ৩০ পয়সায়। মূলত গত ৯ জানুয়ারির পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দু-এক পয়সা করে ডলারের দর বাড়ছে। ওইদিন প্রতি ডলার ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা দরে বিক্রি হয়। এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে দর ওঠানামার মধ্যে ছিল। আমদানি, রফতানি, বিল কালেকশন ও রেমিটাররা আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে বিদ্যমান দরের কাছাকাছি দামে ডলার পেলেও ক্যাশ বা নগদ বেচাকেনায় বেশ পার্থক্য থাকে।
রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, অনেক দেশ রফতানিকারকদের প্রতিযোগীর সক্ষম করতে ডলারের বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে। পার্শ্ববর্তী ভারত ৪০ শতাংশ এবং তুরস্ক ৬৯ শতাংশ অবমূল্যায়ন করেছে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন এ ধরনের দাবি থাকলেও তা করা হয়নি। এখন বাজার চাহিদার প্রেক্ষাপটে ডলারের দর বৃদ্ধিটা রফতানিকারকদের জন্য ইতিবাচক। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। নীতি সহায়তার মাধ্যমে রফতানি আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তা ভাবতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সম্প্রতি গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তথ্যের আলোকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফতানি প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ নিন্মগামী হওয়ায় এবং আমদানি বেশ বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থেকে ডিসেম্বরে ঘাটতিতে পড়েছে।


Sunday, March 26, 2017

স্বাধীনতার ছেচল্লিশ বছর

১৯৭১ থেকে ২০১৬। এই ৪৬ বছর ধরে বাংলাদেশের পতাকা আকাশে উড়ছে সগৌরবে। তাতে আঁকা এ দেশের প্রকৃতির চিরসবুজ, অসংখ্য শহীদের শোণিতের লাল। বাংলাদেশের বুক চিরে যে সূর্য একাত্তরে উঠেছে, সেই সূর্য কখনো অস্ত যাবে না। এই ৪৬ বছরে আমাদের অর্জন আছে, ব্যর্থতা আছে, অর্জন ধরে রাখার অপারগতা আছে, আছে আত্মঘাত।
স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মাথায় বহুনন্দিত সংবিধান রচনা করেছিলাম আমরা। তার দুই বছর পর থেকেই সেই সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তনের শুরু, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিসর্জনের পালা আরম্ভ। ১৫ বার সংশোধনের পরও একাত্তরের চেতনায় ফিরে যাওয়া গেল না, একাত্তর-পরবর্তী বাস্তবতাবোধের প্রতিফলন ঘটল না। তাই ধর্মনিরপেক্ষতা আর রাষ্ট্রধর্মের সহাবস্থান, তাই আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কে উদাসীনতা।
সংবিধান নিয়ে কি খেলা করেছি আমরা? যেমন খেলা করেছি দেশনায়কদের জীবন নিয়ে? বঙ্গবন্ধু, চার নেতা, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ হরণ করেছি, জড়িয়ে পড়েছি একের পর এক আত্মঘাতী সংঘাতে। এর পাশাপাশি আরো একটি কাজ করেছি। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, হাত মিলিয়েছিল পাকিস্তানি দখলদারদের হাতে, তাদের বসিয়েছি দেশ-পরিচালকের আসনে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এতদিনে, তাতেও বাধা এসেছে কয়েকবার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেই।
নতুন শিল্প গড়ে উঠেছে তৈরি পোশাকের, আর রফতানি হচ্ছে মানুষের শ্রম। এই দুই ক্ষেত্রের আয় সচল রেখেছে অর্থনীতির চাকা। জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য আসছে আমাদেরই মাটি থেকে- এই সাফল্য সামান্য নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমরাও বৈরিতা করছি। এক টুকরো জমি ফেলে রাখতে দিচ্ছি না, জলাশয় ভরে ফেলছি, নদী দখল করছি, পরিবেশ দূষণ করছি। জাহাজ ভাঙতে পরিবেশ নষ্ট করছি, মানুষের জীবন নিয়ে নিচ্ছি। গ্রামাঞ্চলে মাটির ঘরের জায়গায় টিনের ঘর দেখে মনে হয় জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। নগরে বহুতল ভবন দেখে ভয় হয়, এর শেষ কোথায়! এই নদীবহুল দেশে জলপথে পরিবহনের বৃদ্ধি ও উন্নতি আরো কেন হলো না, তাতে বিস্ময় লাগে। রেলপথের দুর্গতি দুঃখ দেয়। সড়ক বেড়েছে, তাতে চলাচল বেড়েছে, দূর কাছের হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি আর ঢাকা শহরে, এখন বলতে হবে, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ শহরে, চলাচল বিঘ্নিত হওয়াই নিয়ম। কখন রওয়ানা হলে কখন গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, এ কথা কেউ বলতে পারেন না।
বাংলা আমার রাষ্ট্রভাষা হয়েছে বটে, কিন্তু রাষ্ট্রের সর্বত্র সেই ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তার প্রবেশাধিকার নেই। সর্বোচ্চ বিদ্যাক্ষেত্রেও তার ব্যবহার আশাপ্রদ নয়। তার জন্য বাইরের কেউ নয়, আমরাই দায়ী। বাংলায় উচ্চশিক্ষার বইপত্র আমরা যথেষ্ট লিখতে পারিনি। ভাষা শিক্ষায় আমাদের ত্রুটি আছে যেমন মাতৃভাষায়, তেমনি দ্বিতীয় ভাষায়। আমাদের মনে সন্দেহ ঢুকে গেছে, বাংলা উচ্চশিক্ষার বাহন হতে পারবে কিনা, বাহন হওয়া উচিত হবে কিনা। তাই আমরা ঝুঁকছি ইংরেজিমাধ্যম শিক্ষার দিকে। শিক্ষার হার প্রশংসনীয়ভাবে বেড়েছে। তবে এখনো সবাই সাক্ষর হয়নি, প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় সবাইকে আনা যায়নি। প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দময় করতে নৃত্য-গীত-বাদ্য-চিত্রাঙ্কনের যোগ পৃথিবীর সর্বত্রই ঘটে। তাতে একশ্রেণির মানুষের মহাআপত্তি। সরকার নাকি দেশের সব মেয়েকে বাইজি বানানোর ব্যবস্থা করছে! এরা যে কেবল নৃত্যগীতের বিরোধী তা নয়, চিত্রাঙ্কন এবং ভাস্কর্যেরও বিরোধী। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একসময় ভাস্কর্য অপহৃত হতে শুরু করেছিল, সেই কথা ভোলা যায় না। অথচ এসব ক্ষেত্র দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করে রাখে। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পের অগ্রগতিকে অনেকেই বিস্ময়কর বলে গণ্য করেন। দেশে সঙ্গীতচর্চার যে প্রসার ঘটেছে, তাও উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের সাহিত্য এখন বিশ্ব দরবারে পৌঁছতে শুরু করেছে।
দেশে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সীমিত। তার মধ্যেও যেকোনো রোগ থেকে আমরা মুক্ত হতে পেরেছি, এটি আশার কথা। বাংলাদেশের ৪০ বছরে নারীর অগ্রগতি নিয়ে আমরা সত্যিই গর্ব করতে পারি। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নারীর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ আশাপ্রদ। তার সেই অগ্রগতি রোধ করতে অনেকে তৎপর। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার কাজে বাংলাদেশের সেনা-পুলিশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। হয়তো তা দেশে সামরিক শাসনের ঝুঁকিও কমিয়েছে। কিন্তু রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে দিচ্ছেন না। জাতীয় সংসদ যথার্থ কার্যকর নয়। নির্বাহী বিভাগের রাজনীতিকরণ গণতন্ত্রকে সাহায্য করে না, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আরো দৃশ্যমান হওয়া প্রয়োজন। বস্তুত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে আমরা অগ্রসর হতে পারব না।
মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে চারটি স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে অংশ নিয়েছিলাম, তার একটি হলো জাতীয়তাবাদ। সেই জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
৪৬ বছরে আমি যা দেখেছি, তাতে কিন্তু হতাশ নই; বরং অনেকটাই আশাবাদী। কারণ, বাংলাদেশের এই সময়ে অনেক অর্জন আছে, যা ১৯৭১ সালে কেউ ভাবেননি। কেউ ভাবেননি, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো সম্ভব। আমরা ৪৬ বছরে কৃষির উৎপাদন তিনগুণ করতে পারব। কেউ ভাবেননি, আমাদের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাবে, বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্যের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। আজ আমরা আমদানিতে যে ব্যয় করি, তার মাত্র ৬ শতাংশ বৈদেশিক সাহায্য থেকে আসে। ৯৪ শতাংশ আমদানিই আমরা নিজেদের আয়ে করতে পারছি। এটি কিন্তু বিরাট একটি অর্জন। পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আমরা তুলনায় যাই, তাহলে দেখব, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রের যে অর্জন, তা বাংলাদেশের গত ৪০ বছরের অর্জনের কাছে কিছুই নয়। এ সময় পাকিস্তানের মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি একেবারেই স্থবির ছিল। কিন্তু এ দেশে আমাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো, আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি, সম্ভবকে করেছি অসম্ভব। সম্ভব যেটি ছিল, তা হলো- একটি সমরূপ জনগোষ্ঠী নিয়ে যে জাতি জন্ম নিয়েছিল, তা ছিল রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমরা ছিলাম অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে। অর্থনৈতিক সমস্যার যে একটি সমাধান হবে, সেটা কেউ ভাবেননি। সেক্ষেত্রে অসম্ভবকে আমরা সম্ভব করেছি।লেখক: আনিসুজ্জামান

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে গুগলে লাল-সবুজের সাজ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে লাল-সবুজে সেজেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। জাতীয় পতাকার রঙ লাল-সবুজে ডুডল রাঙিয়ে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে এই টেক জায়ান্ট। সার্চ অপশনটির ওপরে তাদের মূল লগোটিকে পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে। ‘ও’ অক্ষরটিকে পতাকার বৃত্তের মতো করে লাল বর্ডার দিয়ে রাঙানো হয়েছে। ভেতরে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকা। একজন কিশোরী পতাকা নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে, এমন ছবি শোভা পাচ্ছে ডুডলে। এর ওপর ক্লিক করলে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত তথ্যও জানা যাচ্ছে। 
অবশ্য বছরব্যাপী বিশ্বের বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ ডুডল প্রকাশ করে গুগল। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মত স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করে বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানায় গুগর। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস সংক্রান্ত তথ্যও জানানো হয়। তবে শুধু বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাচ্ছে গুগলের এই বিশেষ ডুডলটি।

Saturday, March 25, 2017

শাহরুখ খানের নারী দেহরক্ষী


নারী ভক্তদের ভালোবাসা এড়াতে এবার নারী দেহরক্ষী নিয়োগ করেছেন শাহরুখ খান। এ কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। শাহরুখের অভিজ্ঞতা এমন যে, প্রায়ই তার শরীরে নারী ভক্তদের নখের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ নিয়েই সমস্যা। আর এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই এবার নারী দেহরক্ষী নিয়োগ দিলেন তিনি।
শাহরুখ হাসতে হাসতে জানান, নারীদের নখ অপেক্ষাকৃত সুন্দর ও বড়। সেগুলো আঘাত করতেও ভালোবাসে! শরীরে নখের চিহ্ন নিয়ে আগে স্ত্রী প্রশ্ন করতেন। এ নিয়ে শুধু সময়ই ব্যয় হয়। এখন তার কন্যাও বড় হয়েছে।
তাই মেয়ে ভক্তদের ‘হামলা’ এড়াতে নারী দেহরক্ষী নিয়োগ দিয়েছেন বলিউড বাদশা। কিন্তু কতোটা রক্ষা পাবেন পর্দার রাজ? সিমরানরাতো চিরকালই সিমরান, রাজভক্ত!

বিউটি প্রডাক্ট ব্যবহার করলেই সুন্দরী হওয়া যায় না

সৌন্দর্যের কদর সর্বত্র। তাই তো আমাদের চোখ এবং মন সবসময় সুন্দরকে খোঁজে। আর সেই কারণেই সুন্দরী হয়ে উঠতে সব মেয়েরাই চায়। কিন্তু কীভাবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছান যায়, সে ব্যাপারে কারও তেমন একটা ধরণা নেই। বেশিরভাগই মনে করেন, বিউটি প্রডাক্ট মুখে লাগালেই সৌন্দর্য বাড়ে। এই ধারণা যে কতটা ভুল তা প্রমাণ করতেই এই লেখা।
কে কতটা সুন্দর হয়ে উঠবেন তা অনেকটাই নির্ভর করে গোসলের ওপর। একেবারে ঠিক শুনেছেন। প্রতিদিন নিয়ম করে গোসল করলে শরীরের সব ক্লান্তি দূর হয়। সেইসঙ্গে স্ট্রেস কমে এবং অবশ্যই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। আপনি নিশ্চয় ভাবছেন, গোসলের সঙ্গে সৌন্দর্যের যোগ কোথায়, তাই তো? পানিতে বিশেষ কিছু উপাদান মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেই দেখবেন আপনার সৌন্দর্য কোথায় গিয়ে পৌঁছায়।
ওয়াইন : এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ, যা ত্বকের বয়স কমিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন এক বালতি পানিতে জলে ৫-৮ চামচ ওয়াইন মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে স্নান করুন। তবে ওয়াইন মেশানোর সঙ্গে সঙ্গে স্নান করবেন না। কিছু সময় পর করবেন। তাহলেই দেখবেন অল্পদিনেই কেমন বদলে যাবে আপনার ত্বকের চরিত্র। 
মধু : অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে ত্বককে সুন্দর করতে নানাভাবে সাহায্য করে মধু। তাই যদি নরম তুলতুলে, ফর্সা ত্বক পেতে চান, তাহলে প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে ১০-১২ চামচ মধু মিশিয়ে গোসল করুন। উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, মধু মিশ্রিত পানিতে গোসল করলে ত্বকের আদ্রতাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো যাদের শুষ্ক ত্বক, তারা এই পদ্ধতির সাহায্য নিলে দারুন উপকার পাবেন। 
এসেনশিয়াল তেল : যেমনটা সকলেরই জানা আছে যে, ত্বককে সুন্দর করতে এসেনশিয়াল অয়েলের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই তো পানিতে এই তেল মিশিয়ে গোসল করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আর যদি কোনও এসেনশিয়াল অয়েল হাতের কাছে না পান, তাহলে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। এক বালতি পানিতে পরিমাণ মতো তেল মিশিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেই পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। 
দুধ : এতে উপস্থিত ভিটামিন এবং প্রোটিন ত্বককে উজ্জ্বল করে। সেইসঙ্গে ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে নানা ধরনের ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়। কতটা দুধ দিয়ে গোসল করতে হবে? এক বালতি হালকা গরম পানিতে ১ কাপ দুধ মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর সেই পানি দিয়ে স্নান করুন। 
ওটস : ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে ওটমিল বাথের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। পরিমাণ মতো পানিতে কয়েক চামচ ওটস মিশিয়ে যতক্ষণ খুশি গোসল করুন। এমনটা করলে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের আবরণ সরে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর বা ড্রাই, তারা ওটমিল মেশান পানি দিয়ে গোসল করলে দারুন উপকার পাবেন। 
লবণ : সাধারণ লবণ নয়, গোসলের জন্য ব্যবহৃত লবণ বা বাথিং সল্ট পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। সেই সঙ্গে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষ এবং ময়লা ধুয়ে গিয়ে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে। ২-৩ চামচ বাথিং সল্ট পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করতে হবে। 
ঔষধি : নরম, মোলায়েম ত্বক পেতে চান? তাহলে প্রতিদিন পানিতে ঔষধি মিশিয়ে গোসল করুন। এমনটা করলে শরীরে রক্তচলাচল বেড়ে যায়। ফলে ত্বক সুন্দর হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এমন পদ্ধতিতে গোসল করলে ত্বকের পাশপাশি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। 
নারকেল তেল : যেমনটা আগেও বলেছি পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসল করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন যদি এমনটা করা যায়, তাহলে ত্বক নরম হয়। সেইসঙ্গে স্কিনের প্রদাহ এবং জ্বালাভাবও কমে। প্রসঙ্গত, যাদের ত্বক খুব শুষ্ক, তারা যদি প্রতিদিন নারকেল তেল মেশানো পানিতে গোসল করেন তাহলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। 
গ্রিন টি : এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের পাশপাশি চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। তাই যদি অপরূপ সুন্দরী হয়ে উঠতে চান, তাহলে আজ থেকেই অল্প করে গ্রিন টি মেশানো পানিতে গোসল করা শুরু করুন। প্রসঙ্গত, যেদিন স্ট্রেস খুব বেশি থাকবে, সেদিন গ্রিন টি দিয়ে গোসল করবেন। দেখবেন মানসিক চাপ নিমেষে কমে যাবে। ইচ্ছা হলে গ্রিন টির জায়গায় মিন্ট টি বা লেবু চাও পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করতে পারেন।
লেখক: কাঞ্চন বিধু

ডাম্বুলায় আজ বাঘের গর্জন ও সিংহের হুংকার!

শ্রীলঙ্কার রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম জয়ের খোঁজে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়।রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই বাজেভাবে হেরেছে। ২০১০ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ হেরেছিল এশিয়ার তিন জায়ান্ট ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। এ মাঠে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩৮৫, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিল পাকিস্তান। এছাড়া বড় বড় জয়গুলো এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে ২০১০ সালে তিন ম্যাচে বাজে স্মৃতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানের টাইগার দলকে।
এবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। দুই দলের ক্রিকেটারদের নামে তারই ইঙ্গিত। শ্রীলঙ্কার ওই দলটিতে খেলা একমাত্র ক্রিকেটার উপল থারাঙ্গা, এক ঝাঁক নতুন ও উদীয়মান ক্রিকেটার এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছেন । এছাড়া অন্য কোনো ক্রিকেটার এ দলে নেই। দলটির ব্যাটসম্যান থিলান সামারাবিরা এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক। এছাড়া মুত্তিয়া মুরালিধরণ, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা অবসরে গেছেন। ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও লাসিথ মালিঙ্গা।
অন্যদিকে ওই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে খেলা ছয় ক্রিকেটার এখনও এ দলটিতে রয়েছেন। তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক কথায়, সেই সময়ে বাংলাদেশ দলে ছিল অভিজ্ঞতার ঘাটতি, শ্রীলঙ্কার দলে গ্রেটদের আস্তানা। সেখানে আজ গ্রেটদের বিদায়ে অনেকটাই তারকাশূন্য শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। অন্যদিকে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পার করছে সেরা সময়। দুই দলের মূল লড়াই হবে তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশ দলের একাদশ কেমন হবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা-কল্পনা। তিন পেসার না তিন স্পিনার নিয়ে টিম ম্যানেজম্যান্ট দল সাজায় সেটাই দেখার। উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত আসবে। মাশরাফি ধারণা দিয়েছেন উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হবে। সেক্ষেত্রে তিন স্পিনার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। যদি তিন স্পিনার নিয়ে খেলে তাহলে সাকিবের সঙ্গী হবেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সানজামুল ইসলাম। দুজনই শুক্রবার সবার আগে ব্যাটিং অনুশীলন করেন পরবর্তীতে সেন্ট্রাল উইকেটে হাত ঘুরান বেশ কয়েক ওভার। যদি তিন পেসার নিয়ে খেলে তাহলে মাশরাফি ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী হবেন শুভাশিস রায়। তাসকিন এবং রুবেলকে একাদশের বাইরে থাকতে হবে। এছাড়া মুশফিকুর রহিমকে কিপিংয়ে রেখে দলে থাকবেন তামিম, সৌম্য, সাব্বির, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক, মাশরাফি, ও মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের একমাত্র ওয়ানডে জয় গত বছরের শেষ ওয়ানডেতে। ৩ উইকেটের জয়ে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের সামনে বড় কিছু পাওয়ার হাতছানি। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে এবং ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারলে বাংলাদেশ আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে উঠবে। বাংলাদেশ আপাতত সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেনি। মাশরাফির মতে প্রথম ম্যাচে ভালো করলে পরবর্তীতে কাজগুলো সহজ হয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কা দল রয়েছে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে। ইনজুরির কারণে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউস নেই। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কুশল পেরেরা। প্রথম ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে পাওয়া যাবে না উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ডিকাভেলাকে। সব মিলিয়ে নিজেদের মাঠে ভঙ্গুর শ্রীলঙ্কা।
অতীতের মন্দস্মৃতির পাশাপাশি পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের পক্ষে নেই। দুই দলের ৩৮ মুখোমুখিতে বাংলাদেশের জয় ৪টিতে। হেরেছে ৩৩টি।একটি ম্যাচে ফল আসেনি। শেষ পাঁচ মুখোমুখিতেও বাংলাদেশের জয় নেই একটিও। তবুও আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ। কারণ টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে থেকে দাপটের সঙ্গে বাংলাদেশ যেভাবে ফিরে এসেছে সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী লড়াই। দুইয়ে মিলিয়ে বাংলাদেশ দল রয়েছে চনমনে ও ফুরফুরে মেজাজে। পরিসংখ্যান ও অতীত স্মৃতি ভুলে মাঠের লড়াইয়ে বাংলাদেশের এখন পূর্ণ মনোযোগ।
বাংলাদেশের বাঘের গর্জন না শ্রীলঙ্কার সিংহের হুংকার শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমিরা।

গণহত্যা দিবস আজ

মানব ইতিহাসে নিষ্ঠুরতম এক সামরিক অভিযানের নাম ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার বুকে এক রাতের ওই অপারেশনে কী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল বিশ্ববাসী প্রথমে তা জানতে পারেনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস ’৭১ সালের ২৮ মার্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সেই রাতে নিহত হয়েছে ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু ১ এপ্রিলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার।
আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ। শোকস্মৃতিবাহী গণহত্যা আর নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের ‘কালরাত’। দিবসটি এবার প্রথমবারের মতো জাতীয় ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। জাতি গভীর বেদনায় নানা আয়োজনে স্মরণ করবে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার শিকার নিরীহ শহীদ আর প্রতিরোধ সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর যোদ্ধাদের। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বাণী দিয়েছেন।
বিগত শতাব্দীর ষাট দশকের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নেয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন একাত্তরের মার্চে রূপ নেয় স্বাধীনতার সংগ্রামে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার আড়ালে অস্ত্র মজুদ করতে থাকেন। ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু-ইয়াহিয়ার সিরিজ বৈঠক ব্যর্থ হয়। জেনারেল ইয়াহিয়া বাঙালি হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে বিকেলে ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। বাংলা তখন অগ্নিগর্ভ। উত্তাল দিন শেষে ঘনিয়ে আসে আঁধার। বাঙালি জানতে পারেনি কী ভয়ংকর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় রাত নামছে বাঙালির জীবনে। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নাম দিয়ে ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনী দানবীয় নিষ্ঠুরতায়  ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র মানুষের ওপর। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে গর্জে উঠে অত্যাধুনিক রাইফেল, কামান, মেশিনগান, মর্টার। পাকিস্তানি সেনারা হামলে পড়ে পুরান ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও সংলগ্ন এলাকা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর (পরে বিডিআর, বর্তমানে বিজিবি) হেডকোয়ার্টার ও আশপাশের এলাকায়। কারফিউ জারি করা হয়। জনবসতিতে দেওয়া হয় আগুন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। হতচকিত নিরস্ত্র মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। মধ্যরাতে ঢাকা হয়ে ওঠে লাশের শহর।
হতচকিত বাঙালি সে রাতেই প্রতিরোধে জেগে ওঠে। যার যা আছে তাই নিয়ে স্থানে স্থানে সৃষ্টি করা হয় প্রতিরোধ- ব্যারিকেড। রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তরে পাকিস্তানি সেনাদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও বাঙালি পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণ না করে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। যদিও শত্রুর ট্যাংক আর ভারী মেশিনগানের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিতে হয় তাদের। একইভাবে ইপিআর হেডকোয়ার্টারেও বাঙালি সেনারা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। সে রাতে পিপলস ডেইলি, গণবাংলা, দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবেও অগ্নিসংযোগ, মর্টার শেল ছুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাকিস্তানি হানাদাররা। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও ওই রাতেই গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এর আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার প্রত্যয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। এরপর রাজনৈতিক কর্মী, বাঙালি সৈনিক আর সাধারণ মানুষের সম্মিলিত স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, বিপুল প্রাণহানি আর ধ্বংসযজ্ঞের পর ১৬ ডিসেম্বর উদিত হয় স্বাধীনতার সূর্য।
পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসরদের সেই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ শুরুর দিন ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি দীর্ঘদিনের। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে দিনটিকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপর ২০ মার্চ মন্ত্রিসভা প্রতিবছরের ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। ফলে এবারই প্রথমবারের মতো ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে। সরকার দিবসটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।  
দিবসটির বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। ‘গণহত্যা দিবস’ বাংলাদেশের মুুক্তিসংগ্রামে ৩০ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগের মহান স্বীকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধেও চরম প্রতিবাদের প্রতীক।
একাত্তরের বীভৎস গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়—এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা কেউ কোনো দিন ভুলতে পারে না। এমন গণহত্যা আর কোথাও যাতে না ঘটে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের মাধ্যমে সে দাবিই বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত হবে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত প্রকৃতার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মাহুতির প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন করেছিল। এর আওতায় অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি এবং বিচারকাজ বন্ধ করে দেন। শুধু তা-ই নয়, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করেন। বেগম জিয়াও স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে গণহত্যার দোসর নিজামী-মুজাহিদদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। এখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ এগিয়ে নিচ্ছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ’
আজ শনিবার রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিনভর থাকছে আলোচনাসভা, শোকসভা এবং রাতে মোমবাতি প্রজ্বালন। শোকাহত বাঙালি ঘৃণা ও ধিক্কার জানাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদের।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের সুযোগ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৯ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করেছে। এর ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির একটি অংশের কার্যকারিতা থাকছে না। শুধু ২৫ মার্চ নয়, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসজুড়ে পাকিস্তানি হানাদাররা যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি করা উচিত। আর এ দাবি করার আগে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কাজ করতে হবে। ’ গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সরকারিভাবে ৪৭তম ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

Thursday, March 23, 2017

এবার শ্যাম্পুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে চমক দেখুন!

সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, চিনি চুলের যত্নে ভাল কাজ করে। ব্রিটেনের বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজজ্ঞ ডা. ফ্রান্সেসকা ফুসকো ওয়েক্সলার বলেন,শ্যাম্পু করার সময় সঙ্গে চিনি যোগ করুন। চিনি চুলকে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আরো বেশি সুন্দর করবে।’
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মারি ক্লেয়ার বলেন, ‘নিয়মিত শ্যাম্পুর সঙ্গে চা চামচে এক চামচ চিনি মেশান ও মাথায় আলতো করে লাগান। এতে নিশ্চিত আপনার চুলের খুশকি দূর হবে। পাশাপাশি পাবেন- সুন্দর, পরিষ্কার ও ভাল আর্দ্রতাসম্পন্ন চুল। যা সাধারণত শুধু শ্যাম্পু ব্যবহার করলে পাওয়া যায় না।

রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তের কনডেম সেল ও ফাঁসির মঞ্চ দেখতে ভিডিও

কারাগারের একমাত্র গেট দিয়ে ঢুকতেই সরু রাস্তা। দুইদিকে বিভিন্ন সেল। সোজা ৫০ গজ হেঁটে যেতেই বামে চোখে পড়বে আরেকটি লোহার গেট আর শক্ত নিরাপত্তা বেস্টনি। ইট বিছানো পথ হেটে কিছুদূর হাঁটলেই হাতের বাম দিকে ছোট ছোট ৮টি গেট। আর ডানেই রয়েছে নাজিমউদ্দীন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ঐতিহাসিক ফাঁসির মঞ্চ।
এই মঞ্চেই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫ খুনি বজলুল হুদা, আর্টিলারি মুহিউদ্দিন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার মহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি। এখানেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, মতিউর রহমান নিজামী, সালাউদ্দিন কাদের(সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদদের।
বুধবার সকালে কারা কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ফাঁসির মঞ্চ ও কনডেম সেলটি কিছুক্ষণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। তবে সর্বসাধারণরা এখনই এই মঞ্চের কাছে যেতে পারবেন না।
ব্রিটিশ আমলের ঐতিহাসিক এই কারাগারের ফাঁসির মঞ্চটি খোলা আকাশের নিচে অবস্থিত। তবে ফাঁসি কার্যকরের সময় উপরে শামিয়ানা (প্যান্ডেল) টানিয়ে নেয়া হয়। একসঙ্গে দুইজনের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা রয়েছে মঞ্চটিতে। মঞ্চ বেস্টিত জায়গাটির আয়তন হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয়শ বর্গফুট।
মাটি থেকে ৮ ফিট উপরে মঞ্চটি অবস্থিত। মঞ্চে ওঠার জন্য দুইদিকের জায়গা ঢালু রাখা হয়েছে। মঞ্চে রয়েছে লোহার দুটি বড় পাত আর একটি লিভার। লিভার টান দিতেই আসামির পায়ের নিচ থেকে সরে যাবে পাতগুলো। আসামিদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য মঞ্চের নিচে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ ফিটের মতো গভীরতা রাখা হয়েছে। মঞ্চের বামপাশে একটি বাল্ব লাগানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে ফাঁসি কার্যকরের সময় অস্থায়ীভাবে আরও আলোর ব্যবস্থা করা হতো।
ফাঁসির মঞ্চের পাশেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের থাকার ৮টি কনডেম সেল অবস্থিত। কনডেম সেল থেকে মঞ্চের দূরত্ব প্রায় ২০ গজ। কনডেম সেলগুলোর বাইরে উঠানের মতো খালি জায়গা রয়েছে। তবে ভেতরে ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। সেলের ভেতরেই একটি প্যান (টয়লেট) বসানো রয়েছে।
কারা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই কারাগার স্থানান্তরের শেষের দিকে ৩ নম্বর কনডেম সেলে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও ২ নম্বর সেলে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ থাকতেন।
২৫-২৭ মার্চ জেলখানার ভেতরে তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। পরিধি ছোট হওয়ার কারণে জনসাধারণের জন্য এখনই মুক্ত হচ্ছে না মঞ্চ ও কনডেম সেল। তবে কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে এ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
ভিডিওতে দেখুন :


অনলাইনে কোডিং শেখার সেরা ৯ ওয়েবসাইট
.
.ভালো মানের প্রোগ্রামারদের অবশ্যই কোডিং জানতে হবে, কেউ প্রোগ্রামার হতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভালো করে প্রোগ্রামিং জানা থাকা প্রয়োজন। কোডিং প্রথম অবস্থায় অনেক কঠিন মনে হবে, তবে ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকলে অবশ্যই সম্ভব। ওয়েব ডেভলমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং সব ধরনের কাজ করতে হয়ে কোডিং এর মাধ্যমে। বর্তমান সময়ে কমবেশি সকলেই প্রোগ্রামিং শেখার যোগ্যতা রাখে যদি তার অদম্য ইচ্ছে এবং ধৈর্য থাকে। কারণ একটা সময়ে শেখার জন্যে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা ছিল রিসোর্সের অভাব। কিন্তু বর্তমানে ফ্রি তে এমন সব রিসোর্স পাওয়া যায় যেগুলো অনুসরণ করে যে কেউ খুব সহজেই অনলাইনে প্রোগ্রামিং শেখার পাশাপাশি প্রফেশনাল কাজও করতে পারবে অনায়াসে।
.
সেরকম দশটি সাইট নিয়ে আলোচনা করবো আজ যেখান থেকে প্রফেশনাল কাজ শিখতে পারেন আপনিওঃ প্রথমে বেসিক কিছু আলোচনা করি।
প্রোগ্রাম, প্রোগ্রামিং কি?
কমপিউটারের মাধ্যমে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় নিদের্শমালার সমষ্টিকে প্রোগ্রাম (program) বলা হয়। আর এই ধারা বণর্না বা প্রোগ্রাম রচনার পদ্ধতি বা কৌশলকে প্রোগ্রাম পদ্ধতি বা প্রোগ্রামিং (programming) বলা হয়। অন্য কথায়, কোন সমস্যা অল্প সময়ে এবং সহজে সমাধানের উদ্দেশ্যে সম্পাদানের অনুক্রমে নিদের্শাবলী সাজানোর কৌশলকে প্রোগ্রামিং বলা হয়।
.
১. কোড একাডেমি: http://www.codecademy.com/: ওয়েবসাইটি খুব উইজারফ্রেন্ডলি। Javascript HTML/CSS,PHP,Python,Ruby,API এই ধরনের সার্ভিস গুলো এখনে দিয়ে থাকে। সাইটে সাইন আপ করে সবাই সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন। অনলাইন ঘরে বসেই এখন থেকে শিখা সম্ভব কোডিং। আর কোডিং শেখার জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট কোড একাডেমি।
২. এসকিউএল জো : http://sqlzoo.net/ এই সাইটিও একটি জনপ্রিয় সাইট, আশা করি সবার ভালো লাগবে। এখান থেকেও চেষ্ঠা করতে পারো ।
৩. কোড স্কুল : http://www.codeschool.com/ কোড স্কুল সাইটিতে প্রবেশ করলেই মনে হবে, সর্ম্পূন সাইটি এক বার হলেও ঘুরে দেখি। সাইটির ডিজানই আসাধারন। রয়েছে সব ধরনের কোডিং শিখার সুযোগ।
৪. ট্রি হাউজ : http://teamtreehouse.com/ এই সাইটি থেকে নতুন যে কেউ খুব সহজে প্রবেশ করে ব্যবহার করতে পারবে। সাইটিতে রয়েছে ফ্রি শিখার ব্যবস্থা। কোডিং এর জন্য ব্যবহার করলে আশা করি সবাই উপকৃত হবেন।
৫. লার্ন স্ট্রিট : http://www.learnstreet.com/ লার্ন স্ট্রিট এই সাইটি ব্যবহার করলেও সবাই উপকৃত হবেন। আশা করি সবার ভালো লাগবে দেখতে । ধারাবাহিক ভাবে শিখানো হয়।
৬. ইউডাসিটি : https://www.udacity.com/ ইউডাসির্টি সাইটি জনপ্রিয় একটি সাইট, যাদের কোডিং শেখার ইচ্ছা আছে তারা অবশ্যই এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
৭. কোড এইচ এস : http://www.codehs.com/ কোডিং শিখার যা যা দরকার হয় এই সাইটিতে রয়েছে । একে বারে বেসিক শুরু করে সব কিছুই শিখানো হয় এখানে।
৮. খান একাডেমি : http://www.khanacademy.org/csযারা কোডিং নিয়ে কাজ করেন তারা অবশ্যই জানে খান একাডেমির কথা । অনেক পুরনো একটি সাইট । নিরলস ভাবে ভালো মানের সার্ভিস প্রদান করে যাচ্ছে। আশা করি এখান থেকেও সবাই উপকৃত হবেন।
৯. স্ক্র্যাচ : http://www.khanacademy.org/cs এই সাইটি খুবই ইউজারফ্রেন্ডলি, রয়েছে অনেক কিছু শেখার ব্যবস্থা, অনলাইনে শিখাতে চাইলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন। (সুত্রঃপ্রোগ্রামিংকোড)