Wednesday, October 26, 2016

অপছন্দের মানুষকে সামলে চলার উপায়

পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি মানুষ বাস করছে বর্তমানে। আর এতগুলো মানুষের সবার সাথে দেখা না হলেও প্রতিদিনই বেশ কিছু মানুষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আপনাকে। এবং অবধারিতভাবেই তাদের সবাইকে পছন্দ হচ্ছেনা। কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে? অপছন্দের মানুষটার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেবেন? হাসিখুশি থাকার ভান করবেন? কী করেন আপনি সাধারণত? সত্যিকার বুদ্ধিমানেরা এমন সময় কী করে জানেন কি? কীভাবে বুদ্ধিমান মানুষেরা তারা অপছন্দের মানুষগুলোর সাথে প্রতিটি দিন কাটায়? আসুন জেনে নিই!
১. প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্র
অনেক সময় মানুষ চায় অন্যদের সাথে নিজের চিন্তাকে মিশিয়ে নিতে। আর এ ক্ষেত্রে তার মাথায় আর সবকিছু থাকলেও এই ব্যাপারটা থাকেনা যে প্রত্যেকটি মানুষই একে অন্যের চাইতে আলাদা। সবার চিন্তা- ভাবনাই তার নিজের নিজের মতন করে আলাদা। আর তাই এটা কখনোই সম্ভব নয় যে সবার সাথে আপনার ভাবনা মিলবে। সবাইকে আপনার ভালো লাগবে। কিছু মানুষ থাকবেই যাদেরকে আপনি পছন্দ করতে পারেন না। আর বুদ্ধিমানেরা এই ব্যাপারটা মেনে নেন। ফলে তাদের পক্ষে খুব সহজেই আবেগ আর প্রতিক্রিয়াকে আলাদা করা সম্ভব হয়।
২. মানিয়ে নেওয়া
একটা ব্যাপার কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে সত্যি। আর সেটা হচ্ছে আপনি যেমন আপনার পাশের মানুষটিকে পছন্দ করেন না, সেও কিন্তু ঠিক ততটাই অপছন্দ করে আপনাকে। আর তাই অফিস কিংবা বাসায়, যেখানেই থাকুক না কেন অপছন্দের মানুষটি, তাকে অবহেলা করা বা তার সাথে ঠান্ডা আচরণ করা বন্ধ করুন। বরং সে কোন কথা বললে অংশ নিন। হয়তো কোন ধরনের বিতর্কতেও যেতে হতে পারে। তবে মনে রাখুন সে যেমন ভুল হতে পারে কোন বিষয়ে, আপনিও কিন্তু তেমনটাই ভুল করতে পারেন।
৩. ভালো ব্যবহার করা
একটা ব্যাপার কিন্তু ঠিক যে আপনি কারো সাথে খারাপ আচরণ করলে সে কিন্তু আপনাকে মধুর আচরণ ফিরিয়ে দেবেনা। আর তাই বুদ্ধিমানেরা সবসময়ই অপছন্দের মানুষগুলোর সাথে যথাযথ আচরণ করেন। নিরপেক্ষভাবে বিচার করেন এবং ভালো ব্যবহার করেন। কারণ এতে করে অপরপক্ষও ঠিক সেটাই ফিরিয়ে দেয়।
৪. নিজের চাহিদা প্রকাশ করা
কী করেন আপনার অপছন্দের মানুষটি? হয়তো অন্যের কথা শেষ হবার আগেই কথা বলে ফেলেন, আপনার সাথে ঠিকঠাক ব্যবহার করেন না কিংবা অপরিষ্কার করে রাখেন অফিস অথবা বাসাকে। এরকম আরো হাজারটা কারণ থাকতে পারে আপনার। বুদ্ধিমানেরা এক্ষেত্রে প্রথমে অপেক্ষা করে। কিন্তু যদি দেখে কোন কাজ হচ্ছেনা তাহলে দৃঢ়ভাবে তার সমস্যাটার কথা অপরজনকে খুলে বলে এবং সমস্যার সমাধান করে।
৫. নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা
যত যাই করা হোক না কেন কিছু মানুষ কখনোই বদলায় না। আর তাই বলা সত্ত্বেও যদি কোন কাজ না হয় তাহলে বুদ্ধিমানেরা নিজেদের চাহিদাটাকে অপছন্দের মানুষটির করা কাজের সাথে মানিয়ে নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে। যাতে করে হঠাৎ কোন ধরনের রাগ বা ক্রোধের মতন আবেগ কাজ না করে। সেক্ষেত্রে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস হতে পারে অনেক বেশি উপকারী।
৬. দূরত্ব রাখা
তবে এতকিছু করেও যদি কোন কাজ না হয় সেক্ষেত্রে বুদ্ধিমানেরা অপছন্দের মানুষটির সাথে একটা দুরত্ব তৈরি করে নেন। অফিসে হলে হয়তো নিজের চেয়ারটাকে আরেকটি দূরে নিয়ে গিয়ে, বসবার জায়গাকে বদলে বা অন্য কোনভাবে খানিকটা দূরে থাকতে চান তারা।

No comments:

Post a Comment