মৃত ব্যক্তিই মামলার প্রধান আসামি!
কুষ্টিয়ায় পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর পরও দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি থেকে রেহাই পেলেন না বয়োবৃদ্ধ আবুল কাশেম (৬৫)। তিনিই হলেন মামলার প্রধান আসামি।পুলিশ হেফাজতে কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সদর উপজেলার অন্তর্গত বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম। তবে মৃত ব্যক্তিকেই মামলার প্রধান আসামি করে থানায় এজাহার নথিভুক্ত করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সরকারি একটি জমি বন্দোবস্ত নিয়ে প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের সাথে আবুল কাশেমের বিরোধ চলে আসছিল।রোববার পুলিশ আবুল কাশেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের হাতে আটকের আগে তিনি ছিলেন সুস্থ ও স্বাভাবিক। তবে আটকের সময় পুলিশ তাকে মারধর ও চরম নির্যাতন করে বলে নিহত আবুল কাশেমের মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অভিযোগ করেন।এছাড়া পুলিশের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর ও নির্যাতনেই বয়োবৃদ্ধ আবুল কাশেম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে নিহতের বড় মেয়ে রিনা খাতুন অভিযোগ করেন।কাশেমকে মুমূর্ষ অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতালে ভর্তির পর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পুলিশ নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সরকারি একটি জমি বন্দোবস্ত নিয়ে প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের সাথে আবুল কাশেমের বিরোধ চলে আসছিল।রোববার পুলিশ আবুল কাশেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের হাতে আটকের আগে তিনি ছিলেন সুস্থ ও স্বাভাবিক। তবে আটকের সময় পুলিশ তাকে মারধর ও চরম নির্যাতন করে বলে নিহত আবুল কাশেমের মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অভিযোগ করেন।এছাড়া পুলিশের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর ও নির্যাতনেই বয়োবৃদ্ধ আবুল কাশেম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে নিহতের বড় মেয়ে রিনা খাতুন অভিযোগ করেন।কাশেমকে মুমূর্ষ অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতালে ভর্তির পর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পুলিশ নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
সোমবার দুপুরে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তকারী টিমের প্রধান ও কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, লাশের ময়নাতদন্তকালে নির্যাতন কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। হার্ট এ্যাটাকের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।এদিকে আবুল কাশেম হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে সহকারী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এহসান করিম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় মৃত আবুল কাশেমকেই প্রধান আসামি করা হয় এবং রোববার রাতেই মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয়।মৃত ব্যক্তিকে মামলার প্রধান আসামি হিসাবে মামলাটি নথিভুক্ত করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান করলে যে কাউকে আসামি করা যেতে পারে।তবে আবুল কাশেমের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও পুলিশের অব্যাহত চাপে এখন তারা বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছে। নিহতের পরিবারের কেউ এখন ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করছে না।
No comments:
Post a Comment