Wednesday, December 21, 2016

মানবতা রক্ষার দাবিতে রোহিঙ্গা

মানবতা রক্ষার বিচারে চোখ বুজে এবার
একটা রায় ঘোষণার সময় এসেছে
রোহিঙ্গা নয়,ওরা মানুষ।
অনুগ্রহ,অনুকম্পা প্রদর্শণ বা দয়া দেখিয়ে নয়,
মানুষ হিসেবে তারা ন্যায়বিচার পেলে
রোহিঙ্গা তাড়ানোর অভিযানে
মানবতা নিধণের অপরাধে আপনি দোষি।
অং সান সুচি,মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আদালতের
বিচারে অনুগ্রহ,অনুকম্পা বা দয়া প্রার্থণা করেও
আপনার রেহাই নেই।
১৯৪৮ সনে মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জণের পরেও
রোহিঙ্গা হিসেবেই তারা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছে।
তবে দুর্ভোগের শুরুটা ১৯৬২ সনে।
জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুথ্থান ঘটিয়ে
ক্ষমতা দখল করেই তাদের বিদেশি বলে
নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে,
ভোটাধিকার কেড়ে নেয়।
ধর্মীয় বিবেচনায় সংখ্যালঘু মুসলমানের
নামাজ আদায়ে বাঁধা প্রদান,হত্যা-ধর্ষণ-লুন্ঠন চলে
নৈমিত্তিক নিয়মে।
সম্পত্তি কেড়ে,শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেও
যাদের নাম মুছে ফেলা যায়নি,
হত্যা,ধর্ষণ,লুন্ঠনের শিকার
যে জাতি বেঁচে আছে এখনও রোহিঙ্গা নামেই;
বনের পশুদেরও মানুষ যেভাবে হত্যা করে না,
রোহিঙ্গারা সেভাবেই তাড়া খেয়ে পালিয়ে আসছে।

গান্ধীভক্ত,অহিংস বৌদ্ধধর্মের অনুসারি,
১৯৮৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত কমবেশি ২০ বছর
গৃহবন্দী জীবনের অনেক ত্যাগে প্রাপ্তি
শান্তিতে নোবেল সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরুস্কার!
এসব পুরুস্কার আপনার যোগ্যতায় নয়?
সব পেয়েছেন,মানবিক বিবেচনায়
আপনার দীর্ঘ গৃহবন্দী জীবনের প্রতি
অনুগ্রহ,অনুকম্পা বা দয়া প্রদর্শণের প্রতিকী!?
রষ্ট্রক্ষমতায় গনতন্ত্রকামীখ্যাত নেত্রী সুচি,
তাঁর রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা!
এমনকি সেনাবাহনীর হাতেই নিহত কত শত রোহিঙ্গা!
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের স্যাটেলাইটে ধারণকৃত
ছবিতে দেখা রাখাইন রাজ্যের অনেক গ্রাম আগুনে পুড়ছে!
ধ্বংস করা হয়েছে ২৫ হাজার বাড়িঘর,
অসংখ্য দোকানপাট,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,মসজিদ!
অমানুষিক অত্যাচারে ৫ লক্ষাধিক
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু এখন বাংলাদেশে।
রাজনীতি নিয়ে ভাবেন না,রাজনীতি ঠিকই
আপনাকে নিয়ে ভাবে অং সান সুচি।
মানবতা রক্ষার বিচারে আপনি দোষি,
এবার একটা রায় ঘোষণার সময় হয়েছে।
রোহিঙ্গা নয়,মানুষ বলে বিশ্ব মানবতা
ওদের পাশে দাড়াবেই।
মানবতা হত্যার অপরাধে আপনি দোষি।

আপনার বিচার হতেই হবে।

No comments:

Post a Comment