‘ত্রাণের তালিকায় রাজনৈতিক পরিচয় প্রাধান্য’!
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন জনপ্রতিনিধিদের স্বজন ও অনুসারীরা। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে প্রাধান্য পেয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। বুধবার ট্রান্সপারেন্সি বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, আর এ কারণে ত্রাণ বঞ্চিত হয়েছে অনেক প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। অনেক এলাকা পরিদর্শন না করেই ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। সরকারি তথ্যে বলা হলেও অনেক দুর্গতের কাছে ত্রাণ যায়নি।
‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু : দুর্যোগ মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ওই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে টিআইবি। গবেষণা ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন টিআইবির মু. জাকির হোসেন খান, নিহার রঞ্জন রায়, মো. নেওয়াজুল মওলা ও নাহিদ শারমীন।
২০১৬ সালের ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূলীয় ১৫টি জেলায় আঘাত করে। ওই ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও বরগুনা জেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের তুলনায় বেশি বা ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষতির পরিমাণের তুলনায় যেটা প্রাধান্য পেয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্রাণের পণ্য ও তহবিল বাস্তবে কতটুকু বিতরণ করা হয়েছে তা নিরুপণ করার নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি বা ব্যবস্থা ছিল না বা নেই। আর এর সুযোগে সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটা প্রবণতা দেখা গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে গবেষকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল।
No comments:
Post a Comment