Monday, January 30, 2017

না’গঞ্জে ৭ খুন: 

খালাস চেয়ে নূর হোসেনের আপিল

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ জনকে অপহরণ ও খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এই মামলা থেকে খালাস চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের ২ সপ্তাহ পর এই আবেদন করলেন তিনি। এর আগে গত ১৬ জুলাই নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ এবং আরও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৩ দিন পর এই রায়ের নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। তার আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান আকন্দ জানান, নূর হোসেনের করা আবেদনটি মোট ৭২ পৃষ্ঠার। এস সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়সহ সাড়ে ৫০০ পৃষ্ঠার বেশি নথিপত্র রয়েছে। এই আপিলের শুনানি কবে হবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। এই মামলায় মৃত্যুদণ্ড এবং বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড পাওয়া আরও ৩৪ জনের আপিলের সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জনের এবং পরদিন আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। প্রায় আড়াই বছর পর চলতি মাসেই ঘোষণা হলো দণ্ড। আলোচিত এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব- ১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, বরখাস্ত কমান্ডার এম এম রানা এবং আরিফুল হক।
আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার পরই হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির উদ্যোগের কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর ৩ দিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয় মামলার নথিপত্র। আর ২৯ জানুয়ারি এই মামলার পেপারবুক দ্রুত তৈরির নির্দেশ দেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করতে হয়। এরপরও দণ্ড বহাল থাকলে তার বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। সেখানেও রায় বহাল রাখলে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যায়। সেখানেও দণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া যায়। সেটি নাকচ হলেই ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়।

No comments:

Post a Comment