Sunday, January 29, 2017

মুদ্রানীতির পর পুঁজিবাজারে ধস

সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১১৮ পয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সময়ের বড় পতন। লেনদেন কমার পাশাপাশি বেশিরভাগ শেয়ারের দামও কমেছে এদিন।আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪১৯ পয়েন্ট। এ বাজারেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন কমেছে।নতুন মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজার নিয়ে সতর্ক করার পর দুই বাজারেই সূচক নামতে থাকে। বেলা আড়াইটায় লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে পতনের প্রবণতা।
ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, “আজ বাজারে যে পতন হয়েছে তা স্বাভাবিক কারেকশন (মূল্য সংশোধন) নয়। মার্কেটকে জোর করে নামানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের কথাবার্তা এবং সর্বশেষ মুদ্রানীতি দিতে গিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব‌্যের পর বড় দরপতন হয়েছে।
মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর ফজলে কবির বলেন, “মূলধন বাজারে ২০১০ সাল থেকে বিদ্যমান মন্দা প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াটি যাতে কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণে, সুস্থ ধারায় থাকে, সে বিষয়ে কার্যকর নজরদারি জরুরি। তা না হলে অতীতের মতো এবারও বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে।”
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে অনেকে সর্বস্ব হারিয়েছিলেন। এরপর গত ছয় বছর ধরে বাজার পড়তির দিকে হলেও গতবছরের শেষ দিক থেকে তেজিভাব দেখা যায়। দীর্ঘদিন পর ডিএসই সূচক সাড়ে ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। পরিস্থিতি দেখে বাজার বিশ্লেষকদের অনেকেই অতীতের অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হুজুগে না মেতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

No comments:

Post a Comment