Friday, November 18, 2016

জীবন গল্পে মাতালেন ভিএস নাইপল

ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিন, শুক্রবার সন্ধে ৬টায় অন্যরকম এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিলো। বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চ(আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মঞ্চ)কানায় কানায় পূর্ণ, দাঁড়ানোর বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। অপেক্ষা শুধু বিদ্যা নারায়ণ সূর্যপ্রসাদ নাইপলের। লিট ফেস্ট উপলক্ষে বাংলাদেশে এসেছেন নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিক।
বাংলাদেশে এই প্রথম এলেন কোনও নোবেলজয়ী সাহিত্যিক। এর আগে গুন্টার গ্রাস এসেছিলেন, তবে তিনি যে সময় এসেছিলেন সেসময় নোবেলজয়ী ছিলেন না। লিট ফেস্টের অন্যতম পরিচালক আহসান আকবরের দীর্ঘ ১৮ মাসের  প্রচেষ্টার পর এবার তিনি এলেন বাংলাদেশে। ভীষণ আগ্রহ নিয়েই এসেছেন এই বাংলাকে দেখতে।‘দ্য রাইটার অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক সেশনে নিজের প্রসঙ্গে বলতে বসেছিলেন নাইপল। সঙ্গে ছিলেন লেডি নাদিরা বিদ্যা নাইপল।   
নাইপলকে ঢাকা লিট ফেস্ট পর্যন্ত আনার গল্পে তার সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় হল।তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক ফাররুখ ধোন্ডি।বললেন, ‘আপনি কিছু লিখতে চাইলে আপনার ভেতরে কিছু থাকতে হয় কিন্তু আমার কিছুই ছিল না। আমার মধ্যে সেই কিছুটা আসতে অনেক সময় নিয়েছিল। নিজের উপর খুব বিরক্ত ছিলাম। যখন লেখা শুরু করলাম তখন কঠিন কিছু লিখে ফেললাম’। অ্যা হাউস অব মিস্টার বিশ্বাস বইটি লেখার সময় নাইপল খুব বিরূপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানালেন। কিন্তু এই গল্পটি না বললেই নয়, কারণ এটি ছিল তার বাবার জীবন। ভারত থেকে ত্রিনিদাদে স্থায়ী হওয়া এক অভিবাসীর দেশকে নিয়ে যে মনোবেদনা ছিল, সেটিই লিখতে চেয়েছিলেন। ত্রিনিদারের বাড়িতেও পূজার ঘর তৈরি করেছিলেন বাবা। বাবার সারাজীবনের শেকড় ছাড়ার এই গল্পটিকে বইয়ের পাতায় বেধেছেন শুধু।
নাইপল বলেন, তখন বেশ কষ্টে ছিলাম, শরীরও খারাপ ছিল ভীষণ। তবু লিখে যাচ্ছিলাম। কারণ এই গল্পটি মানুষকে জানাতেই হবে। মানুষ গল্পটি সেরকম ভালোবেসে গ্রহণও করেছে।নাইপল অসুস্থ থাকার কারণে মঞ্চে খুব বেশি কিছু বলতে পারেননি। তাকে নিয়ে বলেছেন বেশি লেডি নাইপল। লেডি নাদিরা বিদ্যা নাইপল তার স্বামী প্রসঙ্গে বলেন, নাইপল এতবেশি বিড়ালপ্রেমী যে তাকে বিড়ালের কাছে সবসময় বন্দি মনে হয়। 

No comments:

Post a Comment