ফেসবুকের ব্যবহার
ফেসবুকের যাত্রা শুরু ২০০৪সনের ফেব্রুয়ারি মাসে।
মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ কক্ষেই শুরু
করেছিলেন ফেসবুকের ব্যবহার।খুব বড় ধরনের মহৎ 
উদ্দেশ্য সামনে নিয়েই তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন।
অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।পুরনো বন্ধু খুঁজে পাওয়ার
ও নতুন বন্ধু সৃষ্টির এক শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে পরিনত হয় ফেসবুক।আর এখন শিক্ষা গ্রহণ ও
অর্থ উপার্জনের ভালো মাধ্যম হিসেবেও এটি ব্যবহার হচ্ছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে বিশ্বের অন্য প্রান্তের যুবক ও যুবতী
একে অন্যের সাথে ভাব বিনিময় করে অপর প্রান্তের নতুন
ধারণা পায় এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক বা মত বিনিময়ে
সক্ষম হয়।ফেসবুক ব্যবহারের এটাই ভালো দিক।নিয়ণ্ত্রিত
ব্যবহারের মাধ্যমে এর সুফল পেয়ে অনেকেই পাল্টে
ফেলেছে তাদের জীবনযাত্রা।অপরদিকে অজানাকে জানার
এক দুর্নিবার আগ্রহ নিয়ে এসময়ের তরুণ-তরুণী সহ এখন
সব বয়সের মানুষ খুব সহজেই আধুনিক প্রযুক্তির এই
মহাসড়কে পথ চলা শুরু করেছেন।ফলে সময়ে অসময়ে
পড়ার ফাঁকে বা কাজ ফাঁকি দিয়ে ফেসবুকে লগইন করে
তারা নেশায় আক্রান্তের ন্যায় যদি এখানেই লাগামহীন ব্যস্ত
সময় কাটান,তাহলেই সেটা ফেসবুক ব্যবহারের খারাপ দিক।
ফেসবুক ব্যহারে কিছু জানা,শেখা বা কিছু অর্জনের উপজিব্য
বিষয় খুঁজে নিতে পারার মধ্যেই নিহিত থাকে এর সঠিক
ব্যবহার।এখানে পাওয়ার মত অনেক কিছুই আছে।

যারা কিছু পায় তারাই কিছু দেয়।আবার ফেসবুক ব্যবহার করে
যারা শুধুই সময় অপচয় করেন,এখান থেকে ভালো কিছুই সংগ্রহ
কিংবা ফেসবুকে অন্যের জন্য কিছু দিতেই পারেন না,শুধু ছবিতে
চোখ বুলিয়ে যান,না বুঝেই লাইকে ক্লিক করেন কিংবা কমেন্টের
বেলায় শুধুই হাহা হিহি,আর কিছুই করতে পারেন না,ফেসবুক
তাদের জন্য নয়।এখানে সময় লাগানোই তাদের জন্য বৃথা
কৌতুহল।এ কৌতুহল নিবৃত করুন,সময় ভালো কাজে লাগান।