নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক: বাঙালি আসমা মাতিয়ে রাখলেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে আয়োজিত বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক ফ্যাশন ইভেন্ট 'নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক'। আর এবার এই উৎসব মাতালেন বাংলাদেশের ডিজাইনার আসমা সুলতানা। এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অভিজাত ভেন্যু ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে যোএন অ্যাশ ফল/উইন্টার ২০১৭ রানওয়ে শো অনুষ্ঠিত হয়। দেশীয় ব্র্যান্ড যোএন অ্যাশ এর ডিজাইনার আসমা’র ৩৪টি অভিজাত ইভিনিং পার্টি ওয়্যার কিউতে প্রদর্শিত হয়। রয়েল এনসিয়েন্স থিম ও ডিজাইন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মূলত: মসলিন, কাতান, জামদানি ও টুল ফেব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি পোশাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন অঙ্গনে তুলে ধরার জন্যই আমার এই চেষ্টা। রাজকীয় থিম ও নকশা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মূলত দেশীয় ঐতিহ্যবাহী কাপড় মসলিন, কাতান, জামদানি ও টুল কাপড় নিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি পোশাক। মুলত দেশের ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় মেইড ইন বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতেই নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে অংশ নেয়া আমার একটি স্বপ্নপূরণও। তিনি জানান, আবেগপ্রবণ, আতœবিশ্বাসী ও সৃজনশীল নারীদের জন্যই এই পোশাকগুলো তৈরি করা হয়েছে।
অভিজাত শ্রেণীর জন্য সতন্ত্র কাস্টমাইজ পোশাকের ধারনা নিয়ে যোএন অ্যাশের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। মূলত: আন্তর্জাতিক অঙ্গনের তারকদের পোশাক তৈরির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী মিডিয়াতেও ইতমধ্যে বেশ প্রচারণা পেয়েছে যোএন অ্যাশ। দেশীয় জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড এক্সট্যাসি এর সাফল্যের পর নতুন এই লেবেল নিয়ে অর্ন্তভুক্তি যোএন অ্যাশ এর। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও প্রধান ডিজাইনার আসমা সুলতানা দেশের আরেক জনপ্রিয় লাইফস্টাইল স্টোর এক্সট্যাসিরও চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত সারাবিশ্বে প্রতি বছর যে ৪টি সম্মানজনক ও বনেদী ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত হয় এটি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই তালিকার অন্য ৩টি হলো প্যারিস ফ্যাশন উইক, মিলান ফ্যাশন উইক এবং লন্ডন ফ্যাশন উইক। নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে প্রত্যেক বছরই থাকে নতুনত্ব, নজরকাড়া কিছু। তথ্যপ্রযুক্তির উপস্থিতি ও ব্যবহার এই শোতে লক্ষণীয়। তবে এসব খবর আন্তজার্তিক মিডিয়ায় বেশ পুরানো হলেও দেশের ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্য রয়েছে নতুন খবর। কেননা, এবারই দেশের সতন্ত্র ডিজাইন ব্র্যান্ড যোএন অ্যাশ নিয়ে বাংলাদেশের ডিজাইনার আসমা সুলতানা অংশ নিল বনেদী এই ফ্যাশন উইকে।
No comments:
Post a Comment