Saturday, March 18, 2017

ঢাকা-কলকাতা রুটে বিরতিহীন ট্রেন

দ্রুতগতির ট্রেন চলু হবে ঢাকা-ইস্তাম্বুল রুটে !

ঢাকা-কলকাতা রুটে এবার চালু হচ্ছে বিরতিহীন ট্রেন। মৈত্রী ট্রেনকে ননস্টপ করার চিন্তা-ভাবনাও চলছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। এদিকে ঢাকা-ইস্তাম্বুল রুটে ট্রেন চালু করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এটাও আলোচনায় রয়েছে। ঢাকা থেকে ভারত, আফগানিস্তান দিয়ে সেন্ট্রাল এশিয়া দিয়ে এর গন্তব্য হবে ইস্তাম্বুল। জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ ৬টি সীমান্ত দিয়ে রেল যোগাযোগ চালু ছিল। সেই রুটগুলো আবার চালু করার উপর জোর দিয়েছে দুদেশ। দার্জিলিং মেইল যেতো পার্বতীপুর-শিলিগুড়ি। ৬৫ সালেই সব বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার সেগুলো চালু করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। রাধিকাপুর-বিরলের চালইনটিও চালু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে জোর আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ রাজশাহী হয়ে ব্রডগেজ লাইন নিয়ে কাজ করছে। ব্রডগেজ লাইন শক্তিশালী হলে যোগাযোগ আরও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ তাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সহযোগিতা বাড়াতে সবসময় সচেষ্ট। ২০০৮ সালে প্রায় ৪৩ বছর পর মৈত্রী ট্রেনের মাধ্যমে চালু হয় বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ। ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে এখন সপ্তাহে ছয়দিন মৈত্রী ট্রেন চলাচল করে। তবে ২ ইমিগ্রেশনে অনেকটা সময় ব্যয় হওয়ায় ভ্রমণকারীরা বিরক্ত হন। যাত্রাপথও হয়ে যায় দীর্ঘ। এ সমস্যা থেকে বের হতে কাজ করছেন দুদেশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, মৈত্রী ট্রেন নিয়ে দুদেশ নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এখন মৈত্রী টেন পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়, কিছু বগি আছে ননএসি। চেষ্টা চলছে পুরো ট্রেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করার। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে ট্রেনরুট আরও সহজ, আরামদায়ক করতে, গতি বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
যাত্রাপথে দুদেশের ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময়ের বাধা কাটাতে ঢাকা স্টেশনেই (ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন) ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করার বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন শেষ হলে কোথাও না থেমে একেবারে কলকাতার শিয়ালদাহ স্টেশনে গিয়ে থামবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। একইসঙ্গে কলকাতা থেকে যারা ঢাকা যাবে তাদের ইমিগ্রেশনের সব কাজ সম্পন্ন করা হবে শিয়ালদাহ স্টেশনে। ট্রেনে যেহেতু খাবারের পর্যাপ্ত সুবিধা আছে, সেহেতু এটা ননস্টপ হলেও অসুবিধা নেই। যাত্রাপথে ইমিগ্রেশনের জন্য যদি বাড়তি সময় ব্যয় না হয় তাহলে এখনকার নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাবে মৈত্রী ট্রেন।
এখন ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ অংশে দর্শনা ও ভারতীয় অংশে গেদে-তে ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে হয়। এতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাতে সময় লেগে যায় ১২-১৩ ঘণ্টা। ভারতের কোচগুলোতে আসন আছে প্রায় চারশোর কাছাকাছি। আর বাংলাদেশের কোচগুলোতে আসন তিনশোর কিছু বেশি। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন চলে মৈত্রী ট্রেন। অন্যদিকে  সম্প্রতি খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন চালু হয়েছে। বন্দরনগরী মংলা কখনও রেল যোগাযোগে ছিল না। মংলাকেও কলকাতার সঙ্গে রেল যোগাযোগে যুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানা গেছে।

No comments:

Post a Comment