বিনামূল্যে লিঙ্গ পরিবর্তনের সুযোগ ?
পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার পদ্ধতি
১) পুরুষ শরীরে মহিলা হরমোন ইনজেক্ট করা হয়। যাতে শরীরের লোম, হাত ও পায়ের নখে পরিবর্তন ঘটে। লেজ়ার ট্রিটমেন্টে ঝেড়ে ফেলা হয় শরীরের অতিরিক্ত লোম, যা আর কোনও দিন গজাবে না।
২) এরপর ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। যা করতে ন্যূনতম খরচ ৪০-৫০ হাজার টাকা।
৩) এরপর আসে আসল অস্ত্রোপচার
ক) প্রথমে অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে বাদ দেওয়া হয় লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ। তবে চামড়া ফেলা হয় না।
খ) সেই চামড়া দিয়ে তৈরি হয় যোনির বাইরের ও ভেতরের দেওয়াল।
গ) এরমধ্যে মাইক্রোসার্জারি করে বসিয়ে দেওয়া হয় মূত্রাশয়। তৈরি করা হয় যোনিপথ।
ঘ) তবে পুরুষ থেকে মহিলা হওয়ার ক্ষেত্রে জরায়ু তৈরি করা সম্ভব নয়। ফলে মহিলা কোনও দিন গর্ভবতী হতে পারেন না। এটা অস্ত্রোপচারের আগেই বলে দেওয়া হয়।
ঙ) কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে আবার সমস্যা হয়। কারণ অনেকেই আইনি জটিলতা কাটাতে ভিনরাজ্য থেকে লিঙ্গচ্ছেদ করে আসেন। তাদের ক্ষেত্রে যোনি তৈরি করতে পা বা কুঁচকি থেকে মাংস নেওয়া হয়।
২) এরপর ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। যা করতে ন্যূনতম খরচ ৪০-৫০ হাজার টাকা।
৩) এরপর আসে আসল অস্ত্রোপচার
ক) প্রথমে অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে বাদ দেওয়া হয় লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ। তবে চামড়া ফেলা হয় না।
খ) সেই চামড়া দিয়ে তৈরি হয় যোনির বাইরের ও ভেতরের দেওয়াল।
গ) এরমধ্যে মাইক্রোসার্জারি করে বসিয়ে দেওয়া হয় মূত্রাশয়। তৈরি করা হয় যোনিপথ।
ঘ) তবে পুরুষ থেকে মহিলা হওয়ার ক্ষেত্রে জরায়ু তৈরি করা সম্ভব নয়। ফলে মহিলা কোনও দিন গর্ভবতী হতে পারেন না। এটা অস্ত্রোপচারের আগেই বলে দেওয়া হয়।
ঙ) কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে আবার সমস্যা হয়। কারণ অনেকেই আইনি জটিলতা কাটাতে ভিনরাজ্য থেকে লিঙ্গচ্ছেদ করে আসেন। তাদের ক্ষেত্রে যোনি তৈরি করতে পা বা কুঁচকি থেকে মাংস নেওয়া হয়।
নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার পদ্ধতি
ক) নারীদের পুরুষ হরমোন ইনজেক্ট করা হয়। তাতে শরীরে লোম গজায়।
খ) কেটে বাদ দেওয়া হয় স্তন।
গ) হাত থেকে চামড়াকে গোলাকার করে তৈরি করা হয় পুরুষাঙ্গ। কিন্তু, এক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থাকে না।
ঘ) পুরুষাঙ্গ শক্ত হয় না।
ঙ) এর জন্য আলাদা করে অস্ত্রোপচার করতে হয় যাতে তা শক্ত হয়।
চ) যারা পুরুষ থেকে নারী হচ্ছেন তারা বংশবিস্তারের জন্য নিজের অণ্ডকোষ সংরক্ষণ করতে পারেন।
খ) কেটে বাদ দেওয়া হয় স্তন।
গ) হাত থেকে চামড়াকে গোলাকার করে তৈরি করা হয় পুরুষাঙ্গ। কিন্তু, এক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থাকে না।
ঘ) পুরুষাঙ্গ শক্ত হয় না।
ঙ) এর জন্য আলাদা করে অস্ত্রোপচার করতে হয় যাতে তা শক্ত হয়।
চ) যারা পুরুষ থেকে নারী হচ্ছেন তারা বংশবিস্তারের জন্য নিজের অণ্ডকোষ সংরক্ষণ করতে পারেন।
আইনি বিষয়
১) আমাদের দেশে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার মানুষের আছে। কিন্তু পদ্ধতিগত কোনও আইন নেই।
২) ফলে Plastic Surgery Association Of India-র নিয়ম মেনে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করেন।
৩) কী সেই নিয়ম?
ক) আপনাকে যে কোনও ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে পরিচয় বদল করাতে হবে ও নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট আনাতে হবে।
খ) আপনার বিরুদ্ধে কোনও আইনি মামলা থাকা চলবে না। ধরে নেওয়া যাক আপনি খুনের আসামি। লিঙ্গ পরিবর্তন করালে নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত মামলা বাতিল হয়ে যাবে।
গ) লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে সমাজে আপনাকে ক্রস ড্রেসার হিসেবে সময় কাটাতে হবে। এর ফলে সমাজ আপনাকে কীভাবে দেখছে সেটা বোঝা যাবে।
ঘ) অনেক সময়ে আইনি জটিলতা কাটাতে রূপান্তরকামীরা অন্য রাজ্য থেকে লিঙ্গচ্ছেদ করিয়ে আনেন। কারণ আইনি জটিলতা কাটিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে ন্যূনতম ৩ বছর লেগে যায়। তাই অনেকে অপেক্ষা করতে চান না।
ঙ) ফলে বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই অস্ত্রোপচার করিয়ে নেন। যে ডাক্তার এই কাজ করেন তিনিও বেআইনি কাজ করেন।
২) ফলে Plastic Surgery Association Of India-র নিয়ম মেনে ডাক্তাররা অস্ত্রোপচার করেন।
৩) কী সেই নিয়ম?
ক) আপনাকে যে কোনও ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে পরিচয় বদল করাতে হবে ও নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট আনাতে হবে।
খ) আপনার বিরুদ্ধে কোনও আইনি মামলা থাকা চলবে না। ধরে নেওয়া যাক আপনি খুনের আসামি। লিঙ্গ পরিবর্তন করালে নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত মামলা বাতিল হয়ে যাবে।
গ) লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে সমাজে আপনাকে ক্রস ড্রেসার হিসেবে সময় কাটাতে হবে। এর ফলে সমাজ আপনাকে কীভাবে দেখছে সেটা বোঝা যাবে।
ঘ) অনেক সময়ে আইনি জটিলতা কাটাতে রূপান্তরকামীরা অন্য রাজ্য থেকে লিঙ্গচ্ছেদ করিয়ে আনেন। কারণ আইনি জটিলতা কাটিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে ন্যূনতম ৩ বছর লেগে যায়। তাই অনেকে অপেক্ষা করতে চান না।
ঙ) ফলে বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই অস্ত্রোপচার করিয়ে নেন। যে ডাক্তার এই কাজ করেন তিনিও বেআইনি কাজ করেন।
মানসিক বিষয়ে:
ক) মনোবিজ্ঞানীরা ঠিক করেন এসব ক্ষেত্রে মনের দিক থেকে কে কতটা পুরুষ বা নারী
খ) তারা চেষ্টা করেন মানুষকে তার আসল সত্ত্বায় ফিরিয়ে আনতে।
গ) না হলে তখন তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয় রূপান্তরের জন্য।
ঘ) দেখা হয় তিনি Gender Identity crisis disorder -এ ভুগছেন কি না।
ঙ) ব্যবহার করা হয় মালটি ডিসিপ্লিনারি ম্যানেজমেন্ট থেরাপি।
চ) চিকিৎসা পদ্ধতিতে থাকেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, সাইকোলজিস্ট, গাইনোকোলজিস্ট।
খ) তারা চেষ্টা করেন মানুষকে তার আসল সত্ত্বায় ফিরিয়ে আনতে।
গ) না হলে তখন তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয় রূপান্তরের জন্য।
ঘ) দেখা হয় তিনি Gender Identity crisis disorder -এ ভুগছেন কি না।
ঙ) ব্যবহার করা হয় মালটি ডিসিপ্লিনারি ম্যানেজমেন্ট থেরাপি।
চ) চিকিৎসা পদ্ধতিতে থাকেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, সাইকোলজিস্ট, গাইনোকোলজিস্ট।
বিনা খরচে অস্ত্রোপচার হয়
সব আইন মানলে লিঙ্গ পরিবর্তনের সমস্ত খরচ বহন করবে ভারত রাজ্য সরকার। তবে তা সময় সাপেক্ষ। নিখরচায় লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা জানালেন SSKM-এর প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অরিন্দম সরকার।
তিনি বলেন, “অসম্ভব কিছুই না। আমরা সবই করতে পারি। যদি রোগী আইনি পথ মেনে চলেন। বর্তমান সরকার এই চিকিৎসা একেবারে বিনামূল্যে করে দিয়েছে। সময় লাগলেও এখনও পর্যন্ত দু’বছরে ৭ জন লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়েছেন।” তবে সমাজে যারা এই সমস্যায় পড়েছেন তাদের দিকে তাচ্ছিল্যের হাসি না হেসে সাহায্য করুন। কারণ গ্রহণযোগ্যতাই তার কাছে সব থেকে বড় চিকিৎসা।
No comments:
Post a Comment