‘মানুষকে পশুর মতো মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে সু চি’
দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিশনের সদস্যসচিব ও সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, আমরা চাই মিয়ানমারে হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে আনান কমিশনের রিপোর্ট দেয়ার পরও বিশ্ব দরবারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ৫ দফা দাবি পেশ করেছেন, সেই পাঁচ দফা দাবি যেন বাস্তবায়িত হয়। এবং সমস্যা সমাধানে আমরাও চেষ্টা করে যাবো। এক দেশের বিপদ এভাবে আমাদের বহন করা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্ববাসীর মাধ্যমে অনুরোধ জানাবো মিয়ানমার যেন তাদের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরিয়ে নেয়। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বার্মায় গণহত্যা এবং সন্ত্রাস দমনে এই নাগরিক কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের ৫১ জন সদস্য রয়েছে। কমিশনের সচিবালয়ে রয়েছে ১০১ জন সদস্য। এটি একান্ত তদন্ত কমিশন। এই কমিশন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রিত ১০ হাজার রোহিঙ্গাদের জবানবন্দি রেকর্ড করবে।পরে এই জবানবন্দী, জাতীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার বক্তব্য, বাংলাদেশ ও বার্মার বিভিন্ন সরকারি দলিলপত্রের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরী করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, মেজর জেনারেল(অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদার, মমতাজ লতিফ, সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস। এছাড়াও শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী ছেলে আসীফ মুনীর, শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী চম্পা, মানবাধিকার কর্মী আরমা দত্ত, ব্যারিস্টার বিব বড়ুয়া, ব্যারিস্টার তাপস কুমার বল, শহীদ পরিবারের সন্তান তৌহিদ রেজা নূরসহ নাগরিক কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৮ লাখ ৮৯ হাজার রোহিঙ্গা : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মতে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মোট ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন। মিয়ানমার সরকারের দাবি, গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের অন্তত ৩০টি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে হামলা চালায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এরপর সেখানে সেনা অভিযান শুরু হলে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের পথে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জায়গায় হাজারো রোহিঙ্গা আটকা পড়ে। তবে সুযোগ বুঝে তারা এখন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সহিংসতার পরে নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা। রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৫০০ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
হাজার মাইল পথ পায়ে হেঁটে রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক পথ হাঁটার কারণে অনেকে এখন নানা রোগে ভুগছেন। ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থার জন্য সহায়তা করছে। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও ওষুধ সরবরাহও করছে তারা। এখন রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর-এর ১৮২ জন স্টাফ কাজ করছে।
শর্ত দিয়ে হলেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের : যুক্তরাষ্ট্র চায়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফেরাতে মিয়ানমার শর্ত নির্ধারণ করুক। রাখাইনে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়াতে ‘মানবিক বিপর্যয়’কে যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেদিক বিবেচনা করেই এই শর্ত নির্ধারণের কথা বলছে দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্যাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। ভারতীয় সরকারি সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শর্ত আরোপ করে হলেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়ে দেন তিনি। গত আগস্টের শেষের দিকে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানে অন্তত ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। মিয়ানমার এই রোহিঙ্গাদের দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু হিসাবে স্বীকার করে না। এর পরিবর্তে নেইপিদো বলছে, তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী; যারা রাখাইনে বসবাস করছে।
‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়। কারণ সেখানে এমন মানুষ আছে যারা এই মানবিক বিপর্যয়কে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর উপায় হিসাবে ব্যবহার করতে পারে; তারপর সহিংসতা উসকে দিতে পারে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুতরাং শরণার্থীদের ফেরাতে শর্ত নির্ধারণ করাটা মিয়ানমারের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ ভয়াবহ মানবিক ভোগান্তি লাঘবে এবং শিশুদের শিক্ষা ও তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার জন্য সব ব্যবস্থা করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, রোববার যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া রাখাইন সংকটে জীবন-রক্ষাকারী জরুরি সহায়তার জন্য প্রায় ৪ কোটি মার্কিন ডলার সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, সর্বশেষ এ অর্থসহ চলতি বছরে মিয়ানমারের উদ্বাস্তুদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা ১০৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা রাখাইন সংকটে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, আমরা মারাত্মক এ মানবিক সংকটে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করছি। মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক পদক্ষেপের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। রাখাইন প্রদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের অঙ্গীকার শিগগিরই বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরার অনুমতি দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
রোহিঙ্গা সংকটের আলোচনায় মিয়ানমার গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মিয়ানমারের উদ্দেশে প্রতিনিধিদলটি রওনা করে বলে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পরিদর্শক ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন। এ সফরে রোহিঙ্গা সংকট অবসানের বিষয়ে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবির মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই দলে থাকছেন।
মন্ত্রীর সফরে সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। আর রাখাইন থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার মধ্যে এ সফরে তাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর গত দুমাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মধ্যে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিশেষ দূত দেশটির দপ্তরবিষয়কমন্ত্রী উ কিয়া তিন্ত সোয়ে গত ১ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন।
বেসামরিক প্রশাসনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সমাধান চান সু চি : রাখাইন সংকট নিরসনে বেসামরিক প্রশাসনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সমাধান চান মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। অন্তত এমনটাই মনে করছেন এ অঞ্চলে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সাবেক বার্তা সম্পাদক মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ ল্যারি জাগান। গতকাল সোমবার মিয়ানমার টাইমসে প্রকাশিত নিজের কলামেই এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন জাগান।
কলামে তিনি লিখেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংকট নিরসনে সরকারের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চি। এর পরিকল্পনার আওতায় ‘ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ ফর হিউম্যানিটেরিয়োন অ্যাসিস্ট্যান্স, রিসেটেলমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে ইন রাখাইন স্টেট’ নামে বেসামরিক নেতৃত্বাধীন একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে, যে সংস্থাকে সহায়তা দেবে বিদেশিরা। এই সংস্থা শরণার্থীদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের বিষয়টি দেখভাল করবে। গত ১২ অক্টোবর জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ রূপরেখা ঘোষণা করেন সু চি।
জাগানের মতে, রাখাইন সংকট নিরসনে গত ২৪ আগস্ট দেওয়া কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদনকে ঘিরে সরকারের দীর্ঘ-প্রতিশ্রুত রোডম্যাপ অবশেষে প্রকাশ করলেন সু চি। তিনি যে সংস্থা গঠনের কথা বলেছেন সেই কমিটি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন তদারকি করবে, যা নেতৃত্বে থাকবে সু চি নিজেই। কলামে তিনি লিখেছেন, রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে হামলা পর সেখানে নতুন করে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গত আট সপ্তাহে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ বর্ণনা করেছে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট হিসেবে।
জাগানের মতে, ছয় সপ্তাহের বেশি আগে কফি আনান তার প্রতিবেদন দাখিল করার পর পশ্চিম রাখাইনের সংঘাত-জর্জরিত এলাকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অবিশ্বাসের মূল কারণ দূর করা এবং সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে মিয়ানমার সরকার।
কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীরা তাদের দুর্দশার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে দায়ী করে বলছে, সেনাবাহিনীই ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিয়ে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছে এবং রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে শত শত মানুষের মৃত্যুর জন্য সেনাবাহিনীই দায়ী। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া অনেক মুসলমান নারীর অভিযোগ মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা তাদের ধর্ষণ করেছে। তবে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সু চি অত্যন্ত সচেতনভাবে সেনাবাহিনীর সমালোচনা, এমনকি সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উল্লেখ করা থেকেও বিরত ছিলেন।
জাগান লিখেছেন, এ নিয়ে মিয়ানমারের বাইরে থেকে যেসব মতামত আসছে তার সারাংশ হচ্ছে সু চি সেনাবাহিনীর পটেকেই রয়েছেন। তবে এই মতামতের বিপরীতে বলা যায়, সু চির এই অবস্থানের অর্থ এই নয় যে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভিড়ে গেছেন।
No comments:
Post a Comment