অর্ধকোটি হতদরিদ্র মানুষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায়
সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচির আওতা বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত ১০ লাখ হতদরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিতে তাদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর ফলে সরকারের এই উচ্চাভিলাষী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুফলভোগীর সংখ্যা ৫৬ লাখ ৭০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বাস্তবিকই এই সব হতদরিদ্র মানুষের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় সরকার বয়স্ক, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী, প্রতিবন্ধী, দুস্থ ও দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারী, চা বাগানের শ্রমিক, হিজড়া, দলিত ও ভবঘুরে সম্প্রদায় এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
এছাড়াও দেশব্যাপী ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস), ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি), ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ), টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং প্রোগ্রাম ফর ফ্রেন্ডলী ফুড-এর মতো অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিও পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাসে ১০ লাখ অতিদরিদ্র নারীকে ৩০ কিলোগ্রাম করে চাল এবং আট লাখ অতিদরিদ্র মা’কে মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় ৩৫ উপজেলাতে দরিদ্র মানুষের মাঝে পুষ্টিকর চাল বিতরণ করছে।
সমাজ সেবা বিভাগের মাধ্যমে সরকার বয়স্ক ভাতা বাবদ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই খাতে ৩৫ লাখ দরিদ্র মানুষ মাসে ৫শ’ টাকা করে পাচ্ছে। ১২ লাখ ৬৫ হাজার বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্ত নারীর জন্য ৭৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রতিটি নারী মাসে ৫০০টাকা করে ভাতা পাবেন। ৮ লাখ ২৫ হাজার প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য ৬৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখান থেকে প্রত্যেকে ৬০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এছাড়াও সরকার ৮০ হাজার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
এছাড়াও চলতি বছরের শেষ নাগাদ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সহায়তা প্রয়োজন- এমন সকল হতদরিদ্র মানুষকে সনাক্ত করার লক্ষ্যে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) এর আওতায় একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেইজ প্রস্তুত করা হবে।
এছাড়াও দেশব্যাপী ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস), ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি), ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ), টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং প্রোগ্রাম ফর ফ্রেন্ডলী ফুড-এর মতো অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিও পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাসে ১০ লাখ অতিদরিদ্র নারীকে ৩০ কিলোগ্রাম করে চাল এবং আট লাখ অতিদরিদ্র মা’কে মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় ৩৫ উপজেলাতে দরিদ্র মানুষের মাঝে পুষ্টিকর চাল বিতরণ করছে।
সমাজ সেবা বিভাগের মাধ্যমে সরকার বয়স্ক ভাতা বাবদ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই খাতে ৩৫ লাখ দরিদ্র মানুষ মাসে ৫শ’ টাকা করে পাচ্ছে। ১২ লাখ ৬৫ হাজার বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্ত নারীর জন্য ৭৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রতিটি নারী মাসে ৫০০টাকা করে ভাতা পাবেন। ৮ লাখ ২৫ হাজার প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য ৬৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখান থেকে প্রত্যেকে ৬০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এছাড়াও সরকার ৮০ হাজার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
এছাড়াও চলতি বছরের শেষ নাগাদ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সহায়তা প্রয়োজন- এমন সকল হতদরিদ্র মানুষকে সনাক্ত করার লক্ষ্যে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) এর আওতায় একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেইজ প্রস্তুত করা হবে।
No comments:
Post a Comment