সন্তানের কাছে বাবা-ই হিরো

সন্তানের ওপরে নাকি সাধারণভাবে মায়ের প্রভাবই বেশি পড়ে? প্রচলিত এই ধারণার উল্টো কথা শোনাচ্ছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণামূলক মনোবিদ্যার বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, শৈশবে যে সন্তানদের সঙ্গে বাবারা বেশি সময় কাটান, তাদের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ গড়ে তোলেন, সেই সন্তানরাই আচরণে সভ্য-ভব্য হয়। কন্যাসন্তানের ওপরে বাবাদের প্রভাব বেশি পড়ে। এমনকি, ১১ বছরের পর থেকে পিতার আচরণের নকল করতে শুরু করে তারা। ১০,০০০-এরও বেশি শিশুর ওপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।
তারা বলছেন, ‘সাধারণভাবে মা-রা সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। একটা সময়ের পরে শিশু অবচেতনেই অন্য নিকটজনের ঘনিষ্ঠ হতে চায়। বাবা সেই ভূমিকাটা পালন করেন।’ বাবারে ঘরকন্নার কাজে অংশ নিতে দেখলে তার ওপরে শিশুর আস্থা বাড়ে বলে দাবি করেছেন তারা। তবে শিশুর ওপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে বাবার গল্প বলা। পাশাপাশি, কোন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয়, সেই ব্যাপারেও শিশু মা-র চেয়ে বাবার বলা কথাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। এভাবে বাবা-ই আস্তে আস্তে শিশুর ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন। গড়ে ১১ বছর বয়সের পর থেকে সচেতনভাবেই বাবাকে অনুকরণ করতে শুরু করে শিশু। পাশাপাশি, গবেষকদের পরামর্শ, ‘শিশুর লালনপালনের জন্য মা-ও যে সমান গুরুত্বপূর্ণ সেটাও শিশুকে বুঝিয়ে দিন।’
No comments:
Post a Comment