Monday, January 2, 2017

এক যুগে আ’লীগের ৩ এমপি-মন্ত্রী খুন: শেষ হয়নি বিচার

গুলি ও গ্রেনেড হামলায় গত ১২ বছরে খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৩ এমপি-মন্ত্রী। অথচ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত রায় হয়নি আগের দুটি মামলার। জানা যায়, গত ২০০৪ সালে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরের আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। পরের বছর হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারান সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া। এসব ঘটনার এক দশক পেরিয়ে গেলেও কোনটিরই বিচার কাজ শেষ হয়নি। এদিকে গত কয়েক বছরে জঙ্গি সংগঠনের নামে হত্যার হুমকি পেয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা শ্রেণী-পেশার অর্ধশতাধিক মানুষ। সেগুলোরও কোন সুরাহা হয়নি।
টঙ্গীতে এক জনসভায় গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। হাইকোর্টে আপিলের রায়ে বলা হয়, মাদক বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির নুরুল ইসলাম সরকার ও যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মহলের বিরোধের জেরে ঘটে এই হত্যাকা-। নিম্ন আদালতের রায়ে ২২ জনকে মৃত্যুদ- দেয়া হলেও, হাইকোর্টে আপিলের রায়ে বহাল থাকে মাত্র ৬ জনের মৃত্যুদ-।
হবিগঞ্জে জনসভা শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ ৩ জনকে। এ ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের বরখাস্ত সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিনসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। এক দশকেরও বেশি সময় পার হলেও নিষ্পত্তি হয়নি বিচার কাজ। এদিকে ২০১৫ সালের জুনে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নতুন করে শুরু হয় বিচার।
এবার সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হলেন গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ হত্যাকা-ে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে তার দল আওয়ামী লীগ’র পক্ষ থেকে। এছাড়াও গত দু-বছরে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ বেশ কয়েকজনকে প্রাণ-নাশেরও হুমকি দেয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। এসব ঘটনারও কোন সুরাহা হয়নি।

No comments:

Post a Comment