কেয়ামত এগিয়ে আনছেন ট্রাম্প!

কেয়ামতকে আরো এগিয়ে আনছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।শুক্রবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ খবর দিয়ে জানিয়েছে , ধর্মীয় বিশ্বাসের সেই কেয়ামত অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংসের কতটা কাছাকাছি যায় বা ফিরে আসে, তা প্রতীকীভাবে তুলে ধরার জন্য স্থাপন করা ‘ডুমসডে ক্লক’র কাঁটা ৬৪ বছরের মধ্যে এখনই চরম ক্ষণের সবচেয়ে কাছাকাছি আনা হয়েছে। ২০১৫ সালের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে দেয়ালে বিজ্ঞানীদের স্থাপিত ওই ঘড়িটির কাঁটা ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন চরম সময় অর্থাৎ মধ্যরাতের আড়াই মিনিট আগে রয়েছে কাঁটাটির অবস্থান। এই পদক্ষেপের জন্য ট্রাম্পের গত বছরজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বেগজনক বক্তব্যকে মূল কারণ দেখিয়েছে ঘড়িটির দেখভালকারী দি বুলেটিন অফ দি অ্যাটমিক সায়েন্সেস (বিপিএ)।
বিপিএ প্রধান র্যাচেল ব্রসনান এক বিবৃতিতে উত্তেজনা এড়িয়ে শান্ত থাকার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে যুদ্ধ এড়ানো যায়। মানুষের কার্যকলাপ পৃথিবীর অস্তিত্বকে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্েয ১৯৪৭ সালে এই ‘ডুমসডে ক্লক’ স্থাপন করেন বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা তৈরিতে ভূমিকা রাখা একদল বিজ্ঞানী। স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পর ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এই ঘড়ির কাঁটা চরম সময়ের ২ মিনিট আগে আনা হয়। তা দিয়ে বোঝানো হয়েছিল, পৃথিবী চরম সঙ্কটে রয়েছে।
এরপর নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আগ-পিছু করে ২০১৫ সালে ঘড়ির কাঁটাটি ১৯৫৩ সালের অবস্থানের চেয়ে এক মিনিট (চরম সময় মধ্যরাতের চেয়ে তিন মিনিট) পিছিয়ে অবস্থান নেয়। তারপর ২ বছর ওই অবস্থানেই ছিল কাঁটাটি, ২০১৭ সালে এসে কাঁটাটি ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হল। ৬৪ বছরের মধ্েয চরম সময়ের এত কাছে কখনও আসেনি এই কাঁটা।
বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরজুড়ে পরমাণু অস্ত্র বাড়াতে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত নানা বক্তব্েযর কারণে ‘ডুমসডে ক্লকের’ কাঁটা এগিয়ে আনতে হয়েছে। তবে কাঁটাটি পুরো এক মিনিট না এগিয়ে তার অর্ধেক এগিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে বিপিএ বলেছে, ট্রাম্প যেহেতু মাত্রই ক্ষমতায় বসেছেন এবং তার প্রশাসন এখনও সাজাননি, তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ট্রাম্পের পাশাপাশি ইরানের পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, সাইবার নিরাপত্তায় হুমকি এবং ভুয়া সংবাদ সরবরাহের প্রবণতা বেড়ে যাওয়াকেও ঘড়িটির কাঁটা এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে যখন চালুর সময় চরম সময়ের ৭ মিনিট আগে ঘড়িটির কাঁটা স্থির রাখা হয়েছিল। তারপর রুশ-মার্কিন উত্তেজনার কারণে কাঁটাটি এগোচ্ছিল। ৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এক লাফে কাঁটাটি চলে আসে চরম ক্ষণের ২ মিনিটের মধ্েয।
খবরে প্রকাশ, এই পর্যন্ত ২২ বার কাঁটাটি স্থান পরিবর্তন করেছে। সোভিয়েত পতন ও জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর ১৯৯১ সালে কাঁটাটি সরে যায় চরম সময়ের চেয়ে ১৭ মিনিট পেছনে। অর্থাৎ ওই সময়টিই বিশ্বের ঝুঁকি কমে আসছিল। তবে তারপর থেকে ‘ডুমসডে ক্লকের’ কাঁটা আবার এগোতে শুরু করে এবং এখন তা আবার ১৯৫৩ সালের কাছাকাছিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রসঙ্গত সারাবিশ্ব থেকে পদার্থবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল নিয়ে গঠিত বিপিএর ‘বোর্ড অব স্পন্সর’, যার মধ্েয ১৫ জন নোবেলবিজয়ী রয়েছেন। এই বোর্ডের সদস্যদের সিদ্ধান্তে ঘড়িটির কাঁটা আগ-পিছ করা হয়।
বিপিএ প্রধান র্যাচেল ব্রসনান এক বিবৃতিতে উত্তেজনা এড়িয়ে শান্ত থাকার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে যুদ্ধ এড়ানো যায়। মানুষের কার্যকলাপ পৃথিবীর অস্তিত্বকে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্েয ১৯৪৭ সালে এই ‘ডুমসডে ক্লক’ স্থাপন করেন বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা তৈরিতে ভূমিকা রাখা একদল বিজ্ঞানী। স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পর ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এই ঘড়ির কাঁটা চরম সময়ের ২ মিনিট আগে আনা হয়। তা দিয়ে বোঝানো হয়েছিল, পৃথিবী চরম সঙ্কটে রয়েছে।
এরপর নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আগ-পিছু করে ২০১৫ সালে ঘড়ির কাঁটাটি ১৯৫৩ সালের অবস্থানের চেয়ে এক মিনিট (চরম সময় মধ্যরাতের চেয়ে তিন মিনিট) পিছিয়ে অবস্থান নেয়। তারপর ২ বছর ওই অবস্থানেই ছিল কাঁটাটি, ২০১৭ সালে এসে কাঁটাটি ৩০ সেকেন্ড এগিয়ে আনা হল। ৬৪ বছরের মধ্েয চরম সময়ের এত কাছে কখনও আসেনি এই কাঁটা।
বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরজুড়ে পরমাণু অস্ত্র বাড়াতে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত নানা বক্তব্েযর কারণে ‘ডুমসডে ক্লকের’ কাঁটা এগিয়ে আনতে হয়েছে। তবে কাঁটাটি পুরো এক মিনিট না এগিয়ে তার অর্ধেক এগিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে বিপিএ বলেছে, ট্রাম্প যেহেতু মাত্রই ক্ষমতায় বসেছেন এবং তার প্রশাসন এখনও সাজাননি, তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ট্রাম্পের পাশাপাশি ইরানের পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, সাইবার নিরাপত্তায় হুমকি এবং ভুয়া সংবাদ সরবরাহের প্রবণতা বেড়ে যাওয়াকেও ঘড়িটির কাঁটা এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে যখন চালুর সময় চরম সময়ের ৭ মিনিট আগে ঘড়িটির কাঁটা স্থির রাখা হয়েছিল। তারপর রুশ-মার্কিন উত্তেজনার কারণে কাঁটাটি এগোচ্ছিল। ৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজেন বোমা ফাটালে এক লাফে কাঁটাটি চলে আসে চরম ক্ষণের ২ মিনিটের মধ্েয।
খবরে প্রকাশ, এই পর্যন্ত ২২ বার কাঁটাটি স্থান পরিবর্তন করেছে। সোভিয়েত পতন ও জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর ১৯৯১ সালে কাঁটাটি সরে যায় চরম সময়ের চেয়ে ১৭ মিনিট পেছনে। অর্থাৎ ওই সময়টিই বিশ্বের ঝুঁকি কমে আসছিল। তবে তারপর থেকে ‘ডুমসডে ক্লকের’ কাঁটা আবার এগোতে শুরু করে এবং এখন তা আবার ১৯৫৩ সালের কাছাকাছিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রসঙ্গত সারাবিশ্ব থেকে পদার্থবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল নিয়ে গঠিত বিপিএর ‘বোর্ড অব স্পন্সর’, যার মধ্েয ১৫ জন নোবেলবিজয়ী রয়েছেন। এই বোর্ডের সদস্যদের সিদ্ধান্তে ঘড়িটির কাঁটা আগ-পিছ করা হয়।
No comments:
Post a Comment