বাণিজ্য মেলার সময় বাড়লো
পাটপণ্যে মুগ্ধ ক্রেতারা

দেশে নতুনরূপে পাট ও পাটপণ্যের জাগরণ ঘটেছে। প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পাটের চাষ। ‘পাটের লড়াই’-এর মতো সংগঠন গড়ে তুলছেন তরুণরা। এবার তারা এ আঁশকে হীরার মর্যাদা দেওয়ার পক্ষপাতী। সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রাও আয় হচ্ছে। আগে রফতানি বাজারই ছিল পাটজাত পণ্যের মূল বাজার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের ভেতরে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। মেলায় আসা ক্রেতারাও পাটপণ্যের প্রতি মুগ্ধ।
এবার বাণিজ্য মেলায় উদ্যোক্তারা বিপুল পণ্যসম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন। দিন যতই পেরিয়ে যাচ্ছে বিক্রিও ততই বাড়ছে বলে জানালেন শোরুমের দায়িত্বশীলরা। মেলায় মিরপুরের প্যারিস রোড থেকে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা রায়হান ও তার স্ত্রী নাজমা জানান, পাট বাংলাদেশের ঐতিহ্য। পাটপণ্য টেকসই ও দেখতে সুন্দর। তারা প্রতিবারই মেলা থেকে পাটের কোনো না জিনিস কিনে থাকেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি), নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রকল্প জয়িতা সেন্টারের কয়েকটি স্টল ছাড়াও শতরঞ্জির জন্য বিখ্যাত কারুপণ্যের প্যাভিলিয়নে পাটপণ্যের পসরা বসেছে। জেডিপিসি নামের সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নে আছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনসহ ছয়টি জেলার ২৫টি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানের স্টল। মেলার ভিআইপি ফটক দিয়ে ঢুকলেই জেডিপিসি সেন্টারটি চোখে পড়বে।
মেলায় অংশগ্রহণ করা ‘সুমাইয়া উইভিং ফ্যাক্টরি জুট প্রডাক্টস অ্যান্ড ফেব্রিকসের’ পরিচালক সালাম মিয়া জানান, বর্তমান সময়ে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাটপণ্য ব্যবহার বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি সামগ্রী। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাটপণ্য নিয়ে বাণিজ্য মেলায় স্টল নেওয়ার সামর্থ্য নেই। জেডিপিসির মাধ্যমে তাদের এখানে আসার সুযোগ হয়েছে। পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে উদ্যোক্তারা এসেছেন। চাহিদার তুলনায় বিক্রি কম হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ আগের তুলনায় বেড়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক নাসিমা বেগম জানান, পাটের তৈরি বহুমুখী পণ্যসামগ্রী দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতেই জেডিপিসি মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে উৎপাদন-সামর্থ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন ডিজাইন বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment