মন্ত্রিসভায় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন অনুমোদন
অনুমতিহীন ঘর-বাড়ি বানালে জেল-জরিমানা!

সরকারের অনুমতি ছাড়া বাড়ি-ঘর অর্থাৎ অবকাঠামো বা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন- ২০১৭’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়া আইনটির অনুমোদন দেয়া হয়। আইনের খসড়ায় বলা হয়, অনুমতি ছাড়া কেউ কৃষিজমি, জলাভূমি বা প্লাবনভূমিকে অকৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য কিনলে তার এক বছর থেকে ৫ বছরের সাজার পাশাপাশি ৫ লাখ থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এই আইনের অধীনে মামলা জামিনঅযোগ্য হবে বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে।
এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে চাষযোগ্য কৃষিজমির ভবিষ্যৎ সংকট দূর করতে সরকার এই আইন প্রণয়ন করছে। এর মাধ্যমে যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণ বন্ধ করে সারাদেশে চলমান অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধ করা সম্ভব।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সরকারি, আধাসরকারি বা বেসরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও সংস্থা পরিকল্পনার বাইরে ইমারত, শিল্প, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলতে চাইলে জাতীয় নগর ও অঞ্চল উপদেষ্টা পরিষদ এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। নিয়ম কার্যকর হচ্ছে কি-না, তা মনিটর করতে শহর ও গ্রামে আলাদা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। আলম বলেন, দেশে অপরিকল্পিত নগরায়ন বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। এ আইনের আওতায় নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হবে। যার মাধ্যমে দেশের সব নগর ও গ্রামের স্থাপনা নির্মাণ তদারকি করা হবে।
জমির সুষ্ঠু ব্যবহার করার জন্য এ আইন করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, অত্যন্ত কঠিন বিধান রেখে আইনটি করা হচ্ছে। এটার মাধ্যমে ভূমি ব্যস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদকে ভূমি ব্যবহার এবং নগর ও অঞ্চল উন্নয়নসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ, সংরক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে অনুমতি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো কর্তৃপক্ষই ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। এ ছাড়া সব ধরনের ভূমির ধরণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে।
আইন অনুযায়ী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০ জন সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ সদস্যের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদের অধীনে একটি নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা নির্বাহী কমিটি থাকবে, যার চেয়ারম্যান হবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (গবেষণা ও সমন্বয়)। এই কমিটি নগর ও জনপদ উন্নয়নে কাজ করবে।
এই আইনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সচিব বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশে কৃষিজমি ক্রমেই কমছে। ভরাট হচ্ছে জলাভূমি, প্লাবনভূমি ও নিচু জমি। এসব জমিতে অবকাঠামো, ইমারত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক প্রকল্প, হাটবাজার, ইটভাটা, শিল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক ইত্যাদি গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে মোট ভূমির পরিমাণ তিন কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার একর। কিন্তু ভূমি রক্ষায় রাষ্ট্রের সমন্বিত কোনো পরিকল্পনাই নেই। ফলে অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে। গ্রামের কৃষিজমি দ্রুত অকৃষি খাতে যাচ্ছে। সংরক্ষিত ভূমি বলতে বর্তমানে কিছু নেই। এই আইনটি হলে এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আসবে বলে ধারণা করছে সরকার।
সচিব জানান, জলাধার, বন, পাহাড় রক্ষায় আইন ও নীতিমালা থাকলেও সরকারের পরিবীক্ষণের অভাবে এগুলো মানছেন না কেউ। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে কৃষিজমি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে কমে যেতে পারে বলে ধারণা খোদ সরকারের। এতে চরম খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে চাষযোগ্য কৃষিজমির ভবিষ্যৎ সংকট দূর করতে সরকার এই আইন প্রণয়ন করছে। এর মাধ্যমে যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণ বন্ধ করে সারাদেশে চলমান অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধ করা সম্ভব।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সরকারি, আধাসরকারি বা বেসরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও সংস্থা পরিকল্পনার বাইরে ইমারত, শিল্প, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলতে চাইলে জাতীয় নগর ও অঞ্চল উপদেষ্টা পরিষদ এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। নিয়ম কার্যকর হচ্ছে কি-না, তা মনিটর করতে শহর ও গ্রামে আলাদা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। আলম বলেন, দেশে অপরিকল্পিত নগরায়ন বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। এ আইনের আওতায় নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হবে। যার মাধ্যমে দেশের সব নগর ও গ্রামের স্থাপনা নির্মাণ তদারকি করা হবে।
জমির সুষ্ঠু ব্যবহার করার জন্য এ আইন করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, অত্যন্ত কঠিন বিধান রেখে আইনটি করা হচ্ছে। এটার মাধ্যমে ভূমি ব্যস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদকে ভূমি ব্যবহার এবং নগর ও অঞ্চল উন্নয়নসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ, সংরক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে অনুমতি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো কর্তৃপক্ষই ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। এ ছাড়া সব ধরনের ভূমির ধরণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে।
আইন অনুযায়ী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০ জন সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ সদস্যের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদের অধীনে একটি নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা নির্বাহী কমিটি থাকবে, যার চেয়ারম্যান হবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (গবেষণা ও সমন্বয়)। এই কমিটি নগর ও জনপদ উন্নয়নে কাজ করবে।
এই আইনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সচিব বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশে কৃষিজমি ক্রমেই কমছে। ভরাট হচ্ছে জলাভূমি, প্লাবনভূমি ও নিচু জমি। এসব জমিতে অবকাঠামো, ইমারত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক প্রকল্প, হাটবাজার, ইটভাটা, শিল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক ইত্যাদি গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে মোট ভূমির পরিমাণ তিন কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার একর। কিন্তু ভূমি রক্ষায় রাষ্ট্রের সমন্বিত কোনো পরিকল্পনাই নেই। ফলে অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে। গ্রামের কৃষিজমি দ্রুত অকৃষি খাতে যাচ্ছে। সংরক্ষিত ভূমি বলতে বর্তমানে কিছু নেই। এই আইনটি হলে এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আসবে বলে ধারণা করছে সরকার।
সচিব জানান, জলাধার, বন, পাহাড় রক্ষায় আইন ও নীতিমালা থাকলেও সরকারের পরিবীক্ষণের অভাবে এগুলো মানছেন না কেউ। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে কৃষিজমি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে কমে যেতে পারে বলে ধারণা খোদ সরকারের। এতে চরম খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment