এক পায়ের ক্রিকেটার!
মুশফিক, সাবিকদের মতো দুই পায়ে নয়, এক পা দিয়েই ক্রিকেট খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নাটোরের সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম। শারীরিক অক্ষমতা সাদ্দামকে দমাতে না পারলেও ক্রিকেট খেলা দিয়েই অনেক দুরে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকার জহুরুল হক মাঠে প্রতিবন্ধি একটি টিমের জন্য ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন সে। তবে সমাজের অন্য শারীরিক প্রতিবন্ধিরা যখন হতাশাগ্রস্থ হয়, তখন সাদ্দাম এক পায়ে ক্রিকেট খেলে অন্যান্য প্রতিবন্ধিদের নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরনা যোগায়। মনোবল এবং মানষিক শক্তি দৃঢ় থাকলে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করা যায়, সাদ্দাম তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।
সদর উপজেলার জংলী এলাকার মৃত আব্দুর রউফ পাঠানের ছেলে সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম ৫ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে চতুর্থ নম্বর। এছাড়া আট বছরের এক কন্যা সন্তানের জনক সে। সদর উপজেলার জংলী মোড়ে ছোট্ট একটি দোকানে মোবাইল সামগ্রী বিক্রি করে সংসার চলে তার। সারা দিন যা উপার্জন তাই দিয়েই সংসারের খরচ বহন করেন সাদ্দাম। অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলে সময় কাটে তার। এদিকে সাদ্দামের সাথে তার ছোট ভাই ভাই মাসুমও ক্রিকেট খেলেন। দুই ভাই একসাথে জংলী ইসলামীয়া দলের হয়ে এবার জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে অংশ গ্রহন করেন। এই পর্যন্ত সাদ্দাম বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ম্যান অফ দি ম্যাচ হয়েছে চারবার। এছাড়া ম্যান অফ দা টূর্নামন্টে হয়েছেন দুই বার।
সাদ্দামের সহধর্মীনি নাজমা বেগম বলেন, অন্য আটদশের মতো তার দুই পা ছিল। বিয়ে হওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আর ওই দুর্ঘটনায় একটি পা হারান তিনি।
তিনি আরো বলেন, তার (সাদ্দামের) ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই পছন্দ। বিয়ের পরও সে এক পা দিয়ে একাধিক টুর্ণামেন্ট খেলেছে। তবে তার প্রিয় খেলা সে ধরে রেখেছে। তার মানষিক শক্তি এবং দৃঢ় মনোবলের কারনে সে এখনও এক পায়ে ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে। তার জীবনে স্বপ্ন ছিলো একদিন জাতীয় দলে চান্স পেয়ে বড় ক্রিকেটার হবে। কিন্তু একটি মাত্র দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিয়েছে। তবে এখনও এক পায়ের উপর ভর করে যেভাবে ক্রিকেট খেলে সবার মন কাড়ে একদিন না একদিন তার চাওয়া পাওয়া পুরন হবেই।
নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সবাই যখন দুই পায়ে ক্রিকেট খেলছেন,তখন সাদ্দাম হোসেন এক পায়ে ভর করেই মোকাবেলা করছে প্রতিদ্বন্দ্বি খেলোয়ারদের। জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত শংকর গোবিন্দ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এবার তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলেন তিনি। এবারের টুর্নামেন্টে জংলী ইসলামীয়া দলের হয়ে খেলেন সাদ্দাম হোসেন। দলের ওপেনিং ব্যাটস ম্যান এবং কিপিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম।
সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু ২০০৫ সালে তার এই স্বপ্নের বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা। হারান একটি পা। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। একটি মাত্র পা দিয়েই অবিরাম খেলে যান ক্রিকেট। অন্য আর দশটা খেলোয়ারের মতোই লড়াই করেন তিনি।
সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম বলেন, ক্রিকটে খেলা নিয়েই বেঁচে থাকার ইচ্ছা। তবে তার স্বপ্ন দেশের প্রতিবন্ধি দলের হয়ে খেলার। সেই সাথে দেশ এবং জেলার সুনাম বয়ে আনার স্বপ্ন দেখেন সাদ্দাম হোসেন।
তবে সাদ্দাম হোসেন শুধু মাত্র বাম পা দিয়ে ক্রিকেট খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সর্তীর্থ খেলোয়ার, আম্পায়ার সহ অন্যদের। সাদ্দামের স্বপ্ন পুরনে এগিয়ে এসেছেন তার সহযোগি খেলোয়াররা। তবে এক পায়ে ক্রিকেট খেলাকে অনেকে দু:স্বাধ্য মনে করলেও সাদ্দামের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল তাকে দমাতে পারেনি, বলেন সহযোগি খেলোয়াররা।
জংলী ইসলামীয়া দলের অধিনায়ক বলেন, সাদ্দাম প্রতিটি বলে রান নেয়ার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে রানার দেয়ার নিয়ম না থাকায় সে রান নিতে পারছেনা। তাছাড়া একজন স্বাভাবিক খেলোয়ারের সাথে সে সমানতালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল কোচ বাবুল আখতার বলেন, এক পায়ে ক্রিকেট খেলা, কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সেই অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করেছে সাদ্দাম। অন্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে সে ক্রিকেট খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের আম্পায়ার শিবলি সাদিক বলেন, ছেলেটাকে (সাদ্দাম) যখন দেখি এক পায়ে খেলতে, তখন সত্যিই খুব অস্বাভাবিক মনে হয়। তারপর সে প্রতিটি বলে বাম পায়ে ভর করে রান নেয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধরণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল বলেন, সাদ্দামকে সঠিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হলে একদিন বয়ে আনতে পারে দেশের জন্য সুনাম। সেই সাথে দেশের প্রতিবন্ধি ক্রিকেট দলের হয়ে খেলানো গেলে দেশ এবং জেলার জন্য সুনাম বয়ে আনবে তিনি।
তবে সাদ্দাম হোসেনের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মানসিকতা কাজ লাগানো গেলে একদিন এই দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠবেন তিনি এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
সদর উপজেলার জংলী এলাকার মৃত আব্দুর রউফ পাঠানের ছেলে সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম ৫ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে চতুর্থ নম্বর। এছাড়া আট বছরের এক কন্যা সন্তানের জনক সে। সদর উপজেলার জংলী মোড়ে ছোট্ট একটি দোকানে মোবাইল সামগ্রী বিক্রি করে সংসার চলে তার। সারা দিন যা উপার্জন তাই দিয়েই সংসারের খরচ বহন করেন সাদ্দাম। অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলে সময় কাটে তার। এদিকে সাদ্দামের সাথে তার ছোট ভাই ভাই মাসুমও ক্রিকেট খেলেন। দুই ভাই একসাথে জংলী ইসলামীয়া দলের হয়ে এবার জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে অংশ গ্রহন করেন। এই পর্যন্ত সাদ্দাম বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ম্যান অফ দি ম্যাচ হয়েছে চারবার। এছাড়া ম্যান অফ দা টূর্নামন্টে হয়েছেন দুই বার।
সাদ্দামের সহধর্মীনি নাজমা বেগম বলেন, অন্য আটদশের মতো তার দুই পা ছিল। বিয়ে হওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আর ওই দুর্ঘটনায় একটি পা হারান তিনি।
তিনি আরো বলেন, তার (সাদ্দামের) ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই পছন্দ। বিয়ের পরও সে এক পা দিয়ে একাধিক টুর্ণামেন্ট খেলেছে। তবে তার প্রিয় খেলা সে ধরে রেখেছে। তার মানষিক শক্তি এবং দৃঢ় মনোবলের কারনে সে এখনও এক পায়ে ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে। তার জীবনে স্বপ্ন ছিলো একদিন জাতীয় দলে চান্স পেয়ে বড় ক্রিকেটার হবে। কিন্তু একটি মাত্র দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিয়েছে। তবে এখনও এক পায়ের উপর ভর করে যেভাবে ক্রিকেট খেলে সবার মন কাড়ে একদিন না একদিন তার চাওয়া পাওয়া পুরন হবেই।
নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সবাই যখন দুই পায়ে ক্রিকেট খেলছেন,তখন সাদ্দাম হোসেন এক পায়ে ভর করেই মোকাবেলা করছে প্রতিদ্বন্দ্বি খেলোয়ারদের। জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত শংকর গোবিন্দ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এবার তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলেন তিনি। এবারের টুর্নামেন্টে জংলী ইসলামীয়া দলের হয়ে খেলেন সাদ্দাম হোসেন। দলের ওপেনিং ব্যাটস ম্যান এবং কিপিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম।
সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু ২০০৫ সালে তার এই স্বপ্নের বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা। হারান একটি পা। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। একটি মাত্র পা দিয়েই অবিরাম খেলে যান ক্রিকেট। অন্য আর দশটা খেলোয়ারের মতোই লড়াই করেন তিনি।
সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম বলেন, ক্রিকটে খেলা নিয়েই বেঁচে থাকার ইচ্ছা। তবে তার স্বপ্ন দেশের প্রতিবন্ধি দলের হয়ে খেলার। সেই সাথে দেশ এবং জেলার সুনাম বয়ে আনার স্বপ্ন দেখেন সাদ্দাম হোসেন।
তবে সাদ্দাম হোসেন শুধু মাত্র বাম পা দিয়ে ক্রিকেট খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সর্তীর্থ খেলোয়ার, আম্পায়ার সহ অন্যদের। সাদ্দামের স্বপ্ন পুরনে এগিয়ে এসেছেন তার সহযোগি খেলোয়াররা। তবে এক পায়ে ক্রিকেট খেলাকে অনেকে দু:স্বাধ্য মনে করলেও সাদ্দামের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল তাকে দমাতে পারেনি, বলেন সহযোগি খেলোয়াররা।
জংলী ইসলামীয়া দলের অধিনায়ক বলেন, সাদ্দাম প্রতিটি বলে রান নেয়ার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে রানার দেয়ার নিয়ম না থাকায় সে রান নিতে পারছেনা। তাছাড়া একজন স্বাভাবিক খেলোয়ারের সাথে সে সমানতালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল কোচ বাবুল আখতার বলেন, এক পায়ে ক্রিকেট খেলা, কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সেই অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করেছে সাদ্দাম। অন্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে সে ক্রিকেট খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের আম্পায়ার শিবলি সাদিক বলেন, ছেলেটাকে (সাদ্দাম) যখন দেখি এক পায়ে খেলতে, তখন সত্যিই খুব অস্বাভাবিক মনে হয়। তারপর সে প্রতিটি বলে বাম পায়ে ভর করে রান নেয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধরণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল বলেন, সাদ্দামকে সঠিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হলে একদিন বয়ে আনতে পারে দেশের জন্য সুনাম। সেই সাথে দেশের প্রতিবন্ধি ক্রিকেট দলের হয়ে খেলানো গেলে দেশ এবং জেলার জন্য সুনাম বয়ে আনবে তিনি।
তবে সাদ্দাম হোসেনের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মানসিকতা কাজ লাগানো গেলে একদিন এই দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠবেন তিনি এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
সাদ্দামের সহধর্মীনি নাজমা বেগম বলেন, অন্য আটদশের মতো তার দুই পা ছিল। বিয়ে হওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আর ওই দুর্ঘটনায় একটি পা হারান তিনি।
তিনি আরো বলেন, তার (সাদ্দামের) ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই পছন্দ। বিয়ের পরও সে এক পা দিয়ে একাধিক টুর্ণামেন্ট খেলেছে। তবে তার প্রিয় খেলা সে ধরে রেখেছে। তার মানষিক শক্তি এবং দৃঢ় মনোবলের কারনে সে এখনও এক পায়ে ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে। তার জীবনে স্বপ্ন ছিলো একদিন জাতীয় দলে চান্স পেয়ে বড় ক্রিকেটার হবে। কিন্তু একটি মাত্র দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিয়েছে। তবে এখনও এক পায়ের উপর ভর করে যেভাবে ক্রিকেট খেলে সবার মন কাড়ে একদিন না একদিন তার চাওয়া পাওয়া পুরন হবেই।
নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সবাই যখন দুই পায়ে ক্রিকেট খেলছেন,তখন সাদ্দাম হোসেন এক পায়ে ভর করেই মোকাবেলা করছে প্রতিদ্বন্দ্বি খেলোয়ারদের। জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত শংকর গোবিন্দ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এবার তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলেন তিনি। এবারের টুর্নামেন্টে জংলী ইসলামীয়া দলের হয়ে খেলেন সাদ্দাম হোসেন। দলের ওপেনিং ব্যাটস ম্যান এবং কিপিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম।
সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম বলেন, ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু ২০০৫ সালে তার এই স্বপ্নের বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা। হারান একটি পা। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। একটি মাত্র পা দিয়েই অবিরাম খেলে যান ক্রিকেট। অন্য আর দশটা খেলোয়ারের মতোই লড়াই করেন তিনি।
সারোয়ার হোসেন সাদ্দাম বলেন, ক্রিকটে খেলা নিয়েই বেঁচে থাকার ইচ্ছা। তবে তার স্বপ্ন দেশের প্রতিবন্ধি দলের হয়ে খেলার। সেই সাথে দেশ এবং জেলার সুনাম বয়ে আনার স্বপ্ন দেখেন সাদ্দাম হোসেন।
তবে সাদ্দাম হোসেন শুধু মাত্র বাম পা দিয়ে ক্রিকেট খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সর্তীর্থ খেলোয়ার, আম্পায়ার সহ অন্যদের। সাদ্দামের স্বপ্ন পুরনে এগিয়ে এসেছেন তার সহযোগি খেলোয়াররা। তবে এক পায়ে ক্রিকেট খেলাকে অনেকে দু:স্বাধ্য মনে করলেও সাদ্দামের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল তাকে দমাতে পারেনি, বলেন সহযোগি খেলোয়াররা।
জংলী ইসলামীয়া দলের অধিনায়ক বলেন, সাদ্দাম প্রতিটি বলে রান নেয়ার ক্ষমতা রাখে, কিন্তু তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে রানার দেয়ার নিয়ম না থাকায় সে রান নিতে পারছেনা। তাছাড়া একজন স্বাভাবিক খেলোয়ারের সাথে সে সমানতালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল কোচ বাবুল আখতার বলেন, এক পায়ে ক্রিকেট খেলা, কোন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সেই অস্বাভাবিককে স্বাভাবিক করেছে সাদ্দাম। অন্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে সে ক্রিকেট খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের আম্পায়ার শিবলি সাদিক বলেন, ছেলেটাকে (সাদ্দাম) যখন দেখি এক পায়ে খেলতে, তখন সত্যিই খুব অস্বাভাবিক মনে হয়। তারপর সে প্রতিটি বলে বাম পায়ে ভর করে রান নেয়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধরণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল বলেন, সাদ্দামকে সঠিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হলে একদিন বয়ে আনতে পারে দেশের জন্য সুনাম। সেই সাথে দেশের প্রতিবন্ধি ক্রিকেট দলের হয়ে খেলানো গেলে দেশ এবং জেলার জন্য সুনাম বয়ে আনবে তিনি।
তবে সাদ্দাম হোসেনের প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর মানসিকতা কাজ লাগানো গেলে একদিন এই দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠবেন তিনি এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
নাটোর থেকে: রফিকুল ইসলাম নান্টু
No comments:
Post a Comment