Thursday, November 3, 2016

ইলিশে সরগরম উপকূলের মৎস্য ঘাট

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার রাতে মেঘনায় ইলিশ শিকারে যান মনপুরা উপকূলের জেলেরা। সকালে জেলেরা ইলিশ নিয়ে মাছের আড়তে পৌঁছলে সরগরম হয়ে উঠে মৎস্য ঘাটগুলো। কর্মব্যস্ত দিন পার করে জেলে ও আড়তের লোকজন। যেন উৎসব ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র উপকূলে। 
  
মনপুরার সর্ববৃহৎ রামনেওয়াজ মাছের ঘাটে দেখা যায়, নৌকা ও ট্রলারে করে জেলেরা ইলিশ নিয়ে ফিরছেন যার যার দাদন নেয়া আড়তে। সঙ্গে সঙ্গেই আড়তের লোকজন ইলিশ লাইয়ে (ঝুঁড়িতে) উঠিয়ে আড়তের বাক্সে রাখছে। তারপর শুরু হয় হাঁকডাক দিয়ে ব্যাপারীদের কাছে মাছ বিক্রি। ব্যাপারীরা আড়ত থেকে ইলিশ কিনে ঝুঁড়িতে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় লঞ্চযোগে পাঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাউকে বরফ পিটিয়ে ছোট করার কাজে, কাউকে ঝুঁড়ি সেলাই করে, আবার কাউকে ঝুঁড়িতে ইলিশ রাখতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।তবে ইলিশের সংখ্যা ছিল কম। চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। বড় সাইজের একহালি ইলিশ ( ৪টা) তিন হাজার দুইশত থেকে তিন হাজার পাঁচশত টাকা, মাঝারি সাইজের একহালি ইলিশ দুই হাজার চারশত থেকে দুই হাজার ছয়শত টাকা ও ছোট সাইজের একহালি ইলিশ দুই হাজার থেকে দুই হাজার দুইশত টাকায় বিক্রি হয়।জেলেরা বলেন, অবরোধ শেষে রাতেই ইলিশ শিকারে যাই। মাছ কম হলেও অনেকদিন পর মাছ ধরার সুযোগ পাইছি, তাই ভাল লাগছে।
  
মৎস্য সমিতির সভাপতি সুলতান মাঝি জানান, অবরোধ চলাকালীন এই উপকূলের জেলেরা মেঘনায় মাছ শিকারে যায়নি। তাই মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। আগামীতে আরও ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান জানান, এবারের অভিযান প্রায় শতভাগ সফল। মা ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে পেরেছে। আগামীতে আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে আরও বেশি ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়বে বলে মনে হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment