Monday, November 14, 2016

সরকারি ত্রাণ গ্রহণ করেননি সাঁওতালরা

গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামার থেকে উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালরা সরকারি ত্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন।সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাঁওতালপল্লিতে অপেক্ষার পর সাঁওতালরা ত্রাণ গ্রহণ না করায় তা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে উপজেলা প্রশাসন।এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রউফ ট্রাকভর্তি চাল, আলু, লবণ, তেল ও কম্বল নিয়ে উপজেলার সাপমার ইউনিয়নের সাঁওতালপল্লি অধ্যুষিত মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরেও কেউ ত্রাণ গ্রহণ করেননি।
 
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার আব্দুর রউফ জানান, সাঁওতালদের দাবি হচ্ছে উচ্ছেদকৃত জমিতেই তাদের পুনর্বাসিত করতে হবে। ওই জমির চারপাশ থেকে অবিলম্বে চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ এবং আখচাষ বন্ধ  ও সাঁওতালদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।এ ছাড়া তাদের উচ্ছেদ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।সাঁওতালপল্লির বাসিন্দা মেরিং টুডু জ্যোৎস্না জানান, উচ্ছেদকৃত জমিতেই তাদের পুনর্বাসিত করতে হবে। সাঁওতালদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া উচ্ছেদ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের বিচার না করা পর্যন্ত তারা না খেয়ে মরে গেলেও
 সরকারের কোনো সাহায্য গ্রহণ করবেন না।
 
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ সাঁওতালদের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ছয় মেট্রিক টন চাল, ৫০ হাজার টাকা, ৩০০ কম্বল বরাদ্দ করেন। ওই দুটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০টি পরিবারের জন্য এ ত্রাণ প্যাকেজ করা হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০ কেজি চাল, এক কেজি করে ডাল, সয়াবিন তেল, লবণ, আলু ও দুটি করে কম্বল বিতরণের জন্য নিয়ে আসা হয়।এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, গৃহহীন ছিন্নমূল সাঁওতাল পরিবারদেরকে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি এলাকায় ১০ একর খাস জমি বরাদ্দ করা হবে।

No comments:

Post a Comment