Friday, October 14, 2016

যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা ও শি চিনপিং

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় উপনীত

dtl image
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিং তাদের উভয়ের মধ্যকার বৈঠককে ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেছেন।  দুই নেতাই মনে করছেন, শুক্রবার হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক এখন থেকে আরো এক নতুন উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর গণমাধ্যমে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে শি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।  
শি চিনপিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি খুব খুশি ৬ বছর পর বাংলাদেশের মতো একটা সুন্দর দেশ সফর করতে পেরেছি। চীন এবং বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার। আমি মনে করি, এই সফর সামগ্রিকভাবে দুই দেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে নানা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তিনি বলেন, কৌশলগত যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের সঙ্গে কয়েক মিনিট আগে আমাদের উভয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা এক চীন নীতিতে আমাদের জোরালো সমর্থন দিয়েছি। আমরা খুবই ঘনিষ্ঠভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসা ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো, শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও কৃষি খাতে একযোগে কাজ করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। তিনি বলেন, আজ আমরা এখানে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাক্ষী হলাম। এই চুক্তিগুলো হয়েছে ব্যবসা, বিনিয়োগ, সমুদ্র অর্থনীতি, বিসিআইএম-ইসি, সড়ক ও সেতু, রেলপথ, পাওয়ার, সমুদ্র, আইসিটি, শিল্প উৎপাদন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতার উন্নয়ন সংক্রান্ত। 
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা ছয়টি প্রকল্পও উদ্বোধন করেছি। এই চুক্তি এবং প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের পর দুই দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। আজকে আমরা ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র থেকে কৌশলগত অংশীদারত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, এই কৌশলগত অংশীদারত্বের অধীনে আমরা দুই দেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক মধ্য আয়ের দেশ এবং পর্যায়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উপনীত হওয়া। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বঞ্চনামুক্ত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।

No comments:

Post a Comment