সিএনজি স্টেশনে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের ডাক

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘অস্বাভাবিক’ ইজারা মাসুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলসহ তিন দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩০ অক্টোবর রোববার থেকে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট চলবে বলে বুধবার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই খাত টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা গত কয়েক বছর ধরে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
আগামী ৩০ অক্টোবর রোববার সকাল ৬টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশন লাগাতার ধর্মঘট পালন করবে।
ইজারা মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১২ দাবিতে ৩০ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ধর্মঘটের হুমকি রয়েছে।
তার মধ্যেই এখন সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট ডাকল।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের অন্য দুটো দাবি হল কোম্পানিগুলোর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের করা সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন।
এ ধর্মঘটের কারণে জনগণের যে দুর্ভোগ হবে, তা বিবেচনায় রয়েছে কি না- এ প্রশ্নে মাসুদ খান বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ব্যবসা না হলে আমরা পাম্প চালিয়ে রাখবো কীভাবে। এছাড়া আমরা গত দুই বছর ধরে তাদের (সরকার) অনেক অনুরোধ করেছি আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু তারা আমাদের গ্রাহ্যই করেনি।
মাসুদ খান জানান, এর আগে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘটের পর কয়েকদফা বৈঠক শেষে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের দাবি বাস্তবায়নে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।
২০১৪ সালের ৭ জুন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী তার বাসায় আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন- ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমার।’ সে বছরের ২৫ আগস্টের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত দুই বছরেও সেসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেননি তিনি।
No comments:
Post a Comment