ঈদ কেনাকাটা

বাহারি রঙে দেশীয় পোশাক

ঈদুল উল ফিতরে নিজেকে কিংবা প্রিয়জনকে রাঙানোর জন্য ক্রেতাদের পছন্দ দেশীয় পোশাক। এবার দেশি পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো সেই লক্ষ্যে নানা রং ও নকশার ঈদ পোশাক এনেছে। দেশীয় শিল্প, সংস্কৃতির ও ঐতিহ্যের নিপুণ কারুকাজে তৈরি আরামদায়ক ও দৃষ্টিনন্দন এসব পোশাকের নকশা করা হয়েছে বিভিন্ন প্রিন্ট, সুই-সুতার সেলাইসহ বিভিন্ন হাতের কাজের মাধ্যমে। এই আবহাওয়ায় আরামে পরার উপযোগী পোশাকে সাজিয়েছে শোরুমগুলো।

নগরদোলা : উজ্জ্বল রং প্রাধান্য দিয়ে রং নির্বাচন করেছে তারা। গরমের মধ্যে রোজার ঈদ হচ্ছে। তাই ব্যবহারে আরামের কথা বিবেচনা করে বেছে নেওয়া হয়েছে সুতি কাপড়। এ ছাড়া ঐতিহ্যগতভাবে প্রশংসিত সিল্ক, মসলিন, এন্ডি সিল্ক, জর্জেট, শিফন ও সু-জুতাও থাকছে। এসব পোশাক কারচুপি, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লক, স্টিচিং ইত্যাদি কারুকাজের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। নগরদোলার ঈদ পোশাক সম্ভার সাজানো হয়েছে সিঙ্গেল কামিজ, থ্রি-পিস ও আনস্ট্রিস থ্রি-পিস, ওড়না, ফ্লাজো, লেগিংস ফ্লাজো, টপস, স্কার্ট ফতুয়া, শাড়ি এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, পাজামা, লুঙ্গি, উত্তরীয় ও বাচ্চাদের পোশাক।

নগরদোলার ম্যানেজার নুসরাত জাহান জানান, দেশীয় সুতায় তৈরি পোশাকগুলোর দাম সাধ্যের ভেতরে। ছেলেদের শার্ট ৪৯০ থেকে ৫৯০ টাকা, সু এক হাজার ৪৯০ টাকা, থ্রি-পিস এক হাজার ৭৯০ থেকে ছয় হাজার ৯৯০ টাকা, শাড়ি ৮৫০ থেকে ১৮ হাজার ৯৯০ টাকা, পাঞ্জাবি ৮৯০ থেকে পাঁচ হাজার ৯৯০ টাকা, লুঙ্গি ৫৫০ থেকে ৮৯০ টাকা ও পায়জামার দাম রাখা হচ্ছে ৫৯০ টাকা। পোশাকগুলো নগরদোলার ফেসবুক পেইজ থেকে অনলাইনে ক্রয় করা যাবে। িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/হড়মড়ৎফড়ষধ১

কে ক্র্যাফ্ট : শাড়ি, সালোয়ার, কামিজ, টপ্স, শার্ট, ফর্মাল শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, কুর্তি ও শিশুদের পোশাকের আয়োজন দেখার জন্য ঘুরে আসতে পারেন ‘কে ক্র্যাফ্?ট’ এ। যৌক্তিক মূল্যসীমায় এসব পোশাক ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরি করবে। বরাবরের মতো নিজস্ব ডিজাইনে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জে বোনা শাড়িগুলোর রঙের বিন্যাস, ভ্যালু এডিশনের সূক্ষ্মতা ও পরিশীলিত মোটিফ বিশেষ বৈশিষ্ট্য এনেছে। শাড়িতে সুতি, এন্ডি, মস্লিন, সিল্ক ও খাদি মেটেরিয়াল ব্যবহৃত হয়েছে। মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বাটিক প্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, কাঁথার কাজ, টাই-ডাই, ইরি কাজ। মেরুন, কমলা, ফিরোজা, মেজেন্টা, বেগুনি, হলুদ, গোলাপি, সবুজ, নীলÑ উজ্জ্বল রং ব্যবহৃত হয়েছে।

কে ক্র্যাফ্ট ম্যানেজার নাসির হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পুরোপুরি প্রস্তুত। কালেকশনও ভালো। দামও সাধ্যের মধ্যে। শুধু ক্রেতার অপেক্ষা। বড়দের পাঞ্জাবি ৯৫০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, ছোট দের ৫৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, শাড়ি ৭৫০ থেকে এক হাজার ৯০০ টাকা, থ্রি-পিস দুই হাজার ২৫০ থেকে নয় হাজার টাকা ও সু-জুতার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকা। আর এই বিশেষ পোশাকগুলো পাওয়া যাচ্ছে কে-ক্র্যাফটের বনানী ১১ নম্বর রোড, নিউ বেইলি রোড, সীমান্ত স্কয়ার প্লাজা, সোবহানবাগ, মালিবাগ মৌচাক, মিরপুর-২ স্টেডিয়ামের বিপরীতে, ‘দেশীদশ’ বসুন্ধরা সিটি লেভেল-৭, গুলশান দেশীদশ, তেজগাঁও বা/এ, গুলশান লিংক রোড, উত্তরা টাওয়ার, উত্তরা সেক্টর ৩, আজিজ সুপার মার্কেট শাহবাগ, যমুনা ফিউচার পার্ক ও চট্টগ্রাম দেশীদশে। এ ছাড়া কে-ক্র্যাফটের পোশাকের আয়োজন দেখা যাবে www.kaykraft.com ওয়েবসাইটে এবং www.facebook.com/kaykraft.com.bd  ঠিকানায় ফেসবুকে।