নিজেকে ওই বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে
এবার মামলা করলেন মওদুদ

বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর এবার মামলা করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। মামলার আরজিতে মওদুদ বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি ভাড়াটে হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। তখন থেকেই বাড়িটি তার দখলে আছে। বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি অর্থের উন্নয়নকাজ করেছেন তিনি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন যাতে বাড়িটি দখল করতে না পারে, এ জন্য ওই বাড়ির ভাড়াটে হিসেবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন তিনি।
এই মামলার আরজিতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান তৎকালীন বিআইটি বর্তমান রাজউকে অ্যালটমেন্ট বা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। বিআইটি মো. এহসানের স্ত্রী জার্মান নাগরিক ইনজি স্লাজের নামে বাড়িটি বরাদ্দ দেন। ১৯৮১ সালে গুলশানের ওই বাড়ির মালিক ইনজি স্লাজ প্রয়াত প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) করে দেন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষমতা ১৯৮৪ পর্যন্ত বহাল ছিল।তিনি নিজেকে গুলশানের বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেছেন। বেলা ১১টার দিকে করা মামলায় এহসান-ইনজি দম্পতির ছেলে করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে। মওদুদ আহমেদ নিজেই আজ ভাড়াটে হিসেবে মামলাটি করেন। তবে এই বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি।
প্রসঙ্গত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ গুলশানের যে বাড়িতে বাস করে আসছেন, সেই বাড়ির বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন (রিভিউ) গত রোববার পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ি অবশ্যই ছাড়তে হবে। বাড়িটি বর্তমানে নিয়ে নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নিতে ঘটনাস্থলে যান রাজউকের কর্মকর্তারা।
No comments:
Post a Comment