‘হ্যাপি বার্থডে ম্যাম! আগে তো কেক কাটুন, কেস পরে’
----------------------------------------------------------------------
----------------------------------------------------------------------
পুলিশে ছুঁলে কত ঘা? আঠেরো, না ছত্রিশ!
ভাবতে ভাবতেই দুরু দুরু বুকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে
বাস ধরেছিলেন রিয়া। জ্বর গায়ে,মাথা ঘুরছে।
তবু পুলিশ বলে কথা! কাঁপা-কাঁপা গলায় স্বামী সুরজিৎ
কারকের ফোনটা পেয়ে আর দেরি করার সাহস হয়নি
বছর আঠাশের তরুণীর। তার পরে?
ভাবতে ভাবতেই দুরু দুরু বুকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে
বাস ধরেছিলেন রিয়া। জ্বর গায়ে,মাথা ঘুরছে।
তবু পুলিশ বলে কথা! কাঁপা-কাঁপা গলায় স্বামী সুরজিৎ
কারকের ফোনটা পেয়ে আর দেরি করার সাহস হয়নি
বছর আঠাশের তরুণীর। তার পরে?
রিয়া বা তাঁর স্বামী সুরজিতের কাছে ‘পুলিশ’ শব্দটার মানেই
এখন পাল্টে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে সেটাই রিয়ার জন্মদিন।
স্ত্রীর জন্মদিন উদ্যাপনের একটা ব্যবস্থা করেই বেরিয়েছিলেন
সুরজিৎ। রিয়ার বাপের বাড়িতেই সে দিন ওঁরা ছিলেন। সকালে
গুছিয়ে বাজার সেরে অফিসে বেরোন সুরজিৎ।বাসায় অপেক্ষা
করছিলেন রিয়া। সুরজিৎ ফিরলেই জমবে ঘরোয়া ‘বার্থ ডে পার্টি’!
হঠাৎ ফোনটা এসেই ঘটল ছন্দপতন।জন্মদিনেই এমন ভোগান্তি! ‘‘সাধারণত: বাইকের কাগজ নিতে কখনও ভুল হয় না সুরজিতের।
অফিসে মান্থলি ক্লোজিংয়ের চাপ! রিয়ার জন্মদিনে সকাল সকাল
বাজার করার ব্যস্ততায় ভুলটা হয়ে যায়।’’কাগজপত্র ছাড়াই
মোটরবাইক নিয়ে অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।আর
কাগজপত্র দেখাতে না-পারলে মোটরবাইক বা গাড়ি বাজেয়াপ্ত
করা ছাড়া উপায় থাকে না ট্রাফিক পুলিশের।সে কাগজপত্র সঙ্গে
না-থাকায় সুরজিৎ তাই নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে ফোন করে সে-সব
নিয়ে আসতে বলেন। এর পরেই ওই পুলিশ অফিসার জানতে
পারেন,এই বিশেষ দিনের বিষয়টা।
এখন পাল্টে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে সেটাই রিয়ার জন্মদিন।
স্ত্রীর জন্মদিন উদ্যাপনের একটা ব্যবস্থা করেই বেরিয়েছিলেন
সুরজিৎ। রিয়ার বাপের বাড়িতেই সে দিন ওঁরা ছিলেন। সকালে
গুছিয়ে বাজার সেরে অফিসে বেরোন সুরজিৎ।বাসায় অপেক্ষা
করছিলেন রিয়া। সুরজিৎ ফিরলেই জমবে ঘরোয়া ‘বার্থ ডে পার্টি’!
হঠাৎ ফোনটা এসেই ঘটল ছন্দপতন।জন্মদিনেই এমন ভোগান্তি! ‘‘সাধারণত: বাইকের কাগজ নিতে কখনও ভুল হয় না সুরজিতের।
অফিসে মান্থলি ক্লোজিংয়ের চাপ! রিয়ার জন্মদিনে সকাল সকাল
বাজার করার ব্যস্ততায় ভুলটা হয়ে যায়।’’কাগজপত্র ছাড়াই
মোটরবাইক নিয়ে অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।আর
কাগজপত্র দেখাতে না-পারলে মোটরবাইক বা গাড়ি বাজেয়াপ্ত
করা ছাড়া উপায় থাকে না ট্রাফিক পুলিশের।সে কাগজপত্র সঙ্গে
না-থাকায় সুরজিৎ তাই নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে ফোন করে সে-সব
নিয়ে আসতে বলেন। এর পরেই ওই পুলিশ অফিসার জানতে
পারেন,এই বিশেষ দিনের বিষয়টা।
‘‘ভদ্রলোকের (সুরজিৎ) ব্যবহার খুব ভাল। উনি সহযোগিতা
করছিলেন। বাড়িতে ফোন করায় কথপোকথনে পুলিশ তাঁর
স্ত্রী-র জন্মদিনের কথা জেনে যায়। এমন দিনে মহিলাকে ছুটোছুটি
করতে হচ্ছে।’’ততক্ষণে রিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। এদিকে তরুণীকে জন্মদিনে ‘সারপ্রাইজ’ দিতে চুপি চুপি কাছেই একটি দোকান থেকে চকোলেট কেক নিয়ে আসেন ওই পুলিশ অফিসার।
রিয়া আসতেই শুরু হয় সেলিব্রেশন।ওঁকে চমকে দিয়ে সার্জেন্ট বলেন, ‘‘হ্যাপি বার্থডে ম্যাডাম! আসুন আগে এই কেকটা কেটে ফেলুন।
কেস পরে হবে।’’ রিয়া-সুরজিৎ,সার্জেন্ট পিঙ্কু ছাড়া কনস্টেবল
রফিকুল ও কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। কেক কাটা, গান, হাততালি
সবই হ'ল...!
করছিলেন। বাড়িতে ফোন করায় কথপোকথনে পুলিশ তাঁর
স্ত্রী-র জন্মদিনের কথা জেনে যায়। এমন দিনে মহিলাকে ছুটোছুটি
করতে হচ্ছে।’’ততক্ষণে রিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। এদিকে তরুণীকে জন্মদিনে ‘সারপ্রাইজ’ দিতে চুপি চুপি কাছেই একটি দোকান থেকে চকোলেট কেক নিয়ে আসেন ওই পুলিশ অফিসার।
রিয়া আসতেই শুরু হয় সেলিব্রেশন।ওঁকে চমকে দিয়ে সার্জেন্ট বলেন, ‘‘হ্যাপি বার্থডে ম্যাডাম! আসুন আগে এই কেকটা কেটে ফেলুন।
কেস পরে হবে।’’ রিয়া-সুরজিৎ,সার্জেন্ট পিঙ্কু ছাড়া কনস্টেবল
রফিকুল ও কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। কেক কাটা, গান, হাততালি
সবই হ'ল...!
এমন অপ্রত্যাশিত জন্মদিন পালনে অভিভূত রিয়া ও সুরজিৎ।
স্মিত হেসে সার্জেন্ট বলেছেন,‘‘আমি নিজেও বৌ-বাচ্চা নিয়ে
সংসার করি। জন্মদিনের দিন ওঁদের এ ভাবে দৌড়ঝাঁপ করতে
হচ্ছে দেখে খুব খারাপ লাগছিল। তাই তখনই ‘সারপ্রাইজ পার্টি’টা
ঠিক করে ফেলি।’’ রক্তে চিনির জন্য কেক খান না রিয়া। কিন্তু সে দিন
সামান্য চেখেছেন। এখন সুরজিৎ আর রিয়া এই ‘পুলিশবন্ধু’দের শীঘ্র বাড়িতে ডেকে পাত পেড়ে খাওয়াতে চান। পুলিশের এই মানবিক মুখটাই মনে রাখতে চান তাঁরা। তবে নিয়ম মেনে সুরজিৎকে কেসও দিয়েছেন
ট্রাফিক সার্জেন্ট।
স্মিত হেসে সার্জেন্ট বলেছেন,‘‘আমি নিজেও বৌ-বাচ্চা নিয়ে
সংসার করি। জন্মদিনের দিন ওঁদের এ ভাবে দৌড়ঝাঁপ করতে
হচ্ছে দেখে খুব খারাপ লাগছিল। তাই তখনই ‘সারপ্রাইজ পার্টি’টা
ঠিক করে ফেলি।’’ রক্তে চিনির জন্য কেক খান না রিয়া। কিন্তু সে দিন
সামান্য চেখেছেন। এখন সুরজিৎ আর রিয়া এই ‘পুলিশবন্ধু’দের শীঘ্র বাড়িতে ডেকে পাত পেড়ে খাওয়াতে চান। পুলিশের এই মানবিক মুখটাই মনে রাখতে চান তাঁরা। তবে নিয়ম মেনে সুরজিৎকে কেসও দিয়েছেন
ট্রাফিক সার্জেন্ট।
No comments:
Post a Comment