মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে ধরা খেলেন ২ রাজাকার!

এবার মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে ধরা খেলেন ২ রাজাকার। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে। তারা হলেন- খন্দকার ইউসুফ ও আব্দুস সামাদ। তাদের দুজনেরই বাড়িই বিজয়রাম তবকপুর গ্রামে। জানা যায়, নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম তুলতে চেয়েছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুরের ওই ২ ব্যক্তি। কিন্তু বিধি বাম, মুক্তিযোদ্ধাদের কড়া জিজ্ঞাসাদের এক পর্যায়ে ধরা পড়ে যায় তাদের প্রতারণার ফাঁদ। প্রকাশ পেয়ে যায় যে, তারা মুক্তিযোদ্ধা নন। বরং তারা ছিলেন পাকিস্তানের দোসর রাজাকার বাহিনীর সদস্য।রোববার কুড়িগ্রামের উলিপুরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় এ ঘটনা ধরা পড়ে। ধরা পড়ে যাওয়ার পর তাদেরকে পুলিশে দিতে দাবি উঠে। তবে সুযোগ বুঝে দুজন গোপনে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মু্ক্িতযোদ্ধার তালিকায় বিপুল পরিমাণ অমুক্তিযোদ্ধা ঢুকে পড়েছেন-এমন অভিযোগ উঠার পর গত ১৭ জানুয়ারি থেকে তালিকা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের উপজেলা, জেলা, মহানগর পর্যায়ে বাছাইয়ের কাজ চলবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সারা দেশে মোট ৪৭০টি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন তালিকাভুক্তির আবেদন করেছেন, এমন ব্যক্তিদের পাশাপাশি তালিকায় নাম আছে এমন ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, আজ দুপুরের উলিপুর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই বাছাই কমিটির সামনে প্রথমে আসেন আব্দুস সামাদ। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কিছু কাগজপত্র দাখিল করে দাবি করেন তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে স্বীকার করেন তিনি রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুক্তিবাহিনীর কাছে ধরাও পড়েন। এরপর বন্দী অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ফুট ফরমাশের কাজ করেন। এজন্য তাদের প্রাণ ভিক্ষা দেওয়া হয়ে ছিলো বলে এই রাজাকার।
একইভাবে বোর্ডের সামনে সামনে আসেন খন্দকার ইউসুফ। তিনিও জেরার এক পর্যায়ে স্বীকার করে তিনি রাজাকার ছিলেন। উলিপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন সিন্দুরমতি ব্রিজ পাহারত অবস্থায় মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। একপর্যায়ে তাদেরকে যাচাই বাছাই কমিটি কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন। বাইরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে দ্রুত সটকে পড়েন দুই রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে এ দেশীয় দোসরদের দিয়ে গঠন করা হয় রাজাকার বাহিনী। খুলনায় জামায়াত নেতা এ কে এম ইউসুফের নেতৃত্বে প্রথম রাজাকার প্লাটুন শপথ গ্রহণ করে। এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয় সদস্যদের।
মু্ক্িতযোদ্ধার তালিকায় বিপুল পরিমাণ অমুক্তিযোদ্ধা ঢুকে পড়েছেন-এমন অভিযোগ উঠার পর গত ১৭ জানুয়ারি থেকে তালিকা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের উপজেলা, জেলা, মহানগর পর্যায়ে বাছাইয়ের কাজ চলবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সারা দেশে মোট ৪৭০টি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন তালিকাভুক্তির আবেদন করেছেন, এমন ব্যক্তিদের পাশাপাশি তালিকায় নাম আছে এমন ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, আজ দুপুরের উলিপুর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই বাছাই কমিটির সামনে প্রথমে আসেন আব্দুস সামাদ। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কিছু কাগজপত্র দাখিল করে দাবি করেন তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে স্বীকার করেন তিনি রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুক্তিবাহিনীর কাছে ধরাও পড়েন। এরপর বন্দী অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ফুট ফরমাশের কাজ করেন। এজন্য তাদের প্রাণ ভিক্ষা দেওয়া হয়ে ছিলো বলে এই রাজাকার।
একইভাবে বোর্ডের সামনে সামনে আসেন খন্দকার ইউসুফ। তিনিও জেরার এক পর্যায়ে স্বীকার করে তিনি রাজাকার ছিলেন। উলিপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন সিন্দুরমতি ব্রিজ পাহারত অবস্থায় মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। একপর্যায়ে তাদেরকে যাচাই বাছাই কমিটি কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন। বাইরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে দ্রুত সটকে পড়েন দুই রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে এ দেশীয় দোসরদের দিয়ে গঠন করা হয় রাজাকার বাহিনী। খুলনায় জামায়াত নেতা এ কে এম ইউসুফের নেতৃত্বে প্রথম রাজাকার প্লাটুন শপথ গ্রহণ করে। এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয় সদস্যদের।
No comments:
Post a Comment