বিএনপির নতুন সরকার পদ্ধতির কাঠামো
সহায়ক সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি একটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে বিএনপি নেতাদের মুখে মুখে। আর সেই বিকল্প প্রস্তাবটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার গঠন করে পরবর্তী ১০ বছর বাংলাদেশ শাসন। তবে সেটি অবশ্যই হবে সংবিধান সংশোধন করার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে।নির্বাচনের আগে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য (সমান) আনা হবে।প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পদ থাকবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। অন্যান্য মন্ত্রীও আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে। আসন সংখ্যা অনুযায়ী মন্ত্রীত্বের ভাগ পাবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও। অর্থাৎ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন যে দলই পাক না কেন সরকার গঠন হবে প্রধান দুই দলের নেতৃত্বেই।তবে এখনও প্রস্তাবটি প্রাথমিক পর্যায়েই আছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে না কি এ ধরনের একটি প্রস্তাব দিয়েছে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো। বিশেষ করে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।তিনটি দেশই চায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় মিলেই বাংলাদেশ শাসন করুক।তাতে উভয় দলের রাজনৈতিক সহিংসতা কমবে এবং দেশ হবে সমৃদ্ধ।বিএনপি নেতারা বলেন,তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাবে আপত্তি নেই।এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি থাকলেই তা সম্ভব হবে,নইলে নয়। তারা বলেন, সংসদীয় এ পদ্ধতি কেবল ১০ বছরের জন্য এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে ক্ষতি নেই। নেতারা বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো নতুন এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে দুই দলের শীর্ষ পর্যায়েই যোগাযোগ করছে। নতুন প্রস্তাবে আওয়ামী লীগ সম্মত হলেই খালেদা জিয়ার জামিন হবে এমন কি মামলা থেকেও খালাস পাওয়া সহজ হয়ে যাবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
No comments:
Post a Comment