সাত বছরে আত্মসাৎ ৩০ হাজার কোটি টাকা
অন্য দেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নজিরবিহীন শাস্তির বিধানে
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাসদাকের সাবেক চেয়ারম্যান
বার্নার্ড মেডফের শেয়ারবাজারে আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়,
তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২০০৯ সালের জুন মাসে বিচারে
৭১ বয়সী এ ব্যবসায়ীকে ১৫০ বছর জেল দেওয়ার পাশাপাশি
১৭০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
অথচ এ ধরনের অপরাধে শাস্তির নজির নেই বাংলাদেশে।
গত সাত বছরে ছয়টি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে
৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চুরি বা আত্মসাৎ হয়েছে।
এ অর্থ দিয়েই অনায়াসে একটি পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়।
বড় এসব আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ।
শুধু শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতেই
লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের
পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের একটি অংশ
ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতা করে
নিজেরা লাভবান হয়েছেন।
এজন্য ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো এই প্রভাবশালীদের
রাজনৈতিকভাবে ছাড় দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
একটি কেলেঙ্কারিরও বিচার হয়নি।
সাজা পাননি অভিযুক্তদের কেউ।
প্রাথমিক তদন্তের পর বছরের পর বছর মামলা চলছে,
অভিযুক্তদের কেউ জেলে আছেন,
কেউবা চিকিৎসার নামে হাসপাতালে,
অনেকে জামিনও পেয়েছেন।
২০০৯ সনে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির
তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের হিসাবে
অন্তত: ১৫ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন
সাধারণ বিনিয়োগকারীগন।
এরপর ২০১২ সনের সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে
অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিতে
অর্থ আত্মসাৎ করা হয় ১১০০ কোটি টাকা।
২০১৩ সনের বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে
আত্মসাৎ করা হয় আরও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা,
এ ছাড়া বহুস্তরবিশিষ্ট বিপণন কোম্পানি ডেসটিনির
অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা,
এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের কারও সাজা হয়নি।
হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)
তানভীর মাহমুদ জেলে থাকলেও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান
জেসমিন ইসলাম জামিনে আছেন।
ডেসটিনির সভাপতি রফিকুল আমীন আটক হলেও
অসুস্থতার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে আছেন।
আর বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু
এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরেই?
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান,
অপ্রতুল জামানতের বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে
ঋণ মঞ্জুরিতে সহযোগিতা দিয়ে
টাকা হাতিয়ে রূপালী ব্যাংক থেকে বেনিটেক্স লিমিটেড,
মাদার টেক্সটাইল মিলস ও মাদারীপুর স্পিনিং মিলস
নিয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
আবার বহুতল ভবন নির্মাণের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে
অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৩শ কোটি টাকা ঋণ নেয় মুন গ্রুপ।
সবশেষে লাইসেন্স পাওয়া ফারমার্স ব্যাংকও
অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৪শ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে।
সবশেষ আর্থিক কেলেঙ্কারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি
৮ কোটি ১০ লাখ ডলার,টাকার অঙ্কে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ বা হ্যাক করে
এই রিজার্ভ চুরির ঘটনা এখনো বিশ্বজুড়ে অন্যতম আলোচিত।
অর্থের পরিমাণ তুলনামূলক কম হলেও
সবচেয়ে বেশি তোলপাড় হয়েছে রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়েই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কারণেই
দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন
সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান,
সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই ডেপুটি গভর্নরকেও।
তবে যারা অপরাধী,তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি।
শুধু বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে বরখাস্ত,বদলি নয়;
অপরাধের দায়ের শাস্তি দিতে হবে।
এ ছাড়া সৎ,দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের
সঠিক জায়গায় বসাতে হবে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে
সদস্য নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের যোগ্যতা নিয়ে
যে প্রশ্ন,সন্দেহ রয়েছে,তা নিরোসনে
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে
বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্ত অবস্থানে নিতে হবে।
ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ থাকলে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলতে পারতেন না,
তিন বা চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কিছু নয়!!
অন্য দেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নজিরবিহীন শাস্তির বিধানে
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাসদাকের সাবেক চেয়ারম্যান
বার্নার্ড মেডফের শেয়ারবাজারে আর্থিক কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়,
তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২০০৯ সালের জুন মাসে বিচারে
৭১ বয়সী এ ব্যবসায়ীকে ১৫০ বছর জেল দেওয়ার পাশাপাশি
১৭০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
অথচ এ ধরনের অপরাধে শাস্তির নজির নেই বাংলাদেশে।
গত সাত বছরে ছয়টি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে
৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চুরি বা আত্মসাৎ হয়েছে।
এ অর্থ দিয়েই অনায়াসে একটি পদ্মা সেতু তৈরি করা যায়।
বড় এসব আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ।
শুধু শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতেই
লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের
পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের একটি অংশ
ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতা করে
নিজেরা লাভবান হয়েছেন।
এজন্য ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো এই প্রভাবশালীদের
রাজনৈতিকভাবে ছাড় দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
একটি কেলেঙ্কারিরও বিচার হয়নি।
সাজা পাননি অভিযুক্তদের কেউ।
প্রাথমিক তদন্তের পর বছরের পর বছর মামলা চলছে,
অভিযুক্তদের কেউ জেলে আছেন,
কেউবা চিকিৎসার নামে হাসপাতালে,
অনেকে জামিনও পেয়েছেন।
২০০৯ সনে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির
তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের হিসাবে
অন্তত: ১৫ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন
সাধারণ বিনিয়োগকারীগন।
এরপর ২০১২ সনের সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে
অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিতে
অর্থ আত্মসাৎ করা হয় ১১০০ কোটি টাকা।
২০১৩ সনের বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে
আত্মসাৎ করা হয় আরও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা,
এ ছাড়া বহুস্তরবিশিষ্ট বিপণন কোম্পানি ডেসটিনির
অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা,
এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের কারও সাজা হয়নি।
হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)
তানভীর মাহমুদ জেলে থাকলেও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান
জেসমিন ইসলাম জামিনে আছেন।
ডেসটিনির সভাপতি রফিকুল আমীন আটক হলেও
অসুস্থতার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে আছেন।
আর বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু
এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরেই?
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান,
অপ্রতুল জামানতের বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে
ঋণ মঞ্জুরিতে সহযোগিতা দিয়ে
টাকা হাতিয়ে রূপালী ব্যাংক থেকে বেনিটেক্স লিমিটেড,
মাদার টেক্সটাইল মিলস ও মাদারীপুর স্পিনিং মিলস
নিয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
আবার বহুতল ভবন নির্মাণের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে
অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৩শ কোটি টাকা ঋণ নেয় মুন গ্রুপ।
সবশেষে লাইসেন্স পাওয়া ফারমার্স ব্যাংকও
অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৪শ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে।
সবশেষ আর্থিক কেলেঙ্কারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি
৮ কোটি ১০ লাখ ডলার,টাকার অঙ্কে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ বা হ্যাক করে
এই রিজার্ভ চুরির ঘটনা এখনো বিশ্বজুড়ে অন্যতম আলোচিত।
অর্থের পরিমাণ তুলনামূলক কম হলেও
সবচেয়ে বেশি তোলপাড় হয়েছে রিজার্ভ চুরির ঘটনা নিয়েই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কারণেই
দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন
সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান,
সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই ডেপুটি গভর্নরকেও।
তবে যারা অপরাধী,তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি।
শুধু বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে বরখাস্ত,বদলি নয়;
অপরাধের দায়ের শাস্তি দিতে হবে।
এ ছাড়া সৎ,দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের
সঠিক জায়গায় বসাতে হবে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে
সদস্য নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের যোগ্যতা নিয়ে
যে প্রশ্ন,সন্দেহ রয়েছে,তা নিরোসনে
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে
বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্ত অবস্থানে নিতে হবে।
ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ থাকলে
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলতে পারতেন না,
তিন বা চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কিছু নয়!!
No comments:
Post a Comment