সুখী দাম্পত্যের গোপন মন্ত্র জানালেন ৪৩ বছরের বাইডেন দম্পতি
ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে বিশ্ববাসীকে নিজেদের একসঙ্গে সুখী থাকার গোপন মন্ত্র জানালেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল। এই দম্পতি ৪৩ বছর ধরে একত্রে থাকছেন এবং উপভোগ করেছেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বাইডেন। সে সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রিয়তমা স্ত্রী ও আমেরিকার নতুন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কটি এতটাই মধুর, এরকম ‘লাভ গোলস’ কখনোই নষ্ট হবে না। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণার সময়টাতেও তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসার অজস্র প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ধরনের একটি চমৎকার ব্যাপার যুক্তরাষ্ট্রের জনসাধারণের মনেও নিয়ে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। সম্প্রতি দেশটির এই ‘ফার্স্ট কাপল’ একসঙ্গে গণমাধ্যমের সামনে আসেন এবং জানান নিজেদের ইতিহাস ও অতীত সম্পর্কে। কীভাবে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? কেমন ছিল তাদের বৈবাহিক জীবন? এ নিয়ে কথা বলেন।
পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই জুটি নিজেদের সুখী দাম্পত্য জীবনের পেছনের মন্ত্র প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘জিলকে দেখার কিছু সময় পরেই ঠিক করে ফেলেছিলাম, ওকে বিয়ে করব। সবাই বলে, বিয়ে হচ্ছে একটা ফিফটি-ফিফটি ব্যাপার। কিন্তু তা সত্য নয়। কখনো কখনো এটি সেভেন্টি-থার্টিও। যখন খুব খারাপ অবস্থায় থাকি, সে আমাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে এবং যখন সে বাজে অবস্থায় থাকে, আমি তাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করি। এতকাল পর্যন্ত আমরা দুজনেই একে অন্যের প্রতি খুবই সহায়ক থেকেছি।’প্রত্যুত্তরে জিল বাইডেন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে যেসব সময় পার করে এসেছি, তাকে এক কথায় বলা যায়, কখনো কখনো তুমি ভাঙা জায়গাগুলোতেই বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠো।’ আমি মনে করি, আমরা দুজনে ঠিক এই জিনিসই প্রত্যাশা করি এবং এটিই অর্জনের চেষ্টা করি ও শিখি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বললেন, ‘রিপোর্টার আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, 'সবাই বলে, আপনি ও আপনার স্ত্রীর মধ্যে গভীর প্রেম রয়েছে।' উত্তরে বলেছিলাম, 'হ্যাঁ, আমিও তা-ই মনে করি।' তবে সঙ্গে আরও যোগ করেছিলাম, 'জিল আমাকে যতটা ভালোবাসে, সবাই তা জানে; আমি তাকে এর চেয়েও বেশি ভালোবাসি।' তার মানে এই নয়, আমাদের একেবারেই ঝগড়াঝাঁটি বা কথা কাটাকাটি হয় না। তবে আমার শুধু মনে হয়, আমি খুবই ভাগ্যবান বলেই জিলকে পেয়েছি।"উত্তরে জিল হাস্যরস করে বলেন, 'হ্যাঁ, আসলে ৪৩ বছর সংসার করার পর ঝগড়াঝাটি করার তেমন কিছু থাকেও না!'
প্রেসিডেন্ট তার কথা শেষ করেন এই বলে, 'আমি মনে করি এবং জিলও ভাবে, একজন আরেকজনকে বুঝতে পারাটা খুবই জরুরি। এখনো তাকে দেখলে আমার হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়ে যায়, এটাই সত্য।'
No comments:
Post a Comment