Friday, August 4, 2017

সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন একুশে পুরষ্কার, বাংলা একাডেমী পুরষ্কার। এশিয়ার নোবেলখ্যাত ‘র‍্যামন ম্যাগসেসে’ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন ২০০৪ সালে। শুধু শিক্ষাবিস্তার নয়, সমাজ সংস্কারেও ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ‘বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন’ করেছেন তিনি, পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকদিন ধরেই। ঢাকায় যখন ডেঙ্গু মহামারী আকার নিয়েছে, তিনি তখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে নেমেছেন রাস্তায়, মানুষকে সচেতন করেছেন, প্রচার করেছেন ডেঙ্গু মোকাবেলায় করণীয়। স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেছেন, নিজের হাতে রাস্তাঘাটের ময়লা পরিষ্কার করেছেন, ডেঙ্গুর আবাসস্থল খুঁজে ধ্বংস করেছেন সবাইকে নিয়ে।
যেখানেই গিয়েছেন, নিজের অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন দারুণভাবে। টেলিভিশনে ১৯৬৪ সালে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন মুস্তফা মনোয়ার, কবি জসিমউদ্দিনের সাক্ষাৎকার নিয়ে শুরু হয়েছিল টিভি পর্দায় তাঁর পথচলা। স্বাধীনতার পরে ‘স্বপ্তবর্ণ’ নামের অনুষ্ঠান করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ষাটের দশকে সাহত্য আন্দোলনে রেখেছিলেন ভূমিকা, তিনি তখন সবে চাকুরীজীবনে প্রবেশ করেছেন। ঢাকা কলেজে যখন শিক্ষকতা করতেন, তাঁর ক্লাস উপচে পড়তো ছাত্রদের ভীড়ে। অন্যান্য ক্লাস বা অন্যবর্ষের ছেলেরাও ভীড় জমাতো তাঁর কথা শোনার জন্যে। স্মিত হাসির এই মানুষটার বক্তৃতা শোনার জন্যে উপচে পড়া ভীড় হয় এখনও।
১৯৩৯ সালের আজকের এই দিনে জন্মেছিলেন বাংলাদেশের এই সূর্যসন্তান, খুব অল্প কিছু মানুষের মধ্যে একজন তিনি, যাকে নিয়ে দলমত নির্বিশেষে আমরা গর্ব করতে পারি। শিক্ষার আলোয় নিরক্ষরতা দূরীকরণের কাজ করে চলেছেন যিনি নিরলসভাবে, স্বার্থহীনভাবে। শুভ জন্মদিন জ্ঞানের ফেরিওয়ালা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

No comments:

Post a Comment