চাকুরীপ্র্রার্থী বেকার ভাইয়ের জন্য আর্তনাদ !
বিসিএস পরীক্ষার্থী আমার ভাই রাতের পুরোটা সময় মুখথুবরে বই নিয়ে পড়ে থাকে, রাত শেষে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায় মাঝে মাঝে কোমরে ব্যাথা জাগে, তবুও থামেনা। পেইন কিলার খেয়ে আবার চেয়ারটেবিলে পড়তে বসে।সেই ভাই যখন কোটা বৈষম্যর বেড়াজালে নরবে চোখের জল ফেলে, তখন এটাকে আপনি কি বলবেন? দোষটা কি তার? সে মেধাবী কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না,সে ভালো ছাত্র কিন্তু প্রতিবন্ধী না? তার রেজাল্ট ভালো কিন্তু নারী না? সে অধ্যবসায়ী কিন্তু উপজাতী না? এদিকে এবার বিসিএস পরীক্ষার জন্য মোট পদ:২০২৪,মুক্তিযোদ্ধা কোটা :৩০%,মহিলা কোটা:১০%,জেলা কোটা:৫%,প্রতিবন্ধি কোটা:১%,উপজাতি কোটা:৫%,মোট কোটা:৫৬%,সাধারন :৪৪%,২০২৪ এর ৫৬% =১১৩৪,বাকি মাত্র ৮৯০ টা সিট দেশের সকল অভাগাদের জন্য! প্রতিযোগীর সংখ্যা যেখানে কোটির ঘরে।
এই কোটা প্রথা! সাধারণ চাকুরিপ্রার্থীদেরকে দয়া আর অনুকম্পার পাত্র বানিয়ে ফেলেছে। চাকুরী যদি কোটা ধারীরাই পাবে তবে আমর ভাই কলুরবলদের মত খেটে মরছে কেন? আমার বাবার ঘামঝড়ানো টাকা কেন,পড়াশোনার পেছনে অনর্থক ব্যয় হবে? আমার বাপদাদারা যুদ্ধ করেনি বা ভুয়া সার্টিফিকেট কালেক্ট করে নাই,এজন্য আমার ভাইয়ের অপরাধ কি? এজন্য সাধারণ চাকুরিপ্রার্থীকে কেন বৈষম্যের স্বীকার হতে হচ্ছে? অচিরেই এ বৈষম্যের অবসান ঘটান অথবা সব চাকুরীপ্রার্থী বেকার ভাইদেরকে খোলা মাঠে দাঁড় করিয়ে গুলি কর মেরে ফেলেন।পরিবারের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে গুলি খেয়ে মরা ঢেরগুণ ভালো। অন্তত: মায়ের কান্নাজরানো কন্ঠে শুনতে হবে না; খোকা এবার কিছু একটা কর!! অন্তত বাবার ঘামঝড়ানো টাকা মাস শেষে বেহায়ার মত হাত পেতে নিতে হবে না।
No comments:
Post a Comment