আবার আক্রান্ত পাকিস্তান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার আত্মঘাতী হামলা। এ বারও খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে। মরদান শহরে আদালত চত্বরে জোড়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। জখম ৫০ জনেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিন সপ্তাহ আগে বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় যে ভাবে আইনজীবী সম্প্রদায়কে নিশানা করে হামলা হয়েছিল, শুক্রবার খাইবার-পাখতুনখোয়ার মরদান শহরেও সেই ধাঁচেই হামলা হয়েছে। মরদানের জেলা আদালত চত্বরে পর পর দু’টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে এ দিন। এ পর্যন্ত ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে যেমন আইনজীবীরা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, আত্মঘাতী হামলাকারী মরদান আদালত চত্বরে প্রথমে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তার পর সে নিজের আত্মঘাতী জ্যাকেটে বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিস্ফোরণে রক্তাক্ত মরদানের আদালত চত্বর।
মরদানের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই খাইবার-পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে হামলা হয়েছে। তাতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওয়ারসাক ড্যামের কাছে অবস্থিত ক্রিশ্চিয়ান কলোনিতে হওয়া সেই হামলায় অবশ্য সাধারণ নাগরিকদের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। চার আত্মঘাতী জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইতে নিহত হয়েছে। হামলায় মৃত্যু হয়েছে ক্রিশ্চিয়ান কলোনির এক নিরাপত্তা রক্ষীরও।
শুক্রবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যে ভাবে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুই শহরে হামলা হল, তাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা পাকিস্তানে। উপজাতি প্রধান ওই প্রদেশে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অসন্তোষের ইতিহাস রয়েছে। পাখতুন বা পাশতুন সম্প্রদায় আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। তবে কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।