Tuesday, September 13, 2016

আত্মঘাতী গুলশান হানায় জড়িত জঙ্গি

aajkaal
ঢাকার আজিমপুরে শনিবার সন্ধ্যায়  র‍্যাবের অভিযানের সময় সন্দেহভাজন যে জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া গেছে, সে গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত‌্যা করেছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ধারণা। শনিবার রাতেই পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, গুলশানের  ক্যাফেয় হামলাকারীদের জন‌্য বসুন্ধরায় ‘আবদুল করিম’ নাম ব‌্যবহার করে যে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন, তার ছবির সঙ্গে আজিমপুরে নিহতের চেহারার মিল পাওয়া গেছে। পুলিস মনে করছে,  মৃত এই জঙ্গি গুলশান হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল।  রবিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ওই যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। পরে ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক  সোহেল মাহমুদ বলেছেন, ওই যুবকের গলার বাঁ পাশে কাটা জখম রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন,সুইসাইড করলে যে ধরনের নমুনা থাকে, অর্থাৎ ডান হাতে ছুরি ধরে বাম গলায় আঘাত… এই যুবকের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। এই নমুনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে- আত্মহত্যা। ওই যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো ছুরির খোঁচা বলে মনে হয়েছে চিকিৎসকের কাছে। তবে গলার আঘাত থেকে রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে সোহেল মাহমুদের ধারণা। তিনি বলেছেন, তার ডান হাতের কাছে ঝলসানো জখমও রয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ থেকে হয়েছে বলে ধারণা করছি। শনিবার সন্ধ্যায় আজিমপুর বিজিবি সদরদপ্তরের ২ নাম্বার গেইটের এক বাসায় পুলিসের অভিযানের সময় ওই জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া যায়। আহত হয় সন্দেহভাজন তিন নারী জঙ্গি ও পাঁচ পুলিশ কর্মী। এরপর রবিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ‌্যম) মাসুদুর রহমান  বলেন, আজিমপুরের ওই বাসা থেকে ১২-১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে তারা উদ্ধার করেছেন। ছেলেটি পুলিশকে জানিয়েছে, নিহত ব‌্যক্তি তার বাবা, তার বাবার নাম জামশেদ, বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়ায়। ওই ছেলেটির সঙ্গে আরও দুটি  শিশুকন্যাকে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন। আটক তিন মহিলার মধ্যে একজনের পেটে গুলি লেগেছে। বাকি দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই দুইজনও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেছেন, এই তিন মহিলার একজন আত্মঘাতী জামশেদ ওরফে আবদুল করিমের স্ত্রী।

No comments:

Post a Comment