‘তিন কন্যা’র ব্রিটেন জয়

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবারও বিপুল ব্যবধানে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিক, রূপা হক ও রুশনারা আলী। বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ হ্যাম্পস্ট্যাড এন্ড কিলবার্ন আসনে ৩৪ হাজার ৪শ’ ৬৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার ভোটের ব্যবধান ১৫ হাজার। লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল এন্ড অ্যাকটন আসন থেকে ৩৩ হাজার ভোট পেয়েছেন রূপা হক। অন্যদিকে বেথনাল গ্রিন এন্ড বো আসনে রুশনারা আলী পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯শ ৬৯ ভোট। বাংলাদেশি বংশদ্ভূত এই তিন প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লন্ডনের হ্যাম্পস্ট্যাড ও কিলবার্ন আসন থেকে দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ১১শ’ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেও এবার প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার পার্থক্য ছিলো ১৫ হাজার ভোটের। টিউলিপ দলনেতা জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এই জয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে টিউলিপ বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির আস্থা আর সহায়তা আজ তাকে এই পর্যায়ে এনেছে। এ সময় থেরেসা মে’র সমালোচনাও করেন তিনি। টিউলিপ ব্রিটেনবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল এন্ড বো আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন লেবার নেতা রুশনারা আলী। দর্শন রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জণের পর লেবার দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। জয় নিশ্চিত হবার পর জলবায়ু, নিরাপত্তা এবং জনবান্ধব কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল এন্ড অ্যাকটন আসন থেকে ৩৩ হাজার ৩৭টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত লেবার নেতা রুপা হক। গতবার মাত্র ২৭৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুই বছরের মাথায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ৪৫ বছর বয়সী লেবার নেতা। প্রতিদ্বন্দ্বি রক্ষণশীল কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীর চেয়ে সাড়ে ১৩ হাজার বেশি পেয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে লেবার পার্টির সদস্য হওয়ার আগে তিনি ডেপুটি মেয়র হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এই নির্বাচনে মোট ১৪ জন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরমধ্যে ৮ জনই লড়াই করছেন লেবার পার্টির হয়ে। বাকি ৫ জনের মধ্যে ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং একজন লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির হয়ে লড়ছেন।