হাওর এলাকা দেখতে গিয়ে আবার রিকশায় চড়লেন প্রধানমন্ত্রী
পাহাড়ি ঢলে অকালবন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা দেখতে এবং দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে হেলিকপ্টার থেকে নেমে ডাকবাংলো পর্যন্ত রিকশায় চড়েন তিনি। খুব সামান্য সময়ের জন্য হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই রিকশাভ্রমণ বেশ আগ্রহের সঙ্গে দেখেছেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় মানুষ। কয়েক দিন আগে গোপালগঞ্জে গিয়ে নাতনিদের সঙ্গে অটোভ্যানে চড়েন প্রধানমন্ত্রী। গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানে চড়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রধামন্ত্রীকে বহনকারী সেই ভ্যানচালক বিমানবাহিনীতে চাকরি পান।
চাকরি আশা করছেন টিপু: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিকশায় ঘোরানোর পর সরকার প্রধানের কাছ থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন বলে আশা করছেন চালক টিপু সুলতান। এর আগে পৈতৃক এলাকা গোপালগঞ্জে গিয়ে ভ্যানে চড়ার পর সেটির চালক ইমাম শেখকে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিমান বাহিনীতে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ায় নিজের ক্ষেত্রেও একই রকম আশা দেখছেন নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিরা গ্রামের এই যুবক। জেলা প্রশাসন তাকে আগেথেকেই ঠিক করে রেখেছিল জানিয়ে টিপু বলেন, এ জন্য তাকে রিকশাসহ নেত্রকোনা থেকে খালিয়াজুরী নিয়ে যাওয়া হয়। যাত্রা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান টিপু।
প্রধানমন্ত্রী রিকশায় উঠে তার নাম জিজ্ঞেস করেছেন জানিয়ে টিপু বলেন, ‘লেখাপড়া কতদূর করেছি সে কথাও জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমার রিকশায় ওঠায় আমি খুব খুশি।’ নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিরা গ্রামের রিকশা মোকবুল হোসেনের ছেলে টিপু নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। বাবা- মা ছাড়া পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের সংসারে তিনি দ্বিতীয় সন্তান। বাবা কৃষিকাজ করেন। বড় সংসারের সচ্ছলতার আশায় স্থায়ী একটি চাকরির আশা করা টিপু বলেন, ‘আমার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আমাকে যদি একটা চাকরি দেয় তাহলে আমার সংসারটা ভালো চলবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গীপাড়ায় গিয়ে যার ভ্যানে চড়েছিলেন, সেই ইমাম শেখ ৩১ জানুয়ারি বিমান বাহিনীতে বেকারির ‘সরবরাহকারী’ হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগ দেন।
No comments:
Post a Comment