Tuesday, December 27, 2016

প্রথম জেলা পরিষদ ভোট আজ

নিরুত্তাপ নির্বাচনেও শঙ্কা-আতঙ্ক

আজ দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই প্রথম স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এ গুরুত্বপূর্ণ স্তরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন জনপ্রতিনিধি। এতদিন ধরে চলে আসা প্রশাসকদের পরিবর্তে এখন থেকে স্থানীয় মানুষের ভালো-মন্দ ও এলাকার উন্নয়ন দেখভাল করবেন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে জেলা পরিষদ।
তবে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত এ নির্বাচন ঘিরে তেমন কোনো আমেজ বা উত্তাপ নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। কারণ এতে সাধারণ ভোটারদের অংশগ্রহণ নেই। কেবল স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই ভোট দেবেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। ফাঁকা মাঠ পেয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। ৬১ জেলার মধ্যে ২১ জেলায় ইতোমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনী আমেজ ঠেকেছে আরও তলানিতে। ফলে এক ধরনের নিরুত্তাপ অবস্থার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সকালের মধ্যেই ব্যালট পেপার, ফরম, প্যাকেট, পরিচয়পত্র, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, অফিশিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, লাল গালা, স্ট্যাম্প প্যাড, অমোচনীয় কালির কলমসহ নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে এবং নির্বাচনে প্রভাব ঠেকাতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকা ত্যাগ করতে ই-মেইল করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে ইসি সংসদ সদস্যদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ইসি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটও। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ইসি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে ম্যাজিস্ট্রেটও।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট দেবেন জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। প্রতিটি জেলায় একজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বাদ দিয়ে আজ ভোটযুদ্ধে লড়বেন ৩৯ জেলায় ১২৪ জন চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর ২ হাজার ৯৮৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৮০৬ জন। প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ থাকলেও কেউ এ সুযোগ নেননি। জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক ৯১৫টি কেন্দ্রে ৬৩ হাজারের বেশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
অবশ্য নিরুত্তাপ এ নির্বাচনেও জাল ভোট, কেন্দ্র দখল ও প্রকাশ্যে সিল মারার শঙ্কা প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের নিয়ে বেশ উদ্বেগে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলও। গত কয়েক দিনে সরকারদলীয় অনেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের চাপে অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। টাকায় ভোট কেনাবেচার খবর এসেছে। প্রার্থীরা ভোট কেনাবেচার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে ইসি। ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় ভোট কেনাবেচাও হয়েছে। প্রার্থীদের কেউ কেউ ভোটারদের বলছেন ক্যামেরায় ছবি তুলে আনতে, কেউ বলছেন ব্যালট পেপারের পেছনে বিশেষ চিহ্ন দিতে। নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর চার সমর্থকের বাড়িতে একযোগে হামলা, ভাঙচুর ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকালও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় টাকা, নির্বাচনী পোস্টার ও এজেন্টের ফরমসহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের এক সদস্য প্রার্থীর সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
তবে যেকোনো উপায়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংসদ সদস্যরা যেন এলাকা ছাড়েন, স্পিকার এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। আশা করি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত করবেন। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, অনেক সংসদ সদস্য এলাকায় অবস্থান করছেন। এমনকি তারা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। আইন প্রণয়নকারী সংস্থা অর্থাৎ পার্লামেন্টের মেম্বার হয়ে তারা বেআইনি কাজ করবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ। আশা করি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারব। তিনি আরও জানান, কোনো এক প্রার্থীর পক্ষ অবলম্বন করায় জামালপুর জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিরুত্তাপ হলেও নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রথম থেকেই সতর্ক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেশ সম্মানজনক জয় পাওয়ায় সরকার শিবিরে এ নির্বাচন নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্য নির্বাচনের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনেও দলের প্রার্থীদের কার কী অবস্থান জেনেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। এমনকি নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কিছু জেলায় বিভিন্ন সময় নানা নির্বাচনে মনোনয়ন না পাাওয়ায় ক্ষুব্ধ দলীয় নেতাদের এ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে চেষ্টা করেছেন দলের মধ্যেকার অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ দূর করতে। বিদ্রোহীদের মাঠে রেখে চেষ্টা করছেন কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের সংস্কৃতি ধরে রাখতে। সরকার চাইছে, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকারের সবগুলো কাঠামোকে সচল করতে। শক্ত করতে স্থানীয় রাজনীতিতে শাসকদলের সাংগঠনিক ভিত্তি। এর মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফল আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
শেষমুহূর্তে গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচনে টাকার প্রভাবের কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে তিনি দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। তবে প্রথম থেকেই এ নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করে আসা বিএনপি গতকালও এ নির্বাচনকে রসিকতা বলে দাবি করে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন যেমন প্রহসনের ছিল, তেমনি জেলা পরিষদের নির্বাচনও আরেকটি লোক দেখানো প্রহসনের নির্বাচন হবে।
তারপরও এ নির্বাচন ‘মন্দের ভালো’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এখন যারা অনির্বাচিত প্রতিনিধি আছেন, নির্বাচন হলে সেটার চেয়ে ভালো হবে। কারণ এখন প্রশাসকদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচন হলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা আসবে। তবে নির্বাচনই শেষ কথা নয়। সরকারকে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করতে হবে। তবে এ নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের আইনি জটিলতার আশঙ্কাও করছেন তারা। তাদের মতে, নির্বাচন ও তফসিল নিয়ে আদালতে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ ও ‘পরোক্ষ ভোটের বিধানসংবলিত জেলা পরিষদের আইনের ৪ (২), ১৭ ও সংশোধিত আইনের ৫ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না’—শীর্ষক দুটি রুল দিয়েছেন আদালত এবং সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন। কিন্তু রুলের জবাব দেওয়ার নির্ধারিত তারিখের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরে এ রিটের রায়ে নির্বাচনী তফসিল বা পরোক্ষ ভোটের বিধান অবৈধ ঘোষণা করা হয়, তবে আর এক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হবে।
এ অবস্থার মধ্য দিয়েই আজ অনুষ্ঠিত হবে দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা না হলেও বিভিন্ন কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বন্ধ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা উহাতে বিজয়ী কিংবা পরাজিত প্রার্থী কেউ অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে মোটরসাইকেলের ওপরে। গতকাল মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের যান চলাচলও।
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা সাজিয়েছে ইসি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকছে ২০ জন করে সদস্য। পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ব্যাটালিয়ন আনসার ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা। এর মধ্যে একজন অস্ত্রসহ, পুলিশ (কনস্টেবল) অস্ত্রসহ, আনসার একজন অস্ত্রসহ এবং অঙ্গীভূত আনসার ১৫ জন লাঠিসহ। এর মধ্যে পুরুষ আটজন ও নারী সাতজন। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে বিজিবি ও র‌্যাব। প্রতিটি উপজেলায় বিজিবির দুটি মোবাইল টিম (প্লাটুন দুটি প্রতি প্লাটুনে সদস্য সংখ্যা ৩০ জন) এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স (এক প্লাটুন)। আর পেট্রোলিং ও স্ট্রাইকিংয়ের দায়িত্বে থাকছে র‌্যাব। এ ছাড়া ৯১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন প্রতিটি কেন্দ্রে। আর ৯১ জন থাকবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা। ৬১টি জেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে আটটি সংস্থার তিন হাজার ২২৫ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এর মধ্যে আসক ফাউন্ডেশনের আড়াই হাজার এবং জানিপপের তিন শতাধিক পর্যবেক্ষক থাকবেন।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ ব্রিটিশ আমল থেকেই চালু ছিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে জেলা পরিষদ কাঠামোকে অনেক বেশি কার্যকর করে জেলা গভর্নর পদ্ধতি চালু করেন। এরপর জিয়াউর রহমান আবার জেলা পরিষদ গঠন করেন। জেনারেল এরশাদের আমলেও জেলা পরিষদ কার্যকর ছিল। ১৯৮৮ সালে ঠিক হয় সরকার মনোনীত ব্যক্তিরা নন, সংসদ সদস্যরা হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। কিন্তু ১৯৯১ সালে গঠিত বিএনপি সরকারের সময় জেলা পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর জেলা পরিষদ কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বর জেলা পরিষদ আইন-২০০০-এর ৮২(১) ধারা অনুযায়ী দেশের তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এবারই প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। এর জন্য সরকার স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান রেখে জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে।

No comments:

Post a Comment