‘বিয়ের সময় তো ইনসুলিনের কথা ছিল না’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার জন্য নির্ধারিত লিখিত বক্তব্য রেখে স্বভাবসুলভ হাস্যরসে সবাইকে মাতিয়ে তুললেন এক অনুষ্ঠানে। সোমবার লালমাটিয়া মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যের ফাঁকে স্ত্রী রাশিদা খানমের সঙ্গে খুনসুটির গল্প শুনিয়ে দর্শকদের মধ্যে হাসির ঝড় তুলে দেন তিনি। বলেন, আমি যখন নাস্তা করছি, আমার স্ত্রী তখন ইনসুলিন নেবে। সিস্টার আসে ইনসুলিন দেওয়ার জন্য। বাই দি বাই আমি সিস্টাররে জিজ্ঞাসা করলাম- ইনসুলিনের দাম কত। পরে বলল, একটা ইনসুলিন দিয়ে ২দিন চলে, দাম ৯০০ টাকা। এখনতো রাষ্ট্রপতি আর তার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয়। যখন আমার পদ থাকবে না, চলে যাব, তখন রোজ সাড়ে ৪০০ টাকার ইনসুলিন... আরও অসুখ বিসুখ আছে। হিসাব করলাম, প্রায় এক হাজার টাকা ওষুধের পেছনে লাগবে। এই টাকা কোইত্তে আইব?
আবদুল হামিদ বলেন, উনি (স্ত্রী রাশিদা খানম) বললেন, এই টাকা তুমি দিবা। আমি কইলাম, তোমারে যখন আমি বিয়ে করছি তখন কথা ছিল ভাত-কাপড় দিব। ইনসুলিন দেওয়ার কথা তো ছিল না। এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি... পরে বললাম আচ্ছা এটা যার যার তার তার। সে তখন রাজি হল। আমার বিয়ের সময় কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। আমি ২৫ হাজার দিয়ে দিব বললাম। সে বলে, ২৫ হাজার টাকাতো এখন না। ৬৪ সালে বিয়ে করছি। তখনকার ২৫ হাজার এখন ২৫ কোটি। নয় মণ ঘিও হইব না রাধাও নাচব না। মন মেজাজ ভালো না। আর কিছু কথা বলতাম।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক ছিলেন এ অনুষ্ঠানের সভাপতি। তার সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলতে গিয়েই আবদুল হামিদের এ গল্পের সূত্রপাত। তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। আজ সেসব কথা বলার সুযোগ নেই।... বেশি কথা বলতে চাই না। অনেক সময় হয়ে গেছে, মনটাও একটু খারাপ। সকালে তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে ওঠার পর নাস্তা করার সময় একটু গোলমাল হয়ে গেছে। গোলমালের বিষয়টা বলাও মুশকিল। রাষ্ট্রপতির বলার ভঙ্গিতে দর্শক সারিতে হাসির সঙ্গে সঙ্গে তখন আওয়াজ উঠেছে- বলতে হবে, বলতে হবে। অতপর গল্প ফেলে আবার লিখিত বক্তব্যে চলে যান রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, উনি (স্ত্রী রাশিদা খানম) বললেন, এই টাকা তুমি দিবা। আমি কইলাম, তোমারে যখন আমি বিয়ে করছি তখন কথা ছিল ভাত-কাপড় দিব। ইনসুলিন দেওয়ার কথা তো ছিল না। এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি... পরে বললাম আচ্ছা এটা যার যার তার তার। সে তখন রাজি হল। আমার বিয়ের সময় কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। আমি ২৫ হাজার দিয়ে দিব বললাম। সে বলে, ২৫ হাজার টাকাতো এখন না। ৬৪ সালে বিয়ে করছি। তখনকার ২৫ হাজার এখন ২৫ কোটি। নয় মণ ঘিও হইব না রাধাও নাচব না। মন মেজাজ ভালো না। আর কিছু কথা বলতাম।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক ছিলেন এ অনুষ্ঠানের সভাপতি। তার সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলতে গিয়েই আবদুল হামিদের এ গল্পের সূত্রপাত। তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। আজ সেসব কথা বলার সুযোগ নেই।... বেশি কথা বলতে চাই না। অনেক সময় হয়ে গেছে, মনটাও একটু খারাপ। সকালে তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে ওঠার পর নাস্তা করার সময় একটু গোলমাল হয়ে গেছে। গোলমালের বিষয়টা বলাও মুশকিল। রাষ্ট্রপতির বলার ভঙ্গিতে দর্শক সারিতে হাসির সঙ্গে সঙ্গে তখন আওয়াজ উঠেছে- বলতে হবে, বলতে হবে। অতপর গল্প ফেলে আবার লিখিত বক্তব্যে চলে যান রাষ্ট্রপতি।
No comments:
Post a Comment