Tuesday, November 22, 2016

রাজনৈতিক বিষয়ে বলতে ভালো লাগে : রোকেয়া প্রাচী

রোকেয়া প্রাচী, ২০০২ সালে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করার মহান গৌরব যার পালকে। ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে জিতে নিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মঞ্চ ও ছোট পর্দায় কাজের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন এবং রাজনীতির মাঠে সক্রিয় এই মেধাবী অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার ঃ
আপনার শৈশব সম্পর্কে জানতে চাই।
রোকেয়া প্রাচী : আমার শৈশব কেটেছে পল্লবীতে। মিরপুর পল্লবীতে আমার নিজেদের বাড়ি। পল্লবীর এমআই নিউ মডেল স্কুলে পড়াশোনা করেছি। এরপর লালমাটিয়া, বদরুন্নেসা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করা।
ছোটবেলায় আপনি কেমন ছিলেন?
রোকেয়া প্রাচী : ছোটবেলায় আমি অনেক খেলাধুলাপ্রিয় ছিলাম। হাডুডু, কুতকুত, চোর-পুলিশ থেকে শুরু করে ক্রিকেট, ফুটবল সবই খেলতাম। ছেলে-মেয়ে বিভেদ ছিল না। সবাই একসঙ্গে, মিলেমিশে খেলতাম। আমরা এতই ডেসপারেট ছিলাম যে চোর-পুলিশ খেলতাম গাছে গাছে । তখন পল্লবীতে অনেক গাছ ছিল। আমরা এক গাছ থেকে আরেক গাছে যেতাম চোর ধরতে বা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে। নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হয় যে, আমি আমার শৈশবের আনন্দটা শতভাগ উপভোগ করেছি। আমাদের শৈশবটা এত আনন্দময় ছিল যে, তা এখনকার বাচ্চারা কল্পনাই করতে পারবে না। আমি খুবই ডানপিটে এং গেছো মেয়ে ছিলাম যে গাছেই গাছেই থাকতাম। এ-গাছ থেকে ও-গাছে। যেটা আমাকে এখন দেখে কেউ বিশ্বাস করবে না। এখন সবাই বলে আমি খুবই সাহসী মানুষ। আমি তাদের বলি, আমার এই সাহস শৈশব থেকেই।
আপনার পরিবার সম্বন্ধে বলুন।
রোকেয়া প্রাচী : আমি বাবা-মা, ছোট ভাই, ছোট বোন। এই নিয়ে ছিল আমাদের পরিবার। এছাড়া আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। এখনো সেই বন্ধনটা আছে। অবশ্য এরই মধ্যে আমার বাবা মারা গেছেন, ছোট বোন মারা গেছে। ছোট ভাই আমেরিকায় সেটেল। মা দেশের বাড়িতে আছেন। আমরা যে যেখানেই থাকি, ওই জয়েন ফ্যামিলি কনসেপট এখনো বিদ্যমান। খাচি ভরে আম-জাম কেনা হতো। সবার জন্য একসঙ্গে কাপড় কেনা হতো পুরো গাট্টি। এখনো পারিবারিক আবহ সেই জয়েন্ট ফ্যামিলি কনসেপ্টেই আছি।
ছোটবেলা আপনার ভাবনাগুলো কেমন ছিল? কোন বিষয় নিয়ে ভাবতে পছন্দ করতেন?
রোকেয়া প্রাচী : আমার ভাবনাগুলো খুবই অদ্ভুত ছিল। একা একা গান শুনতাম। স্কুলে শহিদ মিনার করতাম। ষোলই ডিসেম্বরের প্রোগ্রাম করতাম। পাড়ায় লাইব্রেরি করেছি। স্কুলের দেওয়াল পত্রিকায় গল্প লিখতাম। কালচারাল প্রোগ্রামে থাকতাম। আমি এসব নিয়েই ডুবে থাকতাম। এছাড়া আমি খুবই সাহসী মেয়ে ছিলাম। আমাকে একা বাসায় রেখে সবাই ঘুরতে যেত। একাই চোর ধরেছি।
ছোটবেলার কোন স্মৃতিটা বিশেষভাবে মনে পড়ে?
রোকেয়া প্রাচী : আমাদের ফ্যামিলিতে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যে কারণে অত্যাচারটাও বেশি ছিল। মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে আমার বাবাকে খুব মেরে ফেলে রাখা হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) বাবাকে হাসপাতালে দেখতে এলেন। আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। একটা তাঁতের শাড়ি পরা। খোঁপায় ঘোমটা টানা। সিম্পল একজন মানুষ। তার চেহারা থেকে ব্যক্তিত্বের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। সেই সময়ে শেখ হাসিনাকে এত কাছে থেকে দেখা- যা আমাকে আজকের এখানে আসতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করি।
মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা কবে থেকে?
রোকেয়া প্রাচী : স্কুলজীবন থেকেই কালচারাল প্রোগ্রামের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেই। পাড়ায় কাজ করতে করতে টিএসসিতে আবৃত্তি করা। ১৯৮৯ সালে লিয়াকত আলী লাকী ভাইয়ের গ্রুপে কাজের মধ্য দিয়ে থিয়েটারে সম্পৃক্ত হই। এভাবেই ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করি। তারপর মামুনুর রশীদ ভাইয়ের আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দেই। লিয়াকত আলী লাকী ভাই, তারিক আনাম ভাই ও মামুন ভাই আমার মিডিয়া গুরু। তবে মামুন ভাই আমাকে হাতে ধরে ধরে কাজ শেখান। এরপর দুখাই-এ কাজ পেয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখি।
মিডিয়ায় না এলে কী হতেন?
রোকেয়া প্রাচী : আর্মি অফিসার হতাম। আমাদের বাসার সামনে দিয়ে মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের আর্মিরা প্যারেড করত। সেটা দেখে দেখে এই পেশার প্রতি অপার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু তখন মেয়েদের রিক্রুটমেন্ট ছিল না। তাই হয়তো যাওয়া হয়নি।
থিয়েটার ও চলচ্চিত্রের মাঝে কিছুটা দূরত্ব আছে। আপনার ক্ষেত্রে সেই দূরত্বটা ঘোচাল কে?
রোকেয়া প্রাচী : আমি সিরিয়াসলি থিয়েটার করি। প্যাকেজ নাটক তখনো অতটা শুরু হয়নি। মোরশেদ (মোরশেদুল ইসলাম) ভাই সিনেমা বানাবেন। দুখাই ছবির জন্য নায়িকা খুঁজছেন। আমাকে যখন প্রস্তাব দেওয়া হলো এই ছবিতে প্রথমে মামুন ভাইকে (মামুনুর রশীদ) স্ক্রিপ্ট দেখালাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে, তিনি বললেন- ‘হ্যাঁ করতে পার।’ আমরা তখন এটা শিখেছিলাম যে আমাদের গুরু যিনি তার সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করতে হবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিলাম। মোরশেদ ভাইয়ের দুখাই দিয়েই আসলে আমার চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা। দুখাই ছবির পর বিটিভিতে প্যাকেজ নাটক করেছি, তবে তা ছিল খুব কম।
মঞ্চের দিনগুলো মিস করেন?
রোকেয়া প্রাচী : প্রচণ্ড মিস করি। যে একবার মঞ্চের প্রেমে পড়েছে সে আর বেরুতে পারে না। আমার মনে হয় মঞ্চ এখনো ডাকে আমাকে। ইনশাআল্লাহ মঞ্চে আবার কাজ করব। কারণ, মঞ্চের গ্লামার হচ্ছে মেধা।
দুখাইতে বুলি হলেন কীভাবে?
রোকেয়া প্রাচী : আমি চেষ্টা করেছি ডিরেক্টরস আর্টিস্ট হওয়ার। মোরশেদ ভাই আমাকে দিয়ে যা দেখতে চান তাই হতে চেয়েছি। এছাড়া আমি যে রোকেয়া প্রাচী সেই রোকেয়া প্রাচীকে বাড়িতে রেখে বুলি হয়ে শুটিং ইউনিটে এসেছি। একটুও অভিনয় করার চেষ্টা করিনি। কারণ অ্যাক্টিং ইজ এ ব্যাড অ্যাক্টিং, নো অ্যাক্টিং ইজ এ গুড অ্যাক্টিং। সুতরাং বুলি যা করত, যা বলত আমি তাই বলার চেষ্টা করেছি। আমি পুরো ক্যারেক্টারের ভেতর ঢুকে যাই।
আচ্ছা, রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা নিয়ে বলুন।
রোকেয়া প্রাচী : রাজনীতিতো আমাদের পারিবারিক আবহেই ছিল। তবে পলিটিক্সের চেয়ে সামাজিক কাজকর্ম করতে বেশি আগ্রহী আমি। বৈষম্য দূর করা, জনগণের কথা বলা, এসব মানবিক দায়বদ্ধতা ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমার ভেতর ছিল। তবে সেটা ছিল বিচ্ছিন্নভাবে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ। তবে তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর বিচ্ছিন্ন বিষয়গুলোকে গুছিয়ে একসঙ্গে কথা বলা শুরু করলাম, কাজ শুরু করলাম। একটা সময় উপলব্ধি করলাম, যেহেতু আমার ব্যাকগ্রাউন্ডে আছে পলিটিক্স, আমাকে এই বিষয় নিয়েও কথা বলতে হবে। এরপর কালের পরিক্রমায় হেফাজত, জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আগুন সন্ত্রাস, নানাবিধ বিষয় যেগুলো রাষ্ট্রের, দেশের মানুষের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থীÑসেগুলোর বিপক্ষে দাঁড়ালাম। আমি বারবার একটা কথাই বলি, আমার একটাই পরিচয় আমি বাংলাদেশি, আমার একটাই পক্ষ সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ। কাজেই আমার দেশ, আমার সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে যারা যাবে তাদের সঙ্গে আমি যুদ্ধ করবই। একজন শিল্পী, মানুষ ও দেশের নাগরিক হিসেবে এটা আমি চালিয়ে যাব। এর জন্য পলিটিক্যাল বেজমেন্টের দরকার নেই। কিন্তু মানুষ যখন কাজ করতে থাকে এবং কোনো আদর্শ মিলে যায় তখন অটোমেটিক্যালি সে একটি দলকে সাপোর্ট করবে। সমমনা মানুষ সবসময় একত্রিত হয়। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে গ্রহণ করি। আমার বাবা যেহেতু বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করতেন। আবার বেড়ে ওঠার সঙ্গে সেই রাজনীতিটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমার দেশ, সার্বভৌমত্ব, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাÑএসবগুলোতে আমার যে বক্তব্য আওয়ামী লীগ তো সেই কথাই বলছে। কাজেই সেই আদর্শের সঙ্গেই কাজ করছি।
রাজনীতি বলতে আমরা একপর্যায় গিয়ে নির্বাচন বুঝি। আপনার নির্বাচন করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
রোকেয়া প্রাচী : আমি যদি যোগ্য হয়ে উঠি, আমার এলাকার মানুষজন পছন্দ করেন, সবাই যদি মনে করেন আমি যোগ্য, নিশ্চয়ই আমি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব। কারণ আমি যেখানে স্বচ্ছতার কথা বলছি, সামাজিক উদ্যোগের কথা বলছি, দেশপ্রেমের কথা বলছি; সেখানে অযোগ্য হলে তো নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই। তাই মনে করি, যদি যোগ্য হই, যদি সবাই চায়, সবাই ভালোবাসে তাহলে আমাকে বলতে হবে না। চলে আসব। এটা তো আদায় করার বিষয় নয়, আন্দোলনই নেতৃত্ব তৈরি করে দেয়। যে কারণে বঙ্গবন্ধুর মতো সাধারণ একজন মানুষ দেশের নেতৃত্বে এসেছেন। সুতরাং দৌড়ঝাঁপ বা সিন্ডিকেটের প্রয়োজন নেই।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
রোকেয়া প্রাচী : আমাদের মাটির গল্প বাড়াতে হবে। যে গল্পে দর্শক নিজেকে খুঁজে পায়। হলের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। অনুদানের ছবিগুলো হলে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেড় কোটি টাকা দিয়ে একটা ছবি হলো, কিন্তু সেটা কেউ দেখার সুযোগ পেল না বা দেখানো হলো না, তাহলে লাভটা কী হলো?
বর্তমান সংস্কৃতিমন্ত্রীর সঙ্গে তো কাজ করেছেন। তার সঙ্গে আপনার ভাবনাগুলো শেয়ার করেছেন কি?
রোকেয়া প্রাচী : নূর ভাই মন্ত্রী হওয়ার পর তার সঙ্গে কাজ করা হয়নি। ফলে কথা বলার সুযোগ হয়নি। তবে নূর ভাই যদি সময় দেন, আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। কিছু ভাবনা আছে সেগুলো শেয়ার করতে চাই। নূর ভাইতো অনেক কাজে ব্যস্ত। তারপরও তিনি সময় দিলে আমার নিজস্ব ভাবনাগুলো আদান-প্রদান করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব। হয়তো তাতে আমাদের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির উপকার হবে। এবং শুধু আমি নয়, সব সংস্কৃতিকর্মীর ভাবনাই তার সঙ্গে শেয়ার করা দরকার। আমি খুবই চাই, একদিন সময় দিলে আমার ছোট ছোট ভাবনাগুলো জানাব। যা আমার নয়, সমষ্টিগত আমাদের জন্য পরিকল্পনা। এই ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই বলছি, নূর ভাইÑআমার কিছু পরিকল্পনা, ভাবনা আপনাকে জানাতে চাই।
কোনো বিষয় নিয়ে বিরামহীন কথা বলে যেতে পারেন, ক্লান্তি আসে না?
রোকেয়া প্রাচী : রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে। এই যে আপনি এই ইন্টারভিউতে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছেন। আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। যখন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে থাকি- যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কথা বলি, মানবিকতার কথা বলি, উন্নয়নের কথা বলি, তখন কোনো ক্লান্তি আসে না। এবং কথাগুলো আমার ভেতর থেকে আসে। আমি যখন সিনেমা নিয়ে কথা বলি, ক্যামেরার সামনে থাকি খুব এনজয় করি। আন্দোলন এবং আমার বাচ্চাদের অনুভূতি আমাকে উজ্জীবিত করে তোলে। সুতরাং সিনেমা, পরিবার ও আন্দোলন আমাকে কখনোই ক্লান্তি দেয় না।
জীবন থেকে সবচেয়ে আনন্দের দিনটি যদি বেছে নিতে বলা হয় কোন দিনটা নেবেন?
রোকেয়া প্রাচী : মানুষ হিসেবে ধরলে আমার সন্তান জন্মের দিনটিই সবচেয়ে আনন্দের। এই আনন্দটা আমার জীবনে দুইবার এসেছে। আমি দুই কন্যাসন্তানের মা। দুই সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গে আমি তাদের কোলে নিয়েছি। শিল্পী হিসেবে যদি বলি, কান চলচ্চিত্র উৎসবে দাঁড়িয়ে আমি যখন উদ্বোধন ঘোষণা দিচ্ছিলাম- সেই সময়টা। ২০০২ সালে তারেক মাসুদ ভাইয়ের মাটির ময়না দিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হয়। কানের নিয়ম হলো কোনো মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নয়, অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন একজন শিল্পী। মাটির ময়নার শিল্পী হিসেবে সেবার এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করি আমি। পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি আমি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের একজন শিল্পী হিসেবে ডিরেক্টরস ফোর্ট নাইটে আমি বাংলায় উদ্বোধন ঘোষণা করলাম। সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। ভীষণ রকম একটা অর্জন বলে মনে করি।
আগামীতে কী পেতে যাচ্ছি আপনার থেকে?
রোকেয়া প্রাচী : আপাতত অভিনয়ের পাশাপাশি ডিরেকশন দিচ্ছি। ডিরেকশন নিয়ে শক্তপোক্তভাবে আগানোর ইচ্ছে আছে। একটা ফিল্ম বানাতে চাই। এই মুহূর্তে স্ক্রিপ্টিং-এর কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর কাজ শুরু করব। বাকিটা এখন বলতে চাইছি না। পুরোটা গুছিয়ে নিয়ে জানাব। আন্দোলনের দিকটা যদি বলি, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।

No comments:

Post a Comment